Wednesday, September 12, 2012

মহানবী (সা.)কে অবমাননা করে সিনেমা নির্মাণের প্রতিবাদ লিবিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে রকেট হামলায় রাষ্ট্রদূতসহ ৪ কর্মকর্তা নিহত



আমেরিকায় মহানবী (সা.) কে অবমাননা করে ফিলম তৈরির প্রতিবাদে গতকাল বুধবার বিক্ষোভকারীরা কায়রোয় মার্কিন দূতাবাস থেকে মার্কিন পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে -ইন্টারনেট
মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে এক মার্কিন চলচ্চিত্রকার সিনেমা তৈরি করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার লিবিয়া ও মিসরে প্রচন্ড বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এই সিনেমায় মহানবীকে (সা.) অবমাননা করা হয়েছে। লিবিয়ার বেনগাজীতে বিক্ষোভের সময় রকেট হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনসহ দূতাবাসের চার কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। খবর আলজাজিরা/বিবিসি/রয়টার্সের।
রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তার জন্য কনস্যুলার ভবন থেকে বেরিয়ে গাড়িতে করে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পথে তার গাড়ি রকেট হামলার শিকার হয়। এ হামলায় ঐ গাড়িতে থাকা অপর তিন কর্মকর্তাও নিহত হন। উল্লেখ্য, বেনগাজীতে সশস্ত্র বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় মার্কিন কনস্যুলেট ভবন প্রাঙ্গণেও সংঘর্ষ হয়।
এদিকে লিবিয়ার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কমিটির মুখপাত্র আবদেল মোনেম আলদুর গতকাল বুধবার বলেছেন, সংঘর্ষের সময় একজন মার্কিন কনস্যুলেট কর্মী মারা গেছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছে। নিকটবর্তী একটি ফার্ম থেকে কনস্যুলেট ভবন লক্ষ্য করে রকেট চালিত একাধিক গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। তিনি আরো জানান, মার্কিন কনস্যুলেট ভবনের বাইরে লিবীয় সেনাবাহিনী ও মিলিশিয়াদের মধ্যে প্রচন্ড সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং নিরাপত্তা বাহিনী ভবনের চারদিক ঘিরে রাখে।
একই দিন মিসরের রাজধানী কায়রোতে কয়েক হাজার লোক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন দূতাবাসে টানানো যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা নামিয়ে টুকরা টুকরা করে ছিঁড়ে ফেলে এবং সেখানে কালোরঙের একটি ইসলামী পতাকা টানিয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত একজন মিসরীয় কপটিক খৃস্টানের পাঠানো একটি ভিডিওর বিতর্কিত এ ছবি নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটছে।
২০০১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার বর্ষপূর্তিতে এ দুটি ঘটনা ঘটে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের বিবৃতিতে কনস্যুলেট অফিসের একজন কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিবৃতিতে হিলারি বলেন, অন্যের ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর আঘাতের যে কোন ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দুঃখ প্রকাশ করছে।
