Wednesday, September 19, 2012
চাঁদপুরে ১৮ দলীয় জোটের জনসভায় আমান উল্যা আমান
যোগাযোগ মন্ত্রীকে সরিয়ে এবং উপদেষ্টা মশিউরকে ছুটিতে পাঠিয়ে শেখ হাসিনা নিজের দুর্নীতি প্রমাণ করেছেন
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্যা আমান বলেছেন, বর্তমান সরকার চুরি, ডাকাতি, গুম, খুন করতে করতে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে| সরকারের মাথায় পচন ধরেছে| সেই মাথা হচ্ছে শেখ হাসিনা| যোগাযোগমন্ত্রীকে সরিয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মশিউরকে ছুটিতে পাঠিয়ে প্রমাণ হয়েছে শেখ হাসিনা দুর্নীতি করেছে| তিনি বলেন, প্রবীণ সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এবিএম মুসা ক’দিন আগে বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের দেখলে সবাই চোর বলে| হলমার্ক কেলেঙ্কারী করে ওরা সোনালী ব্যাংক থেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকাসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে| বিশ্বব্যাংক এই সরকারকে চোর বলে প্রমাণ করেছে, সত্যি তারা বিশ্ব চোর|
তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১৮ দল আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন|
তত্ত্ববধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ভাই বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছ আলী তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবি প্রথম তুলেছিলেন বলে তাকে গুম করা হয়েছে| চৌধুরী আলম গুম হয়েছে, চাঁদপুরের আবুল হোসেন, লিমন ও লক্ষীপুরে একজন নিহত হয়েছে তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবির আন্দোলনে| অতএব, এতো রক্ত কখনো বৃথা যাবে না| তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে দিয়ে তত্ত্ববধায়ক সরকারের যে রায় দিয়েছে সরকার, এটা কেউ মানবে না| জনতার রায় হচ্ছে বড় রায়| এ দেশে তত্ত্ববধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না| জনগণ এটা হতে দেবে না|
আমান উলস্না আমান আরো বলেন, গত মাসে ইন্ডিয়ান টাইমস&ধসঢ়;-এ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার জরিপের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন বেগম খালেদা জিয়া| ওই খবরের ক’দিন পর কানাডিয়ান অনলাইন পত্রিকায় দেখা যায়, বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে|
তিনি আরো বলেন, এই সরকার নির্বাচনকে ভয় পায় বলে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন দিচ্ছে না| চাঁদপুর পৌরসভায়ও নির্বাচন দিচ্ছে না| কারণ, তারা বুঝে গেছে জনগণ তাদেরকে ভোট দেবে না|
আন্দোলন-সংগ্রাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করতে ১৮ দল জোট বেঁধেছে| আজকের জনসমুদ্রে তা’ প্রমাণ হয়েছে| ঈদের পর কঠোর আন্দোলন আসছে| বেগম জিয়া তথা ১৮ দল ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি সরকার উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত চলবে| এই আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে|
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার| সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, হত্যা, গুম, নির্যাতন ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে এ জনসভার আয়োজন করা হয়|
জেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের সভাপতিত্বে, চাঁদপুর শহর বিএনপির সভাপতি অ্যাডঃ সলিম উল্যাহ সেলিম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান শফিকুজ্জামান ও শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন মাঝির পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য লায়ন মোঃ হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, সাবেক সাংসদ জিএম ফজলুল হক, মহিলা এমপি রাশেদা বেগম হীরা, ন্যাশনাল পিপলস&ধসঢ়; পার্টির মহাসচিব ড. ফরিদুজ্জামান, মুসলিম লীগ কেন্দ্রীয় মহাসচিব আতিকুল ইসলাম, জাগপা কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব মালেক চৌধুরী, লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ইসলামী ঐক্য জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য মাওঃ শাহাদাত হোসেন, ডেমোক্রেটিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডঃ মিজানুর রহমান, খেলাফত মজলিসের চাঁদপুর জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ কাজী আসাদুল্যা, জেলা জামায়াতের আমীর এ এইচ আহমদ উল্যা মিয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল, জেলা বিএনপি নেতা সফিউদ্দিন আহমেদ, আব্দুল হামিদ মাস্টার, শরীফ মোঃ ইউনুছ, এম এ শুক্কুর পাটওয়ারী, দেলোয়ার হোসেন, মোস্তফা খান সফরী, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওঃ আঃ রহিম পাটওয়ারী, সেক্রেটারী বিলস্নাল হোসেন মিয়াজী, জেলা যুবদলের সভাপতি শাহজালাল মিশন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইব্রাহীম খলিল, শহর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মহসিন পাটওয়ারী প্রমুখ|
