Friday, September 7, 2012









খবিরের মৃতু্য নিয়ে জঘন্যতম কর্মকাণ্ডের শেষ কোথায়? হাসপাতালের প্রথম ডেথ সার্টিফিকেটে খবির ’হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে’ লিখা!


খবিরের মৃতু্য নিয়ে জঘন্যতম কর্মকাণ্ডের শেষ কোথায়?
হাসপাতালের প্রথম ডেথ সার্টিফিকেটে খবির ’হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে’ লিখা!

মানুষ মারা যাবার পর তাকে নিয়ে যে কী অমানবিক জঘন্যতম কর্মকাণ্ড হতে পারে তার নজির দেখালো মতলবের মানুষ নামের কিছু নরপশু| খবিরের খুনিদের রক্ষা করতে হেন কোনো কাজ নেই যে তারা করছে না| খবির আহত হওয়ার দু’দিনের মাথায় তার মৃতু্য ঘটে| অথচ সে বেঁচে আছে বলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় ৪-৫ দিন| হাসপাতাল থেকে খবিরকে মৃত ঘোষণার একদিন পর তার লাশ মতলব আনা হয়| ঘটনার নেপথ্যে নায়করা এই সময় ক্ষেপণ করেছে মতলবের উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্য এবং খবিরের স্ত্রীর একাউন্টে যে টাকা আছে তা হাতিয়ে নেয়ার জন্য| এতেও তারা ক্ষানত&ধসঢ়;দ হয়নি| শরীরের লোম শিউরে উঠার মতো আরো একটি জঘন্য কাজ করেছে চক্রটি| সেটি হচ্ছেথ খবির যে হাসপাতালে মারা গেছে সে হাসপাতাল থেকে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে খবির হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে বলে| খবির হত্যা মামলাটি অঙ্কুরেই শেষ করে দিতে এর নেপথ্য নায়করা কারসাজি করে এমনটি করেছে| এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেলো মামলারা বাদী নিহত খবিরের বড় ভাই মোশারফ হোসেনের কাছ থেকে|

গতকাল মামলার বাদী মোশারফ হোসেনের সাথে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে কথা হয়| তিনি জানান, ঢাকার গ্রীন লাইফ হাসপাতাল থেকে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে যে, খবির হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছে| এরপর আমরা বৃহস্পতিবার ঢাকা দিয়ে পুনরায় ডেথ সার্টিফিকেট ঠিক করে এনেছি| এখন দেয়া হয়েছে আঘাত জনিত কারণে খবির মারা গেছে| ’হাসপাতাল থেকে আগে কেনো হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছে বলে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হলো এটি আপনারা জিজ্ঞেস করেন নি’- এমন প্রশ্নের জবাবে মোশারফ বলেন, ভাই বুঝেন তো অনেক কথা বলা যায় না| হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই কোনো কারণে আগে মিথ্যা সার্টিফিকেট দিয়েছে| বাদী মোশারফ জানান, আগে আমাদের মামলাটি ছিলো ’হত্যার চেষ্টা’ মামলা| এখন আমরা এই ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে আদালতে ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করবো|

মামলার তদনত&ধসঢ়;দকারী কর্মকর্তা মতলব দক্ষিণ থানার পরিদর্শক (তদনত&ধসঢ়;দ) মোঃ মিজানুর রহমানের সাথে গতকাল রাতে যোগাযোগ হয়| খবির যে রাতে হামলার শিকার হয়েছে সে রাতে খবিরের সাথে আরেকটি মোটরসাইকেলে থাকা একই গ্রামের বারেক সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়| তিনি বলেন, আমি ঘটনার পরদিন বারেকের সাথে দেখা করে তার সাথে কথা বলেছি| তিনি বলেছেন যে, যারা খবিরের উপর হামলা করেছে তাদেরকে তিনি দেখলে চিনবেন নাম জানেন না| ঘটনার সময় সে এলাকায় বিদু্যৎ ছিলো না, এজন্য অন্ধকারে তার উপরও যখন হামলা হয় তখন তিনি জান নিয়ে পালান বলে জানান| তবে জনগণ বলছে, চাপ প্রয়োগ করে বারেকের মুখ বন্ধ রাখা হয়েছে| বারেককে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত খুনি কারা তা বেরিয়ে আসতে পারে|

