| |||||
|
Sunday, September 9, 2012
অর্থমন্ত্রীর চীন সফর: পদ্মা সেতু আলোচনায় আসতে পারে
আন্দোলনে প্রস্তুত থাকতে গাজীপুরের নেতাদের নির্দেশ দিলেন খালেদা
আন্দোলনে প্রস্তুত থাকতে গাজীপুরের নেতাদের নির্দেশ দিলেন খালেদা
![]() |
ঢাকা: গাজীপুর জেলার বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
গাজীপুর জেলার বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া। রোববার রাত সাড়ে ন’টার দিকে গুলশানস্থ বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় রাত ১২টার দিকে।
বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল আলম বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য হুমায়ুন কবীর খান ও শাহেনশাহ আলমসহ গাজীপুর বিএনপি ও এর ১১ সহযোগী সংগঠনের প্রতিটির থেকে ৫ জন করে মোট ৬০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরকার বিরোধী আন্দোলন, সরকারের ব্যর্থতা, বিএনপির জনসমর্থন বাড়ানো, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালে সরকারকে বাধ্য করার কৌশল ইত্যাদি সমসাময়িক ইস্যুতে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
শনিবার রাতে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে খালেদা জিয়া পেশাজীবী ও জেলা নেতাদের সঙ্গে যে ধারাবাহিক মতবিনিময় শুরু করেছেন তারই অংশ হিসেবে রোববারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুর জেলার বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া। রোববার রাত সাড়ে ন’টার দিকে গুলশানস্থ বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় রাত ১২টার দিকে।
বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল আলম বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য হুমায়ুন কবীর খান ও শাহেনশাহ আলমসহ গাজীপুর বিএনপি ও এর ১১ সহযোগী সংগঠনের প্রতিটির থেকে ৫ জন করে মোট ৬০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরকার বিরোধী আন্দোলন, সরকারের ব্যর্থতা, বিএনপির জনসমর্থন বাড়ানো, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালে সরকারকে বাধ্য করার কৌশল ইত্যাদি সমসাময়িক ইস্যুতে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
শনিবার রাতে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে খালেদা জিয়া পেশাজীবী ও জেলা নেতাদের সঙ্গে যে ধারাবাহিক মতবিনিময় শুরু করেছেন তারই অংশ হিসেবে রোববারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সেই ‘ভূত’ হাসিনারই সৃষ্টি: ফখরুল
| ||||||||
|
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন: সংলাপে সমাধানের আশা মজিনার
| ||||||||||
|
মেডিকেলে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি ‘দুই দিনের মধ্যে’
| |||||
|
আগাম নির্বাচনের আভাস এরশাদের
আগাম নির্বাচনের আভাস এরশাদের
|
কাগজ ডেস্ক : আগাম নির্বাচন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এক রূদ্ধদ্বার বৈঠকে এরশাদ দলের শীর্ষ নেতাদের এ কথা বলেন।
রোববার রাজধানীর ইমানুয়েল সেন্টারে জাতীয় পার্টির তিন তারকা চিহ্নিত ১০৫ নেতার সাথে এ রূদ্ধদ্বার বৈঠক করেন এরশাদ।
ওই প্রার্থীদের মাঠে গিয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়ে এরশাদ বলেন, তোমরা আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী। মাঠে গিয়ে কাজ শুরু করে দাও। সময়ের আগেই নির্বাচন হতে পারে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে এরশাদ বলেন, আমার সময়ের উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে হবে। তোমরা মাঠে গিয়ে কাজ শুরু করো। যখনই আমাকে ডাকবে মাঠে গিয়ে পাবলিক মিটিংয়ে তার নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে আসব।
আগামী নির্বাচন এককভাবে অংশ নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপির মধ্যে কোন সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিএনপি চাইবে না আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় যাক।
জাতীয় পার্টির তিন তারকা বিশিষ্ট এসব প্রার্থীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠকটি সকাল ১১টায় শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ১টায়।
এতে অন্যদের মধ্যে পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদ ও মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকের বিষয়বস্তু গোপন রাখতে মিডিয়া ও আমন্ত্রিত নয় এমন দলীয় নেতাদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বৈঠকের অনাহুতদের প্রবেশ ঠেকাতে বিশেষ পাস দেওয়া হয়।
জাতীয় পার্টির এক প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেওয়ার জন্য ৩শ’ আসনে সম্ভাবনাময় প্রার্থীর তালিকা তৈরি করেছে। এসব আসন ও প্রার্থীদের তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে।
প্রথম শ্রেণীতে রয়েছে তিন তারকা বিশিষ্ট প্রার্থীরা। এ তালিকার প্রার্থীরা আগামী নির্বাচনের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ তালিকায় রয়েছে ১০৫ টি সংসদীয় আসন।
এদের মধ্যে কমপক্ষে ৮০ জন প্রার্থী নিশ্চিত বিজয়ী হবে বলে জাতীয় পার্টির কাছে তথ্য রয়েছে বলেও দাবি করেন জাপার ওই প্রেসিডিয়াম সদস্য।
এই বৈঠকে সারা দেশ থেকে প্রথমে ১০৫ জনকে ডাকা হয়। আর ওই তালিকা নাম ওঠাতে দেন দরবার শুরু করেন আগ্রহীরা। এরমধ্যে ১০ থেকে ১৫ জন সফলও হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
এরপরও অনেকটা বিরক্ত হয়েই বাড়তি প্রার্থীদের বৈঠকে থাকার অনুমতি দেয়া হয়। এ কারণে ১০৫ জনের চুড়ান্ত তালিকা পৌঁছে ১২০ জনে।
এই বৈঠকের পরে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় শ্রেণীর দুই তারকা খচিত প্রার্থী ও তারপর এক তারকা বিশিষ্ট প্রার্থীদের ঢাকায় ডাকা হবে।
দুই তারকার মানদণ্ড ধরা হয়েছে- এসব প্রার্থী মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। সর্বশেষ রয়েছে, এক তারকা বিশিষ্ট আসনের তালিকা। এ তালিকার আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। তবে মাঠ পর্যায়ে সংগঠনের অবস্থা ভালো রয়েছে এমন আসন রয়েছে এ তালিকায়।
রোববার রাজধানীর ইমানুয়েল সেন্টারে জাতীয় পার্টির তিন তারকা চিহ্নিত ১০৫ নেতার সাথে এ রূদ্ধদ্বার বৈঠক করেন এরশাদ।
ওই প্রার্থীদের মাঠে গিয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়ে এরশাদ বলেন, তোমরা আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রার্থী। মাঠে গিয়ে কাজ শুরু করে দাও। সময়ের আগেই নির্বাচন হতে পারে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে এরশাদ বলেন, আমার সময়ের উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে হবে। তোমরা মাঠে গিয়ে কাজ শুরু করো। যখনই আমাকে ডাকবে মাঠে গিয়ে পাবলিক মিটিংয়ে তার নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে আসব।
আগামী নির্বাচন এককভাবে অংশ নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপির মধ্যে কোন সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিএনপি চাইবে না আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় যাক।
জাতীয় পার্টির তিন তারকা বিশিষ্ট এসব প্রার্থীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠকটি সকাল ১১টায় শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ১টায়।
এতে অন্যদের মধ্যে পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদ ও মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকের বিষয়বস্তু গোপন রাখতে মিডিয়া ও আমন্ত্রিত নয় এমন দলীয় নেতাদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বৈঠকের অনাহুতদের প্রবেশ ঠেকাতে বিশেষ পাস দেওয়া হয়।
জাতীয় পার্টির এক প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেওয়ার জন্য ৩শ’ আসনে সম্ভাবনাময় প্রার্থীর তালিকা তৈরি করেছে। এসব আসন ও প্রার্থীদের তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে।
প্রথম শ্রেণীতে রয়েছে তিন তারকা বিশিষ্ট প্রার্থীরা। এ তালিকার প্রার্থীরা আগামী নির্বাচনের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ তালিকায় রয়েছে ১০৫ টি সংসদীয় আসন।
এদের মধ্যে কমপক্ষে ৮০ জন প্রার্থী নিশ্চিত বিজয়ী হবে বলে জাতীয় পার্টির কাছে তথ্য রয়েছে বলেও দাবি করেন জাপার ওই প্রেসিডিয়াম সদস্য।
এই বৈঠকে সারা দেশ থেকে প্রথমে ১০৫ জনকে ডাকা হয়। আর ওই তালিকা নাম ওঠাতে দেন দরবার শুরু করেন আগ্রহীরা। এরমধ্যে ১০ থেকে ১৫ জন সফলও হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
এরপরও অনেকটা বিরক্ত হয়েই বাড়তি প্রার্থীদের বৈঠকে থাকার অনুমতি দেয়া হয়। এ কারণে ১০৫ জনের চুড়ান্ত তালিকা পৌঁছে ১২০ জনে।
এই বৈঠকের পরে পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় শ্রেণীর দুই তারকা খচিত প্রার্থী ও তারপর এক তারকা বিশিষ্ট প্রার্থীদের ঢাকায় ডাকা হবে।
দুই তারকার মানদণ্ড ধরা হয়েছে- এসব প্রার্থী মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। সর্বশেষ রয়েছে, এক তারকা বিশিষ্ট আসনের তালিকা। এ তালিকার আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। তবে মাঠ পর্যায়ে সংগঠনের অবস্থা ভালো রয়েছে এমন আসন রয়েছে এ তালিকায়।
উড়োজাহাজে চরে ভিক্ষা করতে যান তারা
উড়োজাহাজে চরে ভিক্ষা করতে যান তারা
রমজান মাসে দুবাইয়ের ধনকুবেররা বিপুল অংকের টাকা জাকাত দিয়ে থাকেন। অথচ এজন্য ভিক্ষুকের তেমন দেখা মেলেনা। কারন দুবাইতে ভিক্ষাবৃত্তি একটি দণ্ডনীয় অপরাধ।
আর এ সুযোগ নিতেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভারতীয় নাগরিক উড়োজাহাজে চড়ে দুবাই যান জাকাতের টাকা ভিক্ষা করতে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেই সম্প্রতি এই আন্তর্জাতিক ভিক্ষুকদের কার্যক্রমের ওপর একটি চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুবাইয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি ১৩১ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে সেখানকার পুলিশ। এদের সবাই ৪৫ দিনের ভ্রমণ ভিসায় ঢুকে পড়ে দুবাইয়ে।
পবিত্র রমজান মাসে আরব দেশগুলোর ধনী ব্যক্তিরা সাধারণত জাকাত দানে উৎসাহী হন। কিন্তু তেল সম্পদের প্রাচুর্যে ধনী উপসাগরীয় দেশগুলোর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে জাকাত নেওয়ার মতো কেউ নেই। তাই ধনকুবেরদের কাছে হাত পেতে জাকাত গ্রহণের সুযোগটি নেন ভারতসহ অন্যান্য কয়েকটি এশীয় দেশের এক শ্রেণির মানুষ। রমজানে তারাই উড়ে যান দুবাইসহ উপসাগরীয় দেশগুলোতে।
দুবাইয়ের মতো জৌলুসময় নগরীগুলোতে এ মাসে কোনো কাজ না করে শুধু হাত পাতলেই পাওয়া যায় কাঁড়ি কাঁড়ি দিরহাম। ধনকুবেররা ভিক্ষাবৃত্তির আইন জানলেও জাকাত গ্রহণের লোক পেয়ে অনেকটা স্বস্তির হাসি দিয়ে মুক্ত হস্তে দান করেন।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, নিজের দেশে উপযুক্ত রোজগারের ব্যবস্থা থাকলেও অনেকেই রমজান মাসে দুবাই যান ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জাকাত সংগ্রহ করতে। ভিক্ষার টাকা থেকে দুবাইয়ে থাকা খাওয়া ও বিমান ভাড়া বাদ দিয়েও একটি ভালো অংকের অর্থ নিজের দেশে নিয়ে যেতে পারেন তারা।
দুবাইয়ের একটি মিডিয়া সংস্থায় কর্মরত এক তরুণ চাকরিজীবী জানান, কয়েকদিন আগেই রাস্তায় মাত্র দশ মিনিট হাত পেতে কোনো ঝঞ্ঝাট ছাড়াই ১২শ দিরহাম বা ভারতীয় টাকায় ১৬ হাজার ২শ’ রুপি উপার্জনে সক্ষম হন তিনি।
ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়াদের সর্বোচ্চ তিন মাসের কারাদণ্ডের বিধান আছে দুবাইয়ে। তবে এ ব্যাপারে উপসাগরীয় এলাকায় কর্মরত এক ভারতীয় কূটনৈতিক বলেন, ধরা পড়ার ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে শুনেই এ সব লোক দুবাইয়ে আসে ভিক্ষা করতে। রমজান মাসে ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে অল্প সময়েই বেশি উপার্জনের সুযোগ থাকায় এ ঝুঁকিকে থোরাই কেয়ার করেন তারা।
ভারতের এ সব আন্তর্জাতিক ভিক্ষুক সাধারণত সংঘবদ্ধ চক্রের যে কোনো দালালের থেকে ৭৫ হাজার ভারতীয় রুপির বিনিময়ে দুবাইয়ের ভিসা সংগ্রহ করে থাকেন।
আর এ সুযোগ নিতেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভারতীয় নাগরিক উড়োজাহাজে চড়ে দুবাই যান জাকাতের টাকা ভিক্ষা করতে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেই সম্প্রতি এই আন্তর্জাতিক ভিক্ষুকদের কার্যক্রমের ওপর একটি চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুবাইয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি ১৩১ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে সেখানকার পুলিশ। এদের সবাই ৪৫ দিনের ভ্রমণ ভিসায় ঢুকে পড়ে দুবাইয়ে।
পবিত্র রমজান মাসে আরব দেশগুলোর ধনী ব্যক্তিরা সাধারণত জাকাত দানে উৎসাহী হন। কিন্তু তেল সম্পদের প্রাচুর্যে ধনী উপসাগরীয় দেশগুলোর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে জাকাত নেওয়ার মতো কেউ নেই। তাই ধনকুবেরদের কাছে হাত পেতে জাকাত গ্রহণের সুযোগটি নেন ভারতসহ অন্যান্য কয়েকটি এশীয় দেশের এক শ্রেণির মানুষ। রমজানে তারাই উড়ে যান দুবাইসহ উপসাগরীয় দেশগুলোতে।
