আজম খানের নিরাপত্তা চেয়ে
চাঁদপুরের মতলব থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে চাইলেও পুলিশ তা নেয়নি বলে অভিযোগ
করেছে রেলের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় আলোচিত এই গাড়িচালকের পরিবার।
বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আজম খানের বড় ভাই শাহ আলম খান।
তিনি বলেন, আরটিভিতে আজম খানের সাক্ষাৎকার প্রচারের পর তারা নতুন করে শঙ্কা বোধ করছেন। তাই জিডি করতে থানায় গিয়েছিলেন।
“কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে থানায় গেলে ডিউটি অফিসার তা (জিডি) গ্রহণ করেননি,” বলেন শাহ আলম।
গত
এপ্রিলে তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ব্যক্তিগত সহকারী ওমর
ফারুক তালুকদারের গাড়িতে থাকা বিপুল পরিমাণ টাকার হদিস আজম খানের তৎপরতায়ই
প্রকাশ্য হয় বলে বলা হচ্ছে।
ওই ঘটনার পর থেকে আজম খান নিখোঁজ
ছিলেন। তবে সম্প্রতি আরটিভি অজ্ঞাত স্থানে থাকা আজম খানের একটি সাক্ষাৎকার
প্রচার করে, যাতে তিনি বলেন, ওই গাড়িতে থাকা ‘৭৪’ লাখ টাকা মন্ত্রী
সুরঞ্জিতকে দিতে নেয়া হচ্ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে শাহ আলম জানান, গত এপ্রিল থেকে ভাইয়ের সন্ধান পাচ্ছেন না তারা।
জিডি
না নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. এরফান
প্রথমে বলেন, “আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে
থানায় এসে কেউ আমার সঙ্গে কথা বলেনি। এমনি ডিউটি অফিসারের সঙ্গেও না।”
পরে
অবশ্য ওই পুলিশ কর্মকর্তা স্বীকার করেন, “অন্য একজন অফিসারের কাছে কেউ
এসেছিল। তখন তাকে বলা হয়, আজম খান ঢাকায় নিখোঁজ হয়েছে। সেখানে জিডি করেন।”
মেঘনা থেকে ২-১ দিনের মধ্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ নৌপরিবহন মন্ত্রীর
বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহনমন্ত্রী মোঃ শাহাজাহান খান মেঘনা নদীর চাঁদপুরের সীমানা থেকে যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তা দু’এক দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন| তিনি বিআইডব্লিউটিএ কে এই নির্দেশ দেন|
নৌপরিবহনমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় স্টিমারযোগে বরিশাল যাওয়ার পথে চাঁদপুর বড়স্টেশন ভিআইপি স্টিমার ঘাটে যাত্রাবিরতি করেন| তাঁর সাথে ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ড. শামছুদ্দোহা খন্দকার| এদিকে মন্ত্রী বরিশাল যাওয়ার পথে চাঁদপুর যাত্রবিরতি করবেন এ খবর জানতে পেরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারীসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বেশ কিছু নেতা-কর্মী বড়স্টেশন ভিআইপি লঞ্চঘাটে গিয়ে মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন| এ সময় দুলাল পাটওয়ারীসহ আরো ক’জন নেতা ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান কর্তৃক চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারের রামদাসদী থেকে হরিণা ফেরিঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন বিষয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন| এ সময় মন্ত্রী বলেন, এ এলাকায় বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি নেই| এজন্যে তিনি ২-১ দিনের মধ্যে অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বিআইডবিস্নউটিএকে নির্দেশ দেন| এছাড়া বিআইডবিস্নউটিএর যেসব সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে সেগুলো উদ্ধারের জন্য তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন| এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর বিআইডবিস্নউটিএর কর্মকর্তা মোবারক হোসেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বিল্লাল, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি শাহআলম মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক এমএ হাসান লিটন, পৌর কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াছ, বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইফতে খারুল আলম মাসুম তরুণলীগের সভাপতি শেখ শরীফসহ অন্য নেতৃবৃন্দ|
মতলব উত্তরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার কেন্দ্র কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
শামসুজ্জামান ডলার : মতলব উত্তর উপজেলায় আগামী ২০১২ইং এর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার কেন্দ্র কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা
উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশ্রাফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।
সভায় এবারের জেএসসি'র ৮টি ও জেডএসসি'র ২ টি পরীক্ষা কেন্দ্রের সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন ধরনের অনিয়ম না হওয়া, সংষিস্নষ্টদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা ও অতিরিক্ত কেন্দ্র ফি উত্তোলন না করার বিষয়সহ পরীক্ষা সংক্রান্ত্ম অন্যান্য গুরম্নত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। উপস্থিত সাংবাদিকরা বিগত সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যে সকল অনিয়ম হয়েছে তা উলেস্নখ করে আগামী পরীক্ষায় অনুরম্নপ অনিয়ম না হওয়ার বিষয়ে নজর রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্ত্মÿেপ কামনা করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ওটারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল্যাহ প্রধান, ছেংগারচর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোলস্না মোঃ বোরহান উদ্দিন, নেদায়ে ইসলাম মহিলা মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যÿ শহীদুল্যাহ, দশানী-মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনসুর আহমেদ, নাউরী আহমাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) তাজুল ইসলাম, সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ জালাল প্রমূখ। এবারে উপজেলার ৮ টি জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪ হাজার ৭৯৮ জন ও ২টি জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৫৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে।
চাঁদপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জেলা আওয়ামী লীগের বিপুল সংবর্ধনা
১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাড়তি সুবিধা নিয়ে চাঁদপুরে ছোট-বড় শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, চাঁদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, নৌ ট্রানজিটের মাধ্যমে চাঁদপুরকে পুনরায় প্রসিদ্ধ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে| চাঁদপুরকে কৃষি উন্নয়নের শ্রেষ্ঠ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলে ৩ ফসলী জেলায় রূপান্তর করা হবে| শুধু তাই নয়, চাঁদপুরের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাড়তি সুবিধা নিয়ে ছোট-বড় সকল প্রকার শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হবে| চাঁদপুরের প্রত্যেক গ্রামে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে| একই সাথে প্রতি গ্রাম থেকে কমপক্ষে ৩ জন করে শ্রমিক বিদেশে পাঠানো হবে| তিনি গতকাল বুধবার চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি হাই স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করছিলেন|
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, চাঁদপুরে একটি নৌ চালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে| বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহসাই করা হবে| নদী ভাঙ্গন রোধে যে কাজ চলছে তা আরো বিস্তৃত করা হবে| এ ছাড়াও জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়নে যা যা করা দরকার আমি তা করে যাবো|
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর সদর আসনের এমপি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর চাঁদপুরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন| সে সময়ে তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে চাঁদপুর জেলা জুড়ে যে উন্নয়নের ছাপ রেখেছেন তা আজও সবার চোখে পড়ে| তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছে| আগামী এক বছর পর দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না| ডিজিটাল বাংলাদেশের যে অঙ্গীকার আমরা করেছি গত চার বছরে তার চেয়ে অনেক বেশি অর্জিত হয়েছে| সামনে আমাদের লক্ষ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা| জনসভায় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আবারো সকলকে নৌকায় ভোট দিতে হবে|
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) এম রফিকুল ইসলাম এমপি, চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক লেঃ কর্নেল (অবঃ) আবু ওসমান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুফ গাজী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী প্রমুখ| অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুল হক মন্টু পাটওয়ারী, তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আবু নাছের বাচ্চু পাটওয়ারী|
অনুষ্ঠানে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের বক্তব্য ছিলো মনোমুগ্ধকর| তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দু’ চোখই এখন চাঁদপুরে| এক চোখ হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্যটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী| এ দু’জন থাকতে চাঁদপুরে উন্নয়ন হবে না এটা হতে পারে না| তিনি বলেন, দেশে ১১ জন সেক্টর কমান্ডারের মধ্যে দু’ জনই চাঁদপুরের| এটাও আমাদের বিরাট গর্ব|
মায়া চৌধুরী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখবেন| পররাষ্ট্রমন্ত্রী বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তুলে ধরবেন| ইতিমধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমুদ্র জয় করেছেন| ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হবার পর দেশে জামাত-শিবির, জঙ্গীরা সব গাছে উঠে গেছে| এদের গাছ থেকে নামিয়ে জেলে ঢোকাতে হবে|
অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনি যে চেয়ারে বসেছেন সেটা নিশ্চয়ই আরামদায়ক নয়| সেটা বড় শক্ত একটা চেয়ার| যদি নিরপেক্ষভাবে আইনের হাত ধরে দায়িত্ব পালন করেন অবশ্যই স্বস্তি পাবেন|
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডঃ নুরুল আমিন রুহুল, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেত্রী আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবু্যনালের প্রসিকিউটর অ্যাডঃ নূরজাহান বেগম মুক্তা, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী, হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রশিদ মজুমদার, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান মিয়া, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান, কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শহীদুলস্না মাস্টার, আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী, আব্দুল মান্নান মিয়াজি, বিলস্নাল আখন্দ, তোফায়েল আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, আব্দুর রব ভূঁইয়া, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগ সেক্রেটারী বেলায়েত হোসেন বিলস্নাল, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডঃ জসীম উদ্দিন পাটওয়ারী, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ আব্দুল মোতালেব, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান তৃপ্তিসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ|
অনুষ্ঠান শুরুতে দেশাত্মবোধক বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনাকে নিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন চাঁদপুরের বিশিষ্ট কণ্ঠ শিল্পীরা| অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন অজয় কুমার ভৌমিক ও শহীদ পাটওয়ারী| কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এমএ হাসান| গীতা পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সন্তোষ দাস, বাইবেল পাঠ করেন মনিন্দ্র বর্মন| ত্রিপিঠক পাঠক করেন ডাঃ পীযুষ কান্তি বড়ুয়া| বেলা ২টা থেকে মিছিলে মিছিলে সংবর্ধনা স্থলটি পরিপূর্ণ হতে থাকে| এক পর্যায়ে ৫টার পর সংবর্ধনা স্থলটি বিশাল জনসভাস্থলে পরিণত হয়| সভার শুরুতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন সভা সমিতি, সংস্থা ও ব্যক্তি ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সিক্ত করেন|
ছেংগারচর পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক কমিটি গঠন
মাহবুব আলম লাভলু
মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার| বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ ছাত্তারকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি করা হয়| মতলব উত্তর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোঃ মোজাম্মেল হকের প্রেরিত কমিটি জেলা কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ অনুমোদন করেন| বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ ছাত্তার (ছেংগারচর)কে আহবায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ চান মিয়া খান (ঠাকুরচর)কে যুগ্ম আহবায়ক এবং মোঃ ছানাউল্যাহ (জোড়খালী), মোঃ লোকমান আলী দেওয়ান (উত্তর ছেঙ্গারচর) ও মোঃ নূরুল হক ঢালী (আদুর ভিটি)কে সদস্য করা হয়| অনুমোদনপত্রে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ কমিটি বহাল থাকবে এবং কার্যক্রম পরিচালনা করবে|
মতলবে বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মাঝে আসে
মতলবে পল্লী বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ের ফলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়| ভয়াবহ লোডশেডিং এবং প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন| ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে| লেখাপড়া করতে হচ্ছে সামান্য মোম-হারিকেনের আলোতে| মতলব পলস্ন&ধসঢ়;লী বিদ্যুৎ অফিসের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেদেরকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে প্রশংসা কুড়ানোর এবং প্রমোশনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং করছে বলে মতলববাসীর অভিযোগ| অভিযোগে আরো জানা যায়, বিদু্যৎ বিভ্রাট সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন হলে এক শ্রেণীর কর্মকর্তা নিজে এসে পত্রিকা সংগ্রহ করে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠায় তাদের প্রমোশনের জন্য|
বিদু্যতের এ অব্যাহত লোডশেডিংয়ের ফলে টেলিভিশন, ফ্রিজ, কম্পিউটার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ধস নামতে শুরু করেছে| বিদু্যতের এতো লোডশেডিং কিন্তু মাস শেষে বিদু্যৎ বিল কমছে না| বিল তাদের পূর্বের মতোই আসছে| বরং বেশি আসছে বলে গ্রাহকের অভিযোগ| এছাড়াও রয়েছে লাইনম্যান, মিটার রিডিংয়ের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ| বেশ ক’জন ব্যবসায়ী জানায়, রাতের বেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং থাকলেও দিনের বেলায়ও তা-ই থাকছে| এ অবস্থায় আমাদের চরম দুভর্োগ পোহাতে হচ্ছে| সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, মাগরিবের আযান চলাকালীন বিদু্যৎ চলে যায়| আসে রাত ১০টার পর| এ অবস্থা মতলবে দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে|
মতলবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে বিদু্যৎ থাকছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা| স্থানীয় পলস্ন&ধসঢ়;ল্লী বিদু্যৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, বিদু্যৎ বিভ্রাটের ঘটনায় আমাদের কোনো হাত নেই| মতলবে কোনো সাব-স্টেশন না থাকায় আলীগঞ্জস্থ থেকে বিদু্যতের লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণ করা হয়| আমাদের কিছুই করার নেই| এ ব্যাপারে আলীগঞ্জ চাঁদপুর পলস্ন&ধসঢ়;লী বিদু্যৎ সমিতি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি|
মতলবে পলস্নী বিদু্যতের ডিজিএম আক্তার হোসেনের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি এবং পলস্নী বিদু্যতের জরুরি যোগাযোগের মোবাইল নাম্বার সব সময় বন্ধ পাওয়া যায়|
এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সদয় দৃষ্টি দিয়ে পরীক্ষার্থীসহ মতলবের সর্বস্তরের জনগণকে এই দুভর্োগের হাত থেকে রক্ষা করবেন বলে ভুক্তভোগী মহল মনে করেন| সে সাথে মতলবে একটি সাব-স্টেশন স্থাপনের দাবি মতলববাসীর দীর্ঘদিনের|
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ
মতলবের সাংবাদিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতায় সকল কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছি
মতলব দক্ষিণ উপজেলায় জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার কর্মরত সাংবাদিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতায় সকল কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছি| সাংবাদিকরা হচ্ছে জাতির বিবেক| সাংবাদিকদের পবিত্র কলমের লিখনির মাধ্যমেই এ সমাজের উন্নয়ন করা সম্ভব| আমি মতলব দক্ষিণে দায়িত্ব পালনকালে দেখেছি, মতলবের মানুষের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ রয়েছে| মতলবের সামাজিক, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে সকলের মাঝে সহাবস্থান| এজন্যে আমি কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছি| গতকাল ৯ অক্টোবর মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি এবং সাংবাদিক ও জনকল্যাণ সমিতি আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ এ কথাগুলো বলেন| বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক দিবাকণ্ঠ ও মতলবের জনপদের সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি গোলাম হায়দার মোলস্না, সাধারণ সম্পাদক সোবহান ফারুক, সাংবাদিক ও জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি হোসেন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ মল্লিক ও সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ান আহমেদ জাকির| উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান খান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু আদনান, উপজেলা প্রকৌশলী রতন লাল সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দেওয়ান মোঃ রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোঃ সুরুজ, পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক চাঁদপুর জমিনের মতলব বু্যরো ইনচার্জ রোকনুজ্জামান রোকন প্রমুখ| বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মাহমুদকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং পরে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়|
ছেংগারচর পৌরসভার ৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষনা
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ২০১২-১৩ অর্থবছরের ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৭ টাকার বাজেট আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ছেঙ্গারচর পৌরসভা সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বাজেট ঘোষনা করেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল আলম জর্জ। বাজেটে রাজস্ব আয় ২ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ টাকা, উন্নয়ন আয় ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা, মূলধন আয় ১২ লাখ ১৫ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, উন্নয়ন ব্যয় ৫কোটি ২৮ লাখ টাকা, মূলধন ব্যয় ৮ লাখ টাকা ধরা হয়েছে । রাজস্ব উর্দ্বৃত্ত দেখানো হয়েছে ৩৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৭ টাকা। বাজেট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পৌর কাউন্সিলর, পৌর কর্মকতা বৃন্দ,গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিক।
মতলব উত্তরে বেসরকারি শিকদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত
কামরুজ্জামান হারুনঃ
জাতীয় শিক কর্মচারী ফ্রন্টের উদ্যোগে রোববার দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেঙ্ বটতলায় বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণসহ ৮ দফা দাবী আদায়ের ল্যে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, মতলব উত্তর মাধ্যমিক শিক সমিতির সভাপতি শহীদ উল্লা প্রধান। সভা পরিচালনা করেন, মাধ্যমিক শিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, লবাইরকান্দি আলিম মাদ্রাসার অধ্য মাওঃ অলিউল্যাহ, জীবগাঁও জেনারেল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক সিরাজুল ইসলাম, শিকারী আকবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক নজরুল ইসলাম, পাঠানবাজার আবেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক মজিবুর রহমান, ইন্দুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক আব্দুস ছাত্তার, মাথাভাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক নাছির উদ্দিন, হাজী সিদ্দিকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক আরিফ উল্যাহ, ঝিনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক ফারুক আহমেদ, গাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক বিল্লাল হোসেন, দূর্গাপুর জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক বাবু স্বপন কুমার, চরপাথালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক (ভারপ্রাপ্ত) জহিরুল ইসলাম, আমিয়াপুর মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আমিনুল হক, মাধ্যমিক শিক সমিতির প্রচার সম্পাদক ঢালী কামরুজ্জামান হারুণ, ওটারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক মোয়াজ্জেম হোসেন, নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক ওমর ফারুক, স্বপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক কামরুল ইসলাম খান, নাউরী আহম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক আক্তার হোসেন, ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক জসিম উদ্দিন, নেদায়ে ইসলাম মহিলা মাদ্রাসার সিনিয়র শিক আব্দুল মতিন, ফরাজীকান্দি আল ওয়েসিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক বিপ্লবী মনিরুজ্জামান প্রমূখ।
লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিদায় সংবর্ধনা
মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজের অবসর প্রাপ্তশিক ও কর্মচারীদের বিদায় সংবর্ধনা শনিবার কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অবসরপ্রাপ্তরা হলেন, প্রধান শিক্ষক ও অধ্য আইয়ুব আলী মিয়াজী, সিনিয়র সহকারি শিক্ষকইজ্জত আলী, হারাধন মজুমদার, কাজী ফাহিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী ও আঃ হামিদ, শরীরচর্চা শিক্ষক বোরহান উদ্দিন, হিসাব রক হারুন অর রসিদ, ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী আবুল হোসেন, আঃ খালেক, তাফাজ্জল হোসেন ও সাজ্জম বিবি।
লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্য মোঃ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক কামরুজ্জামান ও মানসুর আহম্মেদের পরিচালনায় প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রী ও কলেজ কতৃর্ক আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মতলব ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্য ও লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং কমিটির সভাপতি সালামত উল্লাহ। বক্তব্য রাখেন, অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক আইয়ুব আলী মিয়াজী, অবসর প্রাপ্ত সিনিয়র শিক ফাহিম উদ্দিন, পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ এমদাদুল হক মানিক, বিএডিসির সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন, তথ্য মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মহসিন মিয়াজী, ব্র্যাক ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার আবুল হোসেন, শাহাজালাল ব্যাংকের ম্যানেজার আমির হোসেন, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজমল চৌধুরী, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম নবী বাদল, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক ফজলুল করীম, প্রভাষক রুহুল আমিন, সমাজ সেবক আবুল কাসেম, অভিভাবক আলী আশ্রাফ খান, কলেজের গভর্নিং কমিটির সাবেক সদস্য বোরহান উদ্দিন দেওয়ান, মানপত্র পাঠ করেন, প্রাক্তন ছাত্র ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ জহিরুল ইসলাম ডাল্টন জহির, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন, প্রাক্তন ছাত্র মনির হোসেন, নাজমুল হক টিটু ও হেলাল উদ্দিন। অবসর প্রাপ্ত শিক ও কর্মচারীদের মানপত্র, ক্রেষ্ট ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
![]() |
আজম খানের নিরাপত্তা চেয়ে
চাঁদপুরের মতলব থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে চাইলেও পুলিশ তা নেয়নি বলে অভিযোগ
করেছে রেলের অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় আলোচিত এই গাড়িচালকের পরিবার।
বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আজম খানের বড় ভাই শাহ আলম খান।
তিনি বলেন, আরটিভিতে আজম খানের সাক্ষাৎকার প্রচারের পর তারা নতুন করে শঙ্কা বোধ করছেন। তাই জিডি করতে থানায় গিয়েছিলেন।
“কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে থানায় গেলে ডিউটি অফিসার তা (জিডি) গ্রহণ করেননি,” বলেন শাহ আলম।
গত এপ্রিলে তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ব্যক্তিগত সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িতে থাকা বিপুল পরিমাণ টাকার হদিস আজম খানের তৎপরতায়ই প্রকাশ্য হয় বলে বলা হচ্ছে।
ওই ঘটনার পর থেকে আজম খান নিখোঁজ ছিলেন। তবে সম্প্রতি আরটিভি অজ্ঞাত স্থানে থাকা আজম খানের একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে, যাতে তিনি বলেন, ওই গাড়িতে থাকা ‘৭৪’ লাখ টাকা মন্ত্রী সুরঞ্জিতকে দিতে নেয়া হচ্ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে শাহ আলম জানান, গত এপ্রিল থেকে ভাইয়ের সন্ধান পাচ্ছেন না তারা।
জিডি না নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. এরফান প্রথমে বলেন, “আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এসে কেউ আমার সঙ্গে কথা বলেনি। এমনি ডিউটি অফিসারের সঙ্গেও না।”
পরে অবশ্য ওই পুলিশ কর্মকর্তা স্বীকার করেন, “অন্য একজন অফিসারের কাছে কেউ এসেছিল। তখন তাকে বলা হয়, আজম খান ঢাকায় নিখোঁজ হয়েছে। সেখানে জিডি করেন।”
বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আজম খানের বড় ভাই শাহ আলম খান।
তিনি বলেন, আরটিভিতে আজম খানের সাক্ষাৎকার প্রচারের পর তারা নতুন করে শঙ্কা বোধ করছেন। তাই জিডি করতে থানায় গিয়েছিলেন।
“কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে থানায় গেলে ডিউটি অফিসার তা (জিডি) গ্রহণ করেননি,” বলেন শাহ আলম।
গত এপ্রিলে তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ব্যক্তিগত সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িতে থাকা বিপুল পরিমাণ টাকার হদিস আজম খানের তৎপরতায়ই প্রকাশ্য হয় বলে বলা হচ্ছে।
ওই ঘটনার পর থেকে আজম খান নিখোঁজ ছিলেন। তবে সম্প্রতি আরটিভি অজ্ঞাত স্থানে থাকা আজম খানের একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে, যাতে তিনি বলেন, ওই গাড়িতে থাকা ‘৭৪’ লাখ টাকা মন্ত্রী সুরঞ্জিতকে দিতে নেয়া হচ্ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে শাহ আলম জানান, গত এপ্রিল থেকে ভাইয়ের সন্ধান পাচ্ছেন না তারা।
জিডি না নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. এরফান প্রথমে বলেন, “আজম খানের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এসে কেউ আমার সঙ্গে কথা বলেনি। এমনি ডিউটি অফিসারের সঙ্গেও না।”
পরে অবশ্য ওই পুলিশ কর্মকর্তা স্বীকার করেন, “অন্য একজন অফিসারের কাছে কেউ এসেছিল। তখন তাকে বলা হয়, আজম খান ঢাকায় নিখোঁজ হয়েছে। সেখানে জিডি করেন।”
মেঘনা থেকে ২-১ দিনের মধ্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ নৌপরিবহন মন্ত্রীর
বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহনমন্ত্রী মোঃ শাহাজাহান খান মেঘনা নদীর চাঁদপুরের সীমানা থেকে যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তা দু’এক দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন| তিনি বিআইডব্লিউটিএ কে এই নির্দেশ দেন|
নৌপরিবহনমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় স্টিমারযোগে বরিশাল যাওয়ার পথে চাঁদপুর বড়স্টেশন ভিআইপি স্টিমার ঘাটে যাত্রাবিরতি করেন| তাঁর সাথে ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ড. শামছুদ্দোহা খন্দকার| এদিকে মন্ত্রী বরিশাল যাওয়ার পথে চাঁদপুর যাত্রবিরতি করবেন এ খবর জানতে পেরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারীসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বেশ কিছু নেতা-কর্মী বড়স্টেশন ভিআইপি লঞ্চঘাটে গিয়ে মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন| এ সময় দুলাল পাটওয়ারীসহ আরো ক’জন নেতা ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান কর্তৃক চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারের রামদাসদী থেকে হরিণা ফেরিঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন বিষয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন| এ সময় মন্ত্রী বলেন, এ এলাকায় বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি নেই| এজন্যে তিনি ২-১ দিনের মধ্যে অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বিআইডবিস্নউটিএকে নির্দেশ দেন| এছাড়া বিআইডবিস্নউটিএর যেসব সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে সেগুলো উদ্ধারের জন্য তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন| এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর বিআইডবিস্নউটিএর কর্মকর্তা মোবারক হোসেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বিল্লাল, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি শাহআলম মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক এমএ হাসান লিটন, পৌর কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াছ, বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইফতে খারুল আলম মাসুম তরুণলীগের সভাপতি শেখ শরীফসহ অন্য নেতৃবৃন্দ|
নৌপরিবহনমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় স্টিমারযোগে বরিশাল যাওয়ার পথে চাঁদপুর বড়স্টেশন ভিআইপি স্টিমার ঘাটে যাত্রাবিরতি করেন| তাঁর সাথে ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান ড. শামছুদ্দোহা খন্দকার| এদিকে মন্ত্রী বরিশাল যাওয়ার পথে চাঁদপুর যাত্রবিরতি করবেন এ খবর জানতে পেরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারীসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বেশ কিছু নেতা-কর্মী বড়স্টেশন ভিআইপি লঞ্চঘাটে গিয়ে মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন| এ সময় দুলাল পাটওয়ারীসহ আরো ক’জন নেতা ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান কর্তৃক চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারের রামদাসদী থেকে হরিণা ফেরিঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন বিষয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন| এ সময় মন্ত্রী বলেন, এ এলাকায় বালু উত্তোলনের কোনো অনুমতি নেই| এজন্যে তিনি ২-১ দিনের মধ্যে অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বিআইডবিস্নউটিএকে নির্দেশ দেন| এছাড়া বিআইডবিস্নউটিএর যেসব সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে সেগুলো উদ্ধারের জন্য তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন| এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর বিআইডবিস্নউটিএর কর্মকর্তা মোবারক হোসেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বিল্লাল, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি শাহআলম মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক এমএ হাসান লিটন, পৌর কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াছ, বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইফতে খারুল আলম মাসুম তরুণলীগের সভাপতি শেখ শরীফসহ অন্য নেতৃবৃন্দ|
মতলব উত্তরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার কেন্দ্র কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
শামসুজ্জামান ডলার : মতলব উত্তর উপজেলায় আগামী ২০১২ইং এর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার কেন্দ্র কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা
উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশ্রাফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।
সভায় এবারের জেএসসি'র ৮টি ও জেডএসসি'র ২ টি পরীক্ষা কেন্দ্রের সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন ধরনের অনিয়ম না হওয়া, সংষিস্নষ্টদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা ও অতিরিক্ত কেন্দ্র ফি উত্তোলন না করার বিষয়সহ পরীক্ষা সংক্রান্ত্ম অন্যান্য গুরম্নত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। উপস্থিত সাংবাদিকরা বিগত সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যে সকল অনিয়ম হয়েছে তা উলেস্নখ করে আগামী পরীক্ষায় অনুরম্নপ অনিয়ম না হওয়ার বিষয়ে নজর রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্ত্মÿেপ কামনা করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ওটারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল্যাহ প্রধান, ছেংগারচর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোলস্না মোঃ বোরহান উদ্দিন, নেদায়ে ইসলাম মহিলা মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যÿ শহীদুল্যাহ, দশানী-মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনসুর আহমেদ, নাউরী আহমাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) তাজুল ইসলাম, সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ জালাল প্রমূখ। এবারে উপজেলার ৮ টি জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪ হাজার ৭৯৮ জন ও ২টি জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৫৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে।
চাঁদপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জেলা আওয়ামী লীগের বিপুল সংবর্ধনাউপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশ্রাফুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।
সভায় এবারের জেএসসি'র ৮টি ও জেডএসসি'র ২ টি পরীক্ষা কেন্দ্রের সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন ধরনের অনিয়ম না হওয়া, সংষিস্নষ্টদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা ও অতিরিক্ত কেন্দ্র ফি উত্তোলন না করার বিষয়সহ পরীক্ষা সংক্রান্ত্ম অন্যান্য গুরম্নত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। উপস্থিত সাংবাদিকরা বিগত সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যে সকল অনিয়ম হয়েছে তা উলেস্নখ করে আগামী পরীক্ষায় অনুরম্নপ অনিয়ম না হওয়ার বিষয়ে নজর রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্ত্মÿেপ কামনা করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ওটারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল্যাহ প্রধান, ছেংগারচর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোলস্না মোঃ বোরহান উদ্দিন, নেদায়ে ইসলাম মহিলা মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যÿ শহীদুল্যাহ, দশানী-মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনসুর আহমেদ, নাউরী আহমাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) তাজুল ইসলাম, সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ জালাল প্রমূখ। এবারে উপজেলার ৮ টি জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪ হাজার ৭৯৮ জন ও ২টি জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৫৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে।
১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাড়তি সুবিধা নিয়ে চাঁদপুরে ছোট-বড় শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, চাঁদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, নৌ ট্রানজিটের মাধ্যমে চাঁদপুরকে পুনরায় প্রসিদ্ধ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে| চাঁদপুরকে কৃষি উন্নয়নের শ্রেষ্ঠ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলে ৩ ফসলী জেলায় রূপান্তর করা হবে| শুধু তাই নয়, চাঁদপুরের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাড়তি সুবিধা নিয়ে ছোট-বড় সকল প্রকার শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হবে| চাঁদপুরের প্রত্যেক গ্রামে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে| একই সাথে প্রতি গ্রাম থেকে কমপক্ষে ৩ জন করে শ্রমিক বিদেশে পাঠানো হবে| তিনি গতকাল বুধবার চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি হাই স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করছিলেন|
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, চাঁদপুরে একটি নৌ চালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে| বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহসাই করা হবে| নদী ভাঙ্গন রোধে যে কাজ চলছে তা আরো বিস্তৃত করা হবে| এ ছাড়াও জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়নে যা যা করা দরকার আমি তা করে যাবো|
