ঝুলে গেল পদ্মা সেতুর ঋণ : ডিসেম্বরে আবার আসবে বিশ্বব্যাংক প্যানেল : তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে দুদককে পরামর্শ

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান পর্যবেক্ষণে আসা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশ্বব্যাংক গঠিত শক্তিশালী প্যানেল অব ইনভেস্টিগেটিভ এক্সপার্টের সদস্যরা গতকাল ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে তারা দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তারা জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরে তারা আবার আসবেন। এছাড়া দুদককে তারা তদন্তের জন্য কিছু ‘সাজেশন’ দিয়েছেন।
প্যানেলের কর্মসূচি নিয়ে গতকাল দুদক বা বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়। তারা কোথায় কখন বৈঠক করবেন, কী নিয়ে আলোচনা করবেন—এসব বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে গোপন রাখা হয়। উল্টো দুদকের উপ-পরিচালক জনসংযোগ পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে গতকাল প্যানেলের সদস্যরা দুদকে যাচ্ছেন না। দুদক চেয়ারম্যান এবং কমিশনাররাও অফিস থেকে বাইরে চলে যান। এ অবস্থায় সন্ধ্যায় ৭টার দিকে প্যানেলের সদস্যরা দুদকে প্রবেশ করেন। তার আগেই চেয়ারম্যান, কমিশনার, দুদুকের প্রধান আইন উপদেষ্টা ও অনুসন্ধান টিমের কর্মকর্তারা দুদকে উপস্থিত হন।
দুপুরে বাইরে যাওয়ার আগে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, রোববারের বৈঠকটি ছিল পরিচিতিমূলক। তারা আরও পর্যবেক্ষণ শেষে ফিরে যাবেন। পরে প্রয়োজনে আবার আসতে পারেন। তবে এখানেই তারা পর্যবেক্ষণ সমাপ্ত করবেন না আরও বসবেন, সে বিষয়টি প্যানেলের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। ওই সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কমিশন যে অনুসন্ধান করছে, সেটি এখনও কারও বিরুদ্ধে মামলার পর্যায়ে পৌঁছেনি।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি ও দুর্নীতির ষড়যন্ত্র বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের দুটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। প্রাথমিক তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণ দেয়ার বিষয়টি গত ২৯ জুন বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। পরে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতার প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংক তিন সদস্যের একটি প্যানেল ঘোষণা করে। প্যানেলের তিন সদস্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সাবেক প্রধান প্রসিকিউটর লুই গাব্রিয়েল মোরেনো ওকাম্পো, হংকংয়ের দুর্নীতিবিরোধী স্বাধীন কমিশনের সাবেক কমিশনার টিমোথি টং ও যুক্তরাজ্যের গুরুতর প্রতারণা দমন কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক রিচার্ড অল্ডারম্যান রোববার বাংলাদেশে আসেন। এছাড়া বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে বাংলাদেশে আসেন বিশ্বব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত বিষয়ক প্রধান জিমারম্যান ও বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ বিষয়ক আইন উপদেষ্টা প্রিরালি মালিক। এ ৫ বিশেষজ্ঞ ও বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশে কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যালেন গোলস্টেইন গতকালও দুদকের বৈঠকে অংশ নেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞ প্যানেল গতকাল এসএনসি-লাভালিনের তিন সাব-কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান প্রকল্প প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল হাসান খান, বেটস কনসালটিং লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম ও বিসিএল অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের পরিচালক ড. এম এ আজিজসহ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এছাড়া তারা প্রথম দিনের বৈঠকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করেছেন। সেখানে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, এসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
এর আগে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির অভিযেগের তদন্ত বাংলাদেশের আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী হবে, সে ব্যাপারে উভয়পক্ষ একমত হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের আইনই অনুসরণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তারা তদন্তের যেসব তথ্য-উপাত্ত চেয়েছিলেন তাদেরকে সেটা দেয়া হয়েছে। তারা যদি এগুলোতে সন্তুষ্ট থাকেন, তবে আজই তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। সাংবাদিকদের অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের অনুসন্ধান এখনও মামলা করার পর্যায়ে পৌঁছেনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান প্যানেলের সদস্যদের কোনো ধরনের গাইডলাইন দেয়ার বিষয়েও অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, রাতে যে বৈঠক হবে, সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
