Friday, September 14, 2012

মহানবীকে (সা.) অবমাননাকারী মার্কিন সিনেমার প্রতিবাদ : ইসলামী দলগুলোর প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানী


আমেরিকায় মহানবীকে (সা.) অবমাননা করে সিনেমা নির্মাণের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে সারাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ। অবিলম্বে এই সিনেমা বন্ধ ঘোষণা ও সংশ্লিষ্ট নির্মাতাদের শাস্তি দাবিতে গতকাল রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন। বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে পৃথক মিছিল বের করে ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া। বাদ আছর মিছিল করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। মিছিলগুলো পল্টন, জাতীয় প্রেস ক্লাব, কাকরাইল, শান্তিনগর এলাকা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল থেকে মার্কিন পতাকায় আগুন লাগায় বিক্ষোভকারীরা। পৃথক সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে এই জঘন্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এনে এর প্রতিবাদ জানানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। দাবি না আদায় হলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি উচ্চারণ করে সংগঠনগুলো। এ সময় ওই সব এলাকায় ব্যাপক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে একই ধরনের বিক্ষোভ করে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন :
ইসলামী আন্দোলন : ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) বিরুদ্ধে অবমাননাকর সিনেমা নির্মাণ করে বিশ্বময় মুসলমানদের অন্তরে জেহাদী আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। ওই কুলাঙ্গারদের গ্রেফতার ও ফাঁসি না দিলে এই আগুন নিভবে না। মুসলমানদের ইমানী আগুন জ্বলে উঠেছে, এই আগুন জ্বলতেই থাকবে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট মুসলিম বিশ্বের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা ছাড়া মুসলমানদের এ আন্দোলন থামবে না। তিনি বলেন, যাদের ভেতর ন্যূনতম ইমান আছে, তারা কেউ এই আন্দোলন থেকে দূরে থাকতে পারে না।
বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মহানবীর অবমাননা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকার আমেরিকান দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগরী আয়োজিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, নগর সেক্রেটারি মো. আবু সাঈদ সিদ্দিকী, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে রওনা দিয়ে মালিবাগ টুইন টাওয়ারের সামনে পৌঁছলে পুলিশ ৩ স্তর বিশিষ্ট ব্যারিকেড দিয়ে মিছিলের গতিরোধ করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হন এবং সেখানেই কর্মসূচি শেষ করা হয়।
ইসলামী ঐক্যজোট : ইসলামী ঐক্যজোট ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বায়তুল মোকাররম গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ও বিজয়নগর হয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব মাওলানা আবদুুল লতিফ নিজামী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মহানবীকে (সা.) নিয়ে চরম অবমাননাকর চলচ্চিত্র নির্মাণ করে আবারও বিশ্ব মুসলিম ও মানবতার বুকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। অবিলম্বে চলচ্চিত্র নির্মাণকারী শ্যাম বাসিলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করলে ভয়াবহ পরিণতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, অবিলম্বে এ জঘন্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করুন এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এনে এর প্রতিবাদ জানান। অন্যথায় বাংলাদেশের রাসুল প্রেমিক লাখ লাখ মুসলমান আপনাদের ক্ষমা করবে না। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মুফতী মুহাম্মদ তৈয়্যব, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাসেম, মাওলানা যুবায়ের আহমদ প্রমুখ।
খেলাফত মজলিস : খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, অনতিবিলম্বে ছায়াছবিটি নিষিদ্ধ করে এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। নতুবা বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের যে দাবানল জ্বলে উঠবে তা ঠেকানো যাবে না। খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাদ জুমা পল্টন মোড়ে নগর সভাপতি মাওলানা নোমান মাযহারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান পেশওয়ারী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মো. শফিক উদ্দিন, শেখ গোলাম আসগর, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ মুনতাসির আলী প্রমুখ। সমাবেশের পূর্বে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে এক বিরাট বিক্ষোভ মিছিল প্রেস ক্লাব, হাইকোর্ট মোড় হয়ে পল্টন মোড় এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
খেলাফত আন্দোলন : খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরী উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে বায়তুল মোকারমের উত্তর গেটে এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়। এর পূর্বে খেলাফত আন্দোলন কর্মীরা ব্যানার নিয়ে আসার পথে লালবাগ থানার পুলিশ তাদের ব্যাগ থেকে ব্যানারটি রেখে দেয় এবং পাঁচ জন কর্মীকে আটক করে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধে কর্মীদের ছেড়ে দেয়া হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে দলের ঢাকা মহানগরীর আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, আমেরিকার নাগরিক শ্যাম বাসিল ইহুদিদের অর্থে এবং মার্কিনী সরকারের সহযোগিতায় ইসলাম ও বিশ্বনবীকে (সা.) নিয়ে যে জঘন্য চলচিত্র তৈরি ও প্রদর্শন করেছে, তাতে সারাবিশ্বের মুসলমানরা চরমভাবে ব্যথিত, ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। এর পরিণাম মার্কিনীদের জন্য শুভ হবে না।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন : বাদ জুমা বায়তুল মোকারম উত্তর গেট থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন। আন্দোলনের ঢাকা মহানগরী আমির মোস্তফা বশীরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্দোলনের আমির ড. মাওলানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমির অধ্যাপক মাওলানা এরশাদ উল্লাহ্ ভূঁইয়া, প্রিন্সিপাল শওকাত হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোস্তফা তারেকুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহফুজুর রহমান, ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এম সাখাওয়াত হুসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ঈসা শাহেদী বলেন, মহানবীকে (সা.) অবমাননা করে আমেরিকায় যে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে তা বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের ওপর চরম আঘাত। তিনি ওই ছবি নিষিদ্ধ করা এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি না দেয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
খেলাফত মজলিস : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে বাদ আছর একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বায়তুল মোকারম মসজিদ থেকে শুরু হয়ে প্রেস ক্লাব ঘুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। দলের মহানগর সভাপতি মাওলানা এনামুল হক নূরের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জালালউদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান প্রমুখ।
লেবার পার্টি : লেবার পার্টি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ইসলাম ধর্ম ও মহানবীকে (সা.) অবমাননা করে সিনেমা তৈরি করায় আমেরিকা সারাবিশ্বের মুসলিম হৃদয়ে আঘাত করেছে, তা কুঠারাঘাতের শামিল ও চরম ধৃষ্ঠতাপূর্ণ। তাদের এ হীন মানসিকতা প্রমাণ করে ইহুদি খ্রিস্টানরা ইসলাম ও মুসলমানদের চিরশত্রু। গতকাল সকালে মেজর জলিল মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির সভাপতি আহসান উল্লাহ শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, এমদাদুল হক চৌধুরী, মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।
ওলামা দল : জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আবদুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ নেছারুল হক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সেলিম রেজা এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত হেনে যে সিনেমা বানানো হয়েছে তা অবিলম্বে বাতিলের জন্য মার্কিন সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের সিনেমা বানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তারা।
জমিয়তে তালাবা : জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া ঢাকা মহানরগীর উদ্যোগে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এতে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চমক দিতে ভালোবাসেন—
বিদায়বেলার শেষরক্ষা হবে কি?