দুবাইয়ের মতো জৌলুসময় নগরীগুলোতে এ মাসে কোনো কাজ না করে শুধু হাত পাতলেই পাওয়া যায় কাঁড়ি কাঁড়ি দিরহাম। ধনকুবেররা ভিক্ষাবৃত্তির আইন জানলেও জাকাত গ্রহণের লোক পেয়ে অনেকটা স্বস্তির হাসি দিয়ে মুক্ত হস্তে দান করেন।
সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, নিজের দেশে উপযুক্ত রোজগারের ব্যবস্থা থাকলেও অনেকেই রমজান মাসে দুবাই যান ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জাকাত সংগ্রহ করতে। ভিক্ষার টাকা থেকে দুবাইয়ে থাকা খাওয়া ও বিমান ভাড়া বাদ দিয়েও একটি ভালো অংকের অর্থ নিজের দেশে নিয়ে যেতে পারেন তারা।
দুবাইয়ের একটি মিডিয়া সংস্থায় কর্মরত এক তরুণ চাকরিজীবী জানান, কয়েকদিন আগেই রাস্তায় মাত্র দশ মিনিট হাত পেতে কোনো ঝঞ্ঝাট ছাড়াই ১২শ দিরহাম বা ভারতীয় টাকায় ১৬ হাজার ২শ’ রুপি উপার্জনে সক্ষম হন তিনি।
ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়াদের সর্বোচ্চ তিন মাসের কারাদণ্ডের বিধান আছে দুবাইয়ে। তবে এ ব্যাপারে উপসাগরীয় এলাকায় কর্মরত এক ভারতীয় কূটনৈতিক বলেন, ধরা পড়ার ঝুঁকি সম্পর্কে জেনে শুনেই এ সব লোক দুবাইয়ে আসে ভিক্ষা করতে। রমজান মাসে ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে অল্প সময়েই বেশি উপার্জনের সুযোগ থাকায় এ ঝুঁকিকে থোরাই কেয়ার করেন তারা।
ভারতের এ সব আন্তর্জাতিক ভিক্ষুক সাধারণত সংঘবদ্ধ চক্রের যে কোনো দালালের থেকে ৭৫ হাজার ভারতীয় রুপির বিনিময়ে দুবাইয়ের ভিসা সংগ্রহ করে থাকেন।
অসুস্থ রাজনীতিরই বলি হলো খবির
অসুস্থ রাজনীতিরই বলি হলো খবির
অসুস্থ রাজনীতির বলি হলো মতলবের যুবলীগ নেতা খবির হোসেন| স্থানীয় এমপি এম রফিকুল ইসলামের পিএস থাকা সত্ত&ধসঢ়;বেও এমপি পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যেই যুবলীগ নেতা খবির হোসেনকে সন্ত্রাসী কায়দায় হত্যা করার লক্ষ্যেই তার ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়| অতঃপর সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়| ঢাকার ধানমণ্ডিস্থ গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ৩ সেপ্টেম্বর মারা গেলেও খবিরকে লাইফ সাপোর্ট লাগিয়ে বেঁচে আছে এমন নাটকের দৃশ্যও চলতে থাকে| কারা এ নাটকের নেপথ্যে ছিলো, তা মতলবের সচেতন মানুষজনও জেনে গেছে| অবশ্য তাদের নাটকের যবনিকা ঘটে গত ৫ সেপ্টেম্বর মতলবে ৩টি জানাজা শেষে খবিরের দাফন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে|
যুবলীগ নেতা খবির হোসেন হয়তো জীবিত থাকলে কখনো এতো পুলিশ বাহিনীর সদস্য, র্যাব, ডিবি পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন এবং সরকারি কর্মকর্ত দেখতো না তার নিজ এলাকায়| কিন্তু তার মৃতু্যর পর জানাজা থেকে শুরম্ন করে দাফন পর্যনত&ধসঢ়;দ নওগাঁও গ্রামে এদের উপস্থিতি প্রমাণ করে, সন্ত্রাসীদের নেপথ্য গডফাদার খুবই শক্তিশালী| সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং মৃতু্যর আগ মুহূর্ত পর্যনত&ধসঢ়;দ মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন খবির হোসেন| অথচ তার বর্বরোচিত হামলা এবং পরবর্তীতে করম্নণ মৃতু্যর ঘটনা নিয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের ভূমিকা ছিলো অনেকটা রহস্যজনক| এমনকি তাদের অভিভাবক সংগঠন মতলব দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভূমিকাও ছিলো রহস্যে ঢাকা|
হামলার পরদিন থেকে অনবরত আন্দোলন, সংগ্রাম, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, কালো পতাকা উত্তোলন, ভাংচুর, অগি&ধসঢ়;ন সংযোগ এবং সর্বশেষ এমপির কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি দিয়ে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদ করেছে উত্তর উপাদী ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামবাসী| তাদের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ ছিলো রাজনীতির ঊধর্ে&ধসঢ়;ব| এলাকার স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দল এখানে এক এবং অভিন্ন থেকে কাজ করেছে| খবির হোসেন হত্যাটি ছিলো সম্পূর্ণ ব্যক্তিস্বার্থের কারণে| ’কান টানলে যেমনি মাথা আসে’ তেমনি ঘটনাটির পর্যালোচনা বা অনুসন্ধান করলে সহজেই বেরিয়ে আসবে স্থানীয় এমপির ছাত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রাসীরাই এহেন ঘটনা ঘটিয়েছে| তার জ্বলনত&ধসঢ়;দ উদাহরণ হচ্ছে গত ৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ভোর ৪টায় এ হামলার প্রধান আসামী সাগর দেওয়ান আটকের মধ্য দিয়ে| কারণ আটক সাগর দেওয়ান এমপি এম রফিকুল ইসলামের ভাতিজা|
মতলবে যুবলীগ নেতা খবির হোসেনের হত্যা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী তার সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না| সন্ত্রাসী- সন্ত্রাসীই! হত্যার সাথে যারাই জড়িত দ্রম্নত তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টানত&ধসঢ়;দমূলক শাসত&ধসঢ়;দি দেয়া হোক| এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই| আমি আশা করবো, জেলা পুলিশ সুপার বলিষ্ঠ ভূমিকা নেবেন|
এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এএইচএম গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমরা দলীয়ভাবে এ বিষয়ে সিদ্ধানত&ধসঢ়;দ নেবো| ইতিমধ্যে উত্তর উপাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মিলাদ ও স্মরণ সভা করেছে| জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে আলাপ করে পরবর্তীতে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করবো| তিনি দাবি জানান, সুষ্ঠু তদনত&ধসঢ়;দ সাপেক্ষে যাতে এ ঘটনার যথার্থ বিচার হয়- সে বিষয়টি অবশ্যই নজর রাখতে হবে| এ ঘটনার ব্যাপারে এমপি মহোদয়ের সাথে আলাপ হয়েছে| তিনিও এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান|
মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ অসুস্থ থাকার কারণে মোবাইলে এ ব্যাপারে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন| তিনি এ ব্যাপারে কোনো কথা না বলে সভাপতির সাথে কথা বলতে অনুরোধ করেন|
চাঁদপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জেলা যুবলীগ কোনো মানুষের মৃতু্য এমনভাবে কামনা করে না| একজন সচেতন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবেও এমনিভাবে কারো মৃতু্য কামনা করি না| সুষ্ঠু তদনত&ধসঢ়;দের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানাচ্ছি| অহেতুক কোনো নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়| যুবলীগ নেতা খবির হত্যাটি কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়, সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বার্থে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে| এটি নিতানত&ধসঢ়;দই দুঃখজনক ঘটনা| যারা হত্যা করেছে আলস্নাহ&ধসঢ়; তাদের ক্ষমা করবেন না| জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো আমারও বক্তব্য সুস্পষ্ট ঃ সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই| আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি|
এ দিকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জহির সরকার তার যুবলীগের কথা না বলে বারবার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম উচ্চারণ করে বলেন যে, এরা ঢাকা থেকে আসলে বসে মিটিং করে তাদের কর্মসূচির সিদ্ধানত&ধসঢ়;দ নেবেন| ’এ ঘটনার ব্যাপারে আপনার সাথে সন্ত্রাসী চক্রের বা গড ফাদারের আপোষ হয়েছে কি না’ এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান| এমনকি খবির হত্যার বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি ১ ঘণ্টা পর মোবাইল করতে বলেন| কিন্তু ১ ঘণ্টা পর তার মোবাইল নম্বরটি (০১৭১২১৩১৪৮৭) বন্ধ পাওয়া যায়|
চাঁদপুর জেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আওলাদ হোসেন লিটন বলেন, এটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড| আমরা চাই এ ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িতদের নাম প্রকাশ করা হোক| দোষী ব্যক্তিদের আটক করে দৃষ্টানত&ধসঢ়;দমূলক শাসত&ধসঢ়;দি দেয়া হবে এমনটিই প্রত্যাশা করছে মতলববাসী| প্রকৃত ঘটনা এবং প্রকৃত দোষীদের যেনো আড়াল করার সুযোগ না পায় ঘটনার সাথে জড়িত গডফাদাররা| অহেতুক নিরীহ মানুষকে যেনো হয়রানি করা না হয়- নিরপেক্ষ তদনত&ধসঢ়;দ সাপেক্ষে সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে|
যুবলীগ নেতা খবির হোসেন হয়তো জীবিত থাকলে কখনো এতো পুলিশ বাহিনীর সদস্য, র্যাব, ডিবি পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন এবং সরকারি কর্মকর্ত দেখতো না তার নিজ এলাকায়| কিন্তু তার মৃতু্যর পর জানাজা থেকে শুরম্ন করে দাফন পর্যনত&ধসঢ়;দ নওগাঁও গ্রামে এদের উপস্থিতি প্রমাণ করে, সন্ত্রাসীদের নেপথ্য গডফাদার খুবই শক্তিশালী| সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং মৃতু্যর আগ মুহূর্ত পর্যনত&ধসঢ়;দ মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন খবির হোসেন| অথচ তার বর্বরোচিত হামলা এবং পরবর্তীতে করম্নণ মৃতু্যর ঘটনা নিয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের ভূমিকা ছিলো অনেকটা রহস্যজনক| এমনকি তাদের অভিভাবক সংগঠন মতলব দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভূমিকাও ছিলো রহস্যে ঢাকা|
হামলার পরদিন থেকে অনবরত আন্দোলন, সংগ্রাম, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, কালো পতাকা উত্তোলন, ভাংচুর, অগি&ধসঢ়;ন সংযোগ এবং সর্বশেষ এমপির কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি দিয়ে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদ করেছে উত্তর উপাদী ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামবাসী| তাদের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ ছিলো রাজনীতির ঊধর্ে&ধসঢ়;ব| এলাকার স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দল এখানে এক এবং অভিন্ন থেকে কাজ করেছে| খবির হোসেন হত্যাটি ছিলো সম্পূর্ণ ব্যক্তিস্বার্থের কারণে| ’কান টানলে যেমনি মাথা আসে’ তেমনি ঘটনাটির পর্যালোচনা বা অনুসন্ধান করলে সহজেই বেরিয়ে আসবে স্থানীয় এমপির ছাত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রাসীরাই এহেন ঘটনা ঘটিয়েছে| তার জ্বলনত&ধসঢ়;দ উদাহরণ হচ্ছে গত ৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ভোর ৪টায় এ হামলার প্রধান আসামী সাগর দেওয়ান আটকের মধ্য দিয়ে| কারণ আটক সাগর দেওয়ান এমপি এম রফিকুল ইসলামের ভাতিজা|
মতলবে যুবলীগ নেতা খবির হোসেনের হত্যা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী তার সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না| সন্ত্রাসী- সন্ত্রাসীই! হত্যার সাথে যারাই জড়িত দ্রম্নত তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টানত&ধসঢ়;দমূলক শাসত&ধসঢ়;দি দেয়া হোক| এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই| আমি আশা করবো, জেলা পুলিশ সুপার বলিষ্ঠ ভূমিকা নেবেন|
এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এএইচএম গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমরা দলীয়ভাবে এ বিষয়ে সিদ্ধানত&ধসঢ়;দ নেবো| ইতিমধ্যে উত্তর উপাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মিলাদ ও স্মরণ সভা করেছে| জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে আলাপ করে পরবর্তীতে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করবো| তিনি দাবি জানান, সুষ্ঠু তদনত&ধসঢ়;দ সাপেক্ষে যাতে এ ঘটনার যথার্থ বিচার হয়- সে বিষয়টি অবশ্যই নজর রাখতে হবে| এ ঘটনার ব্যাপারে এমপি মহোদয়ের সাথে আলাপ হয়েছে| তিনিও এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান|
মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ অসুস্থ থাকার কারণে মোবাইলে এ ব্যাপারে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন| তিনি এ ব্যাপারে কোনো কথা না বলে সভাপতির সাথে কথা বলতে অনুরোধ করেন|
চাঁদপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জেলা যুবলীগ কোনো মানুষের মৃতু্য এমনভাবে কামনা করে না| একজন সচেতন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবেও এমনিভাবে কারো মৃতু্য কামনা করি না| সুষ্ঠু তদনত&ধসঢ়;দের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানাচ্ছি| অহেতুক কোনো নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়| যুবলীগ নেতা খবির হত্যাটি কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়, সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বার্থে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে| এটি নিতানত&ধসঢ়;দই দুঃখজনক ঘটনা| যারা হত্যা করেছে আলস্নাহ&ধসঢ়; তাদের ক্ষমা করবেন না| জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো আমারও বক্তব্য সুস্পষ্ট ঃ সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই| আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি|