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর সদর আসনের এমপি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর চাঁদপুরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন| সে সময়ে তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে চাঁদপুর জেলা জুড়ে যে উন্নয়নের ছাপ রেখেছেন তা আজও সবার চোখে পড়ে| তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছে| আগামী এক বছর পর দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না| ডিজিটাল বাংলাদেশের যে অঙ্গীকার আমরা করেছি গত চার বছরে তার চেয়ে অনেক বেশি অর্জিত হয়েছে| সামনে আমাদের লক্ষ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা| জনসভায় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আবারো সকলকে নৌকায় ভোট দিতে হবে|
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) এম রফিকুল ইসলাম এমপি, চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক লেঃ কর্নেল (অবঃ) আবু ওসমান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুফ গাজী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী প্রমুখ| অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুল হক মন্টু পাটওয়ারী, তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আবু নাছের বাচ্চু পাটওয়ারী|
অনুষ্ঠানে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের বক্তব্য ছিলো মনোমুগ্ধকর| তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দু’ চোখই এখন চাঁদপুরে| এক চোখ হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্যটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী| এ দু’জন থাকতে চাঁদপুরে উন্নয়ন হবে না এটা হতে পারে না| তিনি বলেন, দেশে ১১ জন সেক্টর কমান্ডারের মধ্যে দু’ জনই চাঁদপুরের| এটাও আমাদের বিরাট গর্ব|
মায়া চৌধুরী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখবেন| পররাষ্ট্রমন্ত্রী বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তুলে ধরবেন| ইতিমধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমুদ্র জয় করেছেন| ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হবার পর দেশে জামাত-শিবির, জঙ্গীরা সব গাছে উঠে গেছে| এদের গাছ থেকে নামিয়ে জেলে ঢোকাতে হবে|
অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনি যে চেয়ারে বসেছেন সেটা নিশ্চয়ই আরামদায়ক নয়| সেটা বড় শক্ত একটা চেয়ার| যদি নিরপেক্ষভাবে আইনের হাত ধরে দায়িত্ব পালন করেন অবশ্যই স্বস্তি পাবেন|
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডঃ নুরুল আমিন রুহুল, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেত্রী আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবু্যনালের প্রসিকিউটর অ্যাডঃ নূরজাহান বেগম মুক্তা, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী, হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রশিদ মজুমদার, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান মিয়া, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান, কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শহীদুলস্না মাস্টার, আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী, আব্দুল মান্নান মিয়াজি, বিলস্নাল আখন্দ, তোফায়েল আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, আব্দুর রব ভূঁইয়া, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগ সেক্রেটারী বেলায়েত হোসেন বিলস্নাল, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডঃ জসীম উদ্দিন পাটওয়ারী, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ আব্দুল মোতালেব, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান তৃপ্তিসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ|
অনুষ্ঠান শুরুতে দেশাত্মবোধক বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনাকে নিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন চাঁদপুরের বিশিষ্ট কণ্ঠ শিল্পীরা| অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন অজয় কুমার ভৌমিক ও শহীদ পাটওয়ারী| কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এমএ হাসান| গীতা পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সন্তোষ দাস, বাইবেল পাঠ করেন মনিন্দ্র বর্মন| ত্রিপিঠক পাঠক করেন ডাঃ পীযুষ কান্তি বড়ুয়া| বেলা ২টা থেকে মিছিলে মিছিলে সংবর্ধনা স্থলটি পরিপূর্ণ হতে থাকে| এক পর্যায়ে ৫টার পর সংবর্ধনা স্থলটি বিশাল জনসভাস্থলে পরিণত হয়| সভার শুরুতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন সভা সমিতি, সংস্থা ও ব্যক্তি ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সিক্ত করেন|
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, চাঁদপুরে একটি নৌ চালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে| বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহসাই করা হবে| নদী ভাঙ্গন রোধে যে কাজ চলছে তা আরো বিস্তৃত করা হবে| এ ছাড়াও জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়নে যা যা করা দরকার আমি তা করে যাবো|
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর সদর আসনের এমপি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর চাঁদপুরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন| সে সময়ে তিনি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে চাঁদপুর জেলা জুড়ে যে উন্নয়নের ছাপ রেখেছেন তা আজও সবার চোখে পড়ে| তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছে| আগামী এক বছর পর দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি থাকবে না| ডিজিটাল বাংলাদেশের যে অঙ্গীকার আমরা করেছি গত চার বছরে তার চেয়ে অনেক বেশি অর্জিত হয়েছে| সামনে আমাদের লক্ষ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা| জনসভায় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আবারো সকলকে নৌকায় ভোট দিতে হবে|
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) এম রফিকুল ইসলাম এমপি, চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক লেঃ কর্নেল (অবঃ) আবু ওসমান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইউসুফ গাজী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী প্রমুখ| অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ মোঃ জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুল হক মন্টু পাটওয়ারী, তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আবু নাছের বাচ্চু পাটওয়ারী|
অনুষ্ঠানে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের বক্তব্য ছিলো মনোমুগ্ধকর| তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দু’ চোখই এখন চাঁদপুরে| এক চোখ হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্যটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী| এ দু’জন থাকতে চাঁদপুরে উন্নয়ন হবে না এটা হতে পারে না| তিনি বলেন, দেশে ১১ জন সেক্টর কমান্ডারের মধ্যে দু’ জনই চাঁদপুরের| এটাও আমাদের বিরাট গর্ব|
মায়া চৌধুরী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখবেন| পররাষ্ট্রমন্ত্রী বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তুলে ধরবেন| ইতিমধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমুদ্র জয় করেছেন| ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হবার পর দেশে জামাত-শিবির, জঙ্গীরা সব গাছে উঠে গেছে| এদের গাছ থেকে নামিয়ে জেলে ঢোকাতে হবে|
অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনি যে চেয়ারে বসেছেন সেটা নিশ্চয়ই আরামদায়ক নয়| সেটা বড় শক্ত একটা চেয়ার| যদি নিরপেক্ষভাবে আইনের হাত ধরে দায়িত্ব পালন করেন অবশ্যই স্বস্তি পাবেন|
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডঃ নুরুল আমিন রুহুল, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেত্রী আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবু্যনালের প্রসিকিউটর অ্যাডঃ নূরজাহান বেগম মুক্তা, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী, হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রশিদ মজুমদার, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান মিয়া, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান, কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শহীদুলস্না মাস্টার, আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী, আব্দুল মান্নান মিয়াজি, বিলস্নাল আখন্দ, তোফায়েল আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, আব্দুর রব ভূঁইয়া, রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগ সেক্রেটারী বেলায়েত হোসেন বিলস্নাল, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডঃ জসীম উদ্দিন পাটওয়ারী, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ আব্দুল মোতালেব, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান তৃপ্তিসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ|
অনুষ্ঠান শুরুতে দেশাত্মবোধক বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনাকে নিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন চাঁদপুরের বিশিষ্ট কণ্ঠ শিল্পীরা| অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন অজয় কুমার ভৌমিক ও শহীদ পাটওয়ারী| কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এমএ হাসান| গীতা পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সন্তোষ দাস, বাইবেল পাঠ করেন মনিন্দ্র বর্মন| ত্রিপিঠক পাঠক করেন ডাঃ পীযুষ কান্তি বড়ুয়া| বেলা ২টা থেকে মিছিলে মিছিলে সংবর্ধনা স্থলটি পরিপূর্ণ হতে থাকে| এক পর্যায়ে ৫টার পর সংবর্ধনা স্থলটি বিশাল জনসভাস্থলে পরিণত হয়| সভার শুরুতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন সভা সমিতি, সংস্থা ও ব্যক্তি ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সিক্ত করেন|
ছেংগারচর পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক কমিটি গঠন
মাহবুব আলম লাভলু
মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার| বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ ছাত্তারকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি করা হয়| মতলব উত্তর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোঃ মোজাম্মেল হকের প্রেরিত কমিটি জেলা কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ অনুমোদন করেন| বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ ছাত্তার (ছেংগারচর)কে আহবায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ চান মিয়া খান (ঠাকুরচর)কে যুগ্ম আহবায়ক এবং মোঃ ছানাউল্যাহ (জোড়খালী), মোঃ লোকমান আলী দেওয়ান (উত্তর ছেঙ্গারচর) ও মোঃ নূরুল হক ঢালী (আদুর ভিটি)কে সদস্য করা হয়| অনুমোদনপত্রে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ কমিটি বহাল থাকবে এবং কার্যক্রম পরিচালনা করবে|
মতলবে পল্লী বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ের ফলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়| ভয়াবহ লোডশেডিং এবং প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন| ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে| লেখাপড়া করতে হচ্ছে সামান্য মোম-হারিকেনের আলোতে| মতলব পলস্ন&ধসঢ়;লী বিদ্যুৎ অফিসের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেদেরকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে প্রশংসা কুড়ানোর এবং প্রমোশনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং করছে বলে মতলববাসীর অভিযোগ| অভিযোগে আরো জানা যায়, বিদু্যৎ বিভ্রাট সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন হলে এক শ্রেণীর কর্মকর্তা নিজে এসে পত্রিকা সংগ্রহ করে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠায় তাদের প্রমোশনের জন্য|
বিদু্যতের এ অব্যাহত লোডশেডিংয়ের ফলে টেলিভিশন, ফ্রিজ, কম্পিউটার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ধস নামতে শুরু করেছে| বিদু্যতের এতো লোডশেডিং কিন্তু মাস শেষে বিদু্যৎ বিল কমছে না| বিল তাদের পূর্বের মতোই আসছে| বরং বেশি আসছে বলে গ্রাহকের অভিযোগ| এছাড়াও রয়েছে লাইনম্যান, মিটার রিডিংয়ের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ| বেশ ক’জন ব্যবসায়ী জানায়, রাতের বেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং থাকলেও দিনের বেলায়ও তা-ই থাকছে| এ অবস্থায় আমাদের চরম দুভর্োগ পোহাতে হচ্ছে| সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, মাগরিবের আযান চলাকালীন বিদু্যৎ চলে যায়| আসে রাত ১০টার পর| এ অবস্থা মতলবে দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে|
মতলবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে বিদু্যৎ থাকছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা| স্থানীয় পলস্ন&ধসঢ়;ল্লী বিদু্যৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, বিদু্যৎ বিভ্রাটের ঘটনায় আমাদের কোনো হাত নেই| মতলবে কোনো সাব-স্টেশন না থাকায় আলীগঞ্জস্থ থেকে বিদু্যতের লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণ করা হয়| আমাদের কিছুই করার নেই| এ ব্যাপারে আলীগঞ্জ চাঁদপুর পলস্ন&ধসঢ়;লী বিদু্যৎ সমিতি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি|
মতলবে পলস্নী বিদু্যতের ডিজিএম আক্তার হোসেনের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি এবং পলস্নী বিদু্যতের জরুরি যোগাযোগের মোবাইল নাম্বার সব সময় বন্ধ পাওয়া যায়|
এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সদয় দৃষ্টি দিয়ে পরীক্ষার্থীসহ মতলবের সর্বস্তরের জনগণকে এই দুভর্োগের হাত থেকে রক্ষা করবেন বলে ভুক্তভোগী মহল মনে করেন| সে সাথে মতলবে একটি সাব-স্টেশন স্থাপনের দাবি মতলববাসীর দীর্ঘদিনের|
বিদু্যতের এ অব্যাহত লোডশেডিংয়ের ফলে টেলিভিশন, ফ্রিজ, কম্পিউটার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ধস নামতে শুরু করেছে| বিদু্যতের এতো লোডশেডিং কিন্তু মাস শেষে বিদু্যৎ বিল কমছে না| বিল তাদের পূর্বের মতোই আসছে| বরং বেশি আসছে বলে গ্রাহকের অভিযোগ| এছাড়াও রয়েছে লাইনম্যান, মিটার রিডিংয়ের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ| বেশ ক’জন ব্যবসায়ী জানায়, রাতের বেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং থাকলেও দিনের বেলায়ও তা-ই থাকছে| এ অবস্থায় আমাদের চরম দুভর্োগ পোহাতে হচ্ছে| সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, মাগরিবের আযান চলাকালীন বিদু্যৎ চলে যায়| আসে রাত ১০টার পর| এ অবস্থা মতলবে দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে|
মতলবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে বিদু্যৎ থাকছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা| স্থানীয় পলস্ন&ধসঢ়;ল্লী বিদু্যৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, বিদু্যৎ বিভ্রাটের ঘটনায় আমাদের কোনো হাত নেই| মতলবে কোনো সাব-স্টেশন না থাকায় আলীগঞ্জস্থ থেকে বিদু্যতের লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণ করা হয়| আমাদের কিছুই করার নেই| এ ব্যাপারে আলীগঞ্জ চাঁদপুর পলস্ন&ধসঢ়;লী বিদু্যৎ সমিতি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি|
মতলবে পলস্নী বিদু্যতের ডিজিএম আক্তার হোসেনের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি এবং পলস্নী বিদু্যতের জরুরি যোগাযোগের মোবাইল নাম্বার সব সময় বন্ধ পাওয়া যায়|
এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সদয় দৃষ্টি দিয়ে পরীক্ষার্থীসহ মতলবের সর্বস্তরের জনগণকে এই দুভর্োগের হাত থেকে রক্ষা করবেন বলে ভুক্তভোগী মহল মনে করেন| সে সাথে মতলবে একটি সাব-স্টেশন স্থাপনের দাবি মতলববাসীর দীর্ঘদিনের|
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ
মতলবের সাংবাদিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতায় সকল কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ২০১২-১৩ অর্থবছরের ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৭ টাকার বাজেট আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ছেঙ্গারচর পৌরসভা সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বাজেট ঘোষনা করেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল আলম জর্জ। বাজেটে রাজস্ব আয় ২ কোটি ২৪ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ টাকা, উন্নয়ন আয় ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা, মূলধন আয় ১২ লাখ ১৫ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, উন্নয়ন ব্যয় ৫কোটি ২৮ লাখ টাকা, মূলধন ব্যয় ৮ লাখ টাকা ধরা হয়েছে । রাজস্ব উর্দ্বৃত্ত দেখানো হয়েছে ৩৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৬৭ টাকা। বাজেট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পৌর কাউন্সিলর, পৌর কর্মকতা বৃন্দ,গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিক।
মতলব উত্তরে বেসরকারি শিকদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কামরুজ্জামান হারুনঃ
জাতীয় শিক কর্মচারী ফ্রন্টের উদ্যোগে রোববার দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেঙ্ বটতলায় বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণসহ ৮ দফা দাবী আদায়ের ল্যে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, মতলব উত্তর মাধ্যমিক শিক সমিতির সভাপতি শহীদ উল্লা প্রধান। সভা পরিচালনা করেন, মাধ্যমিক শিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, লবাইরকান্দি আলিম মাদ্রাসার অধ্য মাওঃ অলিউল্যাহ, জীবগাঁও জেনারেল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক সিরাজুল ইসলাম, শিকারী আকবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক নজরুল ইসলাম, পাঠানবাজার আবেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক মজিবুর রহমান, ইন্দুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক আব্দুস ছাত্তার, মাথাভাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক নাছির উদ্দিন, হাজী সিদ্দিকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক আরিফ উল্যাহ, ঝিনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক ফারুক আহমেদ, গাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক বিল্লাল হোসেন, দূর্গাপুর জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক বাবু স্বপন কুমার, চরপাথালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক (ভারপ্রাপ্ত) জহিরুল ইসলাম, আমিয়াপুর মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আমিনুল হক, মাধ্যমিক শিক সমিতির প্রচার সম্পাদক ঢালী কামরুজ্জামান হারুণ, ওটারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক মোয়াজ্জেম হোসেন, নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক ওমর ফারুক, স্বপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক কামরুল ইসলাম খান, নাউরী আহম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক আক্তার হোসেন, ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক জসিম উদ্দিন, নেদায়ে ইসলাম মহিলা মাদ্রাসার সিনিয়র শিক আব্দুল মতিন, ফরাজীকান্দি আল ওয়েসিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক বিপ্লবী মনিরুজ্জামান প্রমূখ।
জাতীয় শিক কর্মচারী ফ্রন্টের উদ্যোগে রোববার দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেঙ্ বটতলায় বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণসহ ৮ দফা দাবী আদায়ের ল্যে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, মতলব উত্তর মাধ্যমিক শিক সমিতির সভাপতি শহীদ উল্লা প্রধান। সভা পরিচালনা করেন, মাধ্যমিক শিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, লবাইরকান্দি আলিম মাদ্রাসার অধ্য মাওঃ অলিউল্যাহ, জীবগাঁও জেনারেল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক সিরাজুল ইসলাম, শিকারী আকবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক নজরুল ইসলাম, পাঠানবাজার আবেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক মজিবুর রহমান, ইন্দুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক আব্দুস ছাত্তার, মাথাভাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক নাছির উদ্দিন, হাজী সিদ্দিকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক আরিফ উল্যাহ, ঝিনাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক ফারুক আহমেদ, গাজীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক বিল্লাল হোসেন, দূর্গাপুর জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক বাবু স্বপন কুমার, চরপাথালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক (ভারপ্রাপ্ত) জহিরুল ইসলাম, আমিয়াপুর মাদ্রাসার সুপার মাওঃ আমিনুল হক, মাধ্যমিক শিক সমিতির প্রচার সম্পাদক ঢালী কামরুজ্জামান হারুণ, ওটারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক মোয়াজ্জেম হোসেন, নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক ওমর ফারুক, স্বপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক কামরুল ইসলাম খান, নাউরী আহম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক আক্তার হোসেন, ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক জসিম উদ্দিন, নেদায়ে ইসলাম মহিলা মাদ্রাসার সিনিয়র শিক আব্দুল মতিন, ফরাজীকান্দি আল ওয়েসিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক বিপ্লবী মনিরুজ্জামান প্রমূখ।
লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিদায় সংবর্ধনা

মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজের অবসর প্রাপ্তশিক ও কর্মচারীদের বিদায় সংবর্ধনা শনিবার কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অবসরপ্রাপ্তরা হলেন, প্রধান শিক্ষক ও অধ্য আইয়ুব আলী মিয়াজী, সিনিয়র সহকারি শিক্ষকইজ্জত আলী, হারাধন মজুমদার, কাজী ফাহিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী ও আঃ হামিদ, শরীরচর্চা শিক্ষক বোরহান উদ্দিন, হিসাব রক হারুন অর রসিদ, ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী আবুল হোসেন, আঃ খালেক, তাফাজ্জল হোসেন ও সাজ্জম বিবি।
লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্য মোঃ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক কামরুজ্জামান ও মানসুর আহম্মেদের পরিচালনায় প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রী ও কলেজ কতৃর্ক আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মতলব ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্য ও লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং কমিটির সভাপতি সালামত উল্লাহ। বক্তব্য রাখেন, অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক আইয়ুব আলী মিয়াজী, অবসর প্রাপ্ত সিনিয়র শিক ফাহিম উদ্দিন, পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ এমদাদুল হক মানিক, বিএডিসির সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন, তথ্য মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মহসিন মিয়াজী, ব্র্যাক ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার আবুল হোসেন, শাহাজালাল ব্যাংকের ম্যানেজার আমির হোসেন, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজমল চৌধুরী, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম নবী বাদল, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক ফজলুল করীম, প্রভাষক রুহুল আমিন, সমাজ সেবক আবুল কাসেম, অভিভাবক আলী আশ্রাফ খান, কলেজের গভর্নিং কমিটির সাবেক সদস্য বোরহান উদ্দিন দেওয়ান, মানপত্র পাঠ করেন, প্রাক্তন ছাত্র ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ জহিরুল ইসলাম ডাল্টন জহির, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন, প্রাক্তন ছাত্র মনির হোসেন, নাজমুল হক টিটু ও হেলাল উদ্দিন। অবসর প্রাপ্ত শিক ও কর্মচারীদের মানপত্র, ক্রেষ্ট ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্য মোঃ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক কামরুজ্জামান ও মানসুর আহম্মেদের পরিচালনায় প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রী ও কলেজ কতৃর্ক আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মতলব ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্য ও লুধুয়া স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং কমিটির সভাপতি সালামত উল্লাহ। বক্তব্য রাখেন, অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক আইয়ুব আলী মিয়াজী, অবসর প্রাপ্ত সিনিয়র শিক ফাহিম উদ্দিন, পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ এমদাদুল হক মানিক, বিএডিসির সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন, তথ্য মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মহসিন মিয়াজী, ব্র্যাক ব্যাংকের সিনিয়র ম্যানেজার আবুল হোসেন, শাহাজালাল ব্যাংকের ম্যানেজার আমির হোসেন, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজমল চৌধুরী, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম নবী বাদল, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক ফজলুল করীম, প্রভাষক রুহুল আমিন, সমাজ সেবক আবুল কাসেম, অভিভাবক আলী আশ্রাফ খান, কলেজের গভর্নিং কমিটির সাবেক সদস্য বোরহান উদ্দিন দেওয়ান, মানপত্র পাঠ করেন, প্রাক্তন ছাত্র ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ জহিরুল ইসলাম ডাল্টন জহির, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন, প্রাক্তন ছাত্র মনির হোসেন, নাজমুল হক টিটু ও হেলাল উদ্দিন। অবসর প্রাপ্ত শিক ও কর্মচারীদের মানপত্র, ক্রেষ্ট ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
মতলব উত্তরে ইটভাটার করার প্রতিবাদ কয়ায় স্কুল কমিটির সদস্যকে প্রাণনাশের হুমকি ॥ থানায় জিডি
মতলব উত্তর উপজেলার চরপাথালিয়া নূররুল হুদা উচ্চ বিদ্যালয় ঘেঁষে ইটভাটা করার প্রতিবাদ ও জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করায় স্কুর ম্যানেজিং কমিটির সদস্যকে ইটভাটার মালিক পক্ষের রোকজন প্রাণনাশের হুমকি দেয় বরে থানায় জিডি করেছে।
থানার
জিডি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের চরপাথালিয়া নূরুল হুদা
উচচ বিদ্যালয় ঘেঁষে মেসার্স দেওয়ানজী ব্রিকস ম্যানুফ্যাকচারার্স নামে
ইটভাটা করছে। স্কুল সংলগ্ন জমিতে ইটভাটা তৈরি বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসক
বরাবর বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য হুমায়ুন পাটোয়ারী স্কুলের
পক্ষে আবেদন করেন। ৩ অক্টোবর বিদ্যালয়ে সভা চলাকালীন আমুয়াকান্দার আঃ আউয়াল
প্রধান ও শাহজাহান পাটোয়ারীসহ আরো কয়েকজন হুমায়ুন পাটোয়ারীকে বেপরোয়া আচার
আচরনসহ অশ্লীলভাষায় গালমন্দ করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
ওই দিনই মতলব উত্তর থানায় হুমায়ুন পাটোয়ারী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারন ডায়রী করেছে।
ওই দিনই মতলব উত্তর থানায় হুমায়ুন পাটোয়ারী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারন ডায়রী করেছে।
ছেঙ্গারচর পৌর মেয়রের উপর অতর্কিত হামলার চেষ্টা
সাবেক কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা
ছেঙ্গারচর পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম জর্জ পৌরসভার সাবেক কমিশনার খোকন প্রধানের বিরুদ্ধে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেছেন| এ মামলায় এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ|
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার সকাল সোয়া ১১টায় ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম জর্জ মাসিক সভা শেষ করে মোটর সাইকেলযোগে পৌরসভার প্রধান সহকারী মোহাম্মদ উল্যাহসহ পৌরসভা কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ছেংগারচর ডিগ্রি কলেজ গেটের সামনে মাঠের কোণায় তার পথরোধ করে দাঁড়ায় এবং অতর্কিতভাবে প্রাণনাশের হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে সাবেক কমিশনার খোকন প্রধানসহ ক’জন| তারা তাকে মোটরসাইকেল থেকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করে| মেয়র মোটরসাইকেল থেকে না নামায় তাকে জীবননাশের হুমকি দেয়| এ ঘটনা শুনে পৌরসভার সকল কাউন্সিলর ও স্থানীয় লোকজন মেয়রকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে সাবেক কমিশনার মোঃ খোকন প্রধানসহ ১০-১২ জন অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে| এ সময় ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ শাহীনুর বেপারীর গায়ের শার্ট ছিঁড়ে তার পকেটে থাকা টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায় এবং ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জহিরুল হক ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী নূর বেপারীসহ ক’জন আহত হন| এ ঘটনায় মেয়র তাৎক্ষণিক মতলব উত্তর থানায় মামলা করেন|
মামলার এজাহারভুক্ত আসামী পূর্ব শিকিরচর গ্রামের ইউসুফ বেপারীর ছেলে ছেংগারচর বাজারের কলেজ রোডের এশিয়ান টেইলার্স এন্ড ফ্যাশনের মালিক মোঃ মঞ্জুরকে পুলিশ আটক করেছে|
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার সকাল সোয়া ১১টায় ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম জর্জ মাসিক সভা শেষ করে মোটর সাইকেলযোগে পৌরসভার প্রধান সহকারী মোহাম্মদ উল্যাহসহ পৌরসভা কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ছেংগারচর ডিগ্রি কলেজ গেটের সামনে মাঠের কোণায় তার পথরোধ করে দাঁড়ায় এবং অতর্কিতভাবে প্রাণনাশের হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে সাবেক কমিশনার খোকন প্রধানসহ ক’জন| তারা তাকে মোটরসাইকেল থেকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করে| মেয়র মোটরসাইকেল থেকে না নামায় তাকে জীবননাশের হুমকি দেয়| এ ঘটনা শুনে পৌরসভার সকল কাউন্সিলর ও স্থানীয় লোকজন মেয়রকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে সাবেক কমিশনার মোঃ খোকন প্রধানসহ ১০-১২ জন অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে| এ সময় ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ শাহীনুর বেপারীর গায়ের শার্ট ছিঁড়ে তার পকেটে থাকা টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায় এবং ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জহিরুল হক ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী নূর বেপারীসহ ক’জন আহত হন| এ ঘটনায় মেয়র তাৎক্ষণিক মতলব উত্তর থানায় মামলা করেন|
মামলার এজাহারভুক্ত আসামী পূর্ব শিকিরচর গ্রামের ইউসুফ বেপারীর ছেলে ছেংগারচর বাজারের কলেজ রোডের এশিয়ান টেইলার্স এন্ড ফ্যাশনের মালিক মোঃ মঞ্জুরকে পুলিশ আটক করেছে|
চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ চলে খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে!
![]() বাংলাদেশের ৬৪টি সরকারি মহিলা কলেজের মধ্যে অন্যতম ‘চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ’। ফলাফলের দিক থেকে কুমিল্লা বোর্ডে প্রতিবছর সেরা কলেজগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়। |
কিন্তু এ কলেজের ইন্টারমেডিয়েট ও ডিগ্রি (পাস) শাখা মোটামুটি ভালোভাবে চললেও অনার্স কোর্সের শাখাগুলো চলছে খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে।
একলেজে ৩৪টি অনুমোদিত শিক্ষক পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ১৮ জন। এর ফলে, খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে চালানো হচ্ছে, এ কলেজের ৪টি বিষয়ে অনার্স কোর্সের শিক্ষা কার্যক্রম। অনার্স কোর্সের জন্য পদ সৃষ্টির আবেদন করা হলেও এখনও তার অনুমোদন পাওয়া যায়নি। এ কারণে উচ্চাশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ শাখা ও অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
কলেজের ইতিহাস:
১৯৬৪ সালে তৎকালীন মহুমা প্রশাসক মো. নুরুল কাদির খানের (সিএসপি) উদ্যোগে ও চাঁদপুরের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায় নারী শিক্ষা বিস্তারে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর এরশাদ শাসনামলে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। পরে ‘চাঁদপুর মহিলা কলেজ’ নামকরণ থেকে হয়ে যায় ‘চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ।’
চাঁদপুর শহরের হাসান আলী ও গনি মডেল হাইস্কুলের মুসলিম ছাত্রদের আহমেদীয়া হোস্টেল ভবনে চাঁদপুর মহিলা কলেজের প্রথম ক্লাস শুরু হয়।
১৯৬৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক বিভাগ দিয়ে কলেজের পথচলা শুরু। এরপর ১৯৬৫ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা কলেজটির স্বীকৃতি দেয়।
এরপর ১৯৭১ সালে শুরু হয়, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগ ও প্রায় ৪৫ বছর পর ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষে শুরু হয় বাণিজ্যিক বিভাগের কার্যক্রম।
ডিগ্রি পর্যায়ে এ কলেজে বিএ কোর্স চালু হয় ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবর্ষে। বর্তমানে ডিগ্রি পর্যায়ে রয়েছে বিএ ও বিএসএস শাখা।
জেলার একমাত্র সরকারি মহিলা কলেজ হওয়ায় মেয়েদের উচ্চশিক্ষার দ্বার উন্মোচন করার লক্ষে ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে বাংলা ও ইতিহাস বিভাগে নার্স কোর্স চালু হয় এবং ২০০৯ সালে শুরু হয় ইংরেজি ও সমাজকর্ম বিষয়ে অনার্স কোর্স।
সমস্যা যত:
অনার্স কোর্স চালু হলেও এর শিক্ষা কার্যক্রম চলছে খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে। অথচ ৪টি বিষয়ে অর্নাস কোর্স চালু থাকলেও এ শাখাগুলোর জন্য কোনো নতুন পদ সৃষ্টি হয় নি। তাই, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক দিয়েই চলছে অনার্স কোর্সের কার্যক্রম।
এদিকে, ইংরেজি বিভাগের একমাত্র প্রভাষক জে.এম. তছলিম কবির কর্মরত। তিনি কলেজের যোগদানের পর আর কলেজের ধারে-কাছেও আসেননি। জানা যায়, তিনি ঢাকায় প্রাইভেট টিউটর ও ভিন্ন পেশায় কাজ করছেন।
অপরদিকে, ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদা শামছুননাহার কাজে যোগদানের পর আর কলেজে আসেননি।
এ কলেজের বর্তমানে প্রায় ২ হাজার ২শ ছাত্রী পড়াশুনা করছে। এত শিক্ষার্থীর জন্যে ‘স্মৃতি-৭১’ নামে একটিমাত্র ছাত্রী হোস্টেল রয়েছে। এ হোস্টেলে প্রায় ৩শ ছাত্রী আবাসিক সুবিধা পাচ্ছে।
কলেজ ছাত্রী, সুমাইয়া, জান্নাত ফেরদৌসী, আকলিমাসহ আরও একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, ছাত্রীদের আবাসিক সুবিধা দিতে আরও একটি হোস্টেল নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ, অনেক মেয়েরা মেসে (ভাড়া বাড়িতে) থাকতে বাধ্য হওয়া তাদের অনেক দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
এছাড়া মেসে থেকে পড়াশুনা করলে খরচও অনেক বেশি পড়ে যায়, যা পরিবারের পক্ষে অনেক ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে।
ইংরেজি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আফিফা ইসলাম কণা বাংলানিউজকে বলেন, “আমাদের কোনো শিক্ষক নেই। তাই, প্রাইভেট-ই এখন একমাত্র ভরসা। আর নিজে নিজে পড়ে কোনোমতে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছি।”
সমাজকর্ম বিভাগের ছাত্রী আরশিন আরা বলেন, “প্রতিদিন ক্লাসে আসলেও শিক্ষক সংকটের কারণে নিয়মিত ক্লাস হয় না। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।”
অধ্যক্ষের বক্তব্য:
কলেজ অধ্যক্ষ মো. ছাদেকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “আমাদের শিক্ষক সমস্যা থাকলেও খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে তা পুষিয়ে নেওয়া চেষ্টা করে যাচ্ছি। সরকারের কাছে আবেদন করেও আজ পর্যন্ত শিক্ষক সমস্যা নিরসন করতে পারি নি।”
তিনি বলেন, “তবে দেশের নারীদের শিক্ষা বিস্তারে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ ফলাফলের দিক থেকে কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই। তবে শিক্ষক সমস্যা নিরসন হলে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ হবে দেশের নারী শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ।”
ফরাজীকান্দির পীরের দেয়া’র অনুষ্ঠানে বক্তারা শায়খ ডঃ মানযূর আহমাদ ছিলেন একজন খাটি রাসূল প্রেমিক
লেবাছধারী পীর অনেক আছে কিন্তু খাটি পীরের খুবই অভাব। একজন খাটি পীরই পারেন
সাধারন মুসলমানদেরকে হেদায়েতের পথে নিয়ে আসতে। কিন্তু সেই পীরই যদি খাটি
না হন তবে তা কি করে সম্ভব? বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক পীরসাহেবদের দেখ্ছি
কিন্তু শায়খ ডঃ মানযূর আহমেদ ছিলেন সম্পূর্ন আলাদা। তিনি ছিলেন একজন খাটি
রাসূল প্রেমিক। আধ্যাত্বিক বিজ্ঞানী, অলিকুলের শিরমনি, জান্নাতুল বাকীর
বাসিন্দা, আশেকে রাসুল,পরম শ্রদ্ধেয় পীর ক্বিবলা ড. শায়খ মানযূর আহমাদের
শোকসভা ও মিলাদ-মাহফিল ফরাজিকান্দি দরবার শরীফের ফাতেমা তুয-জোহরা জামে
মসজিদ ময়দানে অনুষ্ঠিত গতকাল শুক্রবারের শোকসভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানে বক্তারা
একথাগুলো বলেন।

এ
সময় উপস্থিত ছিলেন, মরহুম পীরের সুযোগ্যপুত্র পীরজাদা হযরত মাওলানা মাসুদ
আহমেদ, হাসিমপুর দরবার শরীফের পীর হযরত মাওলানা আশফাক আহমেদ,উপজেলা
নির্বাহী অফিসার আবু আলী মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, মতলব উত্তর থানা অফিসার্স
ইনচার্জ রুস্তম আলী সিকদার পিপিএম, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
এড. রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সম্পাদক এড.নূরুল আমিন
রুহুল, জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ,
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীসহ বিভিন্ন রাজনীতি দলের নেতৃবৃন্দ,
বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভক্তগন ও সাধারন মানুষ।শোক সভা পরিচালনা করেন,ডাঃ
ইসমাইল হোসেন মিয়াজী ও মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। বাদ জুম্মা মিলাদ-মাহফিল ও
মোনাজাত করা হয়। মিলাদ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, মাওলানা সিরাজ উদদৌলা।
অনুষ্ঠানে ৩০ সহস্রাধিক ধর্মপ্রান মুসলমানের সমাগন ঘটে।
ইলিশের পেটে সেই বড় ডিম কোথায়?