ভাঙা নৌকায় নতুন মাঝি তুলে লাভ নেই: কাদের সিদ্দিকী


ঢাকা, ১৪ সেপ্টেম্বর: মহাজোট সরকারের চতুর্থবারের মতো মন্ত্রিসভায় সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, “সরকার ভাঙা নৌকায় নতুন করে মাঝি তুলে তাকে ডোবানোর হাত থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু এতে লাভ হবে না। নৌকা ডুবে যাবেই।”

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মুক্ত চিন্তা ফোরাম আয়োজিত ‘সুবিচার, আইনের শাসন ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি’র ওপর এক মুক্ত আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

দেশে পরিচালনায় সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই ব্যর্থ উল্লেখ করে  বঙ্গবীর বলেন, “আজ দেশ পরিচালনায় সরকার যেমন ব্যর্থ তেমনি বিরোধী দলও সঠিক পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে পারছে না।”

প্রধানমন্ত্রী অনুরাগ ও বিরাগের বশবর্তী হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন কাদের সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি শপথ করেছিলেন  অনুরাগ ও বিরাগের বশবর্তী হযে কোনো কাজ করবেন না। কিন্তু তিনি এখন অনুরাগ ও বিরাগের বশবর্তী হয়ে কাজ করছেন। তার অনুরাগ অর্থমন্ত্রীর ওপর আর বিরাগ ড. কামাল ও ইউনূসের ওপর।”

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আপনি সংসদে দাঁড়িয়ে ড. কামাল হোসেনকে বসন্তের কোকিল বলেছেন। তার মতো একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনবিদকে অপমান করেছেন। আপনার মনে রাখা উচিত, তিনি আপনার বাবার সহকর্মী ছিলেন।”

ড. ইউনূস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেশে নোবেল বিজয়ী একজনই আছেন। তিনি দেশেকে অনেক উপরে তুলেছেন। অথচ সরকার তার সঙ্গে যেমন আচরণ করেছেন একজন চাড়ালেন সঙ্গেও মানুষ এমন আচরণ করে না।”

তাদের যেভাবে অপমান করেছেন তার চেয়ে তাদের মতো সম্মানি ও বয়স্ক লোকদের আত্মহত্যাও ভালো বলে মন্তব্য করেন কাদের সিদ্দিকী।

মুক্তচিন্তা ফোরামের সভাপিত আমীরুল মোমেনীন মানিকের সঞ্চালনায় ও অ্যাডভোকেট নজিবুর হোসেনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মাবুবুর রহমান।