এ দিকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জহির সরকার তার যুবলীগের কথা না বলে বারবার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম উচ্চারণ করে বলেন যে, এরা ঢাকা থেকে আসলে বসে মিটিং করে তাদের কর্মসূচির সিদ্ধানত&ধসঢ়;দ নেবেন| ’এ ঘটনার ব্যাপারে আপনার সাথে সন্ত্রাসী চক্রের বা গড ফাদারের আপোষ হয়েছে কি না’ এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান| এমনকি খবির হত্যার বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি ১ ঘণ্টা পর মোবাইল করতে বলেন| কিন্তু ১ ঘণ্টা পর তার মোবাইল নম্বরটি (০১৭১২১৩১৪৮৭) বন্ধ পাওয়া যায়|
চাঁদপুর জেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আওলাদ হোসেন লিটন বলেন, এটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড| আমরা চাই এ ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িতদের নাম প্রকাশ করা হোক| দোষী ব্যক্তিদের আটক করে দৃষ্টানত&ধসঢ়;দমূলক শাসত&ধসঢ়;দি দেয়া হবে এমনটিই প্রত্যাশা করছে মতলববাসী| প্রকৃত ঘটনা এবং প্রকৃত দোষীদের যেনো আড়াল করার সুযোগ না পায় ঘটনার সাথে জড়িত গডফাদাররা| অহেতুক নিরীহ মানুষকে যেনো হয়রানি করা না হয়- নিরপেক্ষ তদনত&ধসঢ়;দ সাপেক্ষে সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে|
খবির হত্যা মামলার প্রধান আসামীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে
খবির হত্যা মামলার প্রধান আসামীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান
চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে
সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত মতলবের এমপি এম রফিকুল ইসলামের পিএস যুবলীগ নেতা খবির হোসেন প্রধানের ঘাতক সাগর দেওয়ান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে| খবির হত্যা মামলার প্রধান আসামী এমপি রফিকুল ইসলামের ভাতিজা সাগর দেওয়ানকে গতকাল রোববার চাঁদপুর আদালতে হাজির করা হয়| সে আদালতে খবির হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে| তার জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে| আদালত তার এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করে|
চাঞ্চল্যকর খবির হত্যা মামলার এক নম্বর আসামী এমপির ভাতিজা সাগর দেওয়ানকে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার জামালপুর বাজার এলাকাস্থ জনৈক শাহাবুদ্দিন চেয়ারম্যানের মেস থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত ৪টায় আটক করা হয়| মতলব দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদনত&ধসঢ়;দ) ও খবির হত্যা মামলার তদনত&ধসঢ়;দকারী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন| তার সাথে ছিলেন মতলব থানার ক’জন অফিসার ছাড়াও কালীগঞ্জ থানার বেশ কিছু পুলিশ| আটক সাগর দেওয়ানকে শনিবার মতলব থানায় নিয়ে আসা হয়| শনিবার রাতে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ আমির জাফর মতলব থানায় গিয়ে আসামীর সাথে কথা বলেন| এ সময় আসামী সাগর পুলিশের কাছে খবির হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে|
গতকাল রোববার বিকেলে সাগর দেওয়ানকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অসীম কুমার দের খাস কামরায় হাজির করা হয়| সাগর আদালতের কাছে খবির হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে, এমনকি তার সাথে কে কে ছিলো, কী কারণে খবিরকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে কোপানো হয়েছে এবং এ হত্যা মিশনের নেপথ্যে কারা ছিলো সবই সাগরের জবানবন্দিতে বেরিয়ে এসেছে বলে সংশিস্নষ্ট বিশ্বসত&ধসঢ়;দ সূত্রে জানা গেছে| তার এ জবানবন্দি আদালতের বিচারক ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করেন| মামলার তদনত&ধসঢ়;দের স্বার্থে এবং আসামী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা বিবেচনায় আসামীর জবানবন্দির স্পর্শকাতর বিষয়গুলো এখন প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে সূত্রটি জানায়|
খবির হত্যার ঘটনায় এ পর্যনত&ধসঢ়;দ তিন জনকে আটক করা হয়| এর মধ্যে মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী হচ্ছে দুই জন| প্রধান আসামী সাগর দেওয়ান ছাড়াও এজাহারভুক্ত আরেক আসামী নজরম্নল ইসলামকে ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ৩০ আগস্ট আটক করা হয়| আটক নজরম্নল ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে| এ ছাড়া নূরম্নন্নবী নামে সন্দেহভাজন আরেকজনকেও আটক করা হয়| এরা সবাই বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে|
উলেস্নখ্য, গত ২৯ আগস্ট রাত আনুমানিক ১২টায় মতলব টিএন্ডটি অফিসের সামনে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা খবির হোসেনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে| ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় উপর্যুপরি কোপানো হয়| আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মতলব থেকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়| সেখান থেকে ওই রাতেই তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার ধানমণ্ডিস্থ গ্রীন লাইফ হাসপাতালে| সেখানে খবিরকে লাইফ সাপোর্টে বাঁচিয়ে রাখা হয়| ঘটনার দু’ দিনের মাথায় খবির বলতে গেলে ক্লিনিকেলি ডেড হয়ে যায়| তারপরও তাকে চিকিৎসার নামে হাসপাতালে রেখে দেয়া হয়| আর এরই মধ্যে ঘটনার নেপথ্য খলনায়করা খবিরের স্ত্রীর একাউন্ট থেকে ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়| এতেও তারা ক্ষানত&ধসঢ়;দ হয়নি| খবিরের মৃতু্যকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং খুনিদের বাঁচাতে হাসপাতাল থেকে খবিরের মৃতু্যকে ’হার্ট অ্যাটাক জনিত মৃতু্য’ উলেস্নখ করে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হয়| এ মিথ্যা ডেথ সার্টিফিকেটের পেছনেও ওই খলনায়কদের হাত ছিলো| পরে অবশ্য এ ডেথ সার্টিফিকেট পরিবর্তন করে আঘাতজনিত কারণে খবিরের মৃতু্য হয়েছে উলেস্নখ করে সার্টিফিকেট দেয়া হয়| মতলববাসী এসব ঘটনার জন্য স্থানীয় এমপির পরিবারের সদস্য এবং এমপির ঘনিষ্ঠ ক’জন শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাকে দায়ী করছে| মতলববাসী আশা করেছে, ঘটনার নেপথ্য গডফাদাররা যেনো কোনোভাবেই ছাড় না পায়, নিরপেক্ষ এবং সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত তদনত&ধসঢ়;দে যেনো গডফাদারদের নাম বেরিয়ে আসে, তাদেরও যেনো আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়|
চাঞ্চল্যকর খবির হত্যা মামলার এক নম্বর আসামী এমপির ভাতিজা সাগর দেওয়ানকে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার জামালপুর বাজার এলাকাস্থ জনৈক শাহাবুদ্দিন চেয়ারম্যানের মেস থেকে শুক্রবার দিবাগত রাত ৪টায় আটক করা হয়| মতলব দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদনত&ধসঢ়;দ) ও খবির হত্যা মামলার তদনত&ধসঢ়;দকারী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন| তার সাথে ছিলেন মতলব থানার ক’জন অফিসার ছাড়াও কালীগঞ্জ থানার বেশ কিছু পুলিশ| আটক সাগর দেওয়ানকে শনিবার মতলব থানায় নিয়ে আসা হয়| শনিবার রাতে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ আমির জাফর মতলব থানায় গিয়ে আসামীর সাথে কথা বলেন| এ সময় আসামী সাগর পুলিশের কাছে খবির হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে|
গতকাল রোববার বিকেলে সাগর দেওয়ানকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অসীম কুমার দের খাস কামরায় হাজির করা হয়| সাগর আদালতের কাছে খবির হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে, এমনকি তার সাথে কে কে ছিলো, কী কারণে খবিরকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে কোপানো হয়েছে এবং এ হত্যা মিশনের নেপথ্যে কারা ছিলো সবই সাগরের জবানবন্দিতে বেরিয়ে এসেছে বলে সংশিস্নষ্ট বিশ্বসত&ধসঢ়;দ সূত্রে জানা গেছে| তার এ জবানবন্দি আদালতের বিচারক ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করেন| মামলার তদনত&ধসঢ়;দের স্বার্থে এবং আসামী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা বিবেচনায় আসামীর জবানবন্দির স্পর্শকাতর বিষয়গুলো এখন প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে সূত্রটি জানায়|
খবির হত্যার ঘটনায় এ পর্যনত&ধসঢ়;দ তিন জনকে আটক করা হয়| এর মধ্যে মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী হচ্ছে দুই জন| প্রধান আসামী সাগর দেওয়ান ছাড়াও এজাহারভুক্ত আরেক আসামী নজরম্নল ইসলামকে ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ৩০ আগস্ট আটক করা হয়| আটক নজরম্নল ইতিমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে| এ ছাড়া নূরম্নন্নবী নামে সন্দেহভাজন আরেকজনকেও আটক করা হয়| এরা সবাই বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে|
উলেস্নখ্য, গত ২৯ আগস্ট রাত আনুমানিক ১২টায় মতলব টিএন্ডটি অফিসের সামনে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা খবির হোসেনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে| ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় উপর্যুপরি কোপানো হয়| আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মতলব থেকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়| সেখান থেকে ওই রাতেই তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার ধানমণ্ডিস্থ গ্রীন লাইফ হাসপাতালে| সেখানে খবিরকে লাইফ সাপোর্টে বাঁচিয়ে রাখা হয়| ঘটনার দু’ দিনের মাথায় খবির বলতে গেলে ক্লিনিকেলি ডেড হয়ে যায়| তারপরও তাকে চিকিৎসার নামে হাসপাতালে রেখে দেয়া হয়| আর এরই মধ্যে ঘটনার নেপথ্য খলনায়করা খবিরের স্ত্রীর একাউন্ট থেকে ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়| এতেও তারা ক্ষানত&ধসঢ়;দ হয়নি| খবিরের মৃতু্যকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং খুনিদের বাঁচাতে হাসপাতাল থেকে খবিরের মৃতু্যকে ’হার্ট অ্যাটাক জনিত মৃতু্য’ উলেস্নখ করে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হয়| এ মিথ্যা ডেথ সার্টিফিকেটের পেছনেও ওই খলনায়কদের হাত ছিলো| পরে অবশ্য এ ডেথ সার্টিফিকেট পরিবর্তন করে আঘাতজনিত কারণে খবিরের মৃতু্য হয়েছে উলেস্নখ করে সার্টিফিকেট দেয়া হয়| মতলববাসী এসব ঘটনার জন্য স্থানীয় এমপির পরিবারের সদস্য এবং এমপির ঘনিষ্ঠ ক’জন শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাকে দায়ী করছে| মতলববাসী আশা করেছে, ঘটনার নেপথ্য গডফাদাররা যেনো কোনোভাবেই ছাড় না পায়, নিরপেক্ষ এবং সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত তদনত&ধসঢ়;দে যেনো গডফাদারদের নাম বেরিয়ে আসে, তাদেরও যেনো আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়|
হলমার্কের ঘটনা ভয়াবহ, এর সাথে বাইরের লোকও জড়িত : অর্থমন্ত্রী
হলমার্কের ঘটনা ভয়াবহ, এর সাথে বাইরের লোকও জড়িত : অর্থমন্ত্রী
অর্থ উপদেষ্টাকে ছুটিতে পাঠানো যেতে পারে ; দোষীরা যাতে পালাতে না পারে সে জন্য মামলা করা হচ্ছে

অর্থমন্ত্রী এবার স্বীকার করলেন, হলমার্কের ঘটনা ভয়াবহ। এতে সোনালী ব্যাংকের লোকজনের পাশাপাশি বাইরের লোকও জড়িত। শোনা যাচ্ছে তারা দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করছে। তাই জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা করা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে হঠাৎ করে ডাকা এক ব্রিফিংয়ে গতকাল তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, হলমার্ক এখন নতুন ইস্যু। পুরো ব্যাংকিং সেক্টরে জালিয়াতি। তবে এটিও সত্যি এক হাতে তালি বাজে না। এখানে সবারই দোষ আছে, অতিকথন আছে। সেটি আমিও করেছি। এর পরও কিছু বিষয়ে সাবধান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, যদি বলা হয় ব্যাংকিং খাতে ধস নেমেছে, তবে এর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হয় বিদেশ থেকে। এ ক্ষেত্রে সবার প্রাজ্ঞ মন্তব্য রাখতে হবে। এখানে আমিও কিছু কথা বলেছি। এটি আমি কিছু দিন আগেও বলেছি। আমি একটা ভুল কথা বলেছিলাম, এটিও এর একটা কারণ।
সোনালী ব্যাংক থেকে হলমার্কের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনাকে ভয়াবহ হিসেবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এত টাকা জালিয়াতি হয়ে গেল তা কেউ দেখলই না। সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা একা এটি করতে পারে না। এখানে শুধু শাখার লোকজনই নন, ব্যাংকিং খাতের বাইরের লোকও জড়িত। তিনি বলেন, এ জালিয়াতি ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। এখানেও আরেকটি বিষয় আছে, সেটি হলো ইমিডিয়েট অ্যাকশন অনেক সময় খুব ভালো, আবার অনেক সময় শক্তি সাহস পায় না। ১৯৯৬ সালে স্টক মার্কেটে যেসব মামলা করা হয়েছিল, সেগুলোর আজ পর্যন্ত কোনো সমাধান নেই। কারণ এসব ব্যাপারে সাক্ষীর অভাব। আমি প্রায়ই বলি, আমাদের দেশে দুর্নীতি প্রমাণ করার কেস সীমিত। এর একটি প্রধান কারণ সামাজিক আচরণ। এর সাথে ওর পরিচয়, ওর সাথে এর আত্মীয়তা এসবÑ বিষয় তো স্বাভাবিক। এসব কারণে আমার একটা প্রস্তাব আছে। সেটা হলো, পাবলিক ট্রায়ালের মতো কিছু করা উচিত। আইনগতভাবে কিছু করা উচিত। ওই ১০৭ ধারা, ১০৯ ধারা এসব আর কী। পরে তিনিই আবার আক্ষেপ করে বলেন, কিন্তু তা কি সম্ভব?