বেনগাজীতে অবস্থানরত আল জাজিরার প্রয়োজক সুলাইমান আল দ্রেসি বলেন, নিজেদের ইসলামী শরীয়াহ আইনের সমর্থক বলে দাবিদার একদল লোক জানিয়েছে, তারা শুনেছে একটি মার্কিন চলচ্চিত্রে মহানবী (সা.)-এর প্রতি অবমাননাকর ছবির কথা শুনে তারা তাদের সামরিক গ্যারিসনে যায় এবং রাস্তায় নেমে এসে লোকজনদের জড়ো হওয়ার আহবান জানায়। তারপর তারা মার্কিন কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালাতে এগিয়ে যায়।
অন্যদিকে কায়রোর মার্কিন দূতাবাসের সামনে প্রায় ৩ হাজার লোক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। তাদের অধিকাংশই সালাফি আন্দোলনের সমর্থক কিংবা ফুটবল প্রেমিক। এদের মধ্যে এক ডজন লোক দূতাবাসের দেয়ালে উঠে পড়ে এবং মার্কিন পতাকা নামিয়ে সেখানে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ' খচিত একটি পতাকা টানিয়ে দেয়।
দূতাবাসের বাইরে থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক শেরিন তাদরোস জানান, বিক্ষোভকারীরা পুরো চলচ্চিত্র দেখতে চায়। অনলাইনে কিছুটা অংশ আছে, বাকিটা পাওয়া যাচ্ছে না।
শেরিন বলেন, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যাদের সঙ্গে কথা বলেছি তাদের অধিকাংশই জানায়, তারা ছবিটির ট্রেইলর দেখেছে এবং এখন তারা পুরো ছবিটাই দেখতে চায়। এটা না দেয়া পর্যন্ত তারা দূতাবাসের সামনে অবস্থান করবে। এ সময় কয়েক হাজার দাঙ্গা পুলিশ দূতাবাসের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত ছিল। তারা কোনরূপ শক্তি প্রয়োগ না করেই বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে সরে যেতে রাজি করায়। তাদের অধিকাংশই সরে গেলেও কিছু লোক সেখানে রয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে হামলার বর্ষপূর্তিতে বিক্ষোভকারীরা কায়রোর মার্কিন দূতাবাসে আল কায়েদার পতাকা উড়িয়েছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, তিনি তেমনটা মনে করেন না। তিনি বলেন, আমরা জেনেছি, কিছু লোক দেয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকে জাতীয় পতাকা নামিয়ে সেখানে অন্য একটি পতাকা উত্তোলন করে। আমরা একথা নিশ্চিত হয়েছি, যারা দূতাবাসের ভেতরে ঢুকে পড়েছিল তারাসহ সব বিক্ষোভকারীকে মিসরীয় পুলিশ সরিয়ে দিয়েছে।
২ ঘণ্টার এ বিতর্কিত চলচ্চিত্রের লেখক, পরিচালক ও প্রযোজক মার্কিন নাগরিক স্যাম বেসিল বলেন, এ ধরনের তীব্র প্রতিক্রিয়া হবে বলে আমি মনে করিনি। দূতাবাসের ঘটনায় আমি দুঃখিত। আমি একটা পাগল।
তিনি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে টেলিফোনে জানান, ছবিটি করা হয়েছে ইংরেজিতে। তিনি জানেন না কে তা আরবি ভাষায় রূপান্তরিত করেছে। পুরো ছবিটি এখনো প্রদর্শন করা হয়নি। এখন তিনি ছবিটা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, আমার পরিকল্পনা ছিল এ বিষয়ের ওপর ২০০ ঘণ্টার একটা সিরিজ করার।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মিসরীয় কপটিক খৃস্টান মরিস সাদেক বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, তিনি ছবিটির ভিডিও ওয়েবসাইটে স্থাপন করেন এবং কয়েকটি টিভি সেন্টারে পাঠিয়ে দেন। উল্লেখ্য, মরিস ইসলাম বিদ্বেষী হিসাবে পরিচিত।