বার্ধক্য রোধে মাছের তেল


বার্ধক্য রোধে মাছের তেল
পরিমিত ব্যায়াম করলে এবং প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ তৈলাক্ত মাছ রাখলে তা বার্ধক্য রোধে সহায়তা করে। নতুন এক গবেষণায় ব্রিটিশ গবেষকরা এমন তথ্য জানিয়েছেন। গবেষণায় দেখা যায়, ৬৫ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে যারা প্রতিদিন জলপাই তেল সমৃদ্ধ খাবার খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের তুলনায় যারা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ তৈলাক্ত মাছ খাবার হিসেবে গ্রহণ করেন তাদের দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কম থাকে এবং তাদের পেশিশক্তিও দ্বিগুণ হয়। ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ ও ছোট মাছ খেলে হূদরোগের ঝুঁকি কম থাকে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে শরীর রক্ষা পায়। এর মধ্যে ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া ধরনের হূদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। গবেষকরা তাই সবাইকে বেশি করে মাছের তেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। বিবিসি

টুইটারে বিয়ে!

টুইটারে বিয়ে!
Fri, Sep 7th, 2012 9:28 pm BdST
 জীবন এখন প্রযুক্তি নির্ভর। তাহলে বিয়েটাই বা কেন আটকে থাকবে সেকেলে পদ্ধতিতে। তাই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই আইপ্যাডে টুইটের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন তুরস্কের ইস্তাম্বুল নগরীর এক যুগল।

দুজনের হাতে দুই আইপ্যাড। বিয়ের সাজে পাশাপাশি বসে আছে বর আর কনে। এরপর আইপ্যাডে বিয়ের প্রতিশ্র“তি বাক্যে টুইট করে বিয়ের কাজটি সেরে নিয়েছেন তারা।

আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এ বিয়ের বর হচ্ছেন ইস্তাম্বুলের উসকুদার এলাকার জেনগিজান জেনিক ও কনে জানদাল চেলিক। বর জেলিক একটি সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইটের স্যোসাল মিডিয়া এডিটর বলে জানিয়েছে তুরস্কের দৈনিক ‘মিল্লিয়েত ’।

আর সাধারণত স্থানীয় ধর্ম গুরুরাই বিয়ে পরিচালনা করে থাকেন। কিন্তু এ বিয়েতে এক্ষেত্রেও ছিল ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। তাদের বিয়ে পরিচালনা করেছেন উসকুদারের মেয়র মুস্তফা কারা।

কারা তাদের টুইট করে জিজ্ঞাসা করেন তারা কি নিজেদের আইনগতভাবে স্বামী ও স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে চায়? তারপর ‘আমি রাজি’ এই বলে পাল্টা টুইট করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন জেনিক ও চেলিক।



এরপর চেলিকের হাতে বিয়ের সনদ তুলে দিয়ে নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করেন মেয়র।

তুর্কির একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এ বিয়েতে হাজার হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সবাই এলসিডি মনিটরে বিয়ের আনুষ্ঠানিতা উপভোগ করেন। 

ভক্তদের আনাগোনায় বিপর্যস্ত হুমায়ূনের নুহাশ পল্লী

ভক্তদের আনাগোনায় বিপর্যস্ত হুমায়ূনের নুহাশ পল্লী
Fri, Sep 7th, 2012 7:16 pm BdST
 
 প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করতে এসে তারই লাগানো ঔষধি গাছের পাতা ছিঁড়ছেন, ডাল ভাঙছেন ভক্তরা। শত শত গাড়ির চাকায় এই বাগান বাড়ির ঘাষের গালিচা যেন পরিণত হয়েছে চষা ক্ষেতে।

লেখকের কবর বাদে বাকি জায়গায় দড়ি টেনে নোটিস টাঙিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে ভক্তদের অসন্তোষ আর দুর্র্ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন নুহাশ পল্লীর কর্মীরা।

ভক্তদের আনাগোনার চাপে নুহাশ পল্লীকে ‘পিকনিক স্পট’ হিসেবে ভাড়া দেয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর কর্মী ও নেত্রকোনার কুতুবপুরে হুমায়ূনের গড়া শহীদস্মৃতি বিদ্যাপীঠ পড়ছে আর্থিক অনটনে।

এই পরিস্থিতি থেকে হুমায়ূনের ‘প্রাণের চেয়েও প্রিয়’ নুহাশ পল্লীকে রক্ষার জন্য ভক্ত-দর্শনার্থীদের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন নুহাশ পল্লীর ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বুলবুল।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “হুমায়ূন স্যারকে সমাহিত করার পর থেকেই তার কবর জেয়ারত করতে আসা ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত। তার দাফনের দিন বৃষ্টির মধ্যে দাফনে আসা শত শত গাড়ি