হলমার্কের জালিয়াতি ঘটনা উদঘাটনে সোনালী ব্যাংকের ‘ফাংশনাল অডিটকে’ একটি ভালো কাজ হিসেবে উল্লেখ করে মুহিত বলেন, মামলা করা এখন খুবই জরুরি। মামলা অনুযায়ী কিছু ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। বিশেষ করে অনেকেই দেশ থেকে পালানোর পথ করছে, সেগুলো বন্ধ করা জরুরি। এ ছাড়া টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করে যেতে হবে। এখানে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। আজকে (রোববার) আবার কৃষি ব্যাংকের আরেকটি খবর বেরিয়েছে। ১৮৫ কোটি টাকার জালিয়াতি। তবে এটি ছোট। এত বড় নয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটা ফ্রড (জালিয়াতি) ধরা পড়লে প্রথমেই সেই বিষয়ে অবগত হতে হবে। সেকেন্ডলি, সেই মোতাবেক পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা এখানে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। দু’জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে, ১৯ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দু’জন অতি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তাদেরও ওএসডি করা হয়েছে। কোনো দিন কেউ এত স্টেপ কখনো নেয়নি। যত কিছুই বলুক না কেন? বাজারে বলা আর পালন করা এক নয়।
সোনালী ব্যাংকের বোর্ড : অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা মিনিমাম (ন্যূনতম) বোর্ড রেখেছি, যাতে কোরাম পূরণ হতে পারে। তিনজন সদস্য দিয়ে কোরাম হয়। আমার যে সরকারি কর্মচারী তাকে আমি রেখেছি। চেয়ারম্যান আগুনের মধ্যে আছেন আমার মতোই। আগুনে থাকলেও আগুন থেকে পালিয়ে গেলে হয় না। এ ছাড়াও একজন এফসিওকে রাখা হয়েছে। পরে সোনালী ব্যাংকে আরো পরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে। এ ব্যাপারে আমি অর্থনীতি সমিতি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট সমিতির সাথে কথা বলেছি। চীন থেকে ফিরে আসার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পদ্মা সেতু ইস্যু ও মসিউর রহমানের পদত্যাগ : পদ্মা সেতুর বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মার ব্যাপারে সবাই জানেন যে, আমাদের লাইফ লাইন আছে ২১ তারিখ পর্যন্ত। আমরা বিশ্বব্যাংক, জাইকা, এডিবির সাথে কাজ করছি। আমি প্রথম থেকেই বলছি, এখনো বলছি, হোপফুললি এটির একটা সুষ্ঠু সমাধান হবে। সুষ্ঠুৃ সমাধান হলে আমি বলব।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সাথে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে প্রজেক্টটাকে কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এর ব্যাপারে মোর অর লেস একটা অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে। আরো কিছু বাকি আছে।
বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের মধ্যে কোনো সত্যতা নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রথম থেকেই আমি এটি বলছি। আমি এখনো মনে করি পদ্মাতে কোনো দুর্নীতি হয়নি ও হবেও না। তারা বলছেন, দুর্নীতি হতে পারে। এ সম্ভাবনাকে রহিত করার জন্যই তাদের সব প্রচেষ্টা। সুতরাং এখানে ঐকমত্য হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। আমার আশা হলো, এ মাসেই বিভিন্ন প্রসেস শুরু হয়ে যাবে।
পদ্মা সেতু বিকল্প অর্থায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অল্টারনেটিভ একটা প্রোগ্রাম আমরা করি। সেটি করতে সময় লাগবে না। কারণ সেখানে সরকার সব সিদ্ধান্তের অধিকারী। সরকার কখনো একটা চ্যানেলে নির্ভর করতে পারে না। অল্টারনেটিভ চিন্তা করতে হয়। মালয়েশিয়ার একটি প্রস্তাব রয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রস্তাবে ক’দিন পরপর বলা হয়, চূড়ান্ত প্রস্তাব। কিন্তু চূড়ান্ত প্রস্তাবও চূড়ান্ত হয় না। এবারের প্রস্তাবও সেই রকম। এটি একটা সমস্যা।
বিশ্বব্যাংকের শর্তানুসারে ড. মসিউর রহমান পদত্যাগ করবেন কি নাÑ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওরা যা চেয়েছে, তার সমাধান হলো ছুটি। অর্থ উপদেষ্টাকে ছুটিতে পাঠানো যেতে পারে। পদত্যাগ নয়। তবে মসিউরের পদত্যাগের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী কিছু বলতে রাজি হননি।
তিনি আরো বলেন, আবুল হোসেন একজন রাজনৈতিকব্যক্তিত্ব। উনি তার কাজ করেছেন।
গ্রামীণ ব্যাংক : তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকে যেসব হয়েছে বা গ্রামীণ ব্যাংক গত ২৫ বছরে যেসব ক্ষমতা ব্যবহার করেছে, এটি আইনগতভাবে ঠিক নয়। এ বিষয়ে বেশি কিছু বলা ঠিক নয়। আমরা একটা জিনিস ঠিক করেছি আরেকটা করতে হবে। ডিরেক্টরও নিয়োগ দিতে হবে। এটি শুধু আপত্তির কারণে আটকে আছে। প্রতিষ্ঠানটিকে ভালো করে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এটি করতেই হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, হলমার্ক এখন নতুন ইস্যু। পুরো ব্যাংকিং সেক্টরে জালিয়াতি। তবে এটিও সত্যি এক হাতে তালি বাজে না। এখানে সবারই দোষ আছে, অতিকথন আছে। সেটি আমিও করেছি। এর পরও কিছু বিষয়ে সাবধান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, যদি বলা হয় ব্যাংকিং খাতে ধস নেমেছে, তবে এর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হয় বিদেশ থেকে। এ ক্ষেত্রে সবার প্রাজ্ঞ মন্তব্য রাখতে হবে। এখানে আমিও কিছু কথা বলেছি। এটি আমি কিছু দিন আগেও বলেছি। আমি একটা ভুল কথা বলেছিলাম, এটিও এর একটা কারণ।
সোনালী ব্যাংক থেকে হলমার্কের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনাকে ভয়াবহ হিসেবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এত টাকা জালিয়াতি হয়ে গেল তা কেউ দেখলই না। সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা একা এটি করতে পারে না। এখানে শুধু শাখার লোকজনই নন, ব্যাংকিং খাতের বাইরের লোকও জড়িত। তিনি বলেন, এ জালিয়াতি ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। এখানেও আরেকটি বিষয় আছে, সেটি হলো ইমিডিয়েট অ্যাকশন অনেক সময় খুব ভালো, আবার অনেক সময় শক্তি সাহস পায় না। ১৯৯৬ সালে স্টক মার্কেটে যেসব মামলা করা হয়েছিল, সেগুলোর আজ পর্যন্ত কোনো সমাধান নেই। কারণ এসব ব্যাপারে সাক্ষীর অভাব। আমি প্রায়ই বলি, আমাদের দেশে দুর্নীতি প্রমাণ করার কেস সীমিত। এর একটি প্রধান কারণ সামাজিক আচরণ। এর সাথে ওর পরিচয়, ওর সাথে এর আত্মীয়তা এসবÑ বিষয় তো স্বাভাবিক। এসব কারণে আমার একটা প্রস্তাব আছে। সেটা হলো, পাবলিক ট্রায়ালের মতো কিছু করা উচিত। আইনগতভাবে কিছু করা উচিত। ওই ১০৭ ধারা, ১০৯ ধারা এসব আর কী। পরে তিনিই আবার আক্ষেপ করে বলেন, কিন্তু তা কি সম্ভব?