যে চলচ্চিত্রটির বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্ক



মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটাক্ষ করে এক মার্কিন ইহুদির তৈরি একটি চলচ্চিত্রের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হওয়ার পর উত্তেজিত জনতা লিবিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনসকে হত্যা করেছে। মিসরে হাজার হাজার মুসলমান বিক্ষোভ সমাবেশ করছে ওই চলচ্চিত্রটির বিরুদ্ধে। কিন্তু, কী আছে ওই চলচ্চিত্রের বিজ্ঞাপনে?
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক মার্কিন ইহুদির অত্যন্ত কাঁচা হাতে তৈরি চলচ্চিত্রটির বিজ্ঞাপনটি শুরু হয়েছে মিসরীয় পটভূমিতে। প্রথম দৃশ্যেই দেখানো হয়, একদল মিসরীয় মুসলমান খ্রিষ্টানদের বাড়িঘর লুটপাট করছে এবং আগুনে জ্বালিয়ে দিচ্ছে, অথচ মিসরের নিরাপত্তা বাহিনী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। এরপর হঠাৎ করে মহানবী (সা.)-কে ব্যঙ্গ করে তৈরি এক কল্পচিত্র শুরু হয়। এর বিভিন্ন দৃশ্যে মুসলমানদের জন্য অবমাননাকর বিষয় প্রচার করা হয়।
স্যাম বাসিল (৫২) নামের এক ব্যক্তি এই বিজ্ঞাপনচিত্রটি ইউটিউবে তুলে দিয়েছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ওয়েবসাইটে বলা হয়, স্যাম একজন মার্কিন ইহুদি। ক্যালিফোর্নিয়ায় তাঁর ভবন নির্মাণের ব্যবসা। ওয়াল স্ট্রিটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্যাম দাবি করেছেন, চলচ্চিত্রটি নির্মাণের জন্য তিনি ১০০ জন ইহুদি দাতার কাছ থেকে ৫০ লাখ ডলার পেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার যাজক টেরি জোনস বিজ্ঞাপনটির প্রচারকে উস্কে দিয়েছেন। ইসলামবিরোধী কট্টর যাজক টেরি ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলা দিবস পালন উপলক্ষে দিনটিকে একটি নামে অভিহিত করার প্রচার চালাচ্ছেন। এতে তিনি চলচ্চিত্রটিকে ব্যবহার করেন। এভাবেই চলচ্চিত্রটির বিজ্ঞাপন আলোচনায় আসে এবং সব মহল থেকে নিন্দা কুড়ায়।
ডয়েচে ভেলের অপর এক সংবাদে জানানো হয়, মিসর ও লিবিয়ায় বিক্ষোভের পর চলচ্চিত্রের পরিচালক স্যাম বাসিল আত্মগোপন করেছেন। স্যাম বাসিলের চলচ্চিত্রটির নাম ‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’ বা মুসলমানদের অজ্ঞতা।


লিবিয়ায় হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিহত

লিবিয়ায় রকেট হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনস নিহত হয়েছেন।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজিতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলার ভবনে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলার পর সেখান থেকে পালিয়ে গাড়িতে করে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পথে তিনি এই হামলার শিকার হন বলে বুধবার লিবিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রদূতকে বহনকারী গাড়িতে এই রকেট হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের আরো তিন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে ব্যঙ্গ করে যুক্তরাষ্ট্রে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিবাদে বেনগাজিতে ওই কনস্যুলার ভবনে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। তখনও যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা নিহত হন।

লিবিয়ার ওই কর্মকর্তা বলেন, কনস্যুলেট ভবনে অস্ত্রধারীরা গুলি চালালে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনস গাড়িতে করে বের হন।

“অস্ত্রধারীরা তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে রকেট ছুড়লে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের তিন কর্মকর্তা নিহত হন,” রয়টার্সকে বলেন তিনি।

এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

তবে এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে লিবিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আবু শাগোর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের এ হত্যা কাপুরুষোচিত।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কনস্যুলার ভবনে হামলার পর সেখানে লিবীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও ইসলামপন্থী জঙ্গিদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে সেখানে ব্যাপক লুটতরাজ হয়।

এদিকে, হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে ব্যঙ্গ করে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিবাদে লিবিয়ার প্রতিবেশি দেশ মিশরেও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলা হয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা নামিয়ে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়। তারপর দূতাবাসে একটি কালো পতাকা উত্তোলন করার চেষ্টা চালায় বিক্ষুব্ধরা যাতে লেখা ছিল, “আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রভু নাই এবং হযরত মোহাম্মদ (সা.) তার প্রেরিত দূত।” 

লিবিয়ায় হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিহত

লিবিয়ায় রকেট হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনস নিহত হয়েছেন।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজিতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলার ভবনে বিক্ষুব্ধ জনতার হামলার পর সেখান থেকে পালিয়ে গাড়িতে করে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পথে তিনি এই হামলার শিকার হন বলে বুধবার লিবিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রদূতকে বহনকারী গাড়িতে এই রকেট হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের আরো তিন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে ব্যঙ্গ করে যুক্তরাষ্ট্রে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিবাদে বেনগাজিতে ওই কনস্যুলার ভবনে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। তখনও যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা নিহত হন।

লিবিয়ার ওই কর্মকর্তা বলেন, কনস্যুলেট ভবনে অস্ত্রধারীরা গুলি চালালে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনস গাড়িতে করে বের হন।

“অস্ত্রধারীরা তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে রকেট ছুড়লে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের তিন কর্মকর্তা নিহত হন,” রয়টার্সকে বলেন তিনি।

এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

তবে এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে লিবিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আবু শাগোর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকদের এ হত্যা কাপুরুষোচিত।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কনস্যুলার ভবনে হামলার পর সেখানে লিবীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও ইসলামপন্থী জঙ্গিদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে সেখানে ব্যাপক লুটতরাজ হয়।

এদিকে, হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে ব্যঙ্গ করে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতিবাদে লিবিয়ার প্রতিবেশি দেশ মিশরেও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলা হয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা নামিয়ে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়। তারপর দূতাবাসে একটি কালো পতাকা উত্তোলন করার চেষ্টা চালায় বিক্ষুব্ধরা যাতে লেখা ছিল, “আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রভু নাই এবং হযরত মোহাম্মদ (সা.) তার প্রেরিত দূত।” 

অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা অক্টোবরের মধ্যেই



ঢাকা: অনলাইন সাংবাদপত্রগুলোকে নিয়মের মধ্যে আনতে আগামী অক্টোবরের মধ্যে ‘অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১২’ চূড়ান্ত হচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক খসড়ার ওপর আগামী ১০ দিনের মধ্যে অনলাইন গণমাধ্যমের কাছ থেকে লিখিত মতামত চাওয়া হয়েছে।

বুধবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন সংবাদ মাধ্যম প্রধান ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে নীতিমালা নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তথ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন।

সভায় বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন, বিডিনিউজের সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স এডিটর বেবী মওদুদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসানুল করিম হেলাল, আইএনবির ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, পিটিবি নিউজের আশিষ কুমার দে, প্রাইম খবরের প্রধান সম্পাদক এসএম মেজবাহ উদ্দিন, অল হেডলাইন নিউজ-এর নিউজ করেসপন্ডেন্ট সালিম সামাদ, ঢাকানিউজ২৪.কম এর স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট এম জে ইসলাম, সহ অনলাইন গণমাধ্যমের ১১ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রথম সারির অপর একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বার্তা২৪.কম এর সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমেদকে এ আলোচনাসভায় ডাকা হয়নি।
এতে সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিএফইউজে সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল ভূঁইয়া এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ।
তথ্য সচিবের সঙ্গে সরকারের পক্ষে আরও ছিলেন বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামালউদ্দিন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল হোসেন ও এসএম হারুন-অর-রশিদ, পিআইডি’র অতিরিক্ত মুখ্য তথ্য কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

সভায় খসড়া নীতিমালা নিয়ে আলোচনার সময় অনলাইনের পক্ষে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা খসড়া নীতিমালার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তারা খসড়া নীতিমালায় ৫ লাখ টাকা জমা ও ৫০ হাজার টাকা নবায়ন ফি নির্ধারণের বিষয়টির বিরোধিতা করেন। সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে এ নিয়ম না থাকলেও অনলাইনে এমনটি কেন থাকবে, এমন প্রশ্ন তোলেন প্রতিনিধিরা।

সভায় প্রতিনিধিরা বলেন, সংবাদপত্রের মতো অনলাইন নীতিমালা না হলে এটি হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতা।

সভায় গণমাধ্যমে প্রধানরা খসড়া নীতিমালায় লাইসেন্স নবায়নের বিষয়টি বাতিল ও জাতীয় রেগুলেটরি কমিটিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রাখার দাবি জানান।

সভায় তথ্য সচিব বলেন, “আমরা নীতিমালার মাধ্যমে অনলাইন গণমাধ্যমের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করতে চাই না। বরং নীতিমালাকে বিকাশের সহায়ক করতে চাই।”

কমিউনিটি রেডিওর নীতিমালাকে ভিত্তি ধরে এ খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সরকারি হিসেবে সারাদেশে ২০০ অনলাইন সংবাদপত্র থাকলেও অনলাইন সংবাদ মাধ্যম পরিচালনার জন্য দেশে কোনো আইন, নীতিমালা ও অধ্যাদেশ নেই। সে কারণে নীতিমালা জরুরি বলে জানান তথ্য সচিব।

তথ্য সচিব জানান, বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলাদাভাবে আলোচনায় বসা হবে।