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, সমপ্রতি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৮ দলীয় ঐক্যজোট গঠন করা হয়েছে| এর কারণ মিথ্যাবাদী দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে জাগ্রত করা, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সুখী সমৃদ্ধ দেশ গঠন করা| তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের প্রথম জনসভা চাঁদপুরে| এখান থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু হলো| বর্তমান সরকার তাদের মেরুদণ্ড হারিয়ে ফেলেছে| মেরুদণ্ডহীনভাবে তারা দেশ চালাচ্ছে| এই বাংলাদেশে যদি নির্বাচন হয় সেটা হবে নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনেই|
তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১৮ দল আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন|
তত্ত্ববধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার ভাই বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াছ আলী তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবি প্রথম তুলেছিলেন বলে তাকে গুম করা হয়েছে| চৌধুরী আলম গুম হয়েছে, চাঁদপুরের আবুল হোসেন, লিমন ও লক্ষীপুরে একজন নিহত হয়েছে তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবির আন্দোলনে| অতএব, এতো রক্ত কখনো বৃথা যাবে না| তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে দিয়ে তত্ত্ববধায়ক সরকারের যে রায় দিয়েছে সরকার, এটা কেউ মানবে না| জনতার রায় হচ্ছে বড় রায়| এ দেশে তত্ত্ববধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না| জনগণ এটা হতে দেবে না|
আমান উলস্না আমান আরো বলেন, গত মাসে ইন্ডিয়ান টাইমস&ধসঢ়;-এ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার জরিপের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন বেগম খালেদা জিয়া| ওই খবরের ক’দিন পর কানাডিয়ান অনলাইন পত্রিকায় দেখা যায়, বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে|
তিনি আরো বলেন, এই সরকার নির্বাচনকে ভয় পায় বলে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন দিচ্ছে না| চাঁদপুর পৌরসভায়ও নির্বাচন দিচ্ছে না| কারণ, তারা বুঝে গেছে জনগণ তাদেরকে ভোট দেবে না|
আন্দোলন-সংগ্রাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করতে ১৮ দল জোট বেঁধেছে| আজকের জনসমুদ্রে তা’ প্রমাণ হয়েছে| ঈদের পর কঠোর আন্দোলন আসছে| বেগম জিয়া তথা ১৮ দল ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচি সরকার উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত চলবে| এই আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে|
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার| সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, হত্যা, গুম, নির্যাতন ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে এ জনসভার আয়োজন করা হয়|
জেলা বিএনপির সভাপতি লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হকের সভাপতিত্বে, চাঁদপুর শহর বিএনপির সভাপতি অ্যাডঃ সলিম উল্যাহ সেলিম, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান শফিকুজ্জামান ও শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন মাঝির পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য লায়ন মোঃ হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, সাবেক সাংসদ জিএম ফজলুল হক, মহিলা এমপি রাশেদা বেগম হীরা, ন্যাশনাল পিপলস&ধসঢ়; পার্টির মহাসচিব ড. ফরিদুজ্জামান, মুসলিম লীগ কেন্দ্রীয় মহাসচিব আতিকুল ইসলাম, জাগপা কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব মালেক চৌধুরী, লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ইসলামী ঐক্য জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য মাওঃ শাহাদাত হোসেন, ডেমোক্রেটিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডঃ মিজানুর রহমান, খেলাফত মজলিসের চাঁদপুর জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ কাজী আসাদুল্যা, জেলা