আকারে ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম। এমনকি ১ কেজি পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। কিন্ত এখনতো
মাছের প্রজনন মৌসুম। বড় মা ইলিশের পেটেতো বড় আকারের ডিম থাকার কথা কিন্তু
সেই ডিম কোথায়? চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বয়স্ক কয়েকজন জেলের সাথে কথা
হলে তারা হতাশা প্রকাশে এমন কথাই জানালেন। তারা আরো জানান, মা ইলিশ ডিম
ছাড়ার মৌসুমে সরকার যহন আমগোরে ইলিশ ধরতে মানা করে অন্যান্য বছর এই সময় মা
ইলিশের পেটে অনেক বড় বড় ডিম দেখতাম কিন্তু এই মৌসুমে মা ইলিশের পেটের ডিমতো
একদম ছোট। মনেঅয় এইবার ডিম ছাড়ার সময়ডা আরো পরে অইবো কিন্ত তহনতো সরকারের
মাছ ধরার নিষেধ থাকতোনা। তহন সব ইলিশ মানুষের পেটে গেলেগা ডিম ছাড়ার ইলিশতো
আর থাকতোনা। মাছ কিনে আনা কয়েকজনের সাথে কথা বলে ইলিশের পেটের ডিম এখনো বড়
না হওয়ার বিষয়ের সত্যতাও পাওয়া গেলো।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ মৃধা বলেন, আসলে আমাদের
কাজ হলো সরকারের নির্দেশনা পালন করা। আর ৫ অক্টোবর পর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত
আছে তা পালন করার চেষ্টা করছি। তবে মা ইলিশের পেটের ডিম এখনো বড় হয়নি তাই
মা ইলিশ ধরার সময়সীমা আরো বারানোর প্রয়োজন সরকার মনে কররে এবং আমাদে কে তা
জানাবে আমরা সে মোতাবেক কাজ করবো।
যুবলীগ নেতা খবির হত্যার প্রতিবাদে
নওগাঁবাসীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
মতলবে যুবলীগ নেতা ও স্থানীয় এমপির পিএস খবির হোসেন হত্যার প্রতিবাদে আবারো পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে| নওগাঁবাসী খবির হত্যার নেপথ্যে থাকা মূল হোতাদের গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে|
গত ৫ অক্টোবর শুক্রবার বাদ জুমা নওগাঁবাসী একত্রিত হয়ে পুরো এলাকা জুড়ে খবির হোসেন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে| সাবেক ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে বিশাল বিক্ষোভ মিছিলে পুরো এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে| এলাকাবাসী জানায়, যাঁদের নেপথ্য সহযোগিতায় জঘন্যতম এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে পুলিশ এখনো তাদের আটক করেনি|
গত ৫ অক্টোবর শুক্রবার বাদ জুমা নওগাঁবাসী একত্রিত হয়ে পুরো এলাকা জুড়ে খবির হোসেন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে| সাবেক ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে বিশাল বিক্ষোভ মিছিলে পুরো এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে| এলাকাবাসী জানায়, যাঁদের নেপথ্য সহযোগিতায় জঘন্যতম এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে পুলিশ এখনো তাদের আটক করেনি|
মতলব
উত্তরের ফরাজিকান্দি আল-উয়েসিয়া দরবার শরীফের পীর সাহেব, নেদায়ে ইসলামের
চেয়ারম্যান আলস্নামা শায়খ ড. মানযূর আহমাদ রেফায়ী (রঃ)-এর শোকসভা ও মিলাদ
মাহফিল গতকাল শুক্রবার দরবার শরীফ কমপেস্নঙ&ধসঢ়; েঅনুষ্ঠিত হয়| দরবার
শরীফের অসংখ্য ভক্ত-মুরীদ ও আশেকান এতে অংশ নেয়| অসংখ্য-অগণিত ভক্ত একদিকে
যেমন তাদের প্রাণপ্রিয় পীর কেবলাকে হারিয়ে শোকাহত ছিলো, আবার অন্যদিকে
তারা মহা আনন্দিতও ছিলো| ভক্তরা মহা খুশি এ জন্য যে, ফরাজিকান্দি দরবার
শরীফের কর্ণধার, তাদের প্রাণপ্রিয় মোর্শেদ নবী করিম (দঃ)-এর রওজা পাকের
সনি&ধসঢ়;নকটে জান্নাতুল বাকীতে চির নিদ্রায় শায়িত হওয়ায় এখন এ দদ্যোগে
শোকসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়| এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার
থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দরবার শরীফের ভক্ত ও মুরীদরা আসতে থাকে|
গতকাল সকাল থেকে ভক্তদের ঢল নামে দরবার শরীফে| দরবার শরীফের
ফাতেমাতুজ&ধসঢ়; জোহরা জামে মসজিদে এ শোকসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
হয়| জুমার নামাজের আগেই পুরো মসজিদ ছাপিয়ে সামনে বিশাল ময়দান কানায় কানায়
পূর্ণ হয়ে যায়| ছুটে রবারের ঠিকানা হয়ে গেলো মদিনাতুল মোনাওয়ারায়
জান্নাতুল বাকীতে| হুজুর কেবলা জান্নাতুল বাকীর বাসিন্দা হয়ে প্রমাণ করলেন
সত্যিই তিনি একজন খাঁটি রাসূল প্রেমিক ছিলেন| এর চেয়ে সৌভাগ্য এবং পরম
পাওয়া এ দরবারের ভক্তদের জন্য আর কী হতে পারে| গতকাল ফরাজিকান্দি দরবার
শরীফে আসা অগণিত ভক্ত ও মুরীদ এভাবেই তাদের আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশ করলেন|
গত ১ অক্টোবর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় শায়খ মানযূর আহমাদ রেফায়ী (রঃ) মদিনা শরীফে ইন্তেকাল করেন| ওইদিন বাদ আছর তাঁকে নবীজীর রওজা পাকের কাছে জান্নাতুল বাকীতে সমাহিত করা হয়| গতকাল শুক্রবার ফরাজিকান্দি আল-উয়েসিয়া দরবার শরীফের উ আসেন সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) ও মোঃ নূরুল হুদাসহ দলমত নির্বিশেষে এ দরবারের ভক্ত রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ডাক্তার, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিগণ|
ফজর নামাজের পর থেকেই মিলাদ মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়| পবিত্র কোরআন খতম, তরিকতের বিভিন্ন খতম, নাতে রাসূল (দঃ) ও শানে মুর্শিদী পাঠ চলতে থাকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত| এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে শোকসভার কার্যক্রম শুরু হয়| পীর সাহেব হুজুরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন মেজর জেনারেল এহতেশাম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোঃ নুরুল হুদা, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান, নেদায়ে ইসলামের কর্মকর্তা আলহাজ্ব রহমত উলস্না, ডাঃ আমিরুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, মাওঃ মোঃ আতাউর রহমান, মাওঃ মোঃ আবুল কালাম, আলহাজ্ব সুফি মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ সাইফুল ইসলাম, আলহাজ্ব কাজী মোঃ কিবরিয়া, আলহাজ্ব মাওঃ তাজুল ইসলাম, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল হক সরকার, ফরাজিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ, মরহুম পীর সাহেবের ভগি&ধসঢ়;নপতি আলী আজগর, ছোট ভাই মোকাদ্দেছ প্রমুখ| উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ শুক্কুর পাটওয়ারী, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ রুস্তম আলী শিকদার পিপিএম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সম্পাদক অ্যাডঃ নুরুল আমিন রুহুল, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, মরহুম পীর সাহেব হুজুরের ছোট ছেলে মাওঃ মাসউদ আহমাদ, হুজুরের ভাগিনা হাসিমপুর দরবার শরীফের পীর মাওঃ আশফাক আহমাদ, নওগাঁও ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ জাকারিয়া আল মাদানী, চাঁদপুর জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওঃ আবু জাফর মোঃ মাঈনুদ্দিন, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ| অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডাঃ ইসমাইল হোসেন মিয়াজী ও মোঃ দেলোয়ার হোসেন|
জুমার নামাজের পর মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়| মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন ফাতেমাতুজ&ধসঢ়; জোহরা জামে মসজিদের খতিব মাওঃ সিরাজ-উদ&ধসঢ়;-দৌলা| উল্লেখ্য, শায়খ মানযূর আহমাদ (রাঃ)-এর ওছিয়ত অনুযায়ী ফরাজিকান্দি দরবার শরীফের গদ্দীনশীন পীরের দায়িত্ব দেয়া হয় পীর সাহেব হুজুরের ছোট ভাই আলস্নামা মোস্তাক আহমাদকে| তিনি বর্তমানে আমেরিকায় অবস্থান করছেন| গতকাল শোকসভা ও মিলাদ অনুষ্ঠানে দোয়ার আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে তিনি সংক্ষিপ্ত বয়ান রাখেন| এ সময় তিনি দরবারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনায় সকলের সহযোগিতা চান| সবশেষে তবররুক বিতরণ করা হয়|
গত ১ অক্টোবর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় শায়খ মানযূর আহমাদ রেফায়ী (রঃ) মদিনা শরীফে ইন্তেকাল করেন| ওইদিন বাদ আছর তাঁকে নবীজীর রওজা পাকের কাছে জান্নাতুল বাকীতে সমাহিত করা হয়| গতকাল শুক্রবার ফরাজিকান্দি আল-উয়েসিয়া দরবার শরীফের উ আসেন সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) ও মোঃ নূরুল হুদাসহ দলমত নির্বিশেষে এ দরবারের ভক্ত রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, ডাক্তার, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিগণ|
ফজর নামাজের পর থেকেই মিলাদ মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়| পবিত্র কোরআন খতম, তরিকতের বিভিন্ন খতম, নাতে রাসূল (দঃ) ও শানে মুর্শিদী পাঠ চলতে থাকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত| এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে শোকসভার কার্যক্রম শুরু হয়| পীর সাহেব হুজুরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন মেজর জেনারেল এহতেশাম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোঃ নুরুল হুদা, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান, নেদায়ে ইসলামের কর্মকর্তা আলহাজ্ব রহমত উলস্না, ডাঃ আমিরুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, মাওঃ মোঃ আতাউর রহমান, মাওঃ মোঃ আবুল কালাম, আলহাজ্ব সুফি মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ সাইফুল ইসলাম, আলহাজ্ব কাজী মোঃ কিবরিয়া, আলহাজ্ব মাওঃ তাজুল ইসলাম, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল হক সরকার, ফরাজিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ, মরহুম পীর সাহেবের ভগি&ধসঢ়;নপতি আলী আজগর, ছোট ভাই মোকাদ্দেছ প্রমুখ| উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ শুক্কুর পাটওয়ারী, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ রুস্তম আলী শিকদার পিপিএম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সম্পাদক অ্যাডঃ নুরুল আমিন রুহুল, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু, মরহুম পীর সাহেব হুজুরের ছোট ছেলে মাওঃ মাসউদ আহমাদ, হুজুরের ভাগিনা হাসিমপুর দরবার শরীফের পীর মাওঃ আশফাক আহমাদ, নওগাঁও ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ জাকারিয়া আল মাদানী, চাঁদপুর জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওঃ আবু জাফর মোঃ মাঈনুদ্দিন, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ| অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডাঃ ইসমাইল হোসেন মিয়াজী ও মোঃ দেলোয়ার হোসেন|
জুমার নামাজের পর মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়| মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন ফাতেমাতুজ&ধসঢ়; জোহরা জামে মসজিদের খতিব মাওঃ সিরাজ-উদ&ধসঢ়;-দৌলা| উল্লেখ্য, শায়খ মানযূর আহমাদ (রাঃ)-এর ওছিয়ত অনুযায়ী ফরাজিকান্দি দরবার শরীফের গদ্দীনশীন পীরের দায়িত্ব দেয়া হয় পীর সাহেব হুজুরের ছোট ভাই আলস্নামা মোস্তাক আহমাদকে| তিনি বর্তমানে আমেরিকায় অবস্থান করছেন| গতকাল শোকসভা ও মিলাদ অনুষ্ঠানে দোয়ার আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে তিনি সংক্ষিপ্ত বয়ান রাখেন| এ সময় তিনি দরবারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনায় সকলের সহযোগিতা চান| সবশেষে তবররুক বিতরণ করা হয়|
আধ্যাত্বিক বিজ্ঞানী অলিকুলে শিরমনি, মুজাদ্দেদে জামান, জান্নাতুল
বাকীর বাসিন্দা, আশেকে রাসুল, পরম শ্রদ্ধেয় পীর ক্বিবলা ড. শায়খ মানযূর
আহমাদের শোকসভা ও মিলাদ-মাহফিল ফরাজিকান্দি দরবার শরীফের ফাতেমাতুজ্জোহরা
জামে মসজিদে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। আশেকানে উয়েসীয় দরবার শরীফ ফরাজীকান্দি
আয়োজিত শোকসভায় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন
সম্পাদকসাবেক প্রতিমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সাবেক প্রতিমুন্ত্রী জননেতা নুরুল হুদা
প্রশাসন নিশ্চুপ ! মতলবের মেঘনার পাড়ে সন্ধ্যার পরেই ইলিশের হাট

সন্ধ্যার
পরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনার পাড়ে বসে ইলিশের হাট, চলে
মধ্যরাত পর্যন্ত। দিনের আলোয় ইলিশ মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে মানুষের বাড়ী বাড়ী
গিয়ে ফেরী করে। প্রশাসন মা ইলিশকে রক্ষার জন্য মাঝে মধ্যে দিনের আলোয় নদীতে
অভিযান চালালেও সন্ধ্যা নামতেই নদীর দখল থাকে জেলেদের কাছে। মা ইলিশ ধরা
পড়ছে ঝাঁকেঝাঁকে এবং তা বিক্রি হচ্ছে পানির দামে।
খোজখবর নিযে জানা
যায়, উপজেলার মেঘনা নদীর পাড়ের স্থায়ী মৎস্য আড়ৎগুলোতে ইলিশ মাছ না পাওয়া
গেলেও মেঘনা পাড়ের লঞ্চঘাটগুলোর সংলগ্ন অঞ্চলে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এই ইলিশ
মাছ। এর মধ্যে জয়পুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন অঞ্চল, এখলাছপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন অঞ্চল,
দশানী লঞ্চঘাট সংলগ্ন অঞ্চল, ছটাকী ও ষাটনল অঞ্চলে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে
অবলিলায়।
দিনের বেলাতে জেলেদের মাঝে পুলিশী আতংক থাকলেও সন্ধ্যার পর
পুলিশী আতংক কেটে যায়। তখন জেলেরা নির্দিধায় প্রজননের জন্য মেঘনা নদীতে আসা
মা ইলিশ গুলো ধরছে ঝাঁকেঝাঁকে। আর এর নেপথ্যে কাজ করছে স্থানীয় কিছু
প্রভাবশালী লোক। যাদের সাহস যোগানোর কারনেই জেলেদের বড় একটি অংশ একাজে সাহস
পাচ্ছে। দিনের বেলাতে মাঝে মধ্যে প্রশাসন পুলিশ নিয়ে নদীতে অভিযান চালালেও
সন্ধ্যার পর প্রশাসন থাকে অনুপস্থিত। আর এসময় মা ইলিশ শিকার ও বিক্রির
উৎসবমুখর দৃশ্য দেখলে প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়েতো প্রশ্ন উঠতেই পাড়ে।
উপজেলা
মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ মৃধা বলেন, উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ
পর্যন্ত এতো বিশাল অঞ্চল ১১ দিন দেখাশুনার জন্য সরকারী বরাদ্ধ পাওয়াগেছে
মাত্র ৫ হাজার টাকা। অঞ্চল ও কাজের তুলনায় যা খুবই সামান্য।
গত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার ৯ দিনে মৎস্য বিভাগ পুলিশ নিয়ে মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে মাত্র ৪ দিন।
১০ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সংবর্ধনা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, চাঁদপুর-১ আসনের সাংসদ, চাঁদপুর জেলার কৃতী সন্তান ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সদ্য নিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে সংবর্ধনা প্রদানের আয়োজন করা হয়েছে|
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় আগামী ১০ অক্টোবর বুধবার দুপুর ২টায় চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতব্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি| জেলা আওয়ামী লীগের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন এ পর্যায়ে গণ সংবর্ধনায় পরিণত হতে যাচ্ছে|
সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, চাঁদপুর-৫ আসনের সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম, চাঁদপুর-২ আসনের সাংসদ এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) মোঃ রফিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য সুজিত রায় নন্দী| সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া| সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দেশ প্রেমিক নাগরিকসহ দলীয় নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষজনকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী|
আগামীতে বিএনপি’র কর্মসূচিতে বাঁধা দিলে থানা ঘেরাও করা হবে ……..সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোঃ নূরুল হুদা
গজরা ইউনিয়ন যুবদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র অন্যতম সম্মানীত সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোঃ নূরুল হুদা বলেন, “গজরায় অনুষ্ঠিতব্য যুবদলের সম্মেলন স্থলে আওয়ামীলীগের নির্দেশে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করেছে। সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর পুলিশ তা পন্ড করে দেয় আওয়ামীলীগ নেতার কথায়। ওসি-ইউএনও আপনারা নিজ দায়িত্ব পালন করবেন। আগামীতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কর্মসূচতে বাঁধা দিলে থানা ঘেরাও করা হবে।বর্তমান আওয়ামী সরকারের দেশ শাসনের ইতিহাসকে সবচেয়ে বর্বর ও কলঙ্কখচিত আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “সরকার দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে নয়, বরং শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের একচ্ছত্র ও স্বৈরাচারী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।”তিনি বলেন, “দেশের সাধারণ মানুষের এ কথা আর বুঝতে বাকি নেই যে, এ সরকার দেশ থেকে সব রাজনৈতিক দল ও মতকে নিশ্চিহ্ন করে কেবল নিজেদের নব্য বাকশালী শাসনকে চিরস্থায়ী রূপ দেওয়ার জন্যই মানুষের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারের ওপর আঘাত হানা অব্যাহত রেখেছে। বর্তমান সরকার তাদের হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত করতেই বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ যে কোন কর্মসূচিতে বাধা, হামলা, জুলুম-নির্যাতন এবং ১৪৪ ধারা জারিসহ তোরণ, ফেস্টুন, লিফলেট ও ব্যানারে অগ্নিসংযোগ রুটিন ওয়ার্কে পরিণত করেছে। এছাড়া পুলিশের ছত্রছায়ায় সরকারের লালিত সন্ত্রাসী যুবলীগ-ছাত্রলীগের গুন্ডারা খুন, গুম, জখম, দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির মত অপকর্মের মাধ্যমে দেশকে এক চরম সংঘর্ষ ও নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে দেশবাসী এখন গভীরভাবে উৎকন্ঠিত ও হতাশাগ্রস্ত। আজ গজরার সম্মেলন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নগ্নœ হামলার মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের ফ্যাসিবাদি আচরণেরই আর একটি নগ্ন চরিত্র উন্মোচিত হলো।”
গত মঙ্গলবার বিকেলে রাজুরকান্দি মহসিন সরকারের বাড়ীতে গজরা ইউনিয়ন যুবদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবু সৈয়দ গোলাম রাব্বানী মামুন। ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ ইকবাল হোসেন মেম্বারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ নাজমুল হুদা ডলারের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন সরকার, ছেংগারচর পৌর বিএনপির সভাপতি খোরশেদ আলম মোল্যা, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মহসিন সরকার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, কৃষকদলের সাবেক সভাপতি আনিছুজ্জামান আনিছ, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া মঞ্জুর আমিন স্বপন, যুগ্ন আহ্বায়ক রাশেদ সরকার মেনন, কবির হোসেন মজুমদার, মোঃ শাহআলম ভূঁইয়া, গজরা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নেয়ামত উল্যাহ খোকন, মামুন মনির প্রমূখ।
মতলবে মাদকসেবীর ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড
মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ কর্তৃক আটক মাহফুজ মিয়া (৩২) নামে এক মাদকসেবীকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত| গতকাল ৩ অক্টোবর মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ রায় প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ| গত মঙ্গলবার মতলব বাজারের জগন্নাথ মন্দির এলাকায় দিন-দুপুরে মাহফুজ মদ পান করে মাতলামি করাবস্থায় থানার এএসআই মনির তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়| তার গ্রামের বাড়ি মতলব পৌরসভার দক্ষিণ বাইশপুরে|
ফরাজিকান্দির পীর শায়খ মানযূর আহমাদ আর বেঁচে নেইমদিনা শরীফে ইন্তেকাল সেখানেই দাফন : সর্বত্র শোকের ছায়া
আধ্যাত্বিক বিজ্ঞানী অলিকুলে শিরমনি, মুজাদ্দেদে জামান, জান্নাতুল
বাকীর বাসিন্দা, আশেকে রাসুল, পরম শ্রদ্ধেয় পীর ক্বিবলা ড. শায়খ মানযূর
আহমাদের শোকসভা ও মিলাদ-মাহফিল ফরাজিকান্দি দরবার শরীফের ফাতেমাতুজ্জোহরা
জামে মসজিদে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। আশেকানে উয়েসীয় দরবার শরীফ ফরাজীকান্দি
আয়োজিত শোকসভায় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন
সম্পাদকসাবেক প্রতিমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সাবেক প্রতিমুন্ত্রী জননেতা নুরুল হুদা
প্রশাসন নিশ্চুপ ! মতলবের মেঘনার পাড়ে সন্ধ্যার পরেই ইলিশের হাট

সন্ধ্যার
পরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনার পাড়ে বসে ইলিশের হাট, চলে
মধ্যরাত পর্যন্ত। দিনের আলোয় ইলিশ মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে মানুষের বাড়ী বাড়ী
গিয়ে ফেরী করে। প্রশাসন মা ইলিশকে রক্ষার জন্য মাঝে মধ্যে দিনের আলোয় নদীতে
অভিযান চালালেও সন্ধ্যা নামতেই নদীর দখল থাকে জেলেদের কাছে। মা ইলিশ ধরা
পড়ছে ঝাঁকেঝাঁকে এবং তা বিক্রি হচ্ছে পানির দামে।
খোজখবর নিযে জানা
যায়, উপজেলার মেঘনা নদীর পাড়ের স্থায়ী মৎস্য আড়ৎগুলোতে ইলিশ মাছ না পাওয়া
গেলেও মেঘনা পাড়ের লঞ্চঘাটগুলোর সংলগ্ন অঞ্চলে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এই ইলিশ
মাছ। এর মধ্যে জয়পুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন অঞ্চল, এখলাছপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন অঞ্চল,
দশানী লঞ্চঘাট সংলগ্ন অঞ্চল, ছটাকী ও ষাটনল অঞ্চলে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে
অবলিলায়।
দিনের বেলাতে জেলেদের মাঝে পুলিশী আতংক থাকলেও সন্ধ্যার পর
পুলিশী আতংক কেটে যায়। তখন জেলেরা নির্দিধায় প্রজননের জন্য মেঘনা নদীতে আসা
মা ইলিশ গুলো ধরছে ঝাঁকেঝাঁকে। আর এর নেপথ্যে কাজ করছে স্থানীয় কিছু
প্রভাবশালী লোক। যাদের সাহস যোগানোর কারনেই জেলেদের বড় একটি অংশ একাজে সাহস
পাচ্ছে। দিনের বেলাতে মাঝে মধ্যে প্রশাসন পুলিশ নিয়ে নদীতে অভিযান চালালেও
সন্ধ্যার পর প্রশাসন থাকে অনুপস্থিত। আর এসময় মা ইলিশ শিকার ও বিক্রির
উৎসবমুখর দৃশ্য দেখলে প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়েতো প্রশ্ন উঠতেই পাড়ে।
উপজেলা
মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ মৃধা বলেন, উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ
পর্যন্ত এতো বিশাল অঞ্চল ১১ দিন দেখাশুনার জন্য সরকারী বরাদ্ধ পাওয়াগেছে
মাত্র ৫ হাজার টাকা। অঞ্চল ও কাজের তুলনায় যা খুবই সামান্য।
গত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার ৯ দিনে মৎস্য বিভাগ পুলিশ নিয়ে মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে মাত্র ৪ দিন।
১০ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সংবর্ধনা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, চাঁদপুর-১ আসনের সাংসদ, চাঁদপুর জেলার কৃতী সন্তান ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সদ্য নিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে সংবর্ধনা প্রদানের আয়োজন করা হয়েছে|
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় আগামী ১০ অক্টোবর বুধবার দুপুর ২টায় চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতব্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি| জেলা আওয়ামী লীগের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন এ পর্যায়ে গণ সংবর্ধনায় পরিণত হতে যাচ্ছে|
সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, চাঁদপুর-৫ আসনের সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম, চাঁদপুর-২ আসনের সাংসদ এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) মোঃ রফিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য সুজিত রায় নন্দী| সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া| সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দেশ প্রেমিক নাগরিকসহ দলীয় নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষজনকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী|

প্রশাসন নিশ্চুপ ! মতলবের মেঘনার পাড়ে সন্ধ্যার পরেই ইলিশের হাট

সন্ধ্যার পরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনার পাড়ে বসে ইলিশের হাট, চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। দিনের আলোয় ইলিশ মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে মানুষের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ফেরী করে। প্রশাসন মা ইলিশকে রক্ষার জন্য মাঝে মধ্যে দিনের আলোয় নদীতে অভিযান চালালেও সন্ধ্যা নামতেই নদীর দখল থাকে জেলেদের কাছে। মা ইলিশ ধরা পড়ছে ঝাঁকেঝাঁকে এবং তা বিক্রি হচ্ছে পানির দামে।
খোজখবর নিযে জানা যায়, উপজেলার মেঘনা নদীর পাড়ের স্থায়ী মৎস্য আড়ৎগুলোতে ইলিশ মাছ না পাওয়া গেলেও মেঘনা পাড়ের লঞ্চঘাটগুলোর সংলগ্ন অঞ্চলে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এই ইলিশ মাছ। এর মধ্যে জয়পুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন অঞ্চল, এখলাছপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন অঞ্চল, দশানী লঞ্চঘাট সংলগ্ন অঞ্চল, ছটাকী ও ষাটনল অঞ্চলে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে অবলিলায়।
দিনের বেলাতে জেলেদের মাঝে পুলিশী আতংক থাকলেও সন্ধ্যার পর পুলিশী আতংক কেটে যায়। তখন জেলেরা নির্দিধায় প্রজননের জন্য মেঘনা নদীতে আসা মা ইলিশ গুলো ধরছে ঝাঁকেঝাঁকে। আর এর নেপথ্যে কাজ করছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক। যাদের সাহস যোগানোর কারনেই জেলেদের বড় একটি অংশ একাজে সাহস পাচ্ছে। দিনের বেলাতে মাঝে মধ্যে প্রশাসন পুলিশ নিয়ে নদীতে অভিযান চালালেও সন্ধ্যার পর প্রশাসন থাকে অনুপস্থিত। আর এসময় মা ইলিশ শিকার ও বিক্রির উৎসবমুখর দৃশ্য দেখলে প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়েতো প্রশ্ন উঠতেই পাড়ে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ মৃধা বলেন, উপজেলার ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত এতো বিশাল অঞ্চল ১১ দিন দেখাশুনার জন্য সরকারী বরাদ্ধ পাওয়াগেছে মাত্র ৫ হাজার টাকা। অঞ্চল ও কাজের তুলনায় যা খুবই সামান্য।
গত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার ৯ দিনে মৎস্য বিভাগ পুলিশ নিয়ে মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে মাত্র ৪ দিন।
১০ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সংবর্ধনা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় আগামী ১০ অক্টোবর বুধবার দুপুর ২টায় চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতব্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি| জেলা আওয়ামী লীগের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন এ পর্যায়ে গণ সংবর্ধনায় পরিণত হতে যাচ্ছে|
সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, চাঁদপুর-৫ আসনের সাংসদ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম, চাঁদপুর-২ আসনের সাংসদ এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) মোঃ রফিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য সুজিত রায় নন্দী| সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া| সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দেশ প্রেমিক নাগরিকসহ দলীয় নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষজনকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী|
আগামীতে বিএনপি’র কর্মসূচিতে বাঁধা দিলে থানা ঘেরাও করা হবে ……..সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোঃ নূরুল হুদা

তিনি বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে দেশবাসী এখন গভীরভাবে উৎকন্ঠিত ও হতাশাগ্রস্ত। আজ গজরার সম্মেলন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নগ্নœ হামলার মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের ফ্যাসিবাদি আচরণেরই আর একটি নগ্ন চরিত্র উন্মোচিত হলো।”
গত মঙ্গলবার বিকেলে রাজুরকান্দি মহসিন সরকারের বাড়ীতে গজরা ইউনিয়ন যুবদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবু সৈয়দ গোলাম রাব্বানী মামুন। ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ ইকবাল হোসেন মেম্বারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ নাজমুল হুদা ডলারের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন সরকার, ছেংগারচর পৌর বিএনপির সভাপতি খোরশেদ আলম মোল্যা, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মহসিন সরকার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, কৃষকদলের সাবেক সভাপতি আনিছুজ্জামান আনিছ, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া মঞ্জুর আমিন স্বপন, যুগ্ন আহ্বায়ক রাশেদ সরকার মেনন, কবির হোসেন মজুমদার, মোঃ শাহআলম ভূঁইয়া, গজরা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নেয়ামত উল্যাহ খোকন, মামুন মনির প্রমূখ।
মতলবে মাদকসেবীর ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড
মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ কর্তৃক আটক মাহফুজ মিয়া (৩২) নামে এক মাদকসেবীকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত| গতকাল ৩ অক্টোবর মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাকক্ষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ রায় প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ| গত মঙ্গলবার মতলব বাজারের জগন্নাথ মন্দির এলাকায় দিন-দুপুরে মাহফুজ মদ পান করে মাতলামি করাবস্থায় থানার এএসআই মনির তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়| তার গ্রামের বাড়ি মতলব পৌরসভার দক্ষিণ বাইশপুরে|
ফরাজিকান্দির পীর শায়খ মানযূর আহমাদ আর বেঁচে নেইমদিনা শরীফে ইন্তেকাল সেখানেই দাফন : সর্বত্র শোকের ছায়া
দেশবরেণ্য আলেমে দ্বীন, আধ্যাত্মিক প্রাণপুরুষ, একজন খাঁটি রাসূল প্রেমিক, বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মতলব উত্তরের ফরাজীকান্দি দরবার শরীফের পীর সাহেব ও নেদায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান আল্লামা শায়খ ড. মানযূর আল-আহমাদী উয়েসী রিফায়ী আর বেঁচে নেই| তিনি পবিত্র মদিনা শরীফে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিলল্লাহে....রাজেউন)| তিনি পবিত্র হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে মদিনায় অবস্থান করছিলেন| ওফাতকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭১ বছর| তাঁর এই আকস্মিক ইন্তেকালে দেশব্যাপী ভক্তবৃন্দ তথা মতলবের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে| গতকাল বাদ আসর মদিনা শরীফে তাঁর জানাজা নামাজ শেষে জান্নাতুল বাকীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়| বিষয়টি যেনো যাঁর প্রেমিক তাঁর কাছেই শুয়ে গেলেন এই নির্ভেজাল রাসূল প্রেমিক|
তাঁর পারিবারিক ও ভক্তদের সূত্রে জানা যায়, তিনি গেলো রমজান মাসে মদিনা শরীফে মসজিদে নববীতে ইতেকাফে ছিলেন| এরপর ১৫/২০ দিন আগে তিনি দেশে এসেছেন| গত ৩/৪ দিন আগে তিনি হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে আবার সৌদি আরব যান| সৌদি আরব গিয়েই তিনি মদিনা শরীফ চলে যান এবং রাসূল পাক (সাঃ)-এর রওজার পাশে অবস্থান করছিলেন| আর এ অবস্থায়ই তিনি ইহজগত ত্যাগ করেন| তাঁর ভক্তরা আরো জানান, হুজুর কেবলা দয়াল নবীজীর শানে অসংখ্য নাতে রাসূল ও কাসীদা লিখেছেন এবং তিনি নিজেই সুর করেছেন| তিনি সব সময় রাসূল (সাঃ)কে উদ্দেশ্য করে এই পংক্তি সুর দিয়ে পাঠ করতেন ’দিওনা রাসূলাল্লাহ দিওনা বিদায়, ভুলনা হাবীবাল্লাহ ভুলনা আমায়|’ আল্লাহ তাঁর মনের এই বাসনাই কবুল করলেন| তিনি এই পংক্তিটি যখন পাঠ করতেন তখন তাঁর চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরতো|