প্যানেলের কর্মসূচি নিয়ে গতকাল দুদক বা বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয়। তারা কোথায় কখন বৈঠক করবেন, কী নিয়ে আলোচনা করবেন—এসব বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে গোপন রাখা হয়। উল্টো দুদকের উপ-পরিচালক জনসংযোগ পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে গতকাল প্যানেলের সদস্যরা দুদকে যাচ্ছেন না। দুদক চেয়ারম্যান এবং কমিশনাররাও অফিস থেকে বাইরে চলে যান। এ অবস্থায় সন্ধ্যায় ৭টার দিকে প্যানেলের সদস্যরা দুদকে প্রবেশ করেন। তার আগেই চেয়ারম্যান, কমিশনার, দুদুকের প্রধান আইন উপদেষ্টা ও অনুসন্ধান টিমের কর্মকর্তারা দুদকে উপস্থিত হন।
দুপুরে বাইরে যাওয়ার আগে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, রোববারের বৈঠকটি ছিল পরিচিতিমূলক। তারা আরও পর্যবেক্ষণ শেষে ফিরে যাবেন। পরে প্রয়োজনে আবার আসতে পারেন। তবে এখানেই তারা পর্যবেক্ষণ সমাপ্ত করবেন না আরও বসবেন, সে বিষয়টি প্যানেলের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। ওই সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কমিশন যে অনুসন্ধান করছে, সেটি এখনও কারও বিরুদ্ধে মামলার পর্যায়ে পৌঁছেনি।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি ও দুর্নীতির ষড়যন্ত্র বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের দুটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। প্রাথমিক তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণ দেয়ার বিষয়টি গত ২৯ জুন বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। পরে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতার প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংক তিন সদস্যের একটি প্যানেল ঘোষণা করে। প্যানেলের তিন সদস্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সাবেক প্রধান প্রসিকিউটর লুই গাব্রিয়েল মোরেনো ওকাম্পো, হংকংয়ের দুর্নীতিবিরোধী স্বাধীন কমিশনের সাবেক কমিশনার টিমোথি টং ও যুক্তরাজ্যের গুরুতর প্রতারণা দমন কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক রিচার্ড অল্ডারম্যান রোববার বাংলাদেশে আসেন। এছাড়া বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে বাংলাদেশে আসেন বিশ্বব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত বিষয়ক প্রধান জিমারম্যান ও বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ বিষয়ক আইন উপদেষ্টা প্রিরালি মালিক। এ ৫ বিশেষজ্ঞ ও বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশে কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যালেন গোলস্টেইন গতকালও দুদকের বৈঠকে অংশ নেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞ প্যানেল গতকাল এসএনসি-লাভালিনের তিন সাব-কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান প্রকল্প প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল হাসান খান, বেটস কনসালটিং লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম ও বিসিএল অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের পরিচালক ড. এম এ আজিজসহ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এছাড়া তারা প্রথম দিনের বৈঠকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করেছেন। সেখানে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, এসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
এর আগে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির অভিযেগের তদন্ত বাংলাদেশের আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী হবে, সে ব্যাপারে উভয়পক্ষ একমত হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের আইনই অনুসরণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তারা তদন্তের যেসব তথ্য-উপাত্ত চেয়েছিলেন তাদেরকে সেটা দেয়া হয়েছে। তারা যদি এগুলোতে সন্তুষ্ট থাকেন, তবে আজই তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। সাংবাদিকদের অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের অনুসন্ধান এখনও মামলা করার পর্যায়ে পৌঁছেনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান প্যানেলের সদস্যদের কোনো ধরনের গাইডলাইন দেয়ার বিষয়েও অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, রাতে যে বৈঠক হবে, সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।