জামায়াতের আমীর এ এইচ আহমদ উল্যা মিয়া, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল, জেলা বিএনপি নেতা সফিউদ্দিন আহমেদ, আব্দুল হামিদ মাস্টার, শরীফ মোঃ ইউনুছ, এম এ শুক্কুর পাটওয়ারী, দেলোয়ার হোসেন, মোস্তফা খান সফরী, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওঃ আঃ রহিম পাটওয়ারী, সেক্রেটারী বিলস্নাল হোসেন মিয়াজী, জেলা যুবদলের সভাপতি শাহজালাল মিশন, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বাহার, শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইব্রাহীম খলিল, শহর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মহসিন পাটওয়ারী প্রমুখ|
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার বলেন, সমপ্রতি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৮ দলীয় ঐক্যজোট গঠন করা হয়েছে| এর কারণ মিথ্যাবাদী দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে জাগ্রত করা, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সুখী সমৃদ্ধ দেশ গঠন করা| তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের প্রথম জনসভা চাঁদপুরে| এখান থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু হলো| বর্তমান সরকার তাদের মেরুদণ্ড হারিয়ে ফেলেছে| মেরুদণ্ডহীনভাবে তারা দেশ চালাচ্ছে| এই বাংলাদেশে যদি নির্বাচন হয় সেটা হবে নির্দলীয় তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনেই|
সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন : পঞ্চদশ সংশোধনী থেকে সরে এসে পার্লামেন্টে শেখ হাসিনার ঘোষণা

আগামী সংসদ নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে নতুন ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগের অবস্থান থেকে সরে এসে জানালেন, সংসদ বহাল রেখে নয়, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন হবে। গতকাল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংসদ রেখে তো নির্বাচন হবে না। আমরা ওয়েস্টমিনিস্টার টাইপ অব গভর্নমেন্ট অনুসরণ করি। এ পদ্ধতিতে সরকারপ্রধান রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচনের প্রস্তাব দেন। সে অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্দেশ দেন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ আরও ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেমন আমি রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে অনুরোধ করব, আমরা ওই তারিখে, সময়ে নির্বাচন করতে চাই। তখন রাষ্ট্রপতি ঠিক করবেন সংসদ করে ডিজল্ভ (ভেঙে দেয়া) হবে। এই মন্ত্রিসভা থাকবে, না কি ছোট করতে হবে, কতজন থাকবে—এই নির্দেশ তিনি (রাষ্ট্রপতি) দেবেন। এটা সম্পূর্ণ তার এখতিয়ার। এর পর রাষ্ট্রপতি যেভাবে নির্দেশ দেবেন, সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে।’
গতকাল জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের পর এ নিয়ে যখন রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল বিতর্ক চলছে এবং বিরোধীদলীয় নেতা আজ এ নিয়ে বিরোধী জোটের অবস্থান তুলে ধরার জন্য সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করেছেন, ঠিক তখন প্রধানমন্ত্রী নতুন এ ঘোষণা দিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে সদ্যঘোষিত আপিল বিভাগের রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতামতের অনেকটাই মিল রয়েছে। তবে রায় অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দিলে নির্বাচিতদের দিয়ে কীভাবে সরকার হবে; আবার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচনের দিন, তারিখ, সময় নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারাধীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ হবে কি না, সেসব বিতর্ক নতুন করে শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধামন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য পঞ্চদশ সংশোধনী থেকে সরে আসা এবং ষষ্ঠদশ সংশোধনীর ইঙ্গিত কি না, সে প্রশ্নও উঠতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল সংসদে আরও বলেন, আমরা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। যে জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য আমরা দিনের পর দিন আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি, জেল খেটেছি, সেই জনগণের ভোট কেড়ে নেয়া বা চুরি করা আমাদের রীতি নয়। আমরা ভোট চুরির রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা তা করবও না। তাই জনগণ চাইলে আমরা আছি, আর না চাইলে নাই। এটা পরিষ্কার কথা। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বর্তমান সরকারের আমলে সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে টক শো’তে গিয়ে টেলিভিশন ফাটিয়ে ফেলেন, তাদের বলতে চাই, বাংলাদেশের ইতিহাসে পঁচাত্তরের পর দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকতে এত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে, তার দৃষ্টান্ত নেই।
বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি প্রসঙ্গে ইমাজউদ্দিন প্রামাণিকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় যে কোনো ধরনের কথা বা দাবি করার স্বাধীনতা সবার রয়েছে। তবে যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছেন, তারা যাদি অতীত অভিজ্ঞতার কথা ভুলে যান, আমার কিছু বলার নেই। যদি ১/১১-এর মতো সরকার ক্ষমতায় আসে, সংবিধান কার্যকর থাকবে না। ইয়াজউদ্দীন, যদি ফখরুদ্দীন ও মইনউদ্দিনের মতো সরকার একটার পর একটা আসতেই থাকে, তারাও গণতান্ত্রিক অধিকার হারাবেন। অবশ্য যারা সে সময় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তাদের কথা আলাদা।
এর আগে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ইমাজউদ্দিন প্রামাণিকের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের অধীনে যে কোনো ধরনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করার মতো গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেশে ফিরে এসেছে। এ কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত শক্তিশালী ও স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর জনগণের আকাঙ্ক্ষা ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেন বাদ হয়। আমরা জনগণের সেই আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে এটা বাতিল করেছি।
ওয়ান ইলেভেন-পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটচুরির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন পরিচালনায় ও ক্ষমতায় থাকার যে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে, সে অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জনগণের মনে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। আবার যদি এ ব্যবস্থা আসে, আর যদি ক্ষমতা না ছাড়ে, তাহলে জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার হারাবে।
তিনি বলেন, মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর উপ-নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, পৌরসভার নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জনগণ পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পেরেছে—যা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিচায়ক।
সংসদ নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সব সময় রাষ্ট্র পরিচালনার বিধান রয়েছে বিধায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু নেই। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধায় মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে।
সংসদের পঞ্চদশ সংশোধনীর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, সংসদে সর্বদলীয় বিশেষ কমিটির সুপারিশ মোতাবেক সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয় গণতন্ত্র এবং ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীতে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গ : পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের কাছে দুটো জিজাইন আছে। আমরা দুটোই খতিয়ে দেখছি। মাঝখানে রেললাইন দিয়ে দু’পাশে সড়ক সেতু করতে খরচ অনেক কম পড়বে। আমাদের সেটা করার আর্থিক সঙ্গতি রয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আমরা টাকা সাশ্রয় করেছি। তার মাধ্যমে এটা আমরা করতে পারব। তাছাড়া আমাদের যে রিজার্ভ রয়েছে, সেখান থেকে ১-২ বিলিয়ন ডলার খরচ করা কঠিন কাজ হবে না। এছাড়া দেশবাসী ও প্রবাসীদের পক্ষ থেকে আমরা যে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি, তাতে আমাদের আত্মবিশ্বাস জন্মেছে, এই সেতু আমরা করতে পারব। কোনো সারচার্জ বসাতে হবে না। কোনো সারচার্জ ছাড়াই এই সেতু কীভাবে করা যায়, আমরা তার উদ্যোগ নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ আমরা এ সেতু করতে পারব।
