হত্যাকারীদের বাঁচাতে চার চোরের কথা বলছে সরকার : ড. মোশাররফ

জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আজ মঙ্গলবার নয়া পল্টনে যুবদল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের সর্বব্যাপী ব্যর্থতার কারণে দেশের সবক্ষেত্রে ধস নেমেছে। দ্রব্যমূল্য আকাশ ছুয়েছে, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। সরকারের পাহাড় সমান দুর্নীতির কথা এখন সবখানে সমালোচিত হচ্ছে। এ অবস্থায় জনগনের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই সরকার অসাম্প্রাদায়িক বাংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিদের ওপর হামলার ঘৃন্য ঘটনা ঘটিয়েছে। এসব হামলার সাথে আওয়ামী লীগের লোকেরা জড়িত। অথচ সরকার এখন উদোর পিন্ডি বুধোর ঘারে চাপাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মত গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে শেখ হাসিনা তদন্তাধীন ওই ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির এমপি লুতফুর রহমান কাজলকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যের পর তা হলে আর তদন্তের কী প্রয়োজন থাকতে পারে?’
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ এখন শেষ সময়ে পড়ন্ত বেলায় মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে।
শেয়ারবাজার, হলমার্ক, পদ্মাসেতু দুর্নীতি, রামুর ঘটনা সব কিছুই সরকার ধামাচাপা দিতে চাচ্ছে। হলমার্কের এমডি পুলিশকে বলেছে তারা কাকে হাজার কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি হত্যার ঘটনায় চারজন চোরকে জড়িত বলে জানাচ্ছে সরকার। এটা ওই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা বলেই সবাই মনে করছে।
ড. মোশাররফ আরো বলেন, এই ব্যর্থ সরকার বিদ্যুত, দ্রব্যমূল্য, আইনশৃংখলা পরিস্থিতিসহ কোন সমস্যারই সমাধান করতে পারবে না।
এখন বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে চুড়ান্ত আন্দোলনে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে রাজপথে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, নেত্রকোনায় প্রশাসনের কাছ থেকে পূর্বানুমতি নেয়া সত্ত্বেও বিএনপির সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এসপির পরামর্শে এর বাইরে জনসভা করতে গেলে সেখানেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। অন্যস্থানে সমাবেশ মঞ্চ পুলিশে ভেঙে দেয়। এই অবিচারের বিচার একদিন হবে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ অস্ত্র হাতে গুলি ছোড়ে, রামুতে আওয়ামী লীগ বৌদ্ধদের ওপর হামলা করে কিন্তু পুলিশ তাদের ধরে না। পুলিশ ধরে নির্দোষ বিএনপি নেতাকর্মীদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন বিএনপির নেতাদের জেলে পুরে একটি কালো উদ্দেশ্য পুরণ করতে চায়। তা হল একদলীয় নির্বাচন দিয়ে বাকশাল পুনর্গঠন করা। কিন্তু তা সম্ভব হবে না।
যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কবির রিজভী, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, যুবদল নেতা মোরতাজুল করিম বাদরু, মামুন হাসান, আ: বারী ড্যানি, সেলিমুজ্জামান সেলিম, জাকারিয়া মঞ্জুর, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ইউসুফ বিন জলিল প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন যুবদল নেতা রফিকুল আলম মজনু। নেতৃবৃন্দ আলালসহ কারাবন্দি সব নেতাকর্মীর মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।