হলমার্কের জালিয়াতি ঘটনা উদঘাটনে সোনালী ব্যাংকের ‘ফাংশনাল অডিটকে’ একটি ভালো কাজ হিসেবে উল্লেখ করে মুহিত বলেন, মামলা করা এখন খুবই জরুরি। মামলা অনুযায়ী কিছু ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। বিশেষ করে অনেকেই দেশ থেকে পালানোর পথ করছে, সেগুলো বন্ধ করা জরুরি। এ ছাড়া টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করে যেতে হবে। এখানে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। আজকে (রোববার) আবার কৃষি ব্যাংকের আরেকটি খবর বেরিয়েছে। ১৮৫ কোটি টাকার জালিয়াতি। তবে এটি ছোট। এত বড় নয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটা ফ্রড (জালিয়াতি) ধরা পড়লে প্রথমেই সেই বিষয়ে অবগত হতে হবে। সেকেন্ডলি, সেই মোতাবেক পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা এখানে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। দু’জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে, ১৯ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দু’জন অতি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তাদেরও ওএসডি করা হয়েছে। কোনো দিন কেউ এত স্টেপ কখনো নেয়নি। যত কিছুই বলুক না কেন? বাজারে বলা আর পালন করা এক নয়।
সোনালী ব্যাংকের বোর্ড : অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা মিনিমাম (ন্যূনতম) বোর্ড রেখেছি, যাতে কোরাম পূরণ হতে পারে। তিনজন সদস্য দিয়ে কোরাম হয়। আমার যে সরকারি কর্মচারী তাকে আমি রেখেছি। চেয়ারম্যান আগুনের মধ্যে আছেন আমার মতোই। আগুনে থাকলেও আগুন থেকে পালিয়ে গেলে হয় না। এ ছাড়াও একজন এফসিওকে রাখা হয়েছে। পরে সোনালী ব্যাংকে আরো পরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে। এ ব্যাপারে আমি অর্থনীতি সমিতি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট সমিতির সাথে কথা বলেছি। চীন থেকে ফিরে আসার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পদ্মা সেতু ইস্যু ও মসিউর রহমানের পদত্যাগ : পদ্মা সেতুর বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মার ব্যাপারে সবাই জানেন যে, আমাদের লাইফ লাইন আছে ২১ তারিখ পর্যন্ত। আমরা বিশ্বব্যাংক, জাইকা, এডিবির সাথে কাজ করছি। আমি প্রথম থেকেই বলছি, এখনো বলছি, হোপফুললি এটির একটা সুষ্ঠু সমাধান হবে। সুষ্ঠুৃ সমাধান হলে আমি বলব।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সাথে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে প্রজেক্টটাকে কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এর ব্যাপারে মোর অর লেস একটা অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে। আরো কিছু বাকি আছে।
বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের মধ্যে কোনো সত্যতা নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রথম থেকেই আমি এটি বলছি। আমি এখনো মনে করি পদ্মাতে কোনো দুর্নীতি হয়নি ও হবেও না। তারা বলছেন, দুর্নীতি হতে পারে। এ সম্ভাবনাকে রহিত করার জন্যই তাদের সব প্রচেষ্টা। সুতরাং এখানে ঐকমত্য হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। আমার আশা হলো, এ মাসেই বিভিন্ন প্রসেস শুরু হয়ে যাবে।
পদ্মা সেতু বিকল্প অর্থায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অল্টারনেটিভ একটা প্রোগ্রাম আমরা করি। সেটি করতে সময় লাগবে না। কারণ সেখানে সরকার সব সিদ্ধান্তের অধিকারী। সরকার কখনো একটা চ্যানেলে নির্ভর করতে পারে না। অল্টারনেটিভ চিন্তা করতে হয়। মালয়েশিয়ার একটি প্রস্তাব রয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রস্তাবে ক’দিন পরপর বলা হয়, চূড়ান্ত প্রস্তাব। কিন্তু চূড়ান্ত প্রস্তাবও চূড়ান্ত হয় না। এবারের প্রস্তাবও সেই রকম। এটি একটা সমস্যা।
বিশ্বব্যাংকের শর্তানুসারে ড. মসিউর রহমান পদত্যাগ করবেন কি নাÑ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওরা যা চেয়েছে, তার সমাধান হলো ছুটি। অর্থ উপদেষ্টাকে ছুটিতে পাঠানো যেতে পারে। পদত্যাগ নয়। তবে মসিউরের পদত্যাগের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী কিছু বলতে রাজি হননি।
তিনি আরো বলেন, আবুল হোসেন একজন রাজনৈতিকব্যক্তিত্ব। উনি তার কাজ করেছেন।
গ্রামীণ ব্যাংক : তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকে যেসব হয়েছে বা গ্রামীণ ব্যাংক গত ২৫ বছরে যেসব ক্ষমতা ব্যবহার করেছে, এটি আইনগতভাবে ঠিক নয়। এ বিষয়ে বেশি কিছু বলা ঠিক নয়। আমরা একটা জিনিস ঠিক করেছি আরেকটা করতে হবে। ডিরেক্টরও নিয়োগ দিতে হবে। এটি শুধু আপত্তির কারণে আটকে আছে। প্রতিষ্ঠানটিকে ভালো করে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এটি করতেই হবে।
অর্থ পাচার মামলা : ডেসটিনির পরিচালক ম্যাক আজাদের জামিন
অর্থ পাচার মামলা : ডেসটিনির পরিচালক ম্যাক আজাদের জামিন
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশনের অর্থপাচার মামলার ২২ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে ম্যাক আজাদের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম সাইফুর রহমান শুনানি শেষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত আসামির শর্তে জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৭ আগস্ট রাতে ম্যাক আজাদ দুদক ও পুলিশের যৌথ অভিযানে পল্টন এলাকায় নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার হন। পরদিন তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করে দুদকের উপপরিচালক মোজাহার আলী সরদার। ওইদিন মামলার নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে থাকায় রিমান্ড আবেদনের শুনানি পিছিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই রিমান্ড আবেদনের শুনানির পর আদালত রিমান্ড ও জামিনের উভয় আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আদালতে গতকাল আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী জামিন আবেদন করে শুনানি করেন।
গত ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অর্থপাচারের অভিযোগে ডেসটিনির ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আসামিরা ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০১২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১ হাজার ১৭৮ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ২৪ টাকা ঋণ, ডিভিডেন্ট, সম্মানী ও কমিশনের ছদ্মাবরণে আসামিদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওই টাকা আসামিদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ডেসটিনি গ্রুপের বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ও ঋণপ্রদান করে বিভিন্ন উপায়ে এ টাকা আসামিদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমিনসহ ৫ জন এবং গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটির অন্য ১৬ আসামি ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম সাইফুর রহমান শুনানি শেষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত আসামির শর্তে জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৭ আগস্ট রাতে ম্যাক আজাদ দুদক ও পুলিশের যৌথ অভিযানে পল্টন এলাকায় নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার হন। পরদিন তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করে দুদকের উপপরিচালক মোজাহার আলী সরদার। ওইদিন মামলার নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে থাকায় রিমান্ড আবেদনের শুনানি পিছিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই রিমান্ড আবেদনের শুনানির পর আদালত রিমান্ড ও জামিনের উভয় আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আদালতে গতকাল আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী জামিন আবেদন করে শুনানি করেন।
গত ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অর্থপাচারের অভিযোগে ডেসটিনির ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আসামিরা ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০১২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১ হাজার ১৭৮ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ২৪ টাকা ঋণ, ডিভিডেন্ট, সম্মানী ও কমিশনের ছদ্মাবরণে আসামিদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করেন।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওই টাকা আসামিদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ডেসটিনি গ্রুপের বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ও ঋণপ্রদান করে বিভিন্ন উপায়ে এ টাকা আসামিদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমিনসহ ৫ জন এবং গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটির অন্য ১৬ আসামি ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
ইন্টারনেট ব্যবহারে বাংলাদেশ ৫৪তম
ইন্টারনেট ব্যবহারে বাংলাদেশ ৫৪তম

সামাজিক এবং রাজনৈতিক মানোন্নয়নে ইন্টারনেট আজ সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম। এ মাধ্যমকে সফলভাবে ব্যবহারের হিসেবে প্রতিবছর টিম বারনার্স লি ওয়েব ইনডেক্স তালিকা তৈরি করে। এ বছরের তালিকায় বাংলাদেশ পেয়েছে ৫৪তম অবস্থান। ৬১টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ শেষ দশে স্থান পেয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
অনেক দেশেই ইন্টারনেট ব্যবহারকে এখনও বিলাসিতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক থেকে এশিয়া খুব ভালো অবস্থানে নেই। এ মহাদেশে ছয়জনের মধ্যে মাত্র একজন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ইন্টারনেট ব্যবহারে অতিরিক্তি খরচ গুণতে হয় বলেই বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমন কথাই জানিয়েছেন টিম বারনার্স লি।
সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে ইন্টারনেটের ব্যবহারিক বিবেচনার তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০টি দেশ হচ্ছে সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ড।
এ তালিকায় শেষদিকের দেশগুলো হচ্ছে ইয়েমেন, জিম্বাবুয়ে, বারকিনো ফাসো, বেনিন ও ইথিওপিয়া। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে দুই কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। এদের মধ্যে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের (আইএসপি) হিসেবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলারিটি কমিশন সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র : বাংলানিউজ
অনেক দেশেই ইন্টারনেট ব্যবহারকে এখনও বিলাসিতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক থেকে এশিয়া খুব ভালো অবস্থানে নেই। এ মহাদেশে ছয়জনের মধ্যে মাত্র একজন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ইন্টারনেট ব্যবহারে অতিরিক্তি খরচ গুণতে হয় বলেই বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমন কথাই জানিয়েছেন টিম বারনার্স লি।
সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে ইন্টারনেটের ব্যবহারিক বিবেচনার তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০টি দেশ হচ্ছে সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ড।
এ তালিকায় শেষদিকের দেশগুলো হচ্ছে ইয়েমেন, জিম্বাবুয়ে, বারকিনো ফাসো, বেনিন ও ইথিওপিয়া। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে দুই কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। এদের মধ্যে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের (আইএসপি) হিসেবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলারিটি কমিশন সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র : বাংলানিউজ
বারাক ওবামার বিশেষ দূতের মন্তব্য : যুক্তরাষ্ট্র গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যত্ নিয়ে শঙ্কিত
বারাক ওবামার বিশেষ দূতের মন্তব্য : যুক্তরাষ্ট্র গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যত্ নিয়ে শঙ্কিত

গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যত্ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নারীবিষয়ক বিশেষ দূত মেলঅ্যান ভারভিয়ের।
গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ভারভিয়ের বলে, গ্রামীণ ব্যাংক শুধু এ দেশেই অভাবনীয় উন্নয়ন করেছে তা নয়, বিশ্বের দরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন তথা দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। তাই গ্রামীণ ব্যাংকের অখণ্ডতা ও কার্যকারিতা বজায় রাখার ব্যাপারে আমরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।’ এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা।
মেলঅ্যান ভারভিয়ের বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক এ দেশের ৮০ লাখ নারীর জীবনমান উন্নয়নে এক অতুলনীয় অবদান রেখেছে। এ দেশের বাইরেও আজ এর কার্যকারিতা ছড়িয়ে পড়েছে। ১৯৯৫ সালে হিলারী ক্লিনটনের সঙ্গে এবং কয়েক মাস আগে আমি গ্রামীণ ভিলেজ ঘুরে এসে এর স্বাতন্ত্র্য উপলব্ধি করেছি।’
গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে কি-না, জানতে চাইলে মেলঅ্যান ভারভিয়ের বলেন, ‘আমাদের কাছে বাংলাদেশ ও গ্রামীণ ব্যাংক দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই না বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হোক, আবার গ্রামীণ ব্যাংকও কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হোক, সেটাও আমরা চাই না।’ ভারভিয়ের আরও বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে এসে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে সরকারের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এর আগেও অনেকবার বলেছি। আজও বলছি, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। আর এভাবেই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই এর সুষ্ঠু সমাধান পাওয়া যাবে।’
রাষ্ট্রদূত আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্রমর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে এরই মধ্যে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। আমরা চাই তাদের সেই শঙ্কা কেটে গিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধির মাধ্যমে এ দেশ এশিয়ান টাইগার হিসেবে আবির্ভূত হবে।’