আল্লামা শায়খ ড. মানযূর আল-আহমাদী উয়েসী রিফায়ী শুধু ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিতই ছিলেন না, আধুনিক সব ধরনের শিক্ষাই তিনি গ্রহণ করেন| তিনি একজন আধ্যাত্মিক সাধকও ছিলেন| বিভিন্ন&ধসঢ়; বিভাগের শিক্ষা গ্রহণে তিনি ছিলেন বরাবরই প্রথম স্থান অধিকারী| তিনি বিএ (অনার্স), এলএলবি (ফার্স্ট ক্লাস), মমতাজুল মোহাদ্দেসীন, মমতাজুল ফোকাহা (ফার্স্ট ক্লাস), ডিপ্লোমা (ইউএল), এফসিটি (ফার্স্ট ক্লাস), এমএ (ফার্স্ট ক্লাস), পিএইচডি (গবেষক) ডিগ্রি লাভ করেন|
শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ফরাজীকান্দি উয়েসীয়া কামিল মাদ্রাসা| ফরাজীকান্দির মতো নিভৃত এক পল্লীতে তিনি গড়ে তোলেন বিশাল কমপ্লেক্স| নারী শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন নেদায়ে ইসলাম মহিলা ফাযিল মাদ্রাসা| তাঁর প্রচেষ্টাতেই প্রক্রিয়াধীন আছে নেদায়ে ইসলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়| সাড়ে ৩ শতাধিক এতিমদের লালন-পালনের জন্যে নির্মিত হয় আল-আমিন এতিমখানা| চিকিৎসার জন্যে তিনি তৈরি করেন খাজা গরীবে নেওয়াজ হাসপাতাল ও ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিক| এতিমদের পুঁথিগত বিদ্যা শিক্ষার পাশাপাশি টেকনিক্যাল শিক্ষারও ব্যবস্থা করে দেন তিনি| এ ছাড়াও কৃষি, মৎস্য, পোল্ট্রি, গো পালনসহ বিভিন্ন কাজে হাতে-কলমে পারদর্শী করে গড়ে তুলতেন এই এতিমদের|
শিক্ষা বিস্তার ও মানব কল্যাণে এক অনন্য ভূমিকা পালন করার মধ্য দিয়ে তিনি চাঁদপুর জেলাতে এক অনন্য ইতিহাস স্থাপন করেছেন|
আজ মঙ্গলবার ঐতিহাসিক ফরাজীকান্দি কমপ্লেক্সে শায়খ মানযূর আহমাদের ইন্তেকালে দিনব্যাপী কোরআনখানি, মিলাদ, ফাতেহা, বিভিন্ন খতম ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে|
মতলব উত্তরে বেসরকারি শিক্ষকদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বিদায়ী জেলা প্রশাসককে মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সংবর্ধনা
সাংবাদিকদের সহযোগিতা পেয়েছি বিধায় সকল উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখতে পেরেছি
চাঁদপুরের বিদায়ী জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) প্রিয়তোষ সাহা বলেছেন, আমি চাঁদপুরে সকল ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতা পেয়েছি বিধায় সকল উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখতে পেরেছি| চাঁদপুর হচ্ছে আমার কর্মজীবনের প্রিয় জেলা| জেলা প্রশাসক হিসেবে মতলব দক্ষিণে বেশ ক’বার এসেছি| মতলববাসীর অনেক আতিথেয়তা পেয়েছি| মতলবের আইনশৃঙ্খলা, উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রে আমি সহযোগিতা পেয়েছি| তিনি বলেন, মতলবের মরহুম ফ্লাঃ লেঃ (অবঃ) এ.বি. সিদ্দিক, মরহুম মোলস্না মোঃ রিয়াছত উল্যাহ ছিলেন জ্ঞানী ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য| স্থানীয় সংসদ সদস্য এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) এম. রফিকুল ইসলাম ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমসহ মতলববাসী মতলবের উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে আমাকে সহযোগিতা করেছেন| গতকাল ২ অক্টোবর মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন|
মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ শুক্কুর পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সাপ্তাহিক দিবাকণ্ঠ ও মতলবের জনপদের সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাসের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ, মতলব পৌরসভার মেয়র এনামুল হক বাদল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম সাগর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লক্ষী রাণী দাস তারা, মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ এরফান, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন প্রধান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রধান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শহীদ উল্যাহ ছায়েদ, পলস্নী বিদু্যতের ডিজিএম মোঃ আক্তার হোসেন, খাদেরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও জেলা সার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শঙ্কর রাও নাগ, মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচা মেলার পরিচালক মোঃ মাকসুদুল হক বাবলু, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম আলেক ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি গোলাম হায়দার মোলস্না| পবিত্র কোরাআন তেলাওয়াত করেন নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী ও গীতা পাঠ করেন সাংবাদিক নিমাই ঘোষ|
বিদায়ী জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় উপজেলা পরিষদ, স্থানীয় সংসদ সদস্যের পক্ষে প্রতিনিধি, মতলব পৌরসভা, মতলব দক্ষিণ থানা, উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, রিপোর্টার্স ইউনিটি, মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলা, সার ব্যবসায়ী সমিতি, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, মতলব পৌর যুবলীগ, উপজেলা ছাত্রলীগ, সাপ্তাহিক দিবাকণ্ঠ, সাপ্তাহিক মতলবের জনপদ, উপজেলা স্কাউটস হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, উপজেলা পূজা উদযাপনব পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন| উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী স্নিগ্ধা রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহধর্মিণী মেহেবুবা রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, সুধীজন ও সাংবাদিকবৃন্দ| পরে বিদায়ী অতিথিকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়|
মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ শুক্কুর পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সাপ্তাহিক দিবাকণ্ঠ ও মতলবের জনপদের সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাসের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ, মতলব পৌরসভার মেয়র এনামুল হক বাদল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম সাগর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লক্ষী রাণী দাস তারা, মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ এরফান, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন প্রধান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রধান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শহীদ উল্যাহ ছায়েদ, পলস্নী বিদু্যতের ডিজিএম মোঃ আক্তার হোসেন, খাদেরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও জেলা সার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শঙ্কর রাও নাগ, মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচা মেলার পরিচালক মোঃ মাকসুদুল হক বাবলু, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম আলেক ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি গোলাম হায়দার মোলস্না| পবিত্র কোরাআন তেলাওয়াত করেন নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী ও গীতা পাঠ করেন সাংবাদিক নিমাই ঘোষ|
বিদায়ী জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় উপজেলা পরিষদ, স্থানীয় সংসদ সদস্যের পক্ষে প্রতিনিধি, মতলব পৌরসভা, মতলব দক্ষিণ থানা, উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, রিপোর্টার্স ইউনিটি, মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলা, সার ব্যবসায়ী সমিতি, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, মতলব পৌর যুবলীগ, উপজেলা ছাত্রলীগ, সাপ্তাহিক দিবাকণ্ঠ, সাপ্তাহিক মতলবের জনপদ, উপজেলা স্কাউটস হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, উপজেলা পূজা উদযাপনব পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন| উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী স্নিগ্ধা রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহধর্মিণী মেহেবুবা রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, সুধীজন ও সাংবাদিকবৃন্দ| পরে বিদায়ী অতিথিকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়|
মতলবে আলোচিত যুবলীগ নেতা খবির হত্যা মামলা
আটক সাগর বেপারী জেল হাজতে
চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে
চাঁদপুর-২
আসনের সাংসদ মোঃ রফিকুল ইসলামের পিএস ও মতলব যুবলীগের স্থানীয় নেতা খবির
হত্যা মামলার সাথে জড়িত এজাহারভুক্ত আটক আসামী সাগর বেপারী এখন জেল হাজতে|
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ৩টায় নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় আত্মগোপন করে থাকা অবস্থায় পুলিশ সাগর বেপারীকে
আটক করে মতলব দক্ষিণ থানায় নিয়ে আসে| আটকের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা
ও মতলব দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মিজানুর রহমান তাকে
জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে|
গতকাল
১ অক্টোবর মতলবে আলোচিত যুবলীগ নেতা খবির হত্যা মামলার ৬নং আসামী সাগর
বেপারীকে চাঁদপুরের আদালতে আনা হয়| এ সময় আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের নিকট
ঘটনার সত্যতা স্বীকার এবং আরো বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে|
কিন্তু মামলার তদন্তের স্বার্থে তার দেয়া তথ্যগুলো পত্রিকান্তরে প্রকাশ না করার
জন্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মতলব দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত)
মোঃ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন| শুধু এটুকু বলা যায়, এ
ঘটনায় হয়তো ’কেঁচু খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে|’
এ
দিকে নওগাঁওবাসীর দাবি হচ্ছে, যাদের নেপথ্য ছত্রছায়ায় যুবলীগ নেতা খবিরকে
পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় হত্যা করা হয়েছে, সে সকল মূল হোতাকে
পুলিশ এখনো ধরতে পারেনি| অথচ আটক সকল আসামীই সে সকল হোতার নামও বলে
দিয়েছে| মতলবে আন্দোলনরত নওগাঁওবাসীর দেয়া ৭ দিনের আল্টিমেটামের মেয়াদকালও
ইতিপূর্বে শেষ হয়ে গেছে| এখন নওগাঁওবাসী হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে আবারো
ফুঁসে উঠছে| মামলার মূল হোতা তৌফিক দেওয়ান ও দুলাল দেওয়ানকে অদৃশ্য
শক্তির কারণে পুলিশ আটক করতে পারেনি| যতোদূর জানা গেছে, স্থানীয় শীর্ষ
আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা এবং স্থানীয় এমপি মোঃ রফিকুল ইসলাম তাদের বাঁচাতে
গোপনীয়ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন|
খবির
হত্যার ঘটনার পর থেকেই মতলবের আলোচিত বড় ভাই হিসেবে খ্যাত দুলাল দেওয়ান
এখনো তার কর্মস্থলে যোগ দেয়নি| মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা
ডাঃ মোঃ ইসহাক কাজে যোগদানের জন্যে দু’ দফা অফিসিয়াল চিঠি দেয়ার পরও যোগ
দিতে আসেনি| এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে দুলাল দেওয়ান হেনো কোনো কাজ নেই না
করেছে| টেন্ডার থেকে শুরু করে কাবিখা, কাবিটা, জিআর প্রকল্প নিয়ে সর্বদা
ব্যস্ত থাকলেও বেতন নিতেন সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পরিদর্শক হিসেবে|
দুর্দান্ত প্রভাব খাটাতেন তার সরকারি কর্মস্থলে| মাসে ২/৩ বার অফিসে এসে
পুরো মাসের সই করে বিভিন্ন ধান্ধায় সর্বত্র বিচরণ করতেন দুলাল দেওয়ান|
নিহত খবির হোসেনের নিজ গ্রাম নওগাঁওবাসী আজো ভুলতে পারেনি তার কথা| এখনো তাদের মনে প্রতিবাদের আগুন দাও দাউ করে জ্বলছে|
মেঘনায় পুলিশের উপর জেলেদের হামলা
৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি : হাবিলদারসহ আহত ৫ : আটক ২৪
ইলিশের প্রজননকালীন মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সময়ে মেঘনায় অভিযান চলাকালে জেলেরা পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে| এ ঘটনায় হাবিলদারসহ ৫ জন আহত হয়েছে| পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে| তারা ২৪ জেলেকে আটক করেছে|
মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরা জেলে ও জেলে নৌকায় অভিযান চালানো হবে, অভিযান চালাবে পুলিশ, কোস্টগার্ড সদস্যসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ| অভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিলো রোববার রাত সাড়ে ৮টার সময়| সেটা গিয়ে শুরু হয় রাত ১১টার পর| কিন্তু পুরাণবাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, বহরিয়া ও হরিণা ফেরিঘাট এলাকার জেলেরা সন্ধ্যার সময়ই এ খবর পেয়ে যায় যে, আজ (রোববার) নদীতে অভিযান চালানো হবে| অভিযান প্রতিরোধ করবে এ চিন্তা নিয়েই জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে যায়| অভিযানের নেতৃত্ব দেন এনডিসি রাকিবুর রহমান| তার সাথে ছিলেন এএসপি রিভার হাছান মোস্তফা স্বপন, নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাহিদুল ইসলামসহ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের একটি টিম| জানা যায়, যৌথ বাহিনী প্রথমে বহরিয়া এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ৭টি জেলে নৌকা, ১৯ জন জেলে, ১ মণ ইলিশ মাছ ও ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আটক করে| রাতে আটককৃত নৌকা ও জেলেদের নিয়ে হরিণা ঘাটে যাওয়ার পথে পেছনে থাকা নৌ ফাঁড়ির হাবিলদার আবু সাঈদকে বহনকরী ইঞ্জিন চালিত নৌকার মাঝি তার নৌকাটিকে কৌশলে হরিণা খালের মধ্যে নিয়ে যায়| সেখানে থাকা হানারচর ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন তার উপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে| খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা সেখানে গেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিজস্ব লোক জাকির, কাদির, আরিফ, আহসান গাজীসহ বেশ ক’জন মাছ বিক্রেতা পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং চারপাশ থেকে লাটিসোটা নিয়ে তাদেরকে ঘিরে ফেলে| পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুর রহমানের নির্দেশে পুলিশ শর্টগানের ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে| খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়|
এ ঘটনায় হরিণা ঘাট থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়| তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আটককৃতদের মধ্যে অনেকে নিরীহ| যারা পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও হামলা করেছে মূল হোতাদের কাউকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি| আটক ৫ জন হলেন- হরিণার উর্দু বেপারী (৩২), আলমগীর হোসেন আলেক (২৬), শাহজাহান চৌকিদার (১৮), মনির হোসেন (৩০), আলাউদ্দিন (২২)| তাদেরকে গতকালই কোর্টে প্রেরণ করা হয়|
অপরদিকে সদর উপজেলার বহরিয়া থেকে আটক ১৯ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৭ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে জেলে প্রেরণ করা হয়| এরা হচ্ছে- ইউছুফ বেপারী (৪৮), হাছান (৩৫), ফারুক (৪০), শহিদ বেপারী (৩৫), খলিল মৃধা (৫৫), নাজির মৃধা (২৮), আলী আহমেদ দর্জি (৩৭), ছাদু পাটোয়ারী (৪৮), আলমগীর (৩০), দুলাল হাওলাদার (৩০), আলী রাজা (৫২), ইব্রাহীম (২০), বিলস্নাল ঢালী (৪৫), মালেক ছৈয়াল (৩০), হারুন (৪৭), লোনী ঢালী (৪০), আবুল হোসেন ঢালী (৫০) ও মান্নান খান (৪০)|
সড়ক দুর্ঘটনায় মতলবের আবৃত্তিকার কাকনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘাতক ট্রাক্টর কেড়ে নিলো যুবকের তরতাজা প্রাণ
সড়ক দুর্ঘটনায় মতলবের কবিতাঙ্গনের আবৃত্তিকার হাবিবুর রহমান কাকনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে| ঘাতক ট্রাক্টর কেড়ে নিলো তরতাজা এই যুবকের প্রাণ| আবৃত্তিকার কাকনের মৃত্যুতে মতলব ও চাঁদপুরে নেমে আসে শোকের ছায়া| টিআইবি ও সনাক-চাঁদপুর আয়োজিত তথ্য মেলায় এ সংবাদ পৌঁছা মাত্র সমাপনীর সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয় তাৎক্ষণিক| তথ্য মেলায় আর আবৃত্তি করা হলো না কাকনের|
গতকাল ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় বাবুরহাট-মতলব রোডের কালীভাংতি ব্রিজের উত্তর পাশে সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে| সিএনজি স্কুটার চালকের ডান পাশে বসে আবৃত্তিকার হাবিবুর রহমান কাকন মতলব থেকে চাঁদপুর আসছিলেন| সামনের দিক থেকে আসা বালি ভর্তি ঘাতক ট্রাক্টর প্রচণ্ডভাবে তার মুখমণ্ডলে আঘাত করে| তাৎক্ষণিক তিনি মাটিতে লুটে পড়েন| দুর্ঘটনার সাথে সাথে স্থানীয় লোকজন ঘাতক ট্রাক্টরটি আটক করে রাখে| এ দিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন সড়কে গুরুতর আহত কাকন কাতরাতে থাকে| সিএনজি স্কুটারে অক্ষত থাকা অপর সফর সঙ্গীরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্যে যানবাহন থামানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালান| কিন্তু কোনো সিএনজি স্কুটার ও যানবাহন থামেনি| এভাবে প্রায় ২৫ মিনিট চেষ্টার পর একটি সিএনজি স্কুটার নিয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আসার পথেই তার মৃত্যু সমৃত্যু হয়েছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান|
সুপরিচিত আবৃত্তি সংগঠন কবিতাঙ্গনের একটি আবৃত্তি দল নিয়ে মতলব থেকে চাঁদপুরের তথ্য মেলার উদ্দেশ্যে ২টি সিএনজি স্কুটার যোগে কাকন রওয়ানা দিয়েছিলেন| যার নেতৃত্বে ছিলেন কবিতাঙ্গনের কর্ণধার মতলব ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আইনুন নাহার কাদ্রী| দুর্ঘটনায় পতিত সিএনজি স্কুটারেই ছিলেন আইনুন নাহার| কিন্তু ভাগ্যগুণে তিনিসহ অপর ৪ জন বেঁচে গেলেও অকালে ঝরে যায় তাদের সহযাত্রী হাবিবুর রহমান কাকন| তথ্য মেলায় আবৃত্তি করতে না পারলেও লাশ হয়ে চাঁদপুরে পৌঁছলে মুহূর্তের মধ্যেই এ দুর্ঘটনার সংবাদ পৌঁছে যায় চাঁদপুরের তথ্য মেলায়| সাথে সাথে টিআইবি ও সনাক কর্মকর্তারা তাদের নির্ধারিত কার্যক্রম এবং মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান স্থগিত করে ছুটে আসেন হাসপাতালে| চাঁদপুর ও মতলব থেকে শ’ শ’ মানুষজন হাসপাতালে ছুটে আসে কাকনের লাশ দেখতে|
দুর্ঘটনায় নিহত আবৃত্তিকার হাবিবুর রহমান কাকন ঢাকার মহাখালীতে আইসিডিডিআরবিতে ফিল্ড রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন| তিনি ২০০১ সালে আইসিডিডিআরবিতে যোগদান করেন| গত ৩ মাস পূর্বে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন| তিনি ছিলেন মতলবের সুপরিচিত এক যুবক| সামাজিক কর্মকাণ্ডে তিনি সর্বদা ছিলেন সরব| তার বড় ভাই ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান কাইয়ুমের রয়েছে রাজনৈতিক পরিচিতি| যুবদল নেতা কাইয়ুম তার ছোট ভাইয়ের মৃত্যু র সংবাদ শোনামাত্র ছুটে আসেন হাসপাতালে| ভাইয়ের লাশ দেখামাত্র চিৎকার দিয়ে কাঁদতে থাকেন| হাসপাতাল চত্বর স্বজনদের আহাজারিতে ছিলো ভারাক্রান্ত| মতলব দক্ষিণের বাইশপুরের বাসিন্দা, আইসিডিডিআরবির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান কাকন (৩২)| দু’ ভাইয়ের মধ্যে কাকনই ছিলেন কনিষ্ঠ| তার ছয় বোনের মধ্যে এক বোন আইসিসিডিআরবিতে তার সাথেই চাকুরি করতেন| কাকন পিতার অসুস্থতার সংবাদে সাপ্তাহিক ছুটিতে মতলব আসেন| শনিবার দিবাগত রাতে তিনি হাসপাতালে পিতার সাথেই কাটান| গতকাল রোববার চাঁদপুরের তথ্য মেলার অনুষ্ঠানে তার পিতার অসুস্থতাজনিত কারণে তাকে আসতে বারণ করা হয়েছিল| কিন্তু আবৃত্তি পাগল এ যুবক তা মানেননি|
জানা যায়, ঘাতক ট্রাক্টরের মালিক বাবুরহাটের ব্যবসায়ী বাদশা খান| লোকজন ট্রাক্টরটি আটক করলেও তিনি চালকসহ ছাড়িয়ে আনেন|
টিআইবি ও সনাক কর্তৃক ৩ দিনব্যাপী তথ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান ছিলো গতকাল| সে লক্ষ্যে তথ্য মেলা মঞ্চে সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে মতলব কবিতাঙ্গনের আবৃত্তি ছাড়াও ইয়েস গ্রুপের নাটক, পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নির্ধারিত কর্মসূচি ছিলো| অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) থাকার কথা ছিলো| এ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেই পথিমধ্যে উক্ত মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আবৃত্তিকার কাকনের মৃত্যু হয়| খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জের বিদায় সংবর্ধনা থেকে রাত সাড়ে ১০টার পর হাসপাতালে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক প্রিয়তোষ সাহা| তিনি লাশের ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন| চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ থানায় নিয়ে যায়| ময়না তদন্ত শেষে আজ ১ অক্টোবর জানাজা শেষে মতলবে কাকনের দাফন সম্পন্ন হবে|
উল্লেখ্য, কাকন মতলব শহরেই ’লিজা’ নামে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার একমাত্র কন্যার সাথে মাত্র ৩ মাস আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন| এ মৃত্যু সমৃত্যু সংবাদে তার স্ত্রী শোকে ও স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় বাকস্তব্ধ হয়ে যান|
টিআইবি ও সনাকের শোক
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট মতলবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় কবিতাঙ্গনের আবৃত্তিকার হাবিবুর রহমান কাকনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সনাক- চাঁদপুরের সভাপতি কামরুজ্জামান চৌধুরী, সহ-সভাপতি কাজী শাহাদাত ও রূপালী চম্পক, সনাক সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খান, কৃষ্ণা সাহা ও মফিজ সরকারসহ টিআইবির কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ| আরো শোক জানিয়েছেন :
চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র
বাস্তবায়ন পরিষদ
চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক শহীদ পাটোয়ারী ও সদস্য সচিব ইয়াহিয়া কিরন, চতুরঙ্গের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার ও মহাসচিব হারুন আল রশীদ, বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন ও সাধারণ সম্পাদক মৃনাল সরকার, চাঁদপুর ড্রামার সভাপতি তপন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক কেএম মাসুদ, মেঘনা থিয়েটারের সভাপতি তবিবুর রহমান রিংকু, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডাঃ হারুনুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি পীযুষ কান্তি রায় চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম, স্মরলিপি নাট্য সংগঠনের পরিচালক রফিকুল ইসলাম বাবু, বর্ণমালা থিয়েটারের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম প্রমুখ|
মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচার মেলা
মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচা মেলার পরিচালক মাকসুদুল হক বাবলু ও সংগঠক মোঃ আনিসুর রহমান|
সাড়ে ৩শ’ জনকে আসামী করে পুলিশের মামলা
মতলব উত্তর উপজেলার মাথাভাঙ্গা-মোহনপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০
মতলব উত্তর উপজেলার মাথাভাঙ্গা ও মোহনপুর গ্রামবাসীর মধ্যে ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে সংঘর্ষ হয়| এতে দু’ গ্রামের ১০ জন আহত হয়েছে| এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে শফিকুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন| গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকার রাজারবাগস্থ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়| বাদবাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়| এ ঘটনায় রাতেই মাথাভাঙ্গা গ্রামের ৫ জনকে পুলিশ আটক করে|
মতলব উত্তর থানার এসআই মোঃ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মোহনপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আবুল কাশেম মাস্টার ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল মাস্টারসহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং মাথাভাঙ্গা গ্রামের অজ্ঞাতনামা ৩শ’ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে| রাতেই মাথাভাঙ্গা গ্রামের ৫ জনকে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন| এরা হলো : মৃত আবু মিয়া সিকদারের ছেলে খোকন শিকদার, আঃ রাজ্জাক প্রধানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান, আবুল বাসার প্রধানের ছেলে মহসিন প্রধান, রফিক মিয়াজীর ছেলে জহিরুল হক মিয়াজী ও মৃত তমিজ উদ্দিন প্রধানের ছেলে রওশন আলী প্রধান| এদিকে পুলিশের মামলার পর গ্রেফতারের আশঙ্কায় ও প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে মাথাভাঙ্গা গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে গেছে|
মতলবের মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার-ভলগেটসহ ৮ জন আটক
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার আমিরাবাদ- জহিরাবাদ এলাকার মেঘনা নদীতে অবৈধ
ভাবে বালু উত্তোলনকালে ১টি ড্রেজার, ২টি ভলগেট ও ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবু আলী মোঃ
সাজ্জাদ হোসেন অভিযান চালিয়ে ড্রেজার-কার্গোসহ ৮ জন আটক করে।
জানা যায়, অবৈধ বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন মতলব উত্তর থানার পুলিশ নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় আমিরাবাদ- জহিরাবাদ এলাকার মেঘনা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন এলাকায় যায়। সে সময় বালু উত্তোলন করলে ঘটনাস্থল থেকেই মেসার্স মাসুদ এন্টার প্রাইজ নামে ১টি ড্রেজার, আম্মাজান ও এমভি সুমাইয়া মিম নামে ২টি ভলগেট আটক করে। ড্রেজার ও ভলগেটে থাকা ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। ড্রেজার ও ভলগেটে মোহনপুর পুলিশ ফাঁড়ির আওতায় রাখা হয়েছে। আটককৃত লোকজন হলেন- কাউসার সরকার(বাবু) , মাসুদ রানা, মোঃ আশ্রফ, মুক্তার হোসেন, মামুন, মাহবুল হোসেন,আক্তার হোসেন ও জাহেদুল । আটককৃত ৮ জনের মধ্যে ৫ জনকে মতলব উত্তর থানায় ও ৩ জনকে মোহনপুর পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।
আটকের কথা স্বীকার করে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ এলাকায় বালু উত্তোলনে বৈধ কাগজপত্র থাকলে বালু উত্তোলনকারী কর্তৃপক্ষকে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসী জানান, আমিরাবাদ-জহিরাবাদ অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার কারনে নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারন করেছে।
জানা যায়, অবৈধ বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন মতলব উত্তর থানার পুলিশ নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় আমিরাবাদ- জহিরাবাদ এলাকার মেঘনা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন এলাকায় যায়। সে সময় বালু উত্তোলন করলে ঘটনাস্থল থেকেই মেসার্স মাসুদ এন্টার প্রাইজ নামে ১টি ড্রেজার, আম্মাজান ও এমভি সুমাইয়া মিম নামে ২টি ভলগেট আটক করে। ড্রেজার ও ভলগেটে থাকা ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। ড্রেজার ও ভলগেটে মোহনপুর পুলিশ ফাঁড়ির আওতায় রাখা হয়েছে। আটককৃত লোকজন হলেন- কাউসার সরকার(বাবু) , মাসুদ রানা, মোঃ আশ্রফ, মুক্তার হোসেন, মামুন, মাহবুল হোসেন,আক্তার হোসেন ও জাহেদুল । আটককৃত ৮ জনের মধ্যে ৫ জনকে মতলব উত্তর থানায় ও ৩ জনকে মোহনপুর পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।
আটকের কথা স্বীকার করে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ এলাকায় বালু উত্তোলনে বৈধ কাগজপত্র থাকলে বালু উত্তোলনকারী কর্তৃপক্ষকে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসী জানান, আমিরাবাদ-জহিরাবাদ অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার কারনে নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারন করেছে।
মুন্সীগঞ্জে নয় মণ মা ইলিশ আটক

মুন্সীগঞ্জ
শহরের কাছে ধলেশ্বরী নদীতে অভিযান চালিয়ে ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি পূবালী-৩
থেকে ৯ মণ মা ইলিশ আটক করেছে কোস্টগার্ড। কোস্টগার্ডের স্টেশন অফিসার
ফেরদৌস আহম্মেদ নিরু জানান, লঞ্চটি শরিয়তপুর থেকে সদরঘাট যাচ্ছিল। ভেতরে
বরফের একটি ড্রাম ও একটি ঝুড়িতে প্যাকেট করা ৬৭৫টি ইলিশ পাওয়া যায়। তবে
মাছের মালিককে কাউকে পাওয়া যায়নি। ইলিশের প্রজনন সময় ২৫ অক্টোবর থেকে ১১
দিন ইলিশ ধরা, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিক্রি নিষিদ্ধের দ্বিতীয় দিনে বুধবার
ইলিশের এই চালান আটক হয়। পরে এগুলো সদর উপজেলার ইউএনও শারাবান তাহুরার
উপস্থিতিতে স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিলি করা হয়।
মহানবী (সঃ)-এর অবমাননাকর চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিবাদে
মতলব দক্ষিণে হিযবুল্লাহর প্রতিবাদ সমাবেশ
আমেরিকায় মহানবী (সঃ)-এর অবমাননা করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করার প্রতিবাদে মতলব দক্ষিণে গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় হিযবুল্লাহর মতলব কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়| সভাপতি এ.বি.এম রুহুল কুদ্দুস বাশারের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে হিযবুল্লাহ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হযরত মাওলানা খন্দকার সাইফুদ্দিন| বক্তব্য রাখেন আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মোঃ মাঈন উদ্দিন, মাওলানা মোঃ মনির হোসেন ফয়েজী, ঘিলাতলী মাদ্রাসার প্রভাষক মিজানুর রহমান প্রমুখ| উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের মতলব শাখার ভাইস প্রিন্সিপাল ও ম্যানেজার দুলাল হোসেন, হিযবুল্লাহর মতলব শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মোস্তাক মেহেদী টিপু, নিউ হোস্টেল জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা শাহাদাত হোসেন, হিযবুল্লাহর মতলব শাখার প্রচার সম্পাদক নেছার বিন বাশার, আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা জিয়াউল হক| অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হিযবুল্লাহর মতলব শাখার ডাঃ মোঃ মফিজুল ইসলাম|
মতলব দক্ষিণে হিযবুল্লাহর প্রতিবাদ সমাবেশ
আমেরিকায় মহানবী (সঃ)-এর অবমাননা করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করার প্রতিবাদে মতলব দক্ষিণে গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় হিযবুল্লাহর মতলব কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়| সভাপতি এ.বি.এম রুহুল কুদ্দুস বাশারের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে হিযবুল্লাহ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হযরত মাওলানা খন্দকার সাইফুদ্দিন| বক্তব্য রাখেন আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মোঃ মাঈন উদ্দিন, মাওলানা মোঃ মনির হোসেন ফয়েজী, ঘিলাতলী মাদ্রাসার প্রভাষক মিজানুর রহমান প্রমুখ| উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের মতলব শাখার ভাইস প্রিন্সিপাল ও ম্যানেজার দুলাল হোসেন, হিযবুল্লাহর মতলব শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মোস্তাক মেহেদী টিপু, নিউ হোস্টেল জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা শাহাদাত হোসেন, হিযবুল্লাহর মতলব শাখার প্রচার সম্পাদক নেছার বিন বাশার, আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা জিয়াউল হক| অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হিযবুল্লাহর মতলব শাখার ডাঃ মোঃ মফিজুল ইসলাম|