এ সময় পদ্মা সেতু অর্থায়ন বন্ধের পেছনে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের হাত রয়েছে—এমন ইঙ্গিত দিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক নিজেই এগিয়ে আসে। এরপর দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে তারা অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। মাননীয় সংসদ সদস্য, মঙ্গলবার যার জন্য সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন, তার কিছু কারসাজি ছিল বলে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করেছে।
গতকাল জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের পর এ নিয়ে যখন রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল বিতর্ক চলছে এবং বিরোধীদলীয় নেতা আজ এ নিয়ে বিরোধী জোটের অবস্থান তুলে ধরার জন্য সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করেছেন, ঠিক তখন প্রধানমন্ত্রী নতুন এ ঘোষণা দিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে সদ্যঘোষিত আপিল বিভাগের রায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতামতের অনেকটাই মিল রয়েছে। তবে রায় অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দিলে নির্বাচিতদের দিয়ে কীভাবে সরকার হবে; আবার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচনের দিন, তারিখ, সময় নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারাধীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ হবে কি না, সেসব বিতর্ক নতুন করে শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধামন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য পঞ্চদশ সংশোধনী থেকে সরে আসা এবং ষষ্ঠদশ সংশোধনীর ইঙ্গিত কি না, সে প্রশ্নও উঠতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল সংসদে আরও বলেন, আমরা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। যে জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য আমরা দিনের পর দিন আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি, জেল খেটেছি, সেই জনগণের ভোট কেড়ে নেয়া বা চুরি করা আমাদের রীতি নয়। আমরা ভোট চুরির রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা তা করবও না। তাই জনগণ চাইলে আমরা আছি, আর না চাইলে নাই। এটা পরিষ্কার কথা। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বর্তমান সরকারের আমলে সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে টক শো’তে গিয়ে টেলিভিশন ফাটিয়ে ফেলেন, তাদের বলতে চাই, বাংলাদেশের ইতিহাসে পঁচাত্তরের পর দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকতে এত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে, তার দৃষ্টান্ত নেই।
বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি প্রসঙ্গে ইমাজউদ্দিন প্রামাণিকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় যে কোনো ধরনের কথা বা দাবি করার স্বাধীনতা সবার রয়েছে। তবে যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছেন, তারা যাদি অতীত অভিজ্ঞতার কথা ভুলে যান, আমার কিছু বলার নেই। যদি ১/১১-এর মতো সরকার ক্ষমতায় আসে, সংবিধান কার্যকর থাকবে না। ইয়াজউদ্দীন, যদি ফখরুদ্দীন ও মইনউদ্দিনের মতো সরকার একটার পর একটা আসতেই থাকে, তারাও গণতান্ত্রিক অধিকার হারাবেন। অবশ্য যারা সে সময় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তাদের কথা আলাদা।
এর আগে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ইমাজউদ্দিন প্রামাণিকের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের অধীনে যে কোনো ধরনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করার মতো গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেশে ফিরে এসেছে। এ কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত শক্তিশালী ও স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর জনগণের আকাঙ্ক্ষা ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেন বাদ হয়। আমরা জনগণের সেই আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে এটা বাতিল করেছি।
ওয়ান ইলেভেন-পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটচুরির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন পরিচালনায় ও ক্ষমতায় থাকার যে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে, সে অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জনগণের মনে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। আবার যদি এ ব্যবস্থা আসে, আর যদি ক্ষমতা না ছাড়ে, তাহলে জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার হারাবে।