মেলঅ্যান ভারভিয়ের দুই দিনের রাঙামাটি পার্বত্য জেলা সফর শেষে আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেন। কাল সোমবার চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে ‘তৃণমূল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়ন’ বিষয়ক সম্মেলনে তার যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে গতকাল দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় সাইলো প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের স্কুল ফিডিং ও পুষ্টি কর্মসূচির সহায়তায় প্রদত্ত ১০ হাজার ৪৪০ মেট্রিক টন গমের আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি, বিশ্বখাদ্য কর্মসূচির বাংলাদেশ কান্ট্রি পরিচালক ক্রিস্টা রাডের অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
এসময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের আওতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ সবই একটি শান্তিময়, নিরাপদ, সমৃদ্ধ, সুস্থ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রসারের প্রতি সচেষ্ট। এমন একটি বাংলাদেশ আমেরিকার জনগণ, দক্ষিণ এশিয়ার ও সর্বোপরি স্বয়ং বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বলে আমার বিশ্বাস।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ম্যাকগভার্ন-ডোল ইন্টারন্যাশনাল ফুড ফর অ্যাডুকেশন অ্যান্ড চাইল্ড নিউট্রিশন প্রোগ্রামের (ম্যাকগভার্ন-ডোল প্রোগ্রাম) মাধ্যমে সাড়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন গম হস্তান্তর করা হয়।সিনেটর জর্জ ম্যাকগভার্ন এবং সিনেটর রবার্ট ডোলের সম্মানে ম্যাকগভার্ন-ডোল প্রোগ্রাম নামকরণ করা হয়। আমেরিকার এই দু’নেতা বিশ্বব্যাপী বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের খাবার ও শিশুদের পুষ্টির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারকে উত্সাহিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা, উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তা করা হয়। ইউএসডিএ শিক্ষার বিশ্বজনিনতায় বিশ্বাসী স্বল্প আয়ের এবং খাদ্য ঘাটতির দেশগুলোতে বিদ্যালয়ে শিশুদের খাবার এবং মাতৃত্ব ও শিশু পুষ্টি প্রকল্পের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কৃষি পণ্যের অনুদানের পাশাপাশি আর্থিক-প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে থাকে।
ম্যাকগভার্ন-ডোল কর্মসূচি গত দুই অর্থবছরে (২০১১-১২) বিশ্বব্যাপী ৪০ কোটি ডলারের বেশি বরাদ্দ দিয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে তিন অর্থবছরে (২০১১-১৩) ৩ কোটি ডলারের অঙ্গীকার করা হয়েছে, যা একক কোনো একটি দেশে সর্বাধিক বরাদ্দের অঙ্গীকার। গত এক দশকে এ দেশের শিশুদের পুষ্টির উন্নতিতে ও শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অভিভাবকদের উত্সাহিত করতে ইউএসডিএ ম্যাকগভার্ন-ডোল বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করছে।
গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ভারভিয়ের বলে, গ্রামীণ ব্যাংক শুধু এ দেশেই অভাবনীয় উন্নয়ন করেছে তা নয়, বিশ্বের দরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন তথা দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। তাই গ্রামীণ ব্যাংকের অখণ্ডতা ও কার্যকারিতা বজায় রাখার ব্যাপারে আমরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।’ এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা।
মেলঅ্যান ভারভিয়ের বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক এ দেশের ৮০ লাখ নারীর জীবনমান উন্নয়নে এক অতুলনীয় অবদান রেখেছে। এ দেশের বাইরেও আজ এর কার্যকারিতা ছড়িয়ে পড়েছে। ১৯৯৫ সালে হিলারী ক্লিনটনের সঙ্গে এবং কয়েক মাস আগে আমি গ্রামীণ ভিলেজ ঘুরে এসে এর স্বাতন্ত্র্য উপলব্ধি করেছি।’
গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে কি-না, জানতে চাইলে মেলঅ্যান ভারভিয়ের বলেন, ‘আমাদের কাছে বাংলাদেশ ও গ্রামীণ ব্যাংক দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই না বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হোক, আবার গ্রামীণ ব্যাংকও কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হোক, সেটাও আমরা চাই না।’ ভারভিয়ের আরও বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে এসে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে সরকারের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এর আগেও অনেকবার বলেছি। আজও বলছি, রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। আর এভাবেই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই এর সুষ্ঠু সমাধান পাওয়া যাবে।’
রাষ্ট্রদূত আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্রমর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে এরই মধ্যে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। আমরা চাই তাদের সেই শঙ্কা কেটে গিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধির মাধ্যমে এ দেশ এশিয়ান টাইগার হিসেবে আবির্ভূত হবে।’
মেলঅ্যান ভারভিয়ের দুই দিনের রাঙামাটি পার্বত্য জেলা সফর শেষে আজ সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেন। কাল সোমবার চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে ‘তৃণমূল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়ন’ বিষয়ক সম্মেলনে তার যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে গতকাল দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় সাইলো প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের স্কুল ফিডিং ও পুষ্টি কর্মসূচির সহায়তায় প্রদত্ত ১০ হাজার ৪৪০ মেট্রিক টন গমের আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি, বিশ্বখাদ্য কর্মসূচির বাংলাদেশ কান্ট্রি পরিচালক ক্রিস্টা রাডের অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
এসময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের আওতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ সবই একটি শান্তিময়, নিরাপদ, সমৃদ্ধ, সুস্থ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রসারের প্রতি সচেষ্ট। এমন একটি বাংলাদেশ আমেরিকার জনগণ, দক্ষিণ এশিয়ার ও সর্বোপরি স্বয়ং বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বলে আমার বিশ্বাস।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ম্যাকগভার্ন-ডোল ইন্টারন্যাশনাল ফুড ফর অ্যাডুকেশন অ্যান্ড চাইল্ড নিউট্রিশন প্রোগ্রামের (ম্যাকগভার্ন-ডোল প্রোগ্রাম) মাধ্যমে সাড়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন গম হস্তান্তর করা হয়।সিনেটর জর্জ ম্যাকগভার্ন এবং সিনেটর রবার্ট ডোলের সম্মানে ম্যাকগভার্ন-ডোল প্রোগ্রাম নামকরণ করা হয়। আমেরিকার এই দু’নেতা বিশ্বব্যাপী বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের খাবার ও শিশুদের পুষ্টির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারকে উত্সাহিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র শিশুদের শিক্ষা, উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তা করা হয়। ইউএসডিএ শিক্ষার বিশ্বজনিনতায় বিশ্বাসী স্বল্প আয়ের এবং খাদ্য ঘাটতির দেশগুলোতে বিদ্যালয়ে শিশুদের খাবার এবং মাতৃত্ব ও শিশু পুষ্টি প্রকল্পের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কৃষি পণ্যের অনুদানের পাশাপাশি আর্থিক-প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে থাকে।
ম্যাকগভার্ন-ডোল কর্মসূচি গত দুই অর্থবছরে (২০১১-১২) বিশ্বব্যাপী ৪০ কোটি ডলারের বেশি বরাদ্দ দিয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে তিন অর্থবছরে (২০১১-১৩) ৩ কোটি ডলারের অঙ্গীকার করা হয়েছে, যা একক কোনো একটি দেশে সর্বাধিক বরাদ্দের অঙ্গীকার। গত এক দশকে এ দেশের শিশুদের পুষ্টির উন্নতিতে ও শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অভিভাবকদের উত্সাহিত করতে ইউএসডিএ ম্যাকগভার্ন-ডোল বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করছে।
৯ মাস ধরে সরকার থেকে পালানোর চেষ্টা করছি
৯ মাস ধরে সরকার থেকে পালানোর চেষ্টা করছি

শেয়ারবাজারে ধস, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি ও সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে সমালোচিত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গত ৯ মাস ধরেই তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। চেষ্টা করছেন সরকার থেকে বের হয়ে যাওয়ার। সেটা অবশ্য হলমার্ক কেলেঙ্কারির জন্য নয়, তিনি অব্যাহতি নিতে চেয়েছেন তার স্বাস্থ্যগত কারণে। তবে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগের দাবি উঠলেও মুহিত জানিয়েছেন এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের আইনসিদ্ধ পদ্ধতিতে ‘পাবলিক ট্রায়াল’ (প্রকাশ্যে বিচার) হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মুহিত বলেন, ‘অনেক দিন থেকেই (আমার পদত্যাগের) দাবি-টাবি আসছে। আমি এগুলো দেখেছি। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’ প্রথমবারের মতো পদত্যাগের অভিপ্রায়ের কথা উল্লেখ করে এ সময় মুহিত আরও বলেন, ‘আমি নয় মাস ধরেই সরকার থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি সরকার থেকে বের হয়ে যাওয়ার (গেট আউট অব দ্য গভর্নমেন্ট)। তবে সেটা সমালোচনার কারণে নয়। সেটা স্বাস্থ্যগত কারণে। তবে ইচ্ছা করলেই সবকিছু হয় না।’ এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আর ফখরুল সাহেব আছেন, উনি শুরুও করবেন এটা (আমার পদত্যাগ চেয়ে) দিয়ে, আর শেষও করবেন এটা দিয়ে। তবে উনি প্রায়ই অনেক অসত্য কথা বলেন।’
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মুহিত বলেন, পদ্মা সেতু ও ড. ইউনূস অনেক পুরনো প্রসঙ্গ। নতুন ইস্যু হচ্ছে হলমার্ক কেলেঙ্কারি। হলমার্ক কেলেঙ্কারি সম্পর্কে আগের অবস্থান পাল্টে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হলমার্কের সঙ্গে বড় বড় লোক জড়িত। এরা দেশের ব্যাংকিং খাতে ধস নামিয়েছে। দেশের ভয়াবহ ক্ষতি করেছে।’ হলমার্ক কেলেঙ্কারিকে একটি বড় ধরনের দুর্নীতি বলে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কেবল সোনালী ব্যাংক নয়, হলমার্কের অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে মামলা করা জরুরি। মামলা অনুযায়ী কিছু ব্যবস্থা গ্রহণও জরুরি। এর সঙ্গে জড়িতরা দেশ ছেড়ে পালানোর ফন্দিফিকির করছে।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের মতোই আমিও আগুনের মুখে আছি। তবে আগুন দেখে পালিয়ে গেলে হয় না, নেভানোর চেষ্টা করতে হয়।’
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি, হবেও না। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের পদত্যাগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পদত্যাগ জরুরি নয়, তিনি ছুটিতে গেলেই হয়। তবে আপাতত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না—এমন ইঙ্গিত দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের ঋণের বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী শিগগিরই ওয়াশিংটন যাবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি স্থগিত করার পর থেকেই সরকার থেকে পদত্যাগের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে আসছেন অর্থমন্ত্রী। দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, এমন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে সরকারের শীর্ষ মহল রাজি না হওয়ায় অর্থমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর মতবিরোধের বিষয়টিও অনেকটা স্পষ্ট। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতার পরিপ্রেক্ষিতে মসিউর রহমানের পদত্যাগের সম্ভাবনা ঘনিয়ে আসায় একটি বিবৃতি তৈরি করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। পরে মসিউর পদত্যাগ না করায় বেশ কয়েকটি তারিখ পিছিয়েও এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের বিশ্বকাঁপানো দুর্নীতির অভিযোগের সুরাহা না হতেই বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বৃহত্তম দুর্নীতি হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারি দলের অনেক প্রভাবশালী নেতাও প্রকাশ্যে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নিরীক্ষায় সোনালী ব্যাংক থেকে ৩ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা সরিয়ে ফেলার তথ্য বেরিয়ে আসে। এর মধ্যে হলমার্ক গ্রুপ একাই তুলে নেয় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকারও বেশি।
গণমাধ্যমে বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে অর্থমন্ত্রী এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারীর কাছে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ চিঠির তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে চিঠি দেয়ার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেই। সোনালী ব্যাংক নিয়ে কথা যত কম হবে, ততই মঙ্গল। এ বক্তব্যের পর অর্থমন্ত্রী হলমার্ক কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষ নিয়েছেন—বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এর মধ্যেই জানা গেছে যে, হলমার্কের নজিরবিহীন কেলেঙ্কারিতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের লোকজন জড়িত; জড়িত সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদও। তবে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যেই হলমার্ক কেলেঙ্কারির দায় থেকে পরিচালনা পর্ষদকে সম্পূর্ণ অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলামের মেয়াদকাল অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাবে পরিচালনা পর্ষদের এমন তিনজন সদস্যকেও পুনঃনিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হলমার্ক কেলেঙ্কারির দায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে আসছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সোনালী ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দুর্নীতির অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের দুজন মহাব্যবস্থাপককে (জিএম) অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আর দুজন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (ডিএমডি) ওএসডি করা হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, একজন প্রতিমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতার নাম উঠে আসে। অনেক বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন, সরকারের প্রভাবশালীদের রক্ষার জন্যই সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। অন্যদিকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে হলমার্কের কর্তাব্যক্তিরা। তবে গতকাল প্রথমবারের মতো অর্থমন্ত্রী হলমার্কের বিরুদ্ধে মামলা করার ইঙ্গিত দেন।