মতলবে বাল্য বিয়ের কুফল বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ
বর-কনে উভয়ই অপ্রাপ্ত বয়স্ক| এমন একটি অসম বাল্য বিবাহ বন্ধ হলো মতলবে| কনে মতলব দক্ষিণ উপজেলার মধ্য দিঘলদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী| গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী দক্ষিণ পূর্ব দিঘলদি গ্রামের গাজী বাড়ির আয়নাল হকের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যার সাথে একই বাড়ির মেয়ের জেঠাতো ভাই বাবুল গাজীর ছেলে সবুজ গাজীর (১৮) আনুষ্ঠানিক বিয়ে হওয়ার তারিখ ঠিক হয়েছিলো|
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত এই বাল্য বিবাহ হওয়ার দিন গতকাল বুধবার ঘটনাটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কেএম মোসতাক আহমেদকে অবহিত করা হয়| তিনি মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ এরফান এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম ও সহকারী শিক্ষক মোঃ মামুন মিয়াকে জানান| এরপর প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ ঐ বাড়িতে গিয়ে ছাত্রীর পিতা-মাতাকে বাল্য বিয়ের কুফল সম্বন্ধে বুঝিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করে দেন|
প্রধান শিক্ষক তৎক্ষণাৎ ঐ ছাত্রীকে নিয়ে বিদ্যালয়ে চলে আসেন এবং যথারীতি সে শ্রেণী কার্যক্রমে অংশ নেয়| গতকাল বুধবার দুপুরে এ বাল্য বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো| একাধিক এলাকাবাসী জানান, যদিও এ যাত্রায় মেয়েটি বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে তবে শেষ রক্ষা হবে কি-না তা নিয়ে আমরা সন্দিহান| একই বাড়িতে এ বিয়ের প্রস্তাব চলে বিধায় যে কোনো সময় এ বাল্য বিয়ে হতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছে|
বর-কনে উভয়ই অপ্রাপ্ত বয়স্ক| এমন একটি অসম বাল্য বিবাহ বন্ধ হলো মতলবে| কনে মতলব দক্ষিণ উপজেলার মধ্য দিঘলদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী| গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী দক্ষিণ পূর্ব দিঘলদি গ্রামের গাজী বাড়ির আয়নাল হকের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যার সাথে একই বাড়ির মেয়ের জেঠাতো ভাই বাবুল গাজীর ছেলে সবুজ গাজীর (১৮) আনুষ্ঠানিক বিয়ে হওয়ার তারিখ ঠিক হয়েছিলো|
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত এই বাল্য বিবাহ হওয়ার দিন গতকাল বুধবার ঘটনাটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কেএম মোসতাক আহমেদকে অবহিত করা হয়| তিনি মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ এরফান এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম ও সহকারী শিক্ষক মোঃ মামুন মিয়াকে জানান| এরপর প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ ঐ বাড়িতে গিয়ে ছাত্রীর পিতা-মাতাকে বাল্য বিয়ের কুফল সম্বন্ধে বুঝিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করে দেন|
প্রধান শিক্ষক তৎক্ষণাৎ ঐ ছাত্রীকে নিয়ে বিদ্যালয়ে চলে আসেন এবং যথারীতি সে শ্রেণী কার্যক্রমে অংশ নেয়| গতকাল বুধবার দুপুরে এ বাল্য বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো| একাধিক এলাকাবাসী জানান, যদিও এ যাত্রায় মেয়েটি বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে তবে শেষ রক্ষা হবে কি-না তা নিয়ে আমরা সন্দিহান| একই বাড়িতে এ বিয়ের প্রস্তাব চলে বিধায় যে কোনো সময় এ বাল্য বিয়ে হতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছে|
মতলবে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ
মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ’একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের উঠোন বৈঠক সপ্তাহের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন ও বিআরডিবি’র আয়োজনে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়| এতে সভাপতিত্ব করেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ| বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী পলস্নী উন্নয়ন অফিসার আব্দুর রশিদ, সাপ্তাহিক দিবাকণ্ঠ ও মতলবের জনপদের সম্পাদক ও বিআরডিবি’র পরিচালক শ্যামল চন্দ্র দাস| শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ’একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের উপজেলা সমš^য়কারী মোঃ মুরাদ হোসেন পাটোয়ারী| অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম| এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমবায় অফিসের ইন্সপেক্টর মোঃ নাছির উদ্দিনসহ অন্য কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ ও উপকারভোগী সদস্যবৃন্দ| পরে সদস্যদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়|
মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ’একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের উঠোন বৈঠক সপ্তাহের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন ও বিআরডিবি’র আয়োজনে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়| এতে সভাপতিত্ব করেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ| বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী পলস্নী উন্নয়ন অফিসার আব্দুর রশিদ, সাপ্তাহিক দিবাকণ্ঠ ও মতলবের জনপদের সম্পাদক ও বিআরডিবি’র পরিচালক শ্যামল চন্দ্র দাস| শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ’একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের উপজেলা সমš^য়কারী মোঃ মুরাদ হোসেন পাটোয়ারী| অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম| এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমবায় অফিসের ইন্সপেক্টর মোঃ নাছির উদ্দিনসহ অন্য কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ ও উপকারভোগী সদস্যবৃন্দ| পরে সদস্যদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়|
মতলব সরকারি হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম্য
প্রতারণা ও হয়রানির শিকার রোগীরা
মতলব দক্ষিণ উপজেলার সরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নেয়া এক শ্রেণীর দালালের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলছে| এর ফলে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত গরিব ও অসহায় রোগীরা একদিকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে দালালরা অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাদের সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে| প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে রোগীসহ তার সাথে আসা লোকজন|
সরজমিনে দেখা যায়, মতলব সরকারি হাসপাতালের অফিস চলাকালীন সাধারণ জনগণ যারা গ্রাম থেকে ও দূর দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসে, তারা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালের কারণে ডাক্তারের রুমে প্রবেশ করতে পারে না| যারা প্রবেশ করে ডাক্তারের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন নিচ্ছেন তাদের প্রেসক্রিপশন রোগীর হাতে যায় না| দালাল চক্র ডাক্তারের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে নিজেদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে তাদের নিজস্ব দোকান থেকে ঔষধ সরবরাহ করছে| ঔষধের দামও নিচ্ছে অত্যধিক বেশি| একাধিক ডাক্তার এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে প্রতি মাসে মাসোয়ারা পাচ্ছেন বলেও একাধিক রোগীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে| ভুক্তভোগী রোগীরা জানান, জ্বর, সর্দি, কাশিসহ সাধারণ অসুখ হলেও প্যাথলজির দালালরা নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে বলে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়| তাছাড়া অফিস সময়েও একাধিক ডাক্তার বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং প্রেসক্রিপশন দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে|
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার নওগাঁও গ্রামের এক রোগী বলেন, আমরা হাসপাতালে এসেও সঠিক সময়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছি না| ডাক্তার দেখানোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়| রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত রোববার মতলব সরকারি হাসপাতালে অফিস সময়ে এ প্রতিনিধি গেলে একাধিক ডাক্তারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি| খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখার জন্য গিয়েছেন| এছাড়াও প্রতি ডাক্তারের চেম্বারে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একাধিক লোকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে| আর যখন রোগীরা ডাক্তারের কাছে যায় এবং ডাক্তার কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলে দালালরা মিলে উক্ত প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানা-হঁ্যাচড়া শুরু করেথ কার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উক্ত পরীক্ষা করবে|
একাধিক ছাত্র অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাগজপত্র ও ছবি সত্যায়িত করতে এসে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকি| ভেতরে একাধিক ডাক্তার টাকার বিনিময়ে রোগী দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন| এ ব্যাপারে কিছু বললেও তারা কর্ণপাত করেন না|
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন কর্মকর্তার কাছে উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রায় প্রতিদিনই এ ঘটনা ঘটে| আমরা দেখেও কিছুই বলতে পারি না| এভাবেই চলেছে দিনের পর দিন| বর্তমানে এ রকম অবস্থা হয়েছে যে, দালালরাই যেনো ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছে|
মতলব সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইসহাক মিয়ার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, দালালদেরকে আমি মুখে নিষেধ করে দিয়েছি, তারা যদি আমার কথা না শুনে
প্রতারণা ও হয়রানির শিকার রোগীরা
মতলব দক্ষিণ উপজেলার সরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নেয়া এক শ্রেণীর দালালের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলছে| এর ফলে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত গরিব ও অসহায় রোগীরা একদিকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে দালালরা অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাদের সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে| প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে রোগীসহ তার সাথে আসা লোকজন|
সরজমিনে দেখা যায়, মতলব সরকারি হাসপাতালের অফিস চলাকালীন সাধারণ জনগণ যারা গ্রাম থেকে ও দূর দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসে, তারা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালালের কারণে ডাক্তারের রুমে প্রবেশ করতে পারে না| যারা প্রবেশ করে ডাক্তারের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন নিচ্ছেন তাদের প্রেসক্রিপশন রোগীর হাতে যায় না| দালাল চক্র ডাক্তারের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে নিজেদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে তাদের নিজস্ব দোকান থেকে ঔষধ সরবরাহ করছে| ঔষধের দামও নিচ্ছে অত্যধিক বেশি| একাধিক ডাক্তার এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে প্রতি মাসে মাসোয়ারা পাচ্ছেন বলেও একাধিক রোগীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে| ভুক্তভোগী রোগীরা জানান, জ্বর, সর্দি, কাশিসহ সাধারণ অসুখ হলেও প্যাথলজির দালালরা নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে বলে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়| তাছাড়া অফিস সময়েও একাধিক ডাক্তার বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং প্রেসক্রিপশন দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে|
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার নওগাঁও গ্রামের এক রোগী বলেন, আমরা হাসপাতালে এসেও সঠিক সময়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছি না| ডাক্তার দেখানোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়| রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত রোববার মতলব সরকারি হাসপাতালে অফিস সময়ে এ প্রতিনিধি গেলে একাধিক ডাক্তারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি| খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখার জন্য গিয়েছেন| এছাড়াও প্রতি ডাক্তারের চেম্বারে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একাধিক লোকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে| আর যখন রোগীরা ডাক্তারের কাছে যায় এবং ডাক্তার কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলে দালালরা মিলে উক্ত প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানা-হঁ্যাচড়া শুরু করেথ কার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উক্ত পরীক্ষা করবে|
একাধিক ছাত্র অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাগজপত্র ও ছবি সত্যায়িত করতে এসে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকি| ভেতরে একাধিক ডাক্তার টাকার বিনিময়ে রোগী দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন| এ ব্যাপারে কিছু বললেও তারা কর্ণপাত করেন না|
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন কর্মকর্তার কাছে উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রায় প্রতিদিনই এ ঘটনা ঘটে| আমরা দেখেও কিছুই বলতে পারি না| এভাবেই চলেছে দিনের পর দিন| বর্তমানে এ রকম অবস্থা হয়েছে যে, দালালরাই যেনো ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছে|
মতলব সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইসহাক মিয়ার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, দালালদেরকে আমি মুখে নিষেধ করে দিয়েছি, তারা যদি আমার কথা না শুনে
তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে|
মহানবীকে (সা.) ব্যঙ্গ করার প্রতিবাদে মতলব উত্তরে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ
যুক্তরাষ্ট্রে
মহানবীকে (সা.) অবমাননাকর, ইসলাম ধর্মকে হেয় করে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত
“ইনোসেন্স অব মুসলিমস’্ শিরোনামে বিতর্কিত চলচ্চিত্র নির্মাণের ও ফ্রান্সের
সাময়িকীতে কার্টুন ছাপার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার বাদ আসর মতলব উত্তর
উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ করা ও
ওবামার পূত্তলিকা পুড়ানো হয়। মিছিলটি ছেংগারচর বাজার দারুল উলুম ক্বারিমিয়া
কেরাতুল কোরআন মাদ্রাসা থেকে শুরু হয়ে ছেংগারচর বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক
প্রদক্ষিণ করে থানা রোডে সমাবেশ করা হয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার
পূত্তলিকা দাহ করা হয়। উপজেলা মুজাহিদ কমিটির সভাপতি ক্বারী আঃ লতিফ এর
সভাপতিত্বে ও মাওলানা আতাউল্যাহ মহসিনের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য
রাখেন, ছেংগারচর বাজার জামে সমজিদের খতিব মাওলানা তাজুল ইসলাম চাঁদপুরী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোঃ নুরুল হক
সরকার, দশানী আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হাবিবুল্যাহ সরকার,
ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খোকন প্রধান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,
ছেংগারচর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মনির হোসেন বেপারী,
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মতলব উত্তর উপজেলা শাখার সভাপতি সফিকুল ইসলাম, পৌর
যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল হক বেপারী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
মতলব উত্তর উপজেলা শাখার নেতা আলহাজ্ব আহম্মদ উল্যাহ মিয়াজী প্রমূখ।
সমাবেশে দশানী আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসা, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতসহ বাজারের
ব্যবসায়ী ও এলাকার সর্বস্তরের মুসলমান মিছিলে অংশগ্রহন করেন।
মতলবে মায়া চৌধুরী মাঠ গোছাচ্ছেন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চাঁদপুর-২ আসনের নির্বাচনী এলাকা মতলব উত্তর ও দক্ষিণের মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন মতলবের কৃতী সন্তান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের অনন্য সাহসী যোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম| সে লক্ষ্যে তিনি তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে বৈঠক করছেন| এ ছাড়া মতলবের গণ্যমান্য মানুষজনদের সাথেও কুশল বিনিময় করছেন| চলতি বছরের শুরুর দিক থেকে মায়া চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকা সফরে এসে রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে আগামী নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় এবং মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোকে সক্রিয় করার লক্ষ্যে কাজ করছেন| যদিও এখনো মতলব দক্ষিণ নিয়ে কাজ শুরু করেননি| তবে মায়া চৌধুরীরর সাথে থাকা জনৈক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, পুরো অক্টোবর মাস জুড়ে মতলব দক্ষিণের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে বৈঠক করা হবে|
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম চাঁদপুর-২ আসনের এমপি না হয়েও এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন| যা বর্তমান সাংসদ মোঃ রফিকুল ইসলামের চাইতে বেশি| একজন তুখোড় রাজনীতিবিদ হিসেবে চাঁদপুর-২ আসনের সাবেক সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম প্রচুর উন্নয়ন কাজ করে গেছেন| মতলব উত্তরের মাটি ও মানুষের নেতা হয়েও তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১/১১-এর কারণে প্রার্থী হতে পারেননি| ওই নির্বাচনে দল থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) মোঃ রফিকুল ইসলাম| বর্তমান এমপি দলীয় নেতা না হওয়ার কারণে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সাথে তার অনেক দূরত্ব রয়েছে| এ ছাড়া এমপি মোঃ রফিকুল ইসলামের সর্বত্র ইমেজ ক্ষুণ হয়েছে তাঁর আপন ভাই তৌফিক দেওয়ান ও পলাতক থাকা স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পরিদর্শক দুলাল দেওয়ানসহ আত্মীয় স্বজনদের কারণে|
এমনিতেই মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগ অনেকটা হ-য-ব-র-ল অবস্থায় রয়েছে| ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এএইচএম গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ ঢাকায় বেশি থাকার কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রমের যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটছে| অতি সমপ্রতি এমপির পিএস খবির হোসেনকে তার নিকটাত্মীয়রা হামলা চালিয়ে খুন করে| এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এমপি রয়েছেন বিপাকে| ’শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ এমন অবস্থা তার মাঝে বিরাজ করছে| মতলব উত্তর ও দক্ষিণে মায়া চৌধুরীর গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে গেছে|
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম চাঁদপুর-২ আসনের এমপি না হয়েও এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন| যা বর্তমান সাংসদ মোঃ রফিকুল ইসলামের চাইতে বেশি| একজন তুখোড় রাজনীতিবিদ হিসেবে চাঁদপুর-২ আসনের সাবেক সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া) বীর বিক্রম প্রচুর উন্নয়ন কাজ করে গেছেন| মতলব উত্তরের মাটি ও মানুষের নেতা হয়েও তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১/১১-এর কারণে প্রার্থী হতে পারেননি| ওই নির্বাচনে দল থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) মোঃ রফিকুল ইসলাম| বর্তমান এমপি দলীয় নেতা না হওয়ার কারণে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সাথে তার অনেক দূরত্ব রয়েছে| এ ছাড়া এমপি মোঃ রফিকুল ইসলামের সর্বত্র ইমেজ ক্ষুণ হয়েছে তাঁর আপন ভাই তৌফিক দেওয়ান ও পলাতক থাকা স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পরিদর্শক দুলাল দেওয়ানসহ আত্মীয় স্বজনদের কারণে|
এমনিতেই মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগ অনেকটা হ-য-ব-র-ল অবস্থায় রয়েছে| ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এএইচএম গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ ঢাকায় বেশি থাকার কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রমের যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটছে| অতি সমপ্রতি এমপির পিএস খবির হোসেনকে তার নিকটাত্মীয়রা হামলা চালিয়ে খুন করে| এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এমপি রয়েছেন বিপাকে| ’শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ এমন অবস্থা তার মাঝে বিরাজ করছে| মতলব উত্তর ও দক্ষিণে মায়া চৌধুরীর গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে গেছে|
নারায়ণপুরে ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল
গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি চাঁদপুর-১ (কচুয়া- নারায়ণপুর) আসনের সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে মহাজোট সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করায় তাঁকে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল করা হয়| নারায়ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণপুর বণিক ও জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি মোঃ সফিকুল ইসলাম (স্বপন) মজুমদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোঃ মুবিন (সুজন) ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন প্রাণের নেতৃত্বে এই আনন্দ মিছিল করা হয়| নারায়ণপুর, খাদেরগাঁও ও নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে নারায়ণপুর বাজার থেকে এই মিছিল বের হয়| মিছিলটি নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজ রোড, পোস্ট অফিস রোড, বড় মসজিদ রোড, সাহেব বাজার মসজিদ রোড সহ গৌরিপুর-মতলব-পেন্নাই-সড়কের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে| মিছিল শেষে নারায়ণপুর চাল বাজারে এক সংক্ষিপ্ত পথ সভায় মিলিত হয়|
মতলব উত্তরে মেঘনা নদীতে মালবাহী কার্গোতে ডাকাতিকালে ৭ জলদস্যু আটক
মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে মালবাহী কার্গোতে ডাকাতিকালে ৭ জল দস্যুকে আটক করা হয়েছে| পুলিশ ও জেলেরা জানায়, গতকাল শুক্রবার দুপুরে এখলাছপুরের অদূরে মেঘনা নদীতে চালবাহী কার্গোতে ডাকাত দল হানা দেয়| তারা অস্ত্র দিয়ে কার্গোর লোকজনকে জিম্মি করে ফেলে| তারা কার্গো থেকে চাল ট্রলারে নামাতে গেলে ট্রলারটি ডুবে যায়| এ সময় কার্গোর লোকজনের ডাক চিৎকারে নদীতে থাকা জেলেরা মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের সহযোগিতায় ৭ ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়| আটককৃত ডাকাতরা হলো মোহনপুর গ্রামের বাচ্চু খালাশীর ছেলে ডাকাত সর্দার উজ্জ্বল ওরফে বাবলা (৩০), মুন্সিগঞ্জ কালীরচরের জমির আলী মল্লিকের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫), হোসেন বেপারীর ছেলে হেলাল বেপারী (২৫), মতলব উত্তর উপজেলার রাঢ়ীকান্দি গ্রামের ইউপি মেম্বার বাবুল সরকারের ছেলে সাহাদাত হোসেন (২০), কালীপুরের কাসেম বেপারীর ছেলে চান মিয়া (২০), রাঢ়ীকান্দি গ্রামের মতিন সরকারের ছেলে নাজির (২০) ও ছানাউলস্নাহর ছেলে মজিবুর রহমান (২৩)|
ডাকাত সর্দার উজ্জ্বল ওরফে বাবলা এ অঞ্চলের চিহ্নিত ডাকাত| তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোঃ শাহআলম জানিয়েছেন|
ডাকাত সর্দার উজ্জ্বল ওরফে বাবলা এ অঞ্চলের চিহ্নিত ডাকাত| তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোঃ শাহআলম জানিয়েছেন|
অতীতে তত্ত্ববধায়ক সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম
তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে তত্ত্ববধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথম দিনই ১৩ জন সচিবকে অন্যায়ভাবে চাকরিচু্যত করে এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন করে| বিএনপি ও জামাতের সন্ত্রাসীরা সারা দেশে হত্যা ও নির্যাতন চালায়| কিন্তু তত্ত্ববধায়ক সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়|
২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণ করে বিতর্ক সৃষ্টি করেন| ভোটার তালিকায় এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার থাকা অবস্থায় নির্বাচনের প্রচেষ্টা নেন| ফলে সরকারের উপদেষ্টারা পদত্যাগ করেন| আবার তিনি নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ দেন| কয়েক দফা এ ধরনের ঘটনা ঘটে| এ পরিস্থিতিতে এক-এগারোর ঘটনা ঘটে| রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণ করেন| সেনা সমর্থনে তত্ত্ববধায়ক সরকার গঠিত হয়ে তিন মাস অর্থাৎ ৯০ দিনের স্থলে প্রায় দুই বছর ক্ষমতায় থেকে যায়| সব শ্রেণী-পেশার মানুষের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকে| ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ গোয়েন্দা সংস্থার হয়রানির শিকার হয়| দেশব্যাপী যুদ্ধাবস্থা না থাকা ত্ত্বেও দুই বছর ধরে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকে| দল ভাঙ্গা ও নতুন দল গড়ার খেলাও শুরু হয়| এ অবস্থায় জনগণ দেশে ও বিদেশে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে| দেশের ভেতরের ও আন্তর্জাতিক চাপে ফখরুদ্দীন সরকার নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়|
মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সংসদের উপ-নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়েছে| তাই তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থার কোনো প্রয়োজন নেই|
সভায় উপস্থিত ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান মাস্টার, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল মাহমুদ টিটু মোলস্ন&ধসঢ়;লা, ছেঙ্গারচর পৌরসভার কাউন্সিলর শাহীনুর বেপারী, জামান সরকার, সাহাদাত হোসেন ঢালী খোকন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক আব্দুর রব, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান, ছেঙ্গারচর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুব আলম বাবু, ছেঙ্গারচর বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহআলম, পৌর যুবলীগ নেতা শামীম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, ছেঙ্গারচর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক মনির হোসেন, পৌর ছাত্রলীগ নেতা লিটন ঢালী, সুমন বেপারী, নূরে আলম নয়নসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ|
বিএনপি নেতা আক্তার মুন্সীর মায়ের দাফন
মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন মুন্সীর মায়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে| গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ যোহর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের সর্ববৃহৎ মসজিদ নেদায়ে ইসলাম কমপেস্নঙ্রে মসজিদে ফাতেমা-তু যোহরার সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়| জানাজা পরিচালনা করেন ঐ মসজিদের খতিব বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সিরাজ উদ দৌলাহ| জানাজায় উপস্থিত ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল হক সরকার, সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন মুন্সী, হাশিমপুর দরবার শরীফের বর্তমার পীর শায়খ আশফাক আহমাদ, বলাকা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ও চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এমরান হোসেন টিপু, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ফরাজীকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ, ঢাকার রেডিসন হোটেলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম দিপুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ|
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ১০টায় আক্তার হোসেন মুন্সীর মা ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান|
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ১০টায় আক্তার হোসেন মুন্সীর মা ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান|
মতলবে পথসভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লা আমান
জুলুমবাজ সরকারকে হটাতে খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে
দেশের সর্বত্র সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট আর অর্থ কেলেঙ্কারী, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা, খুন আর গুম করাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের সকল কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ| বিএনপি নেতা-কর্মীকে গুম আর খুন করে ও তত্ত্ববধায়ক সরকার বাতিল করে এ জুলুম সরকার আবার ক্ষমতায় যেতে চায়| বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট আওয়ামী লীগ সরকারের নীল নঙ&ধসঢ়;া বাস্তবায়িত হতে দেবে না| এ জুলুমবাজ সরকারকে হটিয়ে তত্ত্ববধায়ক সরকারের মাধ্যমেই নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে দেশের জনগণ| জুলুমবাজ সরকারকে হটাতে সকল নেতা-কর্মী এক সাথে কাজ করে খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে| গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় মতলব ফেরিঘাটে নেতা-কর্মীর উদ্দেশ্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যুগ্ম মহাসচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লা আমান এসব কথা বলেন| তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে আমাদের কঠোর আন্দোলন করতে হবে| তিনি নূরুল হুদার নেতৃত্বে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের আগামী দিনের আন্দোলনকে বেগবান করার আহবান জানান|
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোঃ নূরুল হুদা, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ শুক্কুর পাটওয়ারী, মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন মৃধা, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ নূরুল হক সরকার, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সরকার, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সরকার, ছেঙ্গারচর পৌর বিএনপির সভাপতি খোরশেদ মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক সারোয়ারুল আবেদীন খোকন, নূরুল হুদার বড় ছেলে যুবদল নেতা তানভীর হুদা শুভ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এএম মফিজুল ইসলাম, মতলব পৌর বিএনপির আহবায়ক মোজ্জামেল হক খোকন, মতলব উত্তর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবু সৈয়দ গোলাম রাব্বানী মামুন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মিয়া মঞ্জুর আমিন স্বপন ও যুগ্ম আহবায়ক আমির হোসেন আমু, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ, উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান টিপু, উপজেলা ছাত্রদল নেতা আশ্রফুল আলমসহ মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ|