তিনি বলেন, মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর উপ-নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, পৌরসভার নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জনগণ পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পেরেছে—যা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিচায়ক।
সংসদ নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সব সময় রাষ্ট্র পরিচালনার বিধান রয়েছে বিধায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু নেই। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধায় মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে।
সংসদের পঞ্চদশ সংশোধনীর প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, সংসদে সর্বদলীয় বিশেষ কমিটির সুপারিশ মোতাবেক সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয় গণতন্ত্র এবং ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীতে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গ : পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের কাছে দুটো জিজাইন আছে। আমরা দুটোই খতিয়ে দেখছি। মাঝখানে রেললাইন দিয়ে দু’পাশে সড়ক সেতু করতে খরচ অনেক কম পড়বে। আমাদের সেটা করার আর্থিক সঙ্গতি রয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আমরা টাকা সাশ্রয় করেছি। তার মাধ্যমে এটা আমরা করতে পারব। তাছাড়া আমাদের যে রিজার্ভ রয়েছে, সেখান থেকে ১-২ বিলিয়ন ডলার খরচ করা কঠিন কাজ হবে না। এছাড়া দেশবাসী ও প্রবাসীদের পক্ষ থেকে আমরা যে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি, তাতে আমাদের আত্মবিশ্বাস জন্মেছে, এই সেতু আমরা করতে পারব। কোনো সারচার্জ বসাতে হবে না। কোনো সারচার্জ ছাড়াই এই সেতু কীভাবে করা যায়, আমরা তার উদ্যোগ নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ আমরা এ সেতু করতে পারব।
এ সময় পদ্মা সেতু অর্থায়ন বন্ধের পেছনে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের হাত রয়েছে—এমন ইঙ্গিত দিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক নিজেই এগিয়ে আসে। এরপর দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে তারা অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। মাননীয় সংসদ সদস্য, মঙ্গলবার যার জন্য সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছিলেন, তার কিছু কারসাজি ছিল বলে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করেছে।
উপদেষ্টাদের মা-বাপ নেই

সরকারের কঠোর সমালোচনা করে মহাজোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাংসদ রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘উপদেষ্টাদের কোনো মা-বাপ নেই। তাঁদের কোনো জবাবদিহি নেই। নিজেদের স্বার্থে তাঁরা দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে তত্পর।’
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চার দফা দাবিতে সাতটি বাম সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারি, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, আদিবাসীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা-অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এ সমাবেশ ডাকা হয়।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বিদ্যুতের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের মাধ্যমে লুটপাট করা হয়েছে। এই বোঝা চেপেছে জনগণের ওপর। সরকার ছয়বার বিদ্যুতের দাম বাড়াল।’ তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ভারতের দিকে তাকিয়ে দেখুন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে সরকার পড়ে যাচ্ছে।’
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় আসার পর শেয়ারবাজার থেকে শুরু করে হলমার্ক পর্যন্ত একের পর এক লুটপাট হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজারকে বললেন দুষ্ট মার্কেট; আর সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা তাঁর কাছে কিছুই না। ব্যাংকের টাকা এভাবে লুট হয়ে যাবে আর অর্থমন্ত্রী এ ধরনের কথা বলবেন, তা হতে পারে না। জনগণ এটা বরদাশত করবে না।’
মেনন বলেন, ‘আমরা বারবার হোঁচট খাই। বিজয় বারবার ব্যর্থ হয়। এবারও সেই বিজয় ব্যর্থ হতে চলেছে বলে রাজপথে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছি। পার্বত্যাঞ্চলবাসীর দাবি শুধু তাদের নয়, এ দাবি রাষ্ট্রীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরও শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়নি। চার বছর তো পার হয়ে যাচ্ছে। কবে বাস্তবায়ন হবে?’ তিনি বলেন, ‘আদিবাসীদের ভূমির অধিকার নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাত্ করতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। এগুলো আর কত দেখতে হবে? সরকারকে বলতে চাই, সমস্যার সমাধান করুন। বাংলাদেশের মানুষ কিছুই ভুলে যায় না।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘এসব দাবি নিয়ে আমরা বহুদিন ধরে সংগ্রাম করছি। বাস্তবায়ন করা হয়নি। সমস্যার সমাধান করতে হলে সব বাম গণতান্ত্রিক শক্তিকে একত্র হয়ে রাজপথে নামতে হবে।’