খসড়া নীতিমালায় যা আছে
লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জন্য এককালীন পাঁচ লাখ টাকা তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। প্রতিবছর নবায়ন ফি দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। সরকার প্রয়োজনে লাইসেন্স ফি পুনর্নিধারণ করতে পারবে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন পূর্বে লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করতে হবে। কোনো কারণে নির্দিষ্ট সময়ে লাইসেন্স নবায়নে ব্যর্থ হলে ৫ হাজার টাকা সারচার্জ জমা দিয়ে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন করা যাবে।

আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত ফরমে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে পাঁচ হাজার টাকার অফেরতযোগ্য ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার জমা দিয়ে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।

আবেদনের সাথে আর্নেস্ট মানি বাবদ অফেরতযোগ্য দুই লাখ টাকা ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার জমা দিতে হবে। লাইসেন্স পাওয়ার পর এ আর্নেস্ট মানি জামানত হিসেবে গণ্য হবে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো অনলাইন গণমাধ্যমের মালিক বা পরিচালক সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে একাধিক অনলাইন গণমাধ্যমের মালিক বা পরিচালক হতে পারবেন।

সরকারের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হলে, বিটিআরসির প্রদত্ত শর্ত ভঙ্গ করলে, নীতিমালার শর্ত ভাঙলে এবং সরকারের কোনো নির্দেশ প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করা হবে।

সম্প্রচারিত বিষয়ের রেকর্ড (কনটেন্ট) কমপক্ষে ৯০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে।

অনলাইন গণমাধ্যম স্থাপন ও পরিচালনায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সভাপতি করে ১৪ সদস্যের ‘জাতীয় রেগুলেটরি কমিটি’ গঠন করা হবে। এছাড়া যুগ্ম সচিবকে (সম্প্রচার) সভাপতি করে ৯ সদস্যের একটি তদারকি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া নীতিমালায়।

যেভাবেই হোক পদ্মা সেতু হবে: হাসিনা


undefined
অর্থের সংস্থান না হলে রেলকে বাদ দিয়ে শুধু গাড়ি পারাপারের ব্যবস্থা রেখে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বাতিলের কারণে জটিলতায় পড়া পদ্মা প্রকল্প নিয়ে বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেভাবেই হোক পদ্মা সেতু হবে।”

বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন বাতিল করলেও প্রকল্পের কাজ থেমে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “কাজ একেবারে থেমে নেই। ভূমি অধিগ্রহণ হচ্ছে, নদী শাসন ও ড্রেজিংয়ের কাজও চলছে।”

বিশ্ব ব্যাংকসহ কয়েকটি সংস্থার অর্থায়নে ২৯১ কোটি ডলার ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল, যাতে রেল ও গাড়ি দুটোই পারাপারের ব্যবস্থা থাকার কথা।

শেখ হাসিনা বলেন, “আরেকটা অল্টারনেটিভ প্ল্যান আমাদের কাছে আছে। যাতে শুধু গাড়ি চলবে। এতে খরচ অনেক কম হবে।”

“যদি বিকল্প অর্থের সংস্থান না হয়, তবে আমরা অল্টারনেটিভটি বেছে নেব,” বলেন তিনি।

গত ২৯ জুন বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন বাতিলের পর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির ঘোষণা দেয় সরকার। তবে বিশ্ব ব্যাংকে ফেরাতেও বিভিন্নমুখী তৎপরতা চলছে।

এর বাইরে পদ্মা সেতু নির্মাণে মালয়শিয়ার একটি প্রস্তাবও সরকারের কাছে রয়েছে। 

এমডিসহ ডেসটিনির ৫ কর্মকর্তার জামিন বাতিল


 
 মুদ্রা পাচারের দুটি মামলায় ডেসটিনি ২০০০ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনসহ পাঁচ কর্মকর্তার জামিন বাতিল করেছেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।

তাদের জামিন বাতিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা রিভিশন আবেদনের শুনানি করে আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান বুধবার এ আদেশ দেন।

জামিন বাতিল হওয়া বাকি চারজন হলেন ডেসটিনি গ্রুপের সভাপতি সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট জেনারেল হারুন অর রশিদ, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, পরিচালক মো. গোফরানুল হক ও মোহাম্মদ সাঈদ উর রহমান।