সম্প্রতি এক কর্মশালায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি বড় কোনো ঘটনা নয়। তিনি আরও বলেন, চলতি বছর অভ্যন্তরীণ খাতে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা নিয়ে অসুবিধা হয়েছে। ৪০ হাজার কোটি টাকার তুলনায় ৪ হাজার কোটি টাকা খুব বেশি নয় বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। তবে অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। তবে অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্য অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অর্থমন্ত্রীর কাছে আরও বড় অঙ্কের দুর্নীতির তথ্য রয়েছে বলেই তিনি চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিকে ছোট ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বলে দাবি করেছেন বিরোধীদলীয় নেতারা।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় অর্থমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, হলমার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে গণমাধ্যমে খুব বেশি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেশের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সংবাদ মাধ্যমের সংস্কারের দাবিও জানান তিনি।
এরপর বৃহস্পতিবার নিজ বক্তব্যের জন্য জাতীয় সংসদে দুঃখ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার এ বক্তব্যের কারণে দুর্নীতি উত্সাহিত হতে পারে। আমি চাই না, দুর্নীতি উত্সাহিত হোক। সেজন্য আমি আমার এ বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি এবং বক্তব্যটি প্রত্যাহার করছি।’ অর্থমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘এ মুহূর্তে বোধহয় আমি দেশের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি। এজন্য আমি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করব না। ওইদিন ওইভাবে আমার কথাটা বলা ঠিক হয়নি। এর জন্য আমি সবার কাছে মাফ চেয়ে নিচ্ছি, সংসদ ও জাতির কাছে ক্ষমা চাইছি
গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মুহিত বলেন, ‘অনেক দিন থেকেই (আমার পদত্যাগের) দাবি-টাবি আসছে। আমি এগুলো দেখেছি। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’ প্রথমবারের মতো পদত্যাগের অভিপ্রায়ের কথা উল্লেখ করে এ সময় মুহিত আরও বলেন, ‘আমি নয় মাস ধরেই সরকার থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি সরকার থেকে বের হয়ে যাওয়ার (গেট আউট অব দ্য গভর্নমেন্ট)। তবে সেটা সমালোচনার কারণে নয়। সেটা স্বাস্থ্যগত কারণে। তবে ইচ্ছা করলেই সবকিছু হয় না।’ এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আর ফখরুল সাহেব আছেন, উনি শুরুও করবেন এটা (আমার পদত্যাগ চেয়ে) দিয়ে, আর শেষও করবেন এটা দিয়ে। তবে উনি প্রায়ই অনেক অসত্য কথা বলেন।’
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মুহিত বলেন, পদ্মা সেতু ও ড. ইউনূস অনেক পুরনো প্রসঙ্গ। নতুন ইস্যু হচ্ছে হলমার্ক কেলেঙ্কারি। হলমার্ক কেলেঙ্কারি সম্পর্কে আগের অবস্থান পাল্টে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হলমার্কের সঙ্গে বড় বড় লোক জড়িত। এরা দেশের ব্যাংকিং খাতে ধস নামিয়েছে। দেশের ভয়াবহ ক্ষতি করেছে।’ হলমার্ক কেলেঙ্কারিকে একটি বড় ধরনের দুর্নীতি বলে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কেবল সোনালী ব্যাংক নয়, হলমার্কের অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে মামলা করা জরুরি। মামলা অনুযায়ী কিছু ব্যবস্থা গ্রহণও জরুরি। এর সঙ্গে জড়িতরা দেশ ছেড়ে পালানোর ফন্দিফিকির করছে।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের মতোই আমিও আগুনের মুখে আছি। তবে আগুন দেখে পালিয়ে গেলে হয় না, নেভানোর চেষ্টা করতে হয়।’
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি, হবেও না। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের পদত্যাগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পদত্যাগ জরুরি নয়, তিনি ছুটিতে গেলেই হয়। তবে আপাতত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না—এমন ইঙ্গিত দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের ঋণের বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী শিগগিরই ওয়াশিংটন যাবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি স্থগিত করার পর থেকেই সরকার থেকে পদত্যাগের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে আসছেন অর্থমন্ত্রী। দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, এমন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে সরকারের শীর্ষ মহল রাজি না হওয়ায় অর্থমন্ত্রী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর মতবিরোধের বিষয়টিও অনেকটা স্পষ্ট। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতার পরিপ্রেক্ষিতে মসিউর রহমানের পদত্যাগের সম্ভাবনা ঘনিয়ে আসায় একটি বিবৃতি তৈরি করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। পরে মসিউর পদত্যাগ না করায় বেশ কয়েকটি তারিখ পিছিয়েও এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের বিশ্বকাঁপানো দুর্নীতির অভিযোগের সুরাহা না হতেই বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বৃহত্তম দুর্নীতি হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারি দলের অনেক প্রভাবশালী নেতাও প্রকাশ্যে অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নিরীক্ষায় সোনালী ব্যাংক থেকে ৩ হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা সরিয়ে ফেলার তথ্য বেরিয়ে আসে। এর মধ্যে হলমার্ক গ্রুপ একাই তুলে নেয় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকারও বেশি।
গণমাধ্যমে বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে অর্থমন্ত্রী এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারীর কাছে চিঠি পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ চিঠির তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে চিঠি দেয়ার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেই। সোনালী ব্যাংক নিয়ে কথা যত কম হবে, ততই মঙ্গল। এ বক্তব্যের পর অর্থমন্ত্রী হলমার্ক কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে সোনালী ব্যাংকের পক্ষ নিয়েছেন—বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এর মধ্যেই জানা গেছে যে, হলমার্কের নজিরবিহীন কেলেঙ্কারিতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের লোকজন জড়িত; জড়িত সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদও। তবে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যেই হলমার্ক কেলেঙ্কারির দায় থেকে পরিচালনা পর্ষদকে সম্পূর্ণ অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী বাহারুল ইসলামের মেয়াদকাল অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাবে পরিচালনা পর্ষদের এমন তিনজন সদস্যকেও পুনঃনিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হলমার্ক কেলেঙ্কারির দায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে আসছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সোনালী ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দুর্নীতির অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের দুজন মহাব্যবস্থাপককে (জিএম) অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আর দুজন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (ডিএমডি) ওএসডি করা হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, একজন প্রতিমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতার নাম উঠে আসে। অনেক বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন, সরকারের প্রভাবশালীদের রক্ষার জন্যই সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে। অন্যদিকে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে হলমার্কের কর্তাব্যক্তিরা। তবে গতকাল প্রথমবারের মতো অর্থমন্ত্রী হলমার্কের বিরুদ্ধে মামলা করার ইঙ্গিত দেন।
সম্প্রতি এক কর্মশালায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি বড় কোনো ঘটনা নয়। তিনি আরও বলেন, চলতি বছর অভ্যন্তরীণ খাতে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা নিয়ে অসুবিধা হয়েছে। ৪০ হাজার কোটি টাকার তুলনায় ৪ হাজার কোটি টাকা খুব বেশি নয় বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। তবে অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। তবে অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্য অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অর্থমন্ত্রীর কাছে আরও বড় অঙ্কের দুর্নীতির তথ্য রয়েছে বলেই তিনি চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিকে ছোট ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বলে দাবি করেছেন বিরোধীদলীয় নেতারা।
বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় অর্থমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, হলমার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে গণমাধ্যমে খুব বেশি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেশের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সংবাদ মাধ্যমের সংস্কারের দাবিও জানান তিনি।
এরপর বৃহস্পতিবার নিজ বক্তব্যের জন্য জাতীয় সংসদে দুঃখ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার এ বক্তব্যের কারণে দুর্নীতি উত্সাহিত হতে পারে। আমি চাই না, দুর্নীতি উত্সাহিত হোক। সেজন্য আমি আমার এ বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি এবং বক্তব্যটি প্রত্যাহার করছি।’ অর্থমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘এ মুহূর্তে বোধহয় আমি দেশের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি। এজন্য আমি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করব না। ওইদিন ওইভাবে আমার কথাটা বলা ঠিক হয়নি। এর জন্য আমি সবার কাছে মাফ চেয়ে নিচ্ছি, সংসদ ও জাতির কাছে ক্ষমা চাইছি
মেঘনায় ১১ দিন বন্ধ থাকবে ইলিশ ধরা
মেঘনায় ১১ দিন বন্ধ থাকবে ইলিশ ধরা
ইলিশ রক্ষায় ১১ দিনের জন্য সারাদেশে ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধ থাকবে। চন্দ্রমাসের ভিত্তিতে প্রধান প্রজনন মৌসুম ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আগামি ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
গত বছর সংশোধিত ‘মৎস্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন’ অনুযায়ী আশ্বিনী পূর্ণিমার দিন (৩০ সেপ্টেম্বর) এবং এর আগে ও পরের পাঁচদিন করে মোট ১১ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকে। এ সময়ে ইলিশ ধরা ও বিক্রির পাশাপাশি সরবরাহ এবং মজুদও নিষিদ্ধ থাকবে। এ আদেশ অমান্য করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত করে অভিযুক্তদের এক মাস থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হবে। তবে এর পরে প্রত্যেকবার অপরাধের জন্য দ্বিগুণ হারে কারাদণ্ড ভোগ এবং জরিমানা দিতে হবে অভিযুক্তদের।
মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ ও জাটকা রক্ষা এবং জেলেদের পুনর্বাসন প্রকল্পের সহকারী পরিচালক ড. নির্মল চন্দ্র দাস শনিবার জানান, এর আগের আইনে প্রত্যেক বছর ১৫ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা বন্ধের কথা উল্লেখ ছিল। সংশোধিত আইনে এ বিধান পরিবর্তন করে আশ্বিন মাসের ভরা পূর্ণিমার দিন এবং এর আগে ও পরের পাঁচ দিন করে ১১ দিন সময়কে ইলিশ ধরা বন্ধের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মৎস্য অধিদপ্তর ও উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে সারাদেশে প্রায় সাত হাজার বর্গকিলোমিটার জলসীমাকে ইলিশ প্রজনন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বিভিন্ন এলাকায় ইলিশের আহরণ অন্য বছরের তুলনায় ভালো। আহরণ ভালো হওয়ায় ইলিশ রপ্তানি পরিস্থিতিও গত বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ বেশি।
গত বছর সংশোধিত ‘মৎস্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন’ অনুযায়ী আশ্বিনী পূর্ণিমার দিন (৩০ সেপ্টেম্বর) এবং এর আগে ও পরের পাঁচদিন করে মোট ১১ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকে। এ সময়ে ইলিশ ধরা ও বিক্রির পাশাপাশি সরবরাহ এবং মজুদও নিষিদ্ধ থাকবে। এ আদেশ অমান্য করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত করে অভিযুক্তদের এক মাস থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হবে। তবে এর পরে প্রত্যেকবার অপরাধের জন্য দ্বিগুণ হারে কারাদণ্ড ভোগ এবং জরিমানা দিতে হবে অভিযুক্তদের।
মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ ও জাটকা রক্ষা এবং জেলেদের পুনর্বাসন প্রকল্পের সহকারী পরিচালক ড. নির্মল চন্দ্র দাস শনিবার জানান, এর আগের আইনে প্রত্যেক বছর ১৫ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা বন্ধের কথা উল্লেখ ছিল। সংশোধিত আইনে এ বিধান পরিবর্তন করে আশ্বিন মাসের ভরা পূর্ণিমার দিন এবং এর আগে ও পরের পাঁচ দিন করে ১১ দিন সময়কে ইলিশ ধরা বন্ধের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মৎস্য অধিদপ্তর ও উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে সারাদেশে প্রায় সাত হাজার বর্গকিলোমিটার জলসীমাকে ইলিশ প্রজনন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বিভিন্ন এলাকায় ইলিশের আহরণ অন্য বছরের তুলনায় ভালো। আহরণ ভালো হওয়ায় ইলিশ রপ্তানি পরিস্থিতিও গত বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ বেশি।