মতলব উত্তরে ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলন
সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি না করে তত্তাবদায়ক সরকারের দাবি মেনে নিন জননেতা নুরুল হুদা
মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন যুবদলের দ্বি-বার্ষিক সন্মেলনে গতকাল রোববার বিকালে ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী নূরুল হুদা। ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম মামুনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক কবীর মজুমদারের পরিচালনায় সন্মেলনে বক্তব্য রাখেন,মতলব দক্ষিন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ শুক্কুর পাটোয়ারী, মতলব দক্ষিন উপজেলা বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন মৃধা, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল হক সরকার, জেলা বিএনপির সদস্য এড.শহীদুল ইসলাম চন্দন, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলমগীর সরকার, মতলব দক্ষিন উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান, মতলব উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন, দক্ষিন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যন শফিকুল ইসলাম সাগর,মতলব পৌর বিএনপির আহবায়ক মোজ্জামেল হক খোকন, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মহসিন উদ্দিন ও গোলাম সারওয়ার মজুমদার, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম মফিজুল ইসলাম ও সাবেক উপজেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, মতলব উত্তর যুবদলের আহবায়ক সৈয়দ গোলাম রাব্বানী মামুন ও সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মিয়া মঞ্জুর আমিন স্বপন যুগ্ন আহবায়ক আমির হোসেন আমিু, নাজমুল হুদা ডলার ও রাশেদ সরকার মেনন, আবুল কাসেম চৌধুরী, আলমগীর ঢালী
বিতর্কিত চলচ্চিত্র নির্মানের প্রতিবাদে
ফরাজীকান্দিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
যুক্তরাস্ট্রে মহানবকে(সা.) অবমাননা করা ও যুক্তরাস্ট্রে নির্মিত ইনোসেন্স অব মুসলিমস শিরোনামে বিতর্কিত চলচ্চিত্র নির্মানের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার চাদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার উয়েসীয় শরীফ ফরাজীকান্দিতে নেদায়ে ইসলামের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। মিছিলটি ফরাজীকান্দি কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে নতুন বাজার ঘুরে পুনরায়
কমপ্লেক্স এসে শেষ হয়। ফরাজীকান্দি আলীয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আতাউল করিমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন , ফরাজীকান্দি
কমপ্লেক্সের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা সিরাজ দৌলাহ, হাফেজ রফিকুল ইসলাম, হাফেজ আবু বক্করসিদ্দিক, সোলেমান ফকীহ, ফরাজীকান্দি মহিলা মাদাসার অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা আরিফ চৌধুরী, মাওলানা রুহুলআমীন, নেদায়ে ইসলামের সম্পাদক ফখরুল ইসলাম সরকার প্রমূখ
মতলব উত্তরে চাঞ্চল্যকর লিয়াকত হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
মতলব উত্তর উপজেলার চাঞ্চল্যকর লিয়াকত হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল ও দ্রুত বিচারের দাবিতে গতকাল রোববার মতলব-দাউদকান্দির সড়কের শহীদ লিয়াকত বাজারে নিহতের স্ত্রী স্বজন ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।
মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফতেপুর (পূর্ব) ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজমল হোসেন চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নবী বাদল, নিহত লিয়াকতের বড় বোন মালেকা নিজাম, নিহতের স্ত্রী, এলাকাবাসী জয়নাল সরকার, ব্যবসায়ী শাহ আলম, নূর আহমেদ বাদল, মামলা বাদী নিহতের ভাতিজা তৌফিক সরকার মিশু প্রমুখ।
বক্তারা লিয়াকত হত্যার দ্রুত অভিযোগ দাখিল, আসামিদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের মাধ্যমে খুনিদের ফাঁসির দাবি জানান। মানববন্ধনে এলাকার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেয়। নিহত লিয়াকতের স্ত্রী স্বামী, অবুঝ সন্তানরা বাবা আর স্বজনরা এবং এলাকাবাসী লিয়াকত হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে সড়কে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লে-কার্ড বহন করে এলাকাবাসী।
এবছরের গত ১০ মে রাতে উপজেলার সাহেববাজারে (শহীদ লিয়াকত বাজার) প্রকাশ্যে চায়ের দোকানে কুপিয়ে এনায়েতনগর গ্রামের ব্যবসায়ী লিয়াকত সরকারকে টুনু হাজির সন্ত্রাসীরা হত্যা করে।
মানববন্ধনস্থলে চাঁদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার শচিন চাকমা ও মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রোস্তম আলী সিকদারের নেতৃত্বে রিজার্ভ ও থানা পুলিশ সড়কের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজে সহায়তা করেন।
মতলবে লোডিশেডিংয়ের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ
সাব স্টেশন কার্যক্রম
দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুলে আছে
মতলব দক্ষিণ উপজেলাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্দুতের অব্যাহত লোডিশেডিংয়ের কারণে জনজীবনে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবৎ দুর্ভোগ চলছে| বিদু্যতের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে গত এক দশক ধরে সাব স্টেশন স্থাপিত হওয়ার কথা থাকলেও তা ঝুলে আছে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায়| পলস্নী বিদু্যতের গ্রাহকগণ এ সমস্যায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে আর সাব স্টেশন স্থাপনের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে|
বর্তমান সরকারের শুরম্নতে মতলবে বিদু্যতের সাব স্টেশনের বিষয়টি উত্থাপিত হলেও ভূমি অধিগ্রহণের বিভিন্ন সমস্যার কারণে আজও সাব স্টেশন স্থাপন আলোর মুখ দেখতে পায়নি| সাব স্টেশনের জন্য প্রথমে দগরপুর এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করলেও তা একোয়ার করা সম্ভব হয়ে উঠেনি| পৌরসভার ঢাকিরগাঁও এলাকায় বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় এক একর ভূমি রয়েছে| পলস্নী বিদু্যৎ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন উক্ত ভূমি একোয়ারে সহযোগিতা করলে সেখানে বিদু্যতের সাব স্টেশন স্থাপন করা যায়|
এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা হাসান মাহমুদ বলেন, ভূমি একোয়ার কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি| বর্তমানে দগরপুরের কাছাকাছি কোনো এক স্থানে সাব স্টেশনের জন্য ভূমি একোয়ারের চেষ্টা চলছে| অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পলস্নী বিদু্যৎ ও বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের অসহযোগিতার কারণে ঢাকিরগাঁও এলাকার বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের এক একর ভূমিতে বিদু্যতের সাব স্টেশন স্থাপন সম্ভব হচ্ছে না এবং বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ড পলস্নী বিদু্যৎকে এ ভূমি দিতে চাচ্ছে না|
মতলব পলস্নী বিদু্যতের ডিজিএম আক্তার হোসেনের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ২০১০ সালে বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকিরগাঁয়ের জায়গায় সাব স্টেশন করার জন্য একনেকে পাস করা হয়েছে| কিন্তু বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের অসহযোগিতায় তা হচ্ছে না| বর্তমানে ২টি জায়গাকে নির্ধারণ করে ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদন কার্যক্রম মন্ত্রণালয় থেকে পাস হয়েছে| ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলে সাব স্টেশন স্থাপন কাজ শুরম্ন করা হবে|
উলেস্নখ্য, মতলবে বিদু্যতের সাব স্টেশন না থাকায় বিদু্যৎ গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে| ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে দিনে প্রায় ১৮-২০ ঘণ্টা বিদু্ৎবিহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে মতলববাসীকে| আবাসিক গ্রাহকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক গ্রাহকরা চরম ভোগানতর শিকার হচ্ছে| ছোট ছোট উৎপাদনশীল শিল্প স্থাপনা প্রত্যহ অনবরত লোডশেডিংয়ের কারণে বিলুপ্ত হতে চলেছে|
মতলব উত্তরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল পিয়ানো বিতরণ
মতলব উত্তর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল পিয়ানো বিনামূল্যে বিতরণ করেছে| গতকাল সোমবার দুপুরে দক্ষিণ ব্যাসদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলার ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হাতে ডিজিটাল পিয়ানো তুলে দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ| এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহবায়ক আহমেদ আল কামাল, দক্ষিণ ব্যাসদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর মোললা, প্রধান শিক্ষক মোঃ রহমত উল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, শিক্ষক এসএম মামুনুর রশিদ, মোঃ আল-আমিন, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, আলী আহম্মদ, তাহীনুর ইসলাম, শ্যামল কুমার বাড়ৈ প্রমুখ| যে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল পিয়ানো দেয়া হয় সেগুলো হলো ঃ দক্ষিণ ব্যাসদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাথাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাউরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নন্দলালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিশ্চিনতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সানকিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দশানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়|
খবির হত্যার দু’হোতাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ
কর্মস্থলে এখনো যোগ দেননি দুলাল দেওয়ান
মতলবের বহুল আলোচিত খবির হোসেন হত্যার ঘটনার সাথে নেপথ্যে জড়িত থাকার কারণে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী দুলাল দেওয়ান এখনো পলাতক রয়েছেন| ইউএইচও ডাঃ ইসহাক কর্মস্থলে যোগ দেয়ার জন্যে দুলাল দেওয়ানের বাড়ির ঠিকানায় চিঠি দেয়ার পরও তিনি কর্মস্থলে যোগ দেননি| এমনকি প্রতিদিন তাকে খুঁজছেন তার সহকর্মীরা| শুধু তাই নয়, খবির হত্যা মামলার প্রয়োজনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্তকারী) মোঃ মিজানুর রহমানও দুলাল দেওয়ানকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন|
গত ২৯ আগস্ট মধ্যরাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় সাংসদ মোঃ রফিকুল ইসলামের পিএস ও মতলব যুবলীগ নেতা খবির হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছিলো| ঘটনার পর পর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনার সাথে সাথে তাকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়| কর্মরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকায় রেফার করেন| ঢাকাস্থ গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খবির হোসেন দুনিয়া থেকে চির বিদায় নেন| খবিরের চিকিৎসা এবং মৃতু্য নিয়ে চলে এমপি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সেক্রেটারীর দীর্ঘ নাটকীয়তা| খবিরের সহধর্মিণী মিসেস ফাতেমা বেগমকে অনেকটা চাপ প্রয়োগ করে তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক সই করে নেয়া হয়| ওই চেক নিয়ে এমপির চাচাতো ভাই বজলু দেওয়ান এবং মৃত খবিরের মেঝো ভাই কবির হোসেন মতলব অগ্রণী ব্যাংক শাখা থেকে ওই টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান|
একটি সূত্র থেকে জানা যায়, মূলতঃ এমপির ছোট ভাই তৌফিক দেওয়ান ও চাচাতো ভাই দুলাল দেওয়ান হচ্ছে ঘটনার মূল হোতা| আটক সাগর দেওয়ান ও নজরম্নল ইসলামের ১৬৪ ধারার জবানবন্দি থেকে এদের নাম বেরিয়ে আসে| সে জন্যে মামলার তদনত&ধসঢ়;দকারী কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্তকারী) তার মামলার স্বার্থে দু’জনকে খুঁজছেন| তিনি সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজে বেড়াচ্ছেন এদেরকে জিজ্ঞাসার জন্যে| ধারণা করা হচ্ছে, তৌফিক দেওয়ান ও দুলাল দেওয়ানকে এমপি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা নিরাপদ স্থানে লুকিয়ে রেখেছেন|
ঘটনার পরদিন ৩০ আগস্ট থেকে দুলাল দেওয়ান তার কর্মস্থলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে ৬ দিনের জন্যে ছুটি নেন| গত ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার কর্মস্থলে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও তিনি ওইদিন যোগ দেননি| যার জন্যে গত ১০ সেপ্টেম্বর তার কর্মকর্তা ডাঃ ইসহাক কর্মস্থলে যোগ দেয়ার জন্যে বাড়ির ঠিকানায় চিঠি দেন| কিন্তু অদ্যাবধি কর্মস্থলে যোগ না দেয়ায় পুনরায় দ্বিতীয় দফা তার ঠিকানায় চিঠি দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে| তিন দফা চিঠি দেয়ার পর কর্মস্থলে যোগ না দিলে স্বাস্থ্য বিভাগের নীতিমালা এবং নিয়মানুযায়ী দুলাল দেওয়ানের বিরম্নদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে|
এদিকে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত খবির হোসেনের মামলাটির আদৌ সুষ্ঠু
তদন্ত সাপেক্ষে বিচারকার্য সম্পন্ন হবে কি-না এ ব্যাপারে সন্দিহান খবিরের সহধর্মিণী মিসেস ফাতেমা আক্তার| কারণ, যাদের বিরম্নদ্ধে এ মামলা এরা খুবই ক্ষমতাবান| এছাড়া নওগাঁবাসী ছাড়া অন্যরা জঘন্যতম এবং বর্বরোচিত এ ঘটনার পর সোচ্চার নয়| স্বামী খবিরের পর আর কোনো মৃতু্য কামনা করে না স্ত্রী ফাতেমা বেগম| সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়েই তিনি এখন বেশি চিন্তিত|
মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ
মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিÿক মোঃ বোরহান উদ্দিন খান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিনিয়র শিÿক জাবেদ হোসেন। এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিÿা অফিসার মোঃ নাজিমউদ্দিন। আরো বক্তব্য রাখেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ সোয়েব আহমেদ সরকার, মোঃ গোলাম হোসেন সরকার, মোঃ মজিবুর রহমান সরকার, মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিÿক কবির হোসেন, মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ-প্রধান শিÿক মোঃ মাহাবুবুর রহমান, শিÿক প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন মজুমদার, অভিভাবক প্রতিনিধি বিউটি বেগম, নাসিমা আক্তার, রোজিনা আক্তার, তাছলিমা আক্তার, স্বপ্না বেগম সহ শ্রেণি শিÿকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধীজন।
ছেংগারচর জেনারেল হাসপাতালের উদ্বোধন
গতকাল বৃহস্পতিবার মতলব উত্তর উপজেলার মানুষের আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ছেংগারচর জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেডের উদ্বোধন হয়েছে| উদ্বোধনের পূর্বে চিকিৎসক, ভিজিটর, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা সহকারীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়| ছেংগারচর বাজারের সুরুজ পস্ন&ধসঢ়;লাজায় আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ শরীফউল্লাহ দর্জি| কামাল হোসেন খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এমএ মান্নান| স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছেংগারচর জেনারেল হাসপাতালের উদ্যোক্তা নূরে আলম সিদ্দিকী| বক্তব্য রাখেন পরিচালক ডাঃ আবদুর রশিদ সরকার, ডাঃ মনির হোসেন, কাউন্সিলর সাহাদাত হোসেন খোকন ঢালী, ছেংগারচর পৌর বাজার বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ মোবারক হোসেন মুফতি, ছেংগারচর ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য মোঃ রাসেল দর্জি, শিক্ষক শ্যামল কুমার বাড়ৈ, ভিজিটর জেসমিন খানম, নিলুফা বেগম, ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া মন্টু, শাহজাহান খান, মোঃ শাহআলম লস্কর প্রমুখ| সভায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন|
খবির হত্যায় মতলব সদরে দলীয় নেতা-কর্মীরা একেবারেই নীরব
প্রতিবাদহীন এমন ভূমিকাকে দৃষ্টিকটুই বলছেন অনেকে
চাঁদপুর-২ আসনের এমপি এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) মোঃ রফিকুল ইসলামের ছত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রাসীদের হামলায় মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগ সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও এমপির পিএস খবির হোসেন হত্যার প্রতিবাদে মতলব আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা একেবারেই নিশ্চুপ রয়েছে| এখানকার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের এমন ভূমিকা দৃষ্টিকটু বলে অকেনেই মনত&ধসঢ়;দব্য করেছেন|
গত ২৯ আগস্ট মধ্যরাতে মতলব পৌরসভাধীন কলাদী টিএণ্ডটি অফিস সংলগ্ন স্থানে পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী যুবলীগ নেতা খবির হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালায়| পরে খবির হোসেনকে মতলব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চাঁদপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আনার পর তাৎক্ষণিক ঢাকায় রেফার করা হয়| ঢাকার ধানমণ্ডিস্থ গ্রীন লাইফ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়| ২ সেপ্টেম্বর থেকে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখে| বাসত&ধসঢ়;দবে তিনি ক্লিনিক্যালি ডেড হওয়ার পরও তার মৃত্যু নিয়ে চলতে থাকে ভানুমতির খেলা| অবশেষে ৫ সেপ্টেম্বর তার লাশ গ্রীন লাইফ প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে বের করে ময়না তদনত&ধসঢ়;দ শেষে মতলবে না এনে মহাখালী আইসিসিডিডিআরবি হিমাগারে রাখা হয়|
এদিকে ৩০ আগস্ট সকাল থেকেই খবির হোসেনের উপর বর্বরোচিত হামলায় প্রতিবাদের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে উত্তর উপাদী ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামে| নওগাঁওবাসী দল-মত নির্বিশেষে প্রতিবাদের ঝড় তোলে| এভাবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যনত&ধসঢ়;দ চলতে থাকে বিক্ষোভ-সমাবেশ, ভাংচুর, সড়ক অবরোধ ও অগি&ধসঢ়;ন সংযোগ| প্রতিবাদ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে| নওগাঁওবাসীর আন্দোলনের মুখে বেসামাল হয়ে উঠে পুলিশ বাহিনী| করবন্ধ থেকে শুরু করে নওগাঁও আড়ং বাজার পর্যন্ত প্রতিবাদকারীদের অবস্থান, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলসহ নানা কর্মসূচি চলতে থাকলেও মতলবের কোনো স্থানে এমনকি পৌর এলাকায় আদৌ এ ব্যাপারে নূ্যনতম একটি মিছিল পর্যনত&ধসঢ়;দ বের হয়নি| বরং নওগাঁওবাসীর প্রতিবাদ মিছিল যাতে পৌর এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে জন্যে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে|
খবিরের মৃতু্যর এতোদিন অতিবাহিত হলেও মতলবের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ প্রতিবাদ সভাতো দূরের কথা, তার স্মরণে স্মরণসভাও করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে| মূলতঃ এরা সবাই দলীয় নেতা-কর্মী হলেও স্থানীয় এমপি রাগ করবেন এ জন্যে কেউই তার বিরাজভাজন হতে চাননি| মতলবের আওয়ামী রাজনীতি এখন পরিচালিত হচ্ছে ঢাকার শেরে বাংলা নগরের এমপি হোস্টেল থেকে| মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম গিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদকে সবসময়ই এমপির সাথে দেখা যায়|
অপ্রিয় হলেও সত্য, এমপির পিএস খবির হোসেন হত্যার নেপথ্যে তার ভাই তৌফিক দেওয়ান, চাচাতো ভাই দুলাল দেওয়ান ও সাগর দেওয়ান যদি জড়িত না থাকতেন, তাহলে এমপিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে পুরো মতলব উপজেলাকে অচল করে দিতো| আর ঘটনা যদি বিরোধী দলীয় কোনো নেতা-কর্মী দ্বারা পরিচালিত হতো, সে ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে হামলাকারীদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিতো এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের আটক করে পুলিশও অস্বাভাবিক তৎপরতা দেখাতো|
এমনিতেই মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে খুবই দুর্বল| কারণ নেতৃত্বদানকারী সভাপতি এ এইচ এম গিয়াসকে মূলতঃ পরিবার-পরিজন এবং ব্যবসার কারণে ঢাকায় থাকতে হচ্ছে| দলের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ ঢাকায় আসেন আবার যান| এজন্যে দলকে তাদের দুজনের সময় দেয়া মুশকিল| খবির হত্যা মামলার পরদিন ২জনকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করে| তন্মধ্যে ১জন মামলার এজাহারভুক্ত এবং অন্য ১জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক দেখানো হয়েছে| এদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রধান আসামী সাগর দেওয়ানকে পুলিশ ঢাকার গাজীপুর থেকে আটক করেছে| আটকের পর সাগর দেওয়ান পুলিশের কাছে এবং আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দিতে খবির হোসেনের উপর হামলার নেপথ্যের কারিগরসহ হামলাকারীদের নাম স্বীকার করেছে| এতো ঘটনা রটনার পরও স্থানীয় সাংসদ মোঃ রফিকুল ইসলাম মিডিয়ার মাধ্যমে তার বক্তব্য রাখছেন না| অনেক সাংবাদিক এমপি মহোদয়ের সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে আর কথাই বলেননি|
গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তদনত&ধসঢ়;দকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদনত&ধসঢ়;দ) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, মামলার সাথে সম্পৃক্ত আসামীদের ধরতেই মূলত তিনি বাইরে অবস্থান করছেন| তিনি আশাবাদী, সহসাই এ ব্যাপারে আরো সংবাদের তথ্য পাবেন|
একান্ত সাক্ষাৎকারে নিহত খবিরের স্ত্রী ফাতেমা আমি মামলার বাদী না হলেও খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আপোষ নেই
দুষ্কৃতকারীদের হামলায় নিহত, মতলবের এমপি রফিকুল ইসলামের পিএস ও যুবলীগ নেতা মরহুম খবির হোসেন প্রধানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, আমি মামলার বাদী না হলেও খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আপোষ নেই। আমি কখনোই আপোষ করবো না। কোন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেও আমাকে স্বামী হত্যার বিচার থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে না।
খবির হত্যা মামলা সম্পর্কে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি ইল্শেপাড়কে জানান, মোটা অংকের অর্থ এবং সম্পদের লোভ-লালসা দেখিয়ে খুনিদের সাথে আমার আপোষ করাতে পারবে না। আমার যদি টাকার প্রতিই লোভ থাকতো তাহলে স্বামীকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রেখে আমার ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে স্বামীর জমা রাখা ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকার চেক এমপি সাহেবকে কখনো দিতাম না। তারা ঐদিন আমার স্বামীকে সুস্থ করার কথা বলে এবং হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রেখে জিম্মি করে ঐ চেক লিখিয়ে নিয়ে যায়। চেকে স্বাক্ষর না করলে আমার স্বামীর চিকিৎসা সেবাসহ বিচারে সহযোগিতা না করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন তারা। উপায়ন্তর না পেয়ে স্বামীর সুস্থ হয়ে উঠবে, এ আশায় ঐদিন তাদের কথামত চেক লিখে দিয়েছি। কারণ আমার স্বামীর চেয়ে টাকার মূল্য বেশি না। মামলা আপোষ-মীমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আমি অসুস্থ, তাই আমার স্বামী হত্যা মামলার বাদী হয়েছে ভাশুর মোঃ মোশাররফ হোসেন। ভাশুরের উপর আমার আত্মবিশ্বাস আছে যে, আমার স্বামী অর্থাৎ ওনার আদরের ছোট ভাইকে যারা নির্মমভাবে খুন করেছে তাদের সাথে তিনিও ঐ খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আপোষ করবেন না। অনেক গুজব ছড়াচ্ছে আমরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামিদের সাথে আপোষ করার চিন্তা করছি। এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এর কোন সত্যতা ও ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, আমার অনাগত সন্তান তার পিতাকে এবং পিতা তার সন্তানকে দেখে যেতে পারলেন না, সেহেতু পৃথিবীর সব টাকা দিলেও এ দুঃখ-কষ্ট পূরণ করতে পারবো না। আমি ঢাকায় যে ছোট চাকরি করছি তার বেতন দিয়েই দুঃখ-কষ্টে হলেও সন্তানদের মানুষ করার চেষ্টা করবো। আপনারা আমার জন্য এবং আমার সন্তানদের জন্য দোয়া করবেন।
ফাতেমা বেগম বলেন, সাংবাদিকরা ছাড়া আমাদের পাশে আর কেউ নেই। আপনাদের সঠিক তথ্য ও লেখুনির মাধ্যমে খবির খুনিদের নাম বেরিয়ে আসছে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন খবিরের আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাক্সক্ষী এবং এলাকাবাসী বিচার ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারছে না। কারণ, হত্যাকারীরা পার পেয়ে গেলে মতলবে আরো খুন-খারাবি হবে। আমরা মামলায় আপোষ করবো না। যতদিন এ হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার না হবে।
বড়ভাইয়ের নির্দেশে খবিরের ওপর হামলা করে সাগর
চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলামের পিএস খবির হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাগর দেওয়ান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রোববার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম অসীম কুমার দে’র আদালতে সে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দিতে সাগর দেওয়ান বলে, এক বড়ভাইয়ের নির্দেশে বাশার, সোহরাবসহ আমরা কয়েকজন ২৯ আগস্ট রাতে মতলবে টিঅ্যান্ডটি এলাকায় খবির হোসেনের ওপর হামলা করি। কিন্তু সেই হামলার উদ্দেশ্য ছিল তাকে শায়েস্তা করা। মেরে ফেলা হামলার লক্ষ্য ছিল না। এর আগেও আমরা তার ওপর হামলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সুযোগ না পাওয়ায় সেই মিশন সফল হয়নি। সে বলে, ঘটনার রাতে সোহাগ নামে আমাদের আরো একজন মোবাইল ফোনে জানায়, খবির ভাই কোথায় আছে। তার কাছ থেকে সঙ্কেত পেয়েই আমরা টিঅ্যান্ডটি এলাকায় অবস্থান নিই। সাগর আরো জানায়, বড়ভাই অনেক কাজেই আমাদের ব্যবহার করত। তবে মতলব ফেরিঘাটে সরকারি ভূমিতে দোকান বরাদ্দ না পেয়ে সেই বড়ভাই খবির ভাইয়ের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরেই ২৯ আগস্ট হামলার পরিকল্পনা করা হয়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দেড়ঘণ্টা এই জবানবন্দি নেয়া হয়। পরে আদালতের নির্দেশে সাগরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর শনিবার রাতে মতলব দক্ষিণ থানায় সাগর দেওয়ান জানায়, সাড়ে তিন বছর ধরে সেই বড়ভাই তাকে চাকরির লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কাজ করায়। দুই বছর আগে বিমানবাহিনীতে আমার চাকরি হলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পরে তা বাতিল হয়ে যায়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরির জন্য বড়ভাইয়ের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেই। সাগর আরো জানায়, সে এইচবিএস পজিটিভ ভাইরাসের রোগী। কিন্তু বড়ভাইয়ের পেছনে ঘুরে তার চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে সাগর দেওয়ান মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের ৪ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। তার বাবা শামছুদ্দিন দেওয়ান সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলামের আপন চাচাতো ভাই। আর ওই বড়ভাই হচ্ছে সাগরের জেঠাতো ভাই। বড়ভাই পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মী হলেও সংসদ সদস্যের আত্মীয়তার সুবাদে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করত। কিন্তু সেই বড়ভাই ঘটনার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছে।
এদিকে খবির হোসেন হত্যার পর থেকে সংসদ সদস্যের ছোটভাই তৌফিক হোসেন, সাবেক পিএস পারভেজ দেওয়ান ও মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দুলাল দেওয়ান পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে, এই মামলার ৪ নম্বর আসামি আগেই গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলামের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকারী এবং এর পেছনে জড়িতদের নাম বেরিয়ে আসে।
গত ২৯ আগস্ট মতলবের টিঅ্যান্ডটি মোড় এলাকায় খবির হোসেনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত আহত করা হয়। ৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোশাররফ হোসেন ৯ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেন।
জুলুমবাজ সরকারকে হটাতে খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে
দেশের সর্বত্র সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট আর অর্থ কেলেঙ্কারী, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা, খুন আর গুম করাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের সকল কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ| বিএনপি নেতা-কর্মীকে গুম আর খুন করে ও তত্ত্ববধায়ক সরকার বাতিল করে এ জুলুম সরকার আবার ক্ষমতায় যেতে চায়| বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট আওয়ামী লীগ সরকারের নীল নঙ&ধসঢ়;া বাস্তবায়িত হতে দেবে না| এ জুলুমবাজ সরকারকে হটিয়ে তত্ত্ববধায়ক সরকারের মাধ্যমেই নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে দেশের জনগণ| জুলুমবাজ সরকারকে হটাতে সকল নেতা-কর্মী এক সাথে কাজ করে খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে| গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় মতলব ফেরিঘাটে নেতা-কর্মীর উদ্দেশ্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যুগ্ম মহাসচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লা আমান এসব কথা বলেন| তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে আমাদের কঠোর আন্দোলন করতে হবে| তিনি নূরুল হুদার নেতৃত্বে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের আগামী দিনের আন্দোলনকে বেগবান করার আহবান জানান|