মামলার শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, এ মামলায় মহানগর হাকিম আদালতের জামিন দেওয়ার এখতিয়ার নেই। অথচ মহানগর হাকিম ডেসটিনির শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তাকে জামিন দিয়েছেন।

উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে মহানগর হাকিমের দেওয়া ওই জামিন বাতিলের আবেদন জানান তিনি।

আদেশের পর মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের জানান, আদালত জামিন বাতিল করায় পুলিশ এখন যে কোনো সময় আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারে।

তিনি জানান, এ দুই মামলার বাকি ১৭ আসামির জামিন বাতিলের জন্যও রিভিশন আবেদন করা হয়েছে। আদালত পরে এর শুনানি করবে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে সময় চাওয়া হলেও একতরফাভাবে শুনানি গ্রহণ করে আদেশ দেওয়া হয়েছে।

“বিচারকের এ আদেশে আমরা ক্ষুব্ধ। আদেশের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতের কাছে ওই আদেশ বাতিলের আবেদন জানানো হবে।”

সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পর বিদেশে পাচারের অভিযোগে গত ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেশন (এমএলএম) ও ট্রি-প্লান্টেশেন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থ পাচারের ‘প্রমাণ’ পেয়ে দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলি সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন।

রফিকুল আমিনসহ পাঁচ কর্মকর্তা গত ৬ অগাস্ট এ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তা মঞ্জুর করে। পরে জামিন পান বাকি ১৭ আসামিও ।

দুদকের পক্ষ থেকে শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার জামিন পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হলে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জহুরুল হক ১২ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন রাখেন। পরে বাকি ১৭ কর্মকর্তার ক্ষেত্রেও মঙ্গলবার একই আবেদন করা হয়। 

এমডিসহ ডেসটিনির ৫ কর্মকর্তার জামিন বাতিল


 মুদ্রা পাচারের দুটি মামলায় ডেসটিনি ২০০০ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনসহ পাঁচ কর্মকর্তার জামিন বাতিল করেছেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।

তাদের জামিন বাতিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা রিভিশন আবেদনের শুনানি করে আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান বুধবার এ আদেশ দেন।

জামিন বাতিল হওয়া বাকি চারজন হলেন ডেসটিনি গ্রুপের সভাপতি সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট জেনারেল হারুন অর রশিদ, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, পরিচালক মো. গোফরানুল হক ও মোহাম্মদ সাঈদ উর রহমান।

মামলার শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, এ মামলায় মহানগর হাকিম আদালতের জামিন দেওয়ার এখতিয়ার নেই। অথচ মহানগর হাকিম ডেসটিনির শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তাকে জামিন দিয়েছেন।

উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে মহানগর হাকিমের দেওয়া ওই জামিন বাতিলের আবেদন জানান তিনি।

আদেশের পর মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের জানান, আদালত জামিন বাতিল করায় পুলিশ এখন যে কোনো সময় আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারে।

তিনি জানান, এ দুই মামলার বাকি ১৭ আসামির জামিন বাতিলের জন্যও রিভিশন আবেদন করা হয়েছে। আদালত পরে এর শুনানি করবে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে সময় চাওয়া হলেও একতরফাভাবে শুনানি গ্রহণ করে আদেশ দেওয়া হয়েছে।

“বিচারকের এ আদেশে আমরা ক্ষুব্ধ। আদেশের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতের কাছে ওই আদেশ বাতিলের আবেদন জানানো হবে।”

সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পর বিদেশে পাচারের অভিযোগে গত ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেশন (এমএলএম) ও ট্রি-প্লান্টেশেন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থ পাচারের ‘প্রমাণ’ পেয়ে দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলি সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন।

রফিকুল আমিনসহ পাঁচ কর্মকর্তা গত ৬ অগাস্ট এ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তা মঞ্জুর করে। পরে জামিন পান বাকি ১৭ আসামিও ।

দুদকের পক্ষ থেকে শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার জামিন পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হলে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জহুরুল হক ১২ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন রাখেন। পরে বাকি ১৭ কর্মকর্তার ক্ষেত্রেও মঙ্গলবার একই আবেদন করা হয়।