মতলব উত্তরে পাটের উৎপাদন ও মূল্যহ্রাস পাওয়ায় চাষীরা হতাশ
মতলব উত্তরে পাটের উৎপাদন ও মূল্যহ্রাস পাওয়ায় চাষীরা হতাশ
চলতি মৌসুমে মতলব উত্তর উপজেলায় পাটের আবাদ করে চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছে। খরা ও বৃষ্টিপাতের অভাবে পাটের ফলন আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া পাটের বাজারমূল্য আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় কৃষকরা পাটের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাটের মূল্যহ্রাসের কারণে পাটচাষীদের মাথায় হাত পড়েছে। অনেক চাষী এখনো পাট কাটেনি। ক্ষেতে পাটগাছ শুকিয়ে খড়িতে পরিণত হচ্ছে। এছাড়া পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে চাষীরা এখনো পাটের ‘জাগ’ দিতে পারছে না।
পাটচাষীরা জানায়, প্রতি বিঘা জমিতে গতবছর ৮ থেকে ১০ মণ পাট উৎপাদন হলেও এবার উৎপাদন নেমে এসেছে মাত্র ৫ থেকে ৬ মণে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বর্তমানে প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকায়। দেশী পাট ৮শ’, তোষা ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকায়।
এ প্রসঙ্গে পূর্ব নাউরী গ্রামের কৃষক মকরম আলী জানান, পাট বোনা, নিড়ানি, কাটা-ধোয়া, সার প্রয়োগসহ প্রতিবিঘা জমিতে পাট আবাদে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু পাট উৎপাদন হয়েছে বিঘা প্রতি ৬ মণ। পাটশোলাসহ পাট বিক্রি করে তার উৎপাদন খরচও ঘরে আসবে না।
ব্রাক্ষ্মণচক গ্রামের আলী জানান, এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবার শুরু থেকে পাট চাষে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে এ এলাকায় অনেক কৃষক এখনো পাট না কাটায় ক্ষেতেই পাটগাছ শুকিয়ে খড়িতে পরিণত হচ্ছে। এখনো অনেক চাষী পানির অভাবে পাটের ‘জাগ’ দিতে পারছে না উপজেলার ছেংগারচর বাজারে প্রতি হাটবারে পাট বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার মণ, গত হাটে সেখানে অর্ধেকেরও কম পাট বিক্রি হয়েছে। পাটের দাম না থাকায় অনেক চাষী পাট বিক্রি করতে না পেরে বাড়িতে ফিরে গেছে। অনেকেই আবার পেটের দায়ে পানির দামে পাট বিক্রি করেছে। ফরিয়া ও দালালদের মাধ্যমে পাট না কিনে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পাট ক্রয় করার দাবি জানান সরকারের কাছে চাষীরা।
চর কাশিমের মুরাদ মিয়ার হাটের পাট ব্যবসায়ীরা জানায়, পাটের বাজার মন্দা, বিদেশের কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের পাট না কিনায় কোম্পানীগুলোও পাট কিনছে না বলে তারাও কিনতে পারছে না। মৌসুমের শুরুতে সরকার পাটের মূল্য নির্ধারণ করলেও সরকার বর্তমানে পূর্ব নির্ধারিত মূল্যে ক্রয় করছে না। ফলে ব্যবসায়ীরা কম মূল্যে পাট ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, সরকারিভাবে পাট দেশের বাইরে বাজারজাত করার জন্য সঠিক উদ্যোগ নিচ্ছে না। দেশের মধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সঠিক মূল্যে পাট না কিনে প্রতিনিয়ত পাটের দাম কমিয়ে সরকার টাকা দেয় না বলে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। এছাড়াও তাদের ফরিয়া ও দালালদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে পাট ক্রয় করছে। বিগত বছর জেলায় পাটের মান ভাল হলেও এবার বন্যার কারণে জামালপুরে নিম্নমানের পাট উৎপাদন হয়েছে। এসব কারণেও উপজেলায় পাটের মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাইফুল আলম জানান, পাটের বাজার এভাবে থাকলে কৃষকেরা একদিন পাট চাষ ছেড়ে দিয়ে অন্য লাভজনক ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে। প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত ও পানির অভাবে এবার ফলন কম হয়েছে। এ ছাড়া খাল-বিলে পানি না থাকায় পুকুরে ডোবায় চাষীরা পাটের জাগ দিতে বাধ্য হয়েছে। ফলে পাটের রং ও মান ভাল হয়নি। নানাবিধ কারণে এবার পাটের উৎপাদন হ্রাস পায়।
সরকার নির্ধারিত মূল্যে পাট ক্রয় করা না হলে উপজেলার চাষীরা আগামি পাট চাষে আগ্রহ হারাবে এবং ব্যবসায়ীরাও পাট ক্রয় থেকে বিরত থাকবে বলে মনে করেন উপজেলার সচেতন মহল।
পাটচাষীরা জানায়, প্রতি বিঘা জমিতে গতবছর ৮ থেকে ১০ মণ পাট উৎপাদন হলেও এবার উৎপাদন নেমে এসেছে মাত্র ৫ থেকে ৬ মণে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বর্তমানে প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকায়। দেশী পাট ৮শ’, তোষা ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকায়।
এ প্রসঙ্গে পূর্ব নাউরী গ্রামের কৃষক মকরম আলী জানান, পাট বোনা, নিড়ানি, কাটা-ধোয়া, সার প্রয়োগসহ প্রতিবিঘা জমিতে পাট আবাদে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু পাট উৎপাদন হয়েছে বিঘা প্রতি ৬ মণ। পাটশোলাসহ পাট বিক্রি করে তার উৎপাদন খরচও ঘরে আসবে না।
ব্রাক্ষ্মণচক গ্রামের আলী জানান, এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবার শুরু থেকে পাট চাষে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে এ এলাকায় অনেক কৃষক এখনো পাট না কাটায় ক্ষেতেই পাটগাছ শুকিয়ে খড়িতে পরিণত হচ্ছে। এখনো অনেক চাষী পানির অভাবে পাটের ‘জাগ’ দিতে পারছে না উপজেলার ছেংগারচর বাজারে প্রতি হাটবারে পাট বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৪০ হাজার মণ, গত হাটে সেখানে অর্ধেকেরও কম পাট বিক্রি হয়েছে। পাটের দাম না থাকায় অনেক চাষী পাট বিক্রি করতে না পেরে বাড়িতে ফিরে গেছে। অনেকেই আবার পেটের দায়ে পানির দামে পাট বিক্রি করেছে। ফরিয়া ও দালালদের মাধ্যমে পাট না কিনে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পাট ক্রয় করার দাবি জানান সরকারের কাছে চাষীরা।
চর কাশিমের মুরাদ মিয়ার হাটের পাট ব্যবসায়ীরা জানায়, পাটের বাজার মন্দা, বিদেশের কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের পাট না কিনায় কোম্পানীগুলোও পাট কিনছে না বলে তারাও কিনতে পারছে না। মৌসুমের শুরুতে সরকার পাটের মূল্য নির্ধারণ করলেও সরকার বর্তমানে পূর্ব নির্ধারিত মূল্যে ক্রয় করছে না। ফলে ব্যবসায়ীরা কম মূল্যে পাট ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, সরকারিভাবে পাট দেশের বাইরে বাজারজাত করার জন্য সঠিক উদ্যোগ নিচ্ছে না। দেশের মধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সঠিক মূল্যে পাট না কিনে প্রতিনিয়ত পাটের দাম কমিয়ে সরকার টাকা দেয় না বলে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। এছাড়াও তাদের ফরিয়া ও দালালদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে পাট ক্রয় করছে। বিগত বছর জেলায় পাটের মান ভাল হলেও এবার বন্যার কারণে জামালপুরে নিম্নমানের পাট উৎপাদন হয়েছে। এসব কারণেও উপজেলায় পাটের মূল্য হ্রাস পেয়েছে।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাইফুল আলম জানান, পাটের বাজার এভাবে থাকলে কৃষকেরা একদিন পাট চাষ ছেড়ে দিয়ে অন্য লাভজনক ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে। প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত ও পানির অভাবে এবার ফলন কম হয়েছে। এ ছাড়া খাল-বিলে পানি না থাকায় পুকুরে ডোবায় চাষীরা পাটের জাগ দিতে বাধ্য হয়েছে। ফলে পাটের রং ও মান ভাল হয়নি। নানাবিধ কারণে এবার পাটের উৎপাদন হ্রাস পায়।
সরকার নির্ধারিত মূল্যে পাট ক্রয় করা না হলে উপজেলার চাষীরা আগামি পাট চাষে আগ্রহ হারাবে এবং ব্যবসায়ীরাও পাট ক্রয় থেকে বিরত থাকবে বলে মনে করেন উপজেলার সচেতন মহল।
৬ টি রাজ্যে টুইটার নিষিদ্ধ করছে ভারত
| ||||||||
|
১১১ প্রার্থীর নাম জানালেন এরশাদ
| ||||||||||
|
বিড়াল থেকে ছড়াচ্ছে ভয়ংকর এক পরজীবী
বিড়াল থেকে ছড়াচ্ছে ভয়ংকর এক পরজীবী

সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে বিড়ালের শরীর থেকে ছড়ানো এক ধরনের পরজীবী জীবাণু প্রতিদিন গড়ে এক হাজার মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হচ্ছে। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ‘ডেইলি মেইল’ অনলাইনে প্রকাশিত খবরেতা জানানো হয়।
এই পরজীবীর নাম “টক্সোপ্লাজমা গন্ডি” এর সংক্রমণে জন্মকালীন ত্রুটি, অন্ধত্ব ও স্মৃতিভ্রম ঘটার মতো বড় ধরণের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই জীবাণু ঘটাতে পারে সিজোফ্রেনিয়ার মতো গুরুতর মস্তিষ্কের সমস্যা।
যুক্তরাজ্যের সরকারি তথ্যে জানানো হয়, দেশটিতে প্রতিবছর সাড়ে তিন লাখ লোক এই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। খবরে বলা হয়, বিড়ালের সান্নিধ্যে এলে মানব শরীরে এই পরজীবীর সংক্রমণ ঘটে। তবে সংক্রমিত মাংস বা শাকসবজি থেকেও এ জীবাণু মানবদেহে ছড়াতে পারে।
গবেষণায় জানানো হয়, সন্তানসম্ভবা নারী, যাদের স্নায়ু দুর্বল, তারাই বেশী ঝুঁকিতে রয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীদের গর্ভাশয়ে থাকা শিশুরাও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
গবেষকদের মতে, যুক্তরাজ্যের ৮০ লাখ বিড়ালের মধ্যে ১০ লাখ বিড়ালের শরীরে এই জীবাণু আছে। তাঁরা হুঁশিয়ার করেছেন, ওই জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট এ রোগের বাস্তবিক বিস্তার নিয়ে এখনো অনেক কিছু বলার আছে।
লন্ডনের সেন্ট জর্জেস হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক রিচার্ড হলিম্যান বলেন, যখন এর সংক্রমণ ঘটে, তখন এর পরিণাম হয় ভয়াবহ ।
এই পরজীবীর নাম “টক্সোপ্লাজমা গন্ডি” এর সংক্রমণে জন্মকালীন ত্রুটি, অন্ধত্ব ও স্মৃতিভ্রম ঘটার মতো বড় ধরণের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই জীবাণু ঘটাতে পারে সিজোফ্রেনিয়ার মতো গুরুতর মস্তিষ্কের সমস্যা।
যুক্তরাজ্যের সরকারি তথ্যে জানানো হয়, দেশটিতে প্রতিবছর সাড়ে তিন লাখ লোক এই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। খবরে বলা হয়, বিড়ালের সান্নিধ্যে এলে মানব শরীরে এই পরজীবীর সংক্রমণ ঘটে। তবে সংক্রমিত মাংস বা শাকসবজি থেকেও এ জীবাণু মানবদেহে ছড়াতে পারে।
গবেষণায় জানানো হয়, সন্তানসম্ভবা নারী, যাদের স্নায়ু দুর্বল, তারাই বেশী ঝুঁকিতে রয়েছে। এ রোগে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীদের গর্ভাশয়ে থাকা শিশুরাও মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
গবেষকদের মতে, যুক্তরাজ্যের ৮০ লাখ বিড়ালের মধ্যে ১০ লাখ বিড়ালের শরীরে এই জীবাণু আছে। তাঁরা হুঁশিয়ার করেছেন, ওই জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট এ রোগের বাস্তবিক বিস্তার নিয়ে এখনো অনেক কিছু বলার আছে।
লন্ডনের সেন্ট জর্জেস হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক রিচার্ড হলিম্যান বলেন, যখন এর সংক্রমণ ঘটে, তখন এর পরিণাম হয় ভয়াবহ ।
চাঁদপুরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১ যুবক আটক
চাঁদপুরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১ যুবক আটক

–চাঁদপুর, ০৯ সেপ্টেম্বর:
মডেল থানা পুলিশ ৫৫টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ শুক্কুর তালুকদার (৩৫)নামের এক যুবককে আটক করেছে ।
চাঁদপুর সদরের মধ্য বালিয়া থেকে আমির হোসেন তালুকদারের ছেলেকে রোববার আটক করা হয়। “শুক্কুর দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে” বলেন পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আহসানুজ্জামান বলেন, দুপুরে গোপন সংবাদ পেয়ে শুক্কুরকে আটক করে। তার কাছে ৫৫টি ইয়াবা ট্যারলেট পাওয়া যায়।
চাঁদপুর সদরের মধ্য বালিয়া থেকে আমির হোসেন তালুকদারের ছেলেকে রোববার আটক করা হয়। “শুক্কুর দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে” বলেন পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আহসানুজ্জামান বলেন, দুপুরে গোপন সংবাদ পেয়ে শুক্কুরকে আটক করে। তার কাছে ৫৫টি ইয়াবা ট্যারলেট পাওয়া যায়।
দিল্লিতে পরকীয়ার ঘটনায় নিহত ৪
দিল্লিতে পরকীয়ার ঘটনায় নিহত ৪

‘পরকীয়া’কে কেন্দ্র করে এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের রাজধানীতে গত এক সপ্তাহে এ নিয়ে দ্বিতীয় দফা এ ধরনের ঘটনা ঘটল।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকাল ৫টায় দিল্লির স্বরূপনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনাকে ‘পরকীয়া’ হিসেবে উল্লেখ করে জানায়, বন্দুকধারীদের একজন তার কথিত ‘বান্ধবী’কে গুলি করে হত্যার পর নিজ পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। গুলিতে মারা যায় তার আড়াই বছরের মেয়ে এবং আহত হয় স্ত্রী, অপর মেয়ে এবং ভাই।
পুলিশ ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে জানিয়েছে, ২৫ বছর বয়সী মনিশ এবং ৩২ বছর বয়সী রাজবীর মোটর সাইকেল করে ঘটনাস্থলে যায়। তারা প্রথমে রাজবীরের ভাই কৃষ্ণাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে আহত হয় সে। এরপর দু’জনের গুলিতে প্রাণ হারায় মনিশের কথিত ‘বান্ধবী’ ২৩ বছরের জ্যোতি এবং রাজবীরের বান্ধবী ২৫ বছর বয়সী শিক্ষিকা ঊষা যাদব।
সেখান থেকে রাজবীর তার নিজের বাসায় যায়। রাজবীর নিজ স্ত্রী পূজা, তার দুই মেয়ে কুশি ও আড়াই বছরের রাশিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে রাশি মারা গেলেও তার মা ও বোন মারাত্মক ভাবে আহত অবস্থায় প্রাণে বেঁচে যায়।
এরপর রাজবীর ও মনিশ পরস্পরকে গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে রাজবীর মারাত্মক আহত অবস্থায় বেঁচে যায়। তবে মারা যায় মনিশ।
এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটল দিল্লিতে। গত সোমবার এ রকম গুলিবর্ষণের ঘটনায় এক পরিবারের চারজনসহ পাঁচ ব্যক্তি নিহত হয়েছিল।
বন্দুকধারী রবি প্রথমে গুলি করে হত্যা করে তার জ্ঞাতি ভাই নবীন ও স্ত্রী রেণুকে। নবীনের সঙ্গে রেণুর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়াকে কেন্দ্র করে এ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। গুলির আওয়াজ শুনে বাড়িওয়ালী তড়িঘড়ি ছুটে আসলে সেও নিহত হয় রবির গুলিতে।
রবি সেখান থেকে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যায় ৪০ কিলোমিটার দূরে গাজীয়াবাদে। সেখানে সে রেণুর বাবা ও বোনকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করে।
জনসমর্থনে রমনিকে আরো পেছনে ফেললেন ওবামা
| ||||||||
|
লটারি করে প্রধান উপদেষ্টা, প্রস্তাব আকবর আলির
| ||||||||||
|
Subscribe to:
Posts (Atom)