গণ আজাদী লীগের সভাপতি আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণ ঐক্যের আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সাম্যবাদী দলের পলিট ব্যুরোর সদস্য আবু আহমেদ সাহাবুদ্দিন, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের নেতা অসিত বরণ প্রমুখ।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, গণ আজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণ ঐক্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বিদ্যুতের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের মাধ্যমে লুটপাট করা হয়েছে। এই বোঝা চেপেছে জনগণের ওপর। সরকার ছয়বার বিদ্যুতের দাম বাড়াল।’ তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ভারতের দিকে তাকিয়ে দেখুন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে সরকার পড়ে যাচ্ছে।’
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সরকার ক্ষমতায় আসার পর শেয়ারবাজার থেকে শুরু করে হলমার্ক পর্যন্ত একের পর এক লুটপাট হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজারকে বললেন দুষ্ট মার্কেট; আর সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা তাঁর কাছে কিছুই না। ব্যাংকের টাকা এভাবে লুট হয়ে যাবে আর অর্থমন্ত্রী এ ধরনের কথা বলবেন, তা হতে পারে না। জনগণ এটা বরদাশত করবে না।’
মেনন বলেন, ‘আমরা বারবার হোঁচট খাই। বিজয় বারবার ব্যর্থ হয়। এবারও সেই বিজয় ব্যর্থ হতে চলেছে বলে রাজপথে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছি। পার্বত্যাঞ্চলবাসীর দাবি শুধু তাদের নয়, এ দাবি রাষ্ট্রীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরও শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়নি। চার বছর তো পার হয়ে যাচ্ছে। কবে বাস্তবায়ন হবে?’ তিনি বলেন, ‘আদিবাসীদের ভূমির অধিকার নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাত্ করতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। এগুলো আর কত দেখতে হবে? সরকারকে বলতে চাই, সমস্যার সমাধান করুন। বাংলাদেশের মানুষ কিছুই ভুলে যায় না।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘এসব দাবি নিয়ে আমরা বহুদিন ধরে সংগ্রাম করছি। বাস্তবায়ন করা হয়নি। সমস্যার সমাধান করতে হলে সব বাম গণতান্ত্রিক শক্তিকে একত্র হয়ে রাজপথে নামতে হবে।’
গণ আজাদী লীগের সভাপতি আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণ ঐক্যের আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সাম্যবাদী দলের পলিট ব্যুরোর সদস্য আবু আহমেদ সাহাবুদ্দিন, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের নেতা অসিত বরণ প্রমুখ।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, গণ আজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণ ঐক্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
তারা তসলিমার চেয়েও হাজার বিলিয়ন বেশি পাপ করেছে: হান্নান শাহ।
![]() |
যারা সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়েছে তারা তসলিমা নাসরিনের চেয়েও হাজার মিলিয়ন, বিলিয়ন বেশি পাপ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার (অব.) আসম হান্নান শাহ।
তিনি এও বলেছেন, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুন:স্থাপন করবে।”
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত নাগরিক ফেডারেশন আয়োজিত ‘সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস মুছে ফেলা এবং জাতীয় পর্যায়ে আলেমদের উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হান্নান শাহ বলেন, “যে দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান তাদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে সংবিধান সংশোধন হতে পারে না।”
যিনি (সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক) পঞ্চম সংশোধনী বাতিলে স্বাক্ষর করেছেন তিনি মুসলমান না কাফের তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে হান্নান শাহ বলেন, “তিনি কাফেরের থেকে খারাপ কাজ করেছেন। আলেম-ওলামাদের বলতে হবে আমরা তার জানাযা পড়াবো না।”