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোঃ নূরুল হুদা, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ শুক্কুর পাটওয়ারী, মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন মৃধা, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ নূরুল হক সরকার, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সরকার, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সরকার, ছেঙ্গারচর পৌর বিএনপির সভাপতি খোরশেদ মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক সারোয়ারুল আবেদীন খোকন, নূরুল হুদার বড় ছেলে যুবদল নেতা তানভীর হুদা শুভ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এএম মফিজুল ইসলাম, মতলব পৌর বিএনপির আহবায়ক মোজ্জামেল হক খোকন, মতলব উত্তর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবু সৈয়দ গোলাম রাব্বানী মামুন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মিয়া মঞ্জুর আমিন স্বপন ও যুগ্ম আহবায়ক আমির হোসেন আমু, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ, উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান টিপু, উপজেলা ছাত্রদল নেতা আশ্রফুল আলমসহ মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ|
মতলব উত্তরে ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন যুবদলের সম্মেলন
সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি না করে তত্তাবদায়ক সরকারের দাবি মেনে নিন জননেতা নুরুল হুদা

ফরাজীকান্দিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
যুক্তরাস্ট্রে মহানবকে(সা.) অবমাননা করা ও যুক্তরাস্ট্রে নির্মিত ইনোসেন্স অব মুসলিমস শিরোনামে বিতর্কিত চলচ্চিত্র নির্মানের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার চাদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার উয়েসীয় শরীফ ফরাজীকান্দিতে নেদায়ে ইসলামের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। মিছিলটি ফরাজীকান্দি কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে নতুন বাজার ঘুরে পুনরায় কমপ্লেক্স এসে শেষ হয়। ফরাজীকান্দি আলীয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আতাউল করিমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন , ফরাজীকান্দি কমপ্লেক্সের খতিব আলহাজ্ব মাওলানা সিরাজ দৌলাহ, হাফেজ রফিকুল ইসলাম, হাফেজ আবু বক্করসিদ্দিক, সোলেমান ফকীহ, ফরাজীকান্দি মহিলা মাদাসার অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা আরিফ চৌধুরী, মাওলানা রুহুলআমীন, নেদায়ে ইসলামের সম্পাদক ফখরুল ইসলাম সরকার প্রমূখ
মতলব উত্তরে চাঞ্চল্যকর লিয়াকত হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
মতলব উত্তর উপজেলার চাঞ্চল্যকর লিয়াকত হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল ও দ্রুত বিচারের দাবিতে গতকাল রোববার মতলব-দাউদকান্দির সড়কের শহীদ লিয়াকত বাজারে নিহতের স্ত্রী স্বজন ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও সমাবেশ করে।
মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফতেপুর (পূর্ব) ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজমল হোসেন চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নবী বাদল, নিহত লিয়াকতের বড় বোন মালেকা নিজাম, নিহতের স্ত্রী, এলাকাবাসী জয়নাল সরকার, ব্যবসায়ী শাহ আলম, নূর আহমেদ বাদল, মামলা বাদী নিহতের ভাতিজা তৌফিক সরকার মিশু প্রমুখ।
বক্তারা লিয়াকত হত্যার দ্রুত অভিযোগ দাখিল, আসামিদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের মাধ্যমে খুনিদের ফাঁসির দাবি জানান। মানববন্ধনে এলাকার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেয়। নিহত লিয়াকতের স্ত্রী স্বামী, অবুঝ সন্তানরা বাবা আর স্বজনরা এবং এলাকাবাসী লিয়াকত হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে সড়কে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লে-কার্ড বহন করে এলাকাবাসী।
এবছরের গত ১০ মে রাতে উপজেলার সাহেববাজারে (শহীদ লিয়াকত বাজার) প্রকাশ্যে চায়ের দোকানে কুপিয়ে এনায়েতনগর গ্রামের ব্যবসায়ী লিয়াকত সরকারকে টুনু হাজির সন্ত্রাসীরা হত্যা করে।
মানববন্ধনস্থলে চাঁদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার শচিন চাকমা ও মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রোস্তম আলী সিকদারের নেতৃত্বে রিজার্ভ ও থানা পুলিশ সড়কের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজে সহায়তা করেন।
মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফতেপুর (পূর্ব) ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজমল হোসেন চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নবী বাদল, নিহত লিয়াকতের বড় বোন মালেকা নিজাম, নিহতের স্ত্রী, এলাকাবাসী জয়নাল সরকার, ব্যবসায়ী শাহ আলম, নূর আহমেদ বাদল, মামলা বাদী নিহতের ভাতিজা তৌফিক সরকার মিশু প্রমুখ।
বক্তারা লিয়াকত হত্যার দ্রুত অভিযোগ দাখিল, আসামিদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের মাধ্যমে খুনিদের ফাঁসির দাবি জানান। মানববন্ধনে এলাকার কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেয়। নিহত লিয়াকতের স্ত্রী স্বামী, অবুঝ সন্তানরা বাবা আর স্বজনরা এবং এলাকাবাসী লিয়াকত হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে সড়কে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বিভিন্ন লেখা সংবলিত প্লে-কার্ড বহন করে এলাকাবাসী।
এবছরের গত ১০ মে রাতে উপজেলার সাহেববাজারে (শহীদ লিয়াকত বাজার) প্রকাশ্যে চায়ের দোকানে কুপিয়ে এনায়েতনগর গ্রামের ব্যবসায়ী লিয়াকত সরকারকে টুনু হাজির সন্ত্রাসীরা হত্যা করে।
মানববন্ধনস্থলে চাঁদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার শচিন চাকমা ও মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রোস্তম আলী সিকদারের নেতৃত্বে রিজার্ভ ও থানা পুলিশ সড়কের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজে সহায়তা করেন।
মতলবে লোডিশেডিংয়ের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ
সাব স্টেশন কার্যক্রম
দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুলে আছে
মতলব দক্ষিণ উপজেলাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্দুতের অব্যাহত লোডিশেডিংয়ের কারণে জনজীবনে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবৎ দুর্ভোগ চলছে| বিদু্যতের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে গত এক দশক ধরে সাব স্টেশন স্থাপিত হওয়ার কথা থাকলেও তা ঝুলে আছে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায়| পলস্নী বিদু্যতের গ্রাহকগণ এ সমস্যায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে আর সাব স্টেশন স্থাপনের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে|
বর্তমান সরকারের শুরম্নতে মতলবে বিদু্যতের সাব স্টেশনের বিষয়টি উত্থাপিত হলেও ভূমি অধিগ্রহণের বিভিন্ন সমস্যার কারণে আজও সাব স্টেশন স্থাপন আলোর মুখ দেখতে পায়নি| সাব স্টেশনের জন্য প্রথমে দগরপুর এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করলেও তা একোয়ার করা সম্ভব হয়ে উঠেনি| পৌরসভার ঢাকিরগাঁও এলাকায় বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় এক একর ভূমি রয়েছে| পলস্নী বিদু্যৎ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন উক্ত ভূমি একোয়ারে সহযোগিতা করলে সেখানে বিদু্যতের সাব স্টেশন স্থাপন করা যায়|
এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা হাসান মাহমুদ বলেন, ভূমি একোয়ার কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি| বর্তমানে দগরপুরের কাছাকাছি কোনো এক স্থানে সাব স্টেশনের জন্য ভূমি একোয়ারের চেষ্টা চলছে| অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পলস্নী বিদু্যৎ ও বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের অসহযোগিতার কারণে ঢাকিরগাঁও এলাকার বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের এক একর ভূমিতে বিদু্যতের সাব স্টেশন স্থাপন সম্ভব হচ্ছে না এবং বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ড পলস্নী বিদু্যৎকে এ ভূমি দিতে চাচ্ছে না|
মতলব পলস্নী বিদু্যতের ডিজিএম আক্তার হোসেনের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ২০১০ সালে বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকিরগাঁয়ের জায়গায় সাব স্টেশন করার জন্য একনেকে পাস করা হয়েছে| কিন্তু বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের অসহযোগিতায় তা হচ্ছে না| বর্তমানে ২টি জায়গাকে নির্ধারণ করে ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদন কার্যক্রম মন্ত্রণালয় থেকে পাস হয়েছে| ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলে সাব স্টেশন স্থাপন কাজ শুরম্ন করা হবে|
উলেস্নখ্য, মতলবে বিদু্যতের সাব স্টেশন না থাকায় বিদু্যৎ গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে| ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে দিনে প্রায় ১৮-২০ ঘণ্টা বিদু্ৎবিহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে মতলববাসীকে| আবাসিক গ্রাহকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক গ্রাহকরা চরম ভোগানতর শিকার হচ্ছে| ছোট ছোট উৎপাদনশীল শিল্প স্থাপনা প্রত্যহ অনবরত লোডশেডিংয়ের কারণে বিলুপ্ত হতে চলেছে|
বর্তমান সরকারের শুরম্নতে মতলবে বিদু্যতের সাব স্টেশনের বিষয়টি উত্থাপিত হলেও ভূমি অধিগ্রহণের বিভিন্ন সমস্যার কারণে আজও সাব স্টেশন স্থাপন আলোর মুখ দেখতে পায়নি| সাব স্টেশনের জন্য প্রথমে দগরপুর এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করলেও তা একোয়ার করা সম্ভব হয়ে উঠেনি| পৌরসভার ঢাকিরগাঁও এলাকায় বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় এক একর ভূমি রয়েছে| পলস্নী বিদু্যৎ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন উক্ত ভূমি একোয়ারে সহযোগিতা করলে সেখানে বিদু্যতের সাব স্টেশন স্থাপন করা যায়|
এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা হাসান মাহমুদ বলেন, ভূমি একোয়ার কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি| বর্তমানে দগরপুরের কাছাকাছি কোনো এক স্থানে সাব স্টেশনের জন্য ভূমি একোয়ারের চেষ্টা চলছে| অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পলস্নী বিদু্যৎ ও বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের অসহযোগিতার কারণে ঢাকিরগাঁও এলাকার বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের এক একর ভূমিতে বিদু্যতের সাব স্টেশন স্থাপন সম্ভব হচ্ছে না এবং বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ড পলস্নী বিদু্যৎকে এ ভূমি দিতে চাচ্ছে না|
মতলব পলস্নী বিদু্যতের ডিজিএম আক্তার হোসেনের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ২০১০ সালে বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকিরগাঁয়ের জায়গায় সাব স্টেশন করার জন্য একনেকে পাস করা হয়েছে| কিন্তু বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের অসহযোগিতায় তা হচ্ছে না| বর্তমানে ২টি জায়গাকে নির্ধারণ করে ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদন কার্যক্রম মন্ত্রণালয় থেকে পাস হয়েছে| ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হলে সাব স্টেশন স্থাপন কাজ শুরম্ন করা হবে|
উলেস্নখ্য, মতলবে বিদু্যতের সাব স্টেশন না থাকায় বিদু্যৎ গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে| ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে দিনে প্রায় ১৮-২০ ঘণ্টা বিদু্ৎবিহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে মতলববাসীকে| আবাসিক গ্রাহকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক গ্রাহকরা চরম ভোগানতর শিকার হচ্ছে| ছোট ছোট উৎপাদনশীল শিল্প স্থাপনা প্রত্যহ অনবরত লোডশেডিংয়ের কারণে বিলুপ্ত হতে চলেছে|
মতলব উত্তরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল পিয়ানো বিতরণ
মতলব উত্তর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল পিয়ানো বিনামূল্যে বিতরণ করেছে| গতকাল সোমবার দুপুরে দক্ষিণ ব্যাসদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলার ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হাতে ডিজিটাল পিয়ানো তুলে দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ| এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহবায়ক আহমেদ আল কামাল, দক্ষিণ ব্যাসদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর মোললা, প্রধান শিক্ষক মোঃ রহমত উল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, শিক্ষক এসএম মামুনুর রশিদ, মোঃ আল-আমিন, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, আলী আহম্মদ, তাহীনুর ইসলাম, শ্যামল কুমার বাড়ৈ প্রমুখ| যে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল পিয়ানো দেয়া হয় সেগুলো হলো ঃ দক্ষিণ ব্যাসদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাথাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাউরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নন্দলালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিশ্চিনতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সানকিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দশানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়|
খবির হত্যার দু’হোতাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ
কর্মস্থলে এখনো যোগ দেননি দুলাল দেওয়ান
মতলবের বহুল আলোচিত খবির হোসেন হত্যার ঘটনার সাথে নেপথ্যে জড়িত থাকার কারণে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী দুলাল দেওয়ান এখনো পলাতক রয়েছেন| ইউএইচও ডাঃ ইসহাক কর্মস্থলে যোগ দেয়ার জন্যে দুলাল দেওয়ানের বাড়ির ঠিকানায় চিঠি দেয়ার পরও তিনি কর্মস্থলে যোগ দেননি| এমনকি প্রতিদিন তাকে খুঁজছেন তার সহকর্মীরা| শুধু তাই নয়, খবির হত্যা মামলার প্রয়োজনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্তকারী) মোঃ মিজানুর রহমানও দুলাল দেওয়ানকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন|
গত ২৯ আগস্ট মধ্যরাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় সাংসদ মোঃ রফিকুল ইসলামের পিএস ও মতলব যুবলীগ নেতা খবির হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছিলো| ঘটনার পর পর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনার সাথে সাথে তাকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়| কর্মরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকায় রেফার করেন| ঢাকাস্থ গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খবির হোসেন দুনিয়া থেকে চির বিদায় নেন| খবিরের চিকিৎসা এবং মৃতু্য নিয়ে চলে এমপি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সেক্রেটারীর দীর্ঘ নাটকীয়তা| খবিরের সহধর্মিণী মিসেস ফাতেমা বেগমকে অনেকটা চাপ প্রয়োগ করে তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক সই করে নেয়া হয়| ওই চেক নিয়ে এমপির চাচাতো ভাই বজলু দেওয়ান এবং মৃত খবিরের মেঝো ভাই কবির হোসেন মতলব অগ্রণী ব্যাংক শাখা থেকে ওই টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান|
একটি সূত্র থেকে জানা যায়, মূলতঃ এমপির ছোট ভাই তৌফিক দেওয়ান ও চাচাতো ভাই দুলাল দেওয়ান হচ্ছে ঘটনার মূল হোতা| আটক সাগর দেওয়ান ও নজরম্নল ইসলামের ১৬৪ ধারার জবানবন্দি থেকে এদের নাম বেরিয়ে আসে| সে জন্যে মামলার তদনত&ধসঢ়;দকারী কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্তকারী) তার মামলার স্বার্থে দু’জনকে খুঁজছেন| তিনি সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজে বেড়াচ্ছেন এদেরকে জিজ্ঞাসার জন্যে| ধারণা করা হচ্ছে, তৌফিক দেওয়ান ও দুলাল দেওয়ানকে এমপি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা নিরাপদ স্থানে লুকিয়ে রেখেছেন|
ঘটনার পরদিন ৩০ আগস্ট থেকে দুলাল দেওয়ান তার কর্মস্থলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে ৬ দিনের জন্যে ছুটি নেন| গত ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার কর্মস্থলে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও তিনি ওইদিন যোগ দেননি| যার জন্যে গত ১০ সেপ্টেম্বর তার কর্মকর্তা ডাঃ ইসহাক কর্মস্থলে যোগ দেয়ার জন্যে বাড়ির ঠিকানায় চিঠি দেন| কিন্তু অদ্যাবধি কর্মস্থলে যোগ না দেয়ায় পুনরায় দ্বিতীয় দফা তার ঠিকানায় চিঠি দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে| তিন দফা চিঠি দেয়ার পর কর্মস্থলে যোগ না দিলে স্বাস্থ্য বিভাগের নীতিমালা এবং নিয়মানুযায়ী দুলাল দেওয়ানের বিরম্নদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে|
এদিকে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত খবির হোসেনের মামলাটির আদৌ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারকার্য সম্পন্ন হবে কি-না এ ব্যাপারে সন্দিহান খবিরের সহধর্মিণী মিসেস ফাতেমা আক্তার| কারণ, যাদের বিরম্নদ্ধে এ মামলা এরা খুবই ক্ষমতাবান| এছাড়া নওগাঁবাসী ছাড়া অন্যরা জঘন্যতম এবং বর্বরোচিত এ ঘটনার পর সোচ্চার নয়| স্বামী খবিরের পর আর কোনো মৃতু্য কামনা করে না স্ত্রী ফাতেমা বেগম| সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়েই তিনি এখন বেশি চিন্তিত|
গত ২৯ আগস্ট মধ্যরাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় সাংসদ মোঃ রফিকুল ইসলামের পিএস ও মতলব যুবলীগ নেতা খবির হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছিলো| ঘটনার পর পর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনার সাথে সাথে তাকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়| কর্মরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে তাৎক্ষণিক ঢাকায় রেফার করেন| ঢাকাস্থ গ্রীন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খবির হোসেন দুনিয়া থেকে চির বিদায় নেন| খবিরের চিকিৎসা এবং মৃতু্য নিয়ে চলে এমপি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সেক্রেটারীর দীর্ঘ নাটকীয়তা| খবিরের সহধর্মিণী মিসেস ফাতেমা বেগমকে অনেকটা চাপ প্রয়োগ করে তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক সই করে নেয়া হয়| ওই চেক নিয়ে এমপির চাচাতো ভাই বজলু দেওয়ান এবং মৃত খবিরের মেঝো ভাই কবির হোসেন মতলব অগ্রণী ব্যাংক শাখা থেকে ওই টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যান|
একটি সূত্র থেকে জানা যায়, মূলতঃ এমপির ছোট ভাই তৌফিক দেওয়ান ও চাচাতো ভাই দুলাল দেওয়ান হচ্ছে ঘটনার মূল হোতা| আটক সাগর দেওয়ান ও নজরম্নল ইসলামের ১৬৪ ধারার জবানবন্দি থেকে এদের নাম বেরিয়ে আসে| সে জন্যে মামলার তদনত&ধসঢ়;দকারী কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদন্তকারী) তার মামলার স্বার্থে দু’জনকে খুঁজছেন| তিনি সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজে বেড়াচ্ছেন এদেরকে জিজ্ঞাসার জন্যে| ধারণা করা হচ্ছে, তৌফিক দেওয়ান ও দুলাল দেওয়ানকে এমপি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা নিরাপদ স্থানে লুকিয়ে রেখেছেন|
ঘটনার পরদিন ৩০ আগস্ট থেকে দুলাল দেওয়ান তার কর্মস্থলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে ৬ দিনের জন্যে ছুটি নেন| গত ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার কর্মস্থলে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও তিনি ওইদিন যোগ দেননি| যার জন্যে গত ১০ সেপ্টেম্বর তার কর্মকর্তা ডাঃ ইসহাক কর্মস্থলে যোগ দেয়ার জন্যে বাড়ির ঠিকানায় চিঠি দেন| কিন্তু অদ্যাবধি কর্মস্থলে যোগ না দেয়ায় পুনরায় দ্বিতীয় দফা তার ঠিকানায় চিঠি দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে| তিন দফা চিঠি দেয়ার পর কর্মস্থলে যোগ না দিলে স্বাস্থ্য বিভাগের নীতিমালা এবং নিয়মানুযায়ী দুলাল দেওয়ানের বিরম্নদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে|
এদিকে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত খবির হোসেনের মামলাটির আদৌ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারকার্য সম্পন্ন হবে কি-না এ ব্যাপারে সন্দিহান খবিরের সহধর্মিণী মিসেস ফাতেমা আক্তার| কারণ, যাদের বিরম্নদ্ধে এ মামলা এরা খুবই ক্ষমতাবান| এছাড়া নওগাঁবাসী ছাড়া অন্যরা জঘন্যতম এবং বর্বরোচিত এ ঘটনার পর সোচ্চার নয়| স্বামী খবিরের পর আর কোনো মৃতু্য কামনা করে না স্ত্রী ফাতেমা বেগম| সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়েই তিনি এখন বেশি চিন্তিত|
মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ
মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিÿক মোঃ বোরহান উদ্দিন খান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিনিয়র শিÿক জাবেদ হোসেন। এ সময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিÿা অফিসার মোঃ নাজিমউদ্দিন। আরো বক্তব্য রাখেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ সোয়েব আহমেদ সরকার, মোঃ গোলাম হোসেন সরকার, মোঃ মজিবুর রহমান সরকার, মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিÿক কবির হোসেন, মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ-প্রধান শিÿক মোঃ মাহাবুবুর রহমান, শিÿক প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন মজুমদার, অভিভাবক প্রতিনিধি বিউটি বেগম, নাসিমা আক্তার, রোজিনা আক্তার, তাছলিমা আক্তার, স্বপ্না বেগম সহ শ্রেণি শিÿকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধীজন।
ছেংগারচর জেনারেল হাসপাতালের উদ্বোধন
গতকাল বৃহস্পতিবার মতলব উত্তর উপজেলার মানুষের আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ছেংগারচর জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেডের উদ্বোধন হয়েছে| উদ্বোধনের পূর্বে চিকিৎসক, ভিজিটর, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা সহকারীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়| ছেংগারচর বাজারের সুরুজ পস্ন&ধসঢ়;লাজায় আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ শরীফউল্লাহ দর্জি| কামাল হোসেন খানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এমএ মান্নান| স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছেংগারচর জেনারেল হাসপাতালের উদ্যোক্তা নূরে আলম সিদ্দিকী| বক্তব্য রাখেন পরিচালক ডাঃ আবদুর রশিদ সরকার, ডাঃ মনির হোসেন, কাউন্সিলর সাহাদাত হোসেন খোকন ঢালী, ছেংগারচর পৌর বাজার বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ মোবারক হোসেন মুফতি, ছেংগারচর ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য মোঃ রাসেল দর্জি, শিক্ষক শ্যামল কুমার বাড়ৈ, ভিজিটর জেসমিন খানম, নিলুফা বেগম, ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া মন্টু, শাহজাহান খান, মোঃ শাহআলম লস্কর প্রমুখ| সভায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন|
খবির হত্যায় মতলব সদরে দলীয় নেতা-কর্মীরা একেবারেই নীরব
প্রতিবাদহীন এমন ভূমিকাকে দৃষ্টিকটুই বলছেন অনেকে
চাঁদপুর-২ আসনের এমপি এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) মোঃ রফিকুল ইসলামের ছত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রাসীদের হামলায় মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগ সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও এমপির পিএস খবির হোসেন হত্যার প্রতিবাদে মতলব আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা একেবারেই নিশ্চুপ রয়েছে| এখানকার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের এমন ভূমিকা দৃষ্টিকটু বলে অকেনেই মনত&ধসঢ়;দব্য করেছেন|
গত ২৯ আগস্ট মধ্যরাতে মতলব পৌরসভাধীন কলাদী টিএণ্ডটি অফিস সংলগ্ন স্থানে পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী যুবলীগ নেতা খবির হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালায়| পরে খবির হোসেনকে মতলব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চাঁদপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আনার পর তাৎক্ষণিক ঢাকায় রেফার করা হয়| ঢাকার ধানমণ্ডিস্থ গ্রীন লাইফ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়| ২ সেপ্টেম্বর থেকে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখে| বাসত&ধসঢ়;দবে তিনি ক্লিনিক্যালি ডেড হওয়ার পরও তার মৃত্যু নিয়ে চলতে থাকে ভানুমতির খেলা| অবশেষে ৫ সেপ্টেম্বর তার লাশ গ্রীন লাইফ প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে বের করে ময়না তদনত&ধসঢ়;দ শেষে মতলবে না এনে মহাখালী আইসিসিডিডিআরবি হিমাগারে রাখা হয়|
এদিকে ৩০ আগস্ট সকাল থেকেই খবির হোসেনের উপর বর্বরোচিত হামলায় প্রতিবাদের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে উত্তর উপাদী ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামে| নওগাঁওবাসী দল-মত নির্বিশেষে প্রতিবাদের ঝড় তোলে| এভাবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যনত&ধসঢ়;দ চলতে থাকে বিক্ষোভ-সমাবেশ, ভাংচুর, সড়ক অবরোধ ও অগি&ধসঢ়;ন সংযোগ| প্রতিবাদ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে| নওগাঁওবাসীর আন্দোলনের মুখে বেসামাল হয়ে উঠে পুলিশ বাহিনী| করবন্ধ থেকে শুরু করে নওগাঁও আড়ং বাজার পর্যন্ত প্রতিবাদকারীদের অবস্থান, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলসহ নানা কর্মসূচি চলতে থাকলেও মতলবের কোনো স্থানে এমনকি পৌর এলাকায় আদৌ এ ব্যাপারে নূ্যনতম একটি মিছিল পর্যনত&ধসঢ়;দ বের হয়নি| বরং নওগাঁওবাসীর প্রতিবাদ মিছিল যাতে পৌর এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে জন্যে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে|
খবিরের মৃতু্যর এতোদিন অতিবাহিত হলেও মতলবের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ প্রতিবাদ সভাতো দূরের কথা, তার স্মরণে স্মরণসভাও করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে| মূলতঃ এরা সবাই দলীয় নেতা-কর্মী হলেও স্থানীয় এমপি রাগ করবেন এ জন্যে কেউই তার বিরাজভাজন হতে চাননি| মতলবের আওয়ামী রাজনীতি এখন পরিচালিত হচ্ছে ঢাকার শেরে বাংলা নগরের এমপি হোস্টেল থেকে| মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম গিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদকে সবসময়ই এমপির সাথে দেখা যায়|
অপ্রিয় হলেও সত্য, এমপির পিএস খবির হোসেন হত্যার নেপথ্যে তার ভাই তৌফিক দেওয়ান, চাচাতো ভাই দুলাল দেওয়ান ও সাগর দেওয়ান যদি জড়িত না থাকতেন, তাহলে এমপিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে পুরো মতলব উপজেলাকে অচল করে দিতো| আর ঘটনা যদি বিরোধী দলীয় কোনো নেতা-কর্মী দ্বারা পরিচালিত হতো, সে ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে হামলাকারীদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিতো এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের আটক করে পুলিশও অস্বাভাবিক তৎপরতা দেখাতো|
এমনিতেই মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে খুবই দুর্বল| কারণ নেতৃত্বদানকারী সভাপতি এ এইচ এম গিয়াসকে মূলতঃ পরিবার-পরিজন এবং ব্যবসার কারণে ঢাকায় থাকতে হচ্ছে| দলের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ ঢাকায় আসেন আবার যান| এজন্যে দলকে তাদের দুজনের সময় দেয়া মুশকিল| খবির হত্যা মামলার পরদিন ২জনকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করে| তন্মধ্যে ১জন মামলার এজাহারভুক্ত এবং অন্য ১জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক দেখানো হয়েছে| এদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রধান আসামী সাগর দেওয়ানকে পুলিশ ঢাকার গাজীপুর থেকে আটক করেছে| আটকের পর সাগর দেওয়ান পুলিশের কাছে এবং আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দিতে খবির হোসেনের উপর হামলার নেপথ্যের কারিগরসহ হামলাকারীদের নাম স্বীকার করেছে| এতো ঘটনা রটনার পরও স্থানীয় সাংসদ মোঃ রফিকুল ইসলাম মিডিয়ার মাধ্যমে তার বক্তব্য রাখছেন না| অনেক সাংবাদিক এমপি মহোদয়ের সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে আর কথাই বলেননি|
গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তদনত&ধসঢ়;দকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদনত&ধসঢ়;দ) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, মামলার সাথে সম্পৃক্ত আসামীদের ধরতেই মূলত তিনি বাইরে অবস্থান করছেন| তিনি আশাবাদী, সহসাই এ ব্যাপারে আরো সংবাদের তথ্য পাবেন|
গত ২৯ আগস্ট মধ্যরাতে মতলব পৌরসভাধীন কলাদী টিএণ্ডটি অফিস সংলগ্ন স্থানে পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী যুবলীগ নেতা খবির হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালায়| পরে খবির হোসেনকে মতলব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চাঁদপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আনার পর তাৎক্ষণিক ঢাকায় রেফার করা হয়| ঢাকার ধানমণ্ডিস্থ গ্রীন লাইফ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়| ২ সেপ্টেম্বর থেকে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখে| বাসত&ধসঢ়;দবে তিনি ক্লিনিক্যালি ডেড হওয়ার পরও তার মৃত্যু নিয়ে চলতে থাকে ভানুমতির খেলা| অবশেষে ৫ সেপ্টেম্বর তার লাশ গ্রীন লাইফ প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে বের করে ময়না তদনত&ধসঢ়;দ শেষে মতলবে না এনে মহাখালী আইসিসিডিডিআরবি হিমাগারে রাখা হয়|
এদিকে ৩০ আগস্ট সকাল থেকেই খবির হোসেনের উপর বর্বরোচিত হামলায় প্রতিবাদের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে উত্তর উপাদী ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামে| নওগাঁওবাসী দল-মত নির্বিশেষে প্রতিবাদের ঝড় তোলে| এভাবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যনত&ধসঢ়;দ চলতে থাকে বিক্ষোভ-সমাবেশ, ভাংচুর, সড়ক অবরোধ ও অগি&ধসঢ়;ন সংযোগ| প্রতিবাদ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে| নওগাঁওবাসীর আন্দোলনের মুখে বেসামাল হয়ে উঠে পুলিশ বাহিনী| করবন্ধ থেকে শুরু করে নওগাঁও আড়ং বাজার পর্যন্ত প্রতিবাদকারীদের অবস্থান, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলসহ নানা কর্মসূচি চলতে থাকলেও মতলবের কোনো স্থানে এমনকি পৌর এলাকায় আদৌ এ ব্যাপারে নূ্যনতম একটি মিছিল পর্যনত&ধসঢ়;দ বের হয়নি| বরং নওগাঁওবাসীর প্রতিবাদ মিছিল যাতে পৌর এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে জন্যে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে|
খবিরের মৃতু্যর এতোদিন অতিবাহিত হলেও মতলবের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ প্রতিবাদ সভাতো দূরের কথা, তার স্মরণে স্মরণসভাও করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে| মূলতঃ এরা সবাই দলীয় নেতা-কর্মী হলেও স্থানীয় এমপি রাগ করবেন এ জন্যে কেউই তার বিরাজভাজন হতে চাননি| মতলবের আওয়ামী রাজনীতি এখন পরিচালিত হচ্ছে ঢাকার শেরে বাংলা নগরের এমপি হোস্টেল থেকে| মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম গিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদকে সবসময়ই এমপির সাথে দেখা যায়|
অপ্রিয় হলেও সত্য, এমপির পিএস খবির হোসেন হত্যার নেপথ্যে তার ভাই তৌফিক দেওয়ান, চাচাতো ভাই দুলাল দেওয়ান ও সাগর দেওয়ান যদি জড়িত না থাকতেন, তাহলে এমপিসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে পুরো মতলব উপজেলাকে অচল করে দিতো| আর ঘটনা যদি বিরোধী দলীয় কোনো নেতা-কর্মী দ্বারা পরিচালিত হতো, সে ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে হামলাকারীদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিতো এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের আটক করে পুলিশও অস্বাভাবিক তৎপরতা দেখাতো|