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করে সংবিধান পুনঃসংশোধন করা হবে বলেও জানান এই বিএনপি নেতা।
এজন্য তিনি আলেম-ওলামা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জঙ্গি গ্রেফতার সরকারের নাটক উল্লেখ করে সভাপতির বক্তব্যে আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, “র্যাব হেড কোয়ার্টারে যে সব লোক বন্দি আছে মাঝে মধ্যে তাদের বের করে টেলিভিশনের সামনে নিয়ে আসা হয়।”
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমাকে গ্রেফতার করে যখন চোখ বেঁধে বন্দিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে অনেক মানুষের আর্তনাদ শুনতে পেয়েছি। সেখানে সরকারের প্রতিবাদকারীদের আটক রাখা হয়েছে।”
মাহমুদুর রহমান দাবি করেন, বিদেশি অর্থ সাহায্যে দেশে জেএমবি তৈরি করেছিলেন সংসদ সদস্য মির্জা আজমের এক আত্মীয়। পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বাতিল করেছেন খায়রুল হক। শুধু ইসলামকে নয়, তত্ত্বাধায়ক বাতিল করে ১৬ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা নিয়ে তিনি যে খেলা করেছেন দেশের মানুষ তা ক্ষমা করবে না।”
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন মাহমুদুর রহমান।
তিনি আলেমদের এদেশে তাহরীর স্কয়ার তৈরির করে রাষ্ট্রদ্রোহী, ইসলাম বিরোধী সরকারকে উৎখাতের আহ্বান জানান।
প্রধান আলোচক হিসেবে নরসিংদী জামিয়া কাশেমিয়র হেড মুহাদ্দিস মুফতি কাজী ইব্রাহিম বক্তব্য রাখেন।
আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পীর খাজা শাহ আলমগীর, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, চরমোনাই পীর রশিদ আহমেদ ফেরদৌস, ইসলামী ঐক্যজোটের সেক্রেটারি আব্দুল লতিফ নেজামী প্রমুখ।
তিনি এও বলেছেন, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুন:স্থাপন করবে।”
বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত নাগরিক ফেডারেশন আয়োজিত ‘সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস মুছে ফেলা এবং জাতীয় পর্যায়ে আলেমদের উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হান্নান শাহ বলেন, “যে দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান তাদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে সংবিধান সংশোধন হতে পারে না।”
যিনি (সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক) পঞ্চম সংশোধনী বাতিলে স্বাক্ষর করেছেন তিনি মুসলমান না কাফের তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে হান্নান শাহ বলেন, “তিনি কাফেরের থেকে খারাপ কাজ করেছেন। আলেম-ওলামাদের বলতে হবে আমরা তার জানাযা পড়াবো না।”
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করে সংবিধান পুনঃসংশোধন করা হবে বলেও জানান এই বিএনপি নেতা।
এজন্য তিনি আলেম-ওলামা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জঙ্গি গ্রেফতার সরকারের নাটক উল্লেখ করে সভাপতির বক্তব্যে আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, “র্যাব হেড কোয়ার্টারে যে সব লোক বন্দি আছে মাঝে মধ্যে তাদের বের করে টেলিভিশনের সামনে নিয়ে আসা হয়।”
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমাকে গ্রেফতার করে যখন চোখ বেঁধে বন্দিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেখানে অনেক মানুষের আর্তনাদ শুনতে পেয়েছি। সেখানে সরকারের প্রতিবাদকারীদের আটক রাখা হয়েছে।”
মাহমুদুর রহমান দাবি করেন, বিদেশি অর্থ সাহায্যে দেশে জেএমবি তৈরি করেছিলেন সংসদ সদস্য মির্জা আজমের এক আত্মীয়। পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বাতিল করেছেন খায়রুল হক। শুধু ইসলামকে নয়, তত্ত্বাধায়ক বাতিল করে ১৬ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা নিয়ে তিনি যে খেলা করেছেন দেশের মানুষ তা ক্ষমা করবে না।”
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বিচার বিভাগকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন মাহমুদুর রহমান।
তিনি আলেমদের এদেশে তাহরীর স্কয়ার তৈরির করে রাষ্ট্রদ্রোহী, ইসলাম বিরোধী সরকারকে উৎখাতের আহ্বান জানান।
প্রধান আলোচক হিসেবে নরসিংদী জামিয়া কাশেমিয়র হেড মুহাদ্দিস মুফতি কাজী ইব্রাহিম বক্তব্য রাখেন।
আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পীর খাজা শাহ আলমগীর, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, চরমোনাই পীর রশিদ আহমেদ ফেরদৌস, ইসলামী ঐক্যজোটের সেক্রেটারি আব্দুল লতিফ নেজামী প্রমুখ।
Subscribe to:
Posts (Atom)