এমনিতেই মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে খুবই দুর্বল| কারণ নেতৃত্বদানকারী সভাপতি এ এইচ এম গিয়াসকে মূলতঃ পরিবার-পরিজন এবং ব্যবসার কারণে ঢাকায় থাকতে হচ্ছে| দলের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ ঢাকায় আসেন আবার যান| এজন্যে দলকে তাদের দুজনের সময় দেয়া মুশকিল| খবির হত্যা মামলার পরদিন ২জনকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করে| তন্মধ্যে ১জন মামলার এজাহারভুক্ত এবং অন্য ১জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক দেখানো হয়েছে| এদিকে গত ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রধান আসামী সাগর দেওয়ানকে পুলিশ ঢাকার গাজীপুর থেকে আটক করেছে| আটকের পর সাগর দেওয়ান পুলিশের কাছে এবং আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দিতে খবির হোসেনের উপর হামলার নেপথ্যের কারিগরসহ হামলাকারীদের নাম স্বীকার করেছে| এতো ঘটনা রটনার পরও স্থানীয় সাংসদ মোঃ রফিকুল ইসলাম মিডিয়ার মাধ্যমে তার বক্তব্য রাখছেন না| অনেক সাংবাদিক এমপি মহোদয়ের সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে আর কথাই বলেননি|
গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে তদনত&ধসঢ়;দকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদনত&ধসঢ়;দ) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, মামলার সাথে সম্পৃক্ত আসামীদের ধরতেই মূলত তিনি বাইরে অবস্থান করছেন| তিনি আশাবাদী, সহসাই এ ব্যাপারে আরো সংবাদের তথ্য পাবেন|
একান্ত সাক্ষাৎকারে নিহত খবিরের স্ত্রী ফাতেমা আমি মামলার বাদী না হলেও খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আপোষ নেই
দুষ্কৃতকারীদের হামলায় নিহত, মতলবের এমপি রফিকুল ইসলামের পিএস ও যুবলীগ নেতা মরহুম খবির হোসেন প্রধানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, আমি মামলার বাদী না হলেও খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আপোষ নেই। আমি কখনোই আপোষ করবো না। কোন ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেও আমাকে স্বামী হত্যার বিচার থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যাবে না।
খবির হত্যা মামলা সম্পর্কে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি ইল্শেপাড়কে জানান, মোটা অংকের অর্থ এবং সম্পদের লোভ-লালসা দেখিয়ে খুনিদের সাথে আমার আপোষ করাতে পারবে না। আমার যদি টাকার প্রতিই লোভ থাকতো তাহলে স্বামীকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রেখে আমার ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে স্বামীর জমা রাখা ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকার চেক এমপি সাহেবকে কখনো দিতাম না। তারা ঐদিন আমার স্বামীকে সুস্থ করার কথা বলে এবং হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রেখে জিম্মি করে ঐ চেক লিখিয়ে নিয়ে যায়। চেকে স্বাক্ষর না করলে আমার স্বামীর চিকিৎসা সেবাসহ বিচারে সহযোগিতা না করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন তারা। উপায়ন্তর না পেয়ে স্বামীর সুস্থ হয়ে উঠবে, এ আশায় ঐদিন তাদের কথামত চেক লিখে দিয়েছি। কারণ আমার স্বামীর চেয়ে টাকার মূল্য বেশি না। মামলা আপোষ-মীমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আমি অসুস্থ, তাই আমার স্বামী হত্যা মামলার বাদী হয়েছে ভাশুর মোঃ মোশাররফ হোসেন। ভাশুরের উপর আমার আত্মবিশ্বাস আছে যে, আমার স্বামী অর্থাৎ ওনার আদরের ছোট ভাইকে যারা নির্মমভাবে খুন করেছে তাদের সাথে তিনিও ঐ খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আপোষ করবেন না। অনেক গুজব ছড়াচ্ছে আমরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামিদের সাথে আপোষ করার চিন্তা করছি। এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এর কোন সত্যতা ও ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, আমার অনাগত সন্তান তার পিতাকে এবং পিতা তার সন্তানকে দেখে যেতে পারলেন না, সেহেতু পৃথিবীর সব টাকা দিলেও এ দুঃখ-কষ্ট পূরণ করতে পারবো না। আমি ঢাকায় যে ছোট চাকরি করছি তার বেতন দিয়েই দুঃখ-কষ্টে হলেও সন্তানদের মানুষ করার চেষ্টা করবো। আপনারা আমার জন্য এবং আমার সন্তানদের জন্য দোয়া করবেন।
ফাতেমা বেগম বলেন, সাংবাদিকরা ছাড়া আমাদের পাশে আর কেউ নেই। আপনাদের সঠিক তথ্য ও লেখুনির মাধ্যমে খবির খুনিদের নাম বেরিয়ে আসছে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন খবিরের আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাক্সক্ষী এবং এলাকাবাসী বিচার ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারছে না। কারণ, হত্যাকারীরা পার পেয়ে গেলে মতলবে আরো খুন-খারাবি হবে। আমরা মামলায় আপোষ করবো না। যতদিন এ হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার না হবে।
খবির হত্যা মামলা সম্পর্কে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি ইল্শেপাড়কে জানান, মোটা অংকের অর্থ এবং সম্পদের লোভ-লালসা দেখিয়ে খুনিদের সাথে আমার আপোষ করাতে পারবে না। আমার যদি টাকার প্রতিই লোভ থাকতো তাহলে স্বামীকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রেখে আমার ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে স্বামীর জমা রাখা ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকার চেক এমপি সাহেবকে কখনো দিতাম না। তারা ঐদিন আমার স্বামীকে সুস্থ করার কথা বলে এবং হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রেখে জিম্মি করে ঐ চেক লিখিয়ে নিয়ে যায়। চেকে স্বাক্ষর না করলে আমার স্বামীর চিকিৎসা সেবাসহ বিচারে সহযোগিতা না করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন তারা। উপায়ন্তর না পেয়ে স্বামীর সুস্থ হয়ে উঠবে, এ আশায় ঐদিন তাদের কথামত চেক লিখে দিয়েছি। কারণ আমার স্বামীর চেয়ে টাকার মূল্য বেশি না। মামলা আপোষ-মীমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আমি অসুস্থ, তাই আমার স্বামী হত্যা মামলার বাদী হয়েছে ভাশুর মোঃ মোশাররফ হোসেন। ভাশুরের উপর আমার আত্মবিশ্বাস আছে যে, আমার স্বামী অর্থাৎ ওনার আদরের ছোট ভাইকে যারা নির্মমভাবে খুন করেছে তাদের সাথে তিনিও ঐ খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আপোষ করবেন না। অনেক গুজব ছড়াচ্ছে আমরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামিদের সাথে আপোষ করার চিন্তা করছি। এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এর কোন সত্যতা ও ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, আমার অনাগত সন্তান তার পিতাকে এবং পিতা তার সন্তানকে দেখে যেতে পারলেন না, সেহেতু পৃথিবীর সব টাকা দিলেও এ দুঃখ-কষ্ট পূরণ করতে পারবো না। আমি ঢাকায় যে ছোট চাকরি করছি তার বেতন দিয়েই দুঃখ-কষ্টে হলেও সন্তানদের মানুষ করার চেষ্টা করবো। আপনারা আমার জন্য এবং আমার সন্তানদের জন্য দোয়া করবেন।
ফাতেমা বেগম বলেন, সাংবাদিকরা ছাড়া আমাদের পাশে আর কেউ নেই। আপনাদের সঠিক তথ্য ও লেখুনির মাধ্যমে খবির খুনিদের নাম বেরিয়ে আসছে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন খবিরের আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাক্সক্ষী এবং এলাকাবাসী বিচার ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারছে না। কারণ, হত্যাকারীরা পার পেয়ে গেলে মতলবে আরো খুন-খারাবি হবে। আমরা মামলায় আপোষ করবো না। যতদিন এ হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার না হবে।
বড়ভাইয়ের নির্দেশে খবিরের ওপর হামলা করে সাগর
চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলামের পিএস খবির হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাগর দেওয়ান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রোববার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম অসীম কুমার দে’র আদালতে সে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দিতে সাগর দেওয়ান বলে, এক বড়ভাইয়ের নির্দেশে বাশার, সোহরাবসহ আমরা কয়েকজন ২৯ আগস্ট রাতে মতলবে টিঅ্যান্ডটি এলাকায় খবির হোসেনের ওপর হামলা করি। কিন্তু সেই হামলার উদ্দেশ্য ছিল তাকে শায়েস্তা করা। মেরে ফেলা হামলার লক্ষ্য ছিল না। এর আগেও আমরা তার ওপর হামলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সুযোগ না পাওয়ায় সেই মিশন সফল হয়নি। সে বলে, ঘটনার রাতে সোহাগ নামে আমাদের আরো একজন মোবাইল ফোনে জানায়, খবির ভাই কোথায় আছে। তার কাছ থেকে সঙ্কেত পেয়েই আমরা টিঅ্যান্ডটি এলাকায় অবস্থান নিই। সাগর আরো জানায়, বড়ভাই অনেক কাজেই আমাদের ব্যবহার করত। তবে মতলব ফেরিঘাটে সরকারি ভূমিতে দোকান বরাদ্দ না পেয়ে সেই বড়ভাই খবির ভাইয়ের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরেই ২৯ আগস্ট হামলার পরিকল্পনা করা হয়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দেড়ঘণ্টা এই জবানবন্দি নেয়া হয়। পরে আদালতের নির্দেশে সাগরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর শনিবার রাতে মতলব দক্ষিণ থানায় সাগর দেওয়ান জানায়, সাড়ে তিন বছর ধরে সেই বড়ভাই তাকে চাকরির লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কাজ করায়। দুই বছর আগে বিমানবাহিনীতে আমার চাকরি হলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পরে তা বাতিল হয়ে যায়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরির জন্য বড়ভাইয়ের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেই। সাগর আরো জানায়, সে এইচবিএস পজিটিভ ভাইরাসের রোগী। কিন্তু বড়ভাইয়ের পেছনে ঘুরে তার চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে সাগর দেওয়ান মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের ৪ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। তার বাবা শামছুদ্দিন দেওয়ান সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলামের আপন চাচাতো ভাই। আর ওই বড়ভাই হচ্ছে সাগরের জেঠাতো ভাই। বড়ভাই পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মী হলেও সংসদ সদস্যের আত্মীয়তার সুবাদে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করত। কিন্তু সেই বড়ভাই ঘটনার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছে।
এদিকে খবির হোসেন হত্যার পর থেকে সংসদ সদস্যের ছোটভাই তৌফিক হোসেন, সাবেক পিএস পারভেজ দেওয়ান ও মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দুলাল দেওয়ান পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে, এই মামলার ৪ নম্বর আসামি আগেই গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলামের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকারী এবং এর পেছনে জড়িতদের নাম বেরিয়ে আসে।
গত ২৯ আগস্ট মতলবের টিঅ্যান্ডটি মোড় এলাকায় খবির হোসেনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত আহত করা হয়। ৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোশাররফ হোসেন ৯ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেন।
জবানবন্দিতে সাগর দেওয়ান বলে, এক বড়ভাইয়ের নির্দেশে বাশার, সোহরাবসহ আমরা কয়েকজন ২৯ আগস্ট রাতে মতলবে টিঅ্যান্ডটি এলাকায় খবির হোসেনের ওপর হামলা করি। কিন্তু সেই হামলার উদ্দেশ্য ছিল তাকে শায়েস্তা করা। মেরে ফেলা হামলার লক্ষ্য ছিল না। এর আগেও আমরা তার ওপর হামলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সুযোগ না পাওয়ায় সেই মিশন সফল হয়নি। সে বলে, ঘটনার রাতে সোহাগ নামে আমাদের আরো একজন মোবাইল ফোনে জানায়, খবির ভাই কোথায় আছে। তার কাছ থেকে সঙ্কেত পেয়েই আমরা টিঅ্যান্ডটি এলাকায় অবস্থান নিই। সাগর আরো জানায়, বড়ভাই অনেক কাজেই আমাদের ব্যবহার করত। তবে মতলব ফেরিঘাটে সরকারি ভূমিতে দোকান বরাদ্দ না পেয়ে সেই বড়ভাই খবির ভাইয়ের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরেই ২৯ আগস্ট হামলার পরিকল্পনা করা হয়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দেড়ঘণ্টা এই জবানবন্দি নেয়া হয়। পরে আদালতের নির্দেশে সাগরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর শনিবার রাতে মতলব দক্ষিণ থানায় সাগর দেওয়ান জানায়, সাড়ে তিন বছর ধরে সেই বড়ভাই তাকে চাকরির লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কাজ করায়। দুই বছর আগে বিমানবাহিনীতে আমার চাকরি হলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পরে তা বাতিল হয়ে যায়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরির জন্য বড়ভাইয়ের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেই। সাগর আরো জানায়, সে এইচবিএস পজিটিভ ভাইরাসের রোগী। কিন্তু বড়ভাইয়ের পেছনে ঘুরে তার চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে সাগর দেওয়ান মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের ৪ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। তার বাবা শামছুদ্দিন দেওয়ান সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলামের আপন চাচাতো ভাই। আর ওই বড়ভাই হচ্ছে সাগরের জেঠাতো ভাই। বড়ভাই পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মী হলেও সংসদ সদস্যের আত্মীয়তার সুবাদে বিভিন্নভাবে প্রভাব বিস্তার করত। কিন্তু সেই বড়ভাই ঘটনার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছে।
এদিকে খবির হোসেন হত্যার পর থেকে সংসদ সদস্যের ছোটভাই তৌফিক হোসেন, সাবেক পিএস পারভেজ দেওয়ান ও মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দুলাল দেওয়ান পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে, এই মামলার ৪ নম্বর আসামি আগেই গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলামের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকারী এবং এর পেছনে জড়িতদের নাম বেরিয়ে আসে।
গত ২৯ আগস্ট মতলবের টিঅ্যান্ডটি মোড় এলাকায় খবির হোসেনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত আহত করা হয়। ৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোশাররফ হোসেন ৯ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেন।
মতলব উত্তর কালীরবাজার-বাউশিয়া রুটের লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের দুর্দিন
চাঁদপুরের নদীঘেড়া মতলব উত্তর উপজেলার পূর্ব অংশে সড়ক পথে ঢাকার সাথে যোগাযোগ বাড়ায় কালীরবাজার-বাউশিয়া রুটের লঞ্চ মালিক শ্রমিকদের এখন দুর্দিন । উপজেলার বাংলাবাজার- শ্রীরায়েরচর ব্রীজ চালুর পর থেকে মতলব উত্তর উপজেলা, মতলব দক্ষিন উপজেলাসহ চাঁদপুর জেলার কয়েকটি উপজেলার লোক এই ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করছে। ফলে কালীর বাজার-বাউশিয়া নৌপথে ছোট লঞ্চে লোক যাতায়াত একদম কমে যাওয়ায় লঞ্চমালিক ও শ্রমিকরা এখন খুবই বিপাকে পড়েছে।কালির বাজারের কয়েকটি ছোট লঞ্চ মালিকের সাথে আলাপ হলে তারা জানান, বাংলাবাজার- শ্রীরায়েরচর ব্রীজ চালু হওয়ার পর এই রুটে লোকজন খুবই কম যাতায়াত করছে। তাই খুবই কম যাত্রী নিয়ে নির্ধারিত সময়েই লঞ্চ ছাড়তে হয়। তাছাড়া তেলের দামও এখন অনেক বেড়েগেছে। অন্যদিকে, দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতির ফলে লঞ্চের মাষ্টার, সারেং ও লস্করসহ অন্যান্য কর্মচারীদের বেতন বেশি দিতে হচ্ছে। দেখা যায় কোন দিন কালির বাজার-বাউশিয়া দুইবার আসা যাওয়ার পর শ্রমিক ও তেলের দাম দিয়ে সমান সমান হয়। আবার কোন দিন কিছু ঘাটতি বা কখনো সামান্য কিছু লাভ পাওয়া যায়। দেখাযায়, অনেক টাকা বিনিয়োগের এ ব্যাবসা থেকে গড়ে প্রতি মাসে খরচ শেষে লাভ আসে মাত্র ৫-৬ হাজার টাকা। আর সামান্য এই আয় দিয়ে সংসার চালানো বড় কষ্ট হয়ে যায়। ছেলে মেয়েদের স্কুলে লেখাপড়ার জন্য বাড়তি খরচ চালাতে হয় নিজেকে অন্য কোন মাধ্যমে। কিন্তু একটি লঞ্চ তৈরী করতে বা ক্রয় করতে খরচ হয় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। এখন কালির বাজার-বাউশিয়া নৌপথে ব্যবসা মন্দ হওয়ার কারনে লঞ্চ বিক্রি করাও সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে আমরা মালিক-শ্রমিকরা মিলে বড় কষ্টে দিন যাপন করছি। এভাবে চলতে থাকলে ও দিনের পর দিন তেলের দাম বৃদ্ধি হলে শ্রমিকদের বেতন বাড়লে লঞ্চ টার্মিনালে অথবা ডগে রেখে পথে বসতে হবে।অন্যদিকে, এ রুটের কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা বলতেগেলে তারা জানায়, ভাই আমরা এই ছাড়া অন্য কোন কামও জানি না। তাছাড়া অন্য রুটের লঞ্চে যে জামু হেই সুযোগও পাইতাছিনা। এই কামের শ্রমিক সব জায়গাই ভরপুর আছে।
মতলব উত্তরের নয়াকান্দিতে নিহত শাহআলমের পরিবারের পাশে উপজেলা চেয়ারম্যান

গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে নয়াকান্দি গ্রামের নিহত শাহআলমের বাবা মাকে সমবেদনা জ্ঞাপন শেষে শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ। নজরুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান জহির, ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন, হাজী রমজান আলী মাষ্টার।
উল্লেখ্য, ২৭ আগস্ট মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের সমির ও রাজিব উত্তর সর্দারকান্দি গ্রামের বাদামতলী বাজারে মোবাইলে টাকা লোড দেয়ার জন্য গেলে পাশ্ববর্তী জমিতে ধানের চারা রোপণ করা দেখে তারা শ্রমিকদের সাথে কথা বলে। এ সময় উত্তর সর্দারকান্দি গ্রামের সহিদউল্যাহ, শাহজালালসহ কয়েকজন তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। ওই দিন বিকেলে উত্তর সর্দারকান্দি গ্রামের অনেক লোক সমবেত হয়ে নয়াকান্দি গ্রামে লাঠি, রড, সাবল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা দেয়ার জন্য আসে। পথিমধ্যে নয়াকান্দি গ্রামের মোস্তফা গাজীর ছেলে দোকানদার শাহআলম (২৫) বাড়ি থেকে ভাত খেয়ে দোকানে আসার পথে সর্দারকান্দির লোকজন তার উপর হামলা করে। হামলায় শাহ আলম গুরুত্বর আহত হয়। অতপর ৩০ আগষ্ট রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নির্বিচার জাটকা নিধনে মেঘনায় ইলিশের আকাল
শূন্য হাতে বাড়ি ফিরছে মতলব উত্তরের জেলেরা
মতলব উত্তর উপজেলার জেলেদের চরম দুর্দিন চলছে| জাটকা নিধন রোধে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দু’মাস ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিলো| কিন্তু এ নিষেধ জেলেরা মানেনি| জেলেরা নির্বিচারে জাটকা নিধন করেছে| ফলে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে দেখা দিয়েছে ইলিশ মাছের আকাল| জেলেরা শূন্য হাতে বাড়ি ফিরছে| মহাজনদের টাকার জন্য চাপ ও সংসার চালানোর অর্থ সঙ্কটের কারণে জেলে পরিবারে দেখা দিয়েছে হতাশা|
ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় সরকার ২০০৩ সালে মেঘনাসহ দেশের তিনটি নদী অঞ্চলকে মার্চ-এপ্রিল দু’মাস অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে| এ সময় নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়| চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষীপুর জেলার চরআলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনার একশ’ কিলোমিটার নদী অঞ্চল দেশের অন্যতম অভয়াশ্রম অঞ্চল| অভয়াশ্রম কার্যক্রমে সময়, মূলধন, ঝুঁকি ও আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় ইলিশ, পাঙ্গাস, আইড়, বোয়ালসহ বড় প্রজাতির মাছ ধরার কোনাজাল, চাপজাল ও ডোম জাল প্রকৃত জেলেরা নদীতে ফেলা বন্ধ রাখে| এ সুযোগে এক শ্রেণীর অর্থলোভী মানুষ কারেন্ট জাল ক্রয় করে কিছু সংখ্যক অপেশাদার জেলেকে দিয়ে নদীতে জাটকা নিধন করায়| অর্থলোভীদের কারণে প্রকৃত জেলেরা পরিপক্ক ইলিশ থেকে বঞ্চিত| অভয়াশ্রম কর্মসূচি শেষে জাল নৌকার মালিকরা ধারদেনা করে ও ঋণ নিয়ে জাল নৌকা মেরামত করে ভাগিদার জেলেদের দাদন টাকা দিয়ে নদীতে নামায়| জাটকা নিধন করায়, নদীতে নাব্যতা না থাকায় এবং পানি কম হওয়ায় মেঘনায় এখন ইলিশ আসছে না| ইলিশের আকালে জেলেরা বেকার হয়ে পড়েছে|
জেলেরা জানান, তারা শূন্য হাতে ফিরে আসছে| ইলিশ ধরার একটি কোনাজাল নৌকার সারাদিন মাছ ধরতে ডিজেল ও জেলেদের খাবারসহ সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ হয়| তার মধ্যে ডিজেল বাবদ খরচ হয় এক থেকে ২ হাজার টাকা| বর্তমানে জেলেরা খরচের অর্ধেক টাকারও মাছ বিক্রি করতে পারছেন না| জেলেদের মূলধন হারাতে হচ্ছে| মালিক ও জেলেরা বাধ্য হয়ে জাল নৌকা বন্ধ রাখছে| এখন জেলেদের দুর্দিন যাচ্ছে| মেঘনায় অভয়াশ্রম ও এখন মাছের আকালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জাল-নৌকার মালিক ও জেলেদের রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে সুদমুক্ত ঋণ, চাল ও উপকরণ সহায়তা প্রদানের জন্য জেলে পরিবারগুলো সরকারের নিকট দাবি জানান|
ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় সরকার ২০০৩ সালে মেঘনাসহ দেশের তিনটি নদী অঞ্চলকে মার্চ-এপ্রিল দু’মাস অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে| এ সময় নদীতে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়| চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষীপুর জেলার চরআলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনার একশ’ কিলোমিটার নদী অঞ্চল দেশের অন্যতম অভয়াশ্রম অঞ্চল| অভয়াশ্রম কার্যক্রমে সময়, মূলধন, ঝুঁকি ও আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় ইলিশ, পাঙ্গাস, আইড়, বোয়ালসহ বড় প্রজাতির মাছ ধরার কোনাজাল, চাপজাল ও ডোম জাল প্রকৃত জেলেরা নদীতে ফেলা বন্ধ রাখে| এ সুযোগে এক শ্রেণীর অর্থলোভী মানুষ কারেন্ট জাল ক্রয় করে কিছু সংখ্যক অপেশাদার জেলেকে দিয়ে নদীতে জাটকা নিধন করায়| অর্থলোভীদের কারণে প্রকৃত জেলেরা পরিপক্ক ইলিশ থেকে বঞ্চিত| অভয়াশ্রম কর্মসূচি শেষে জাল নৌকার মালিকরা ধারদেনা করে ও ঋণ নিয়ে জাল নৌকা মেরামত করে ভাগিদার জেলেদের দাদন টাকা দিয়ে নদীতে নামায়| জাটকা নিধন করায়, নদীতে নাব্যতা না থাকায় এবং পানি কম হওয়ায় মেঘনায় এখন ইলিশ আসছে না| ইলিশের আকালে জেলেরা বেকার হয়ে পড়েছে|
জেলেরা জানান, তারা শূন্য হাতে ফিরে আসছে| ইলিশ ধরার একটি কোনাজাল নৌকার সারাদিন মাছ ধরতে ডিজেল ও জেলেদের খাবারসহ সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ হয়| তার মধ্যে ডিজেল বাবদ খরচ হয় এক থেকে ২ হাজার টাকা| বর্তমানে জেলেরা খরচের অর্ধেক টাকারও মাছ বিক্রি করতে পারছেন না| জেলেদের মূলধন হারাতে হচ্ছে| মালিক ও জেলেরা বাধ্য হয়ে জাল নৌকা বন্ধ রাখছে| এখন জেলেদের দুর্দিন যাচ্ছে| মেঘনায় অভয়াশ্রম ও এখন মাছের আকালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জাল-নৌকার মালিক ও জেলেদের রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে সুদমুক্ত ঋণ, চাল ও উপকরণ সহায়তা প্রদানের জন্য জেলে পরিবারগুলো সরকারের নিকট দাবি জানান|
অসুস্থ রাজনীতিরই বলি হলো খবির
অসুস্থ রাজনীতির বলি হলো মতলবের যুবলীগ নেতা খবির হোসেন| স্থানীয় এমপি এম রফিকুল ইসলামের পিএস থাকা এমপি পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যেই যুবলীগ নেতা খবির হোসেনকে সন্ত্রাসী কায়দায় হত্যা করার লক্ষ্যেই তার ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়| অতঃপর সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়| ঢাকার ধানমণ্ডিস্থ গ্রীন লাইফ হাসপাতালে ৩ সেপ্টেম্বর মারা গেলেও খবিরকে লাইফ সাপোর্ট লাগিয়ে বেঁচে আছে এমন নাটকের দৃশ্যও চলতে থাকে| কারা এ নাটকের নেপথ্যে ছিলো, তা মতলবের সচেতন মানুষজনও জেনে গেছে| অবশ্য তাদের নাটকের যবনিকা ঘটে গত ৫ সেপ্টেম্বর মতলবে ৩টি জানাজা শেষে খবিরের দাফন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে|
যুবলীগ নেতা খবির হোসেন হয়তো জীবিত থাকলে কখনো এতো পুলিশ বাহিনীর সদস্য, র্যাব, ডিবি পুলিশ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন এবং সরকারি কর্মকর্ত দেখতো না তার নিজ এলাকায়| কিন্তু তার মৃতু্যর পর জানাজা থেকে শুরম্ন করে দাফন পর্যনত&ধসঢ়;দ নওগাঁও গ্রামে এদের উপস্থিতি প্রমাণ করে, সন্ত্রাসীদের নেপথ্য গডফাদার খুবই শক্তিশালী| সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং মৃতু্যর আগ মুহূর্ত পর্যনত&ধসঢ়;দ মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন খবির হোসেন| অথচ তার বর্বরোচিত হামলা এবং পরবর্তীতে করম্নণ মৃতু্যর ঘটনা নিয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের ভূমিকা ছিলো অনেকটা রহস্যজনক| এমনকি তাদের অভিভাবক সংগঠন মতলব দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভূমিকাও ছিলো রহস্যে ঢাকা|
হামলার পরদিন থেকে অনবরত আন্দোলন, সংগ্রাম, বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, কালো পতাকা উত্তোলন, ভাংচুর, অগি&ধসঢ়;ন সংযোগ এবং সর্বশেষ এমপির কুশপুত্তলিকা দাহ কর্মসূচি দিয়ে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদ করেছে উত্তর উপাদী ইউনিয়নের নওগাঁও গ্রামবাসী| তাদের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ ছিলো রাজনীতির ঊধর্ে&ধসঢ়;ব| এলাকার স্বার্থে সকল রাজনৈতিক দল এখানে এক এবং অভিন্ন থেকে কাজ করেছে| খবির হোসেন হত্যাটি ছিলো সম্পূর্ণ ব্যক্তিস্বার্থের কারণে| ’কান টানলে যেমনি মাথা আসে’ তেমনি ঘটনাটির পর্যালোচনা বা অনুসন্ধান করলে সহজেই বেরিয়ে আসবে স্থানীয় এমপির ছাত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রাসীরাই এহেন ঘটনা ঘটিয়েছে| তার জ্বলনত&ধসঢ়;দ উদাহরণ হচ্ছে গত ৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ভোর ৪টায় এ হামলার প্রধান আসামী সাগর দেওয়ান আটকের মধ্য দিয়ে| কারণ আটক সাগর দেওয়ান এমপি এম রফিকুল ইসলামের ভাতিজা|
মতলবে যুবলীগ নেতা খবির হোসেনের হত্যা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী তার সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না| সন্ত্রাসী- সন্ত্রাসীই! হত্যার সাথে যারাই জড়িত দ্রম্নত তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টানত&ধসঢ়;দমূলক শাসত&ধসঢ়;দি দেয়া হোক| এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই| আমি আশা করবো, জেলা পুলিশ সুপার বলিষ্ঠ ভূমিকা নেবেন|
এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এএইচএম গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমরা দলীয়ভাবে এ বিষয়ে সিদ্ধানত&ধসঢ়;দ নেবো| ইতিমধ্যে উত্তর উপাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মিলাদ ও স্মরণ সভা করেছে| জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে আলাপ করে পরবর্তীতে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করবো| তিনি দাবি জানান, সুষ্ঠু তদনত&ধসঢ়;দ সাপেক্ষে যাতে এ ঘটনার যথার্থ বিচার হয়- সে বিষয়টি অবশ্যই নজর রাখতে হবে| এ ঘটনার ব্যাপারে এমপি মহোদয়ের সাথে আলাপ হয়েছে| তিনিও এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান|
মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ অসুস্থ থাকার কারণে মোবাইলে এ ব্যাপারে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন| তিনি এ ব্যাপারে কোনো কথা না বলে সভাপতির সাথে কথা বলতে অনুরোধ করেন|
চাঁদপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জেলা যুবলীগ কোনো মানুষের মৃতু্য এমনভাবে কামনা করে না| একজন সচেতন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবেও এমনিভাবে কারো মৃতু্য কামনা করি না| সুষ্ঠু তদনত&ধসঢ়;দের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানাচ্ছি| অহেতুক কোনো নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়| যুবলীগ নেতা খবির হত্যাটি কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়, সম্পূর্ণ ব্যক্তি স্বার্থে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে| এটি নিতানত&ধসঢ়;দই দুঃখজনক ঘটনা| যারা হত্যা করেছে আলস্নাহ&ধসঢ়; তাদের ক্ষমা করবেন না| জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো আমারও বক্তব্য সুস্পষ্ট ঃ সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই| আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি|
এ দিকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জহির সরকার তার যুবলীগের কথা না বলে বারবার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম উচ্চারণ করে বলেন যে, এরা ঢাকা থেকে আসলে বসে মিটিং করে তাদের কর্মসূচির সিদ্ধানত&ধসঢ়;দ নেবেন| ’এ ঘটনার ব্যাপারে আপনার সাথে সন্ত্রাসী চক্রের বা গড ফাদারের আপোষ হয়েছে কি না’ এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান| এমনকি খবির হত্যার বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি ১ ঘণ্টা পর মোবাইল করতে বলেন| কিন্তু ১ ঘণ্টা পর তার মোবাইল নম্বরটি (০১৭১২১৩১৪৮৭) বন্ধ পাওয়া যায়|
চাঁদপুর জেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আওলাদ হোসেন লিটন বলেন, এটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড| আমরা চাই এ ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িতদের নাম প্রকাশ করা হোক| দোষী ব্যক্তিদের আটক করে দৃষ্টানত&ধসঢ়;দমূলক শাসত&ধসঢ়;দি দেয়া হবে এমনটিই প্রত্যাশা করছে মতলববাসী| প্রকৃত ঘটনা এবং প্রকৃত দোষীদের যেনো আড়াল করার সুযোগ না পায় ঘটনার সাথে জড়িত গডফাদাররা| অহেতুক নিরীহ মানুষকে যেনো হয়রানি করা না হয়- নিরপেক্ষ তদনত&ধসঢ়;দ সাপেক্ষে সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে|
মতলব উত্তরে বেসরকারি শিক্ষকদের সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান

শিক্ষক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, মতলব উত্তর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শহীদ উল্যা প্রধান। সভা পরিচালনা করেন, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সরকার আবুল কালাম আজাদ। সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বাকশিস এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, উপজেলা বাকশিস এর সহ-সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবু তাহের, ছেংগারচর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক কামরুজ্জামান হারুণ, লবাইরকান্দি আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ওয়ালী উল্যাহ, সাড়ে পাঁচানী ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক কামরুজ্জামান, নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ওমর ফারুক, দশানী মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আঃ ছাত্তার, নাউরী আহাম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক খান মোঃ শাহ আলম, বদরপুর আদমিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক শেখ সাদী, চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাছির উদ্দিন শাহ, এখলাছপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক গোলাম হোসেন, নাওভাঙ্গা জয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মিজানুর রহমান, হাজী সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোজাম্মেল হক, সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক কামরুল ইসলাম, রাঢ়ীকান্দি মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, নন্দলালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবুল হাসান প্রমূখ।
পরে সকল শিক্ষকগণ ৮ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মিছিল সহকারে ইউএনও কার্যালয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
No comments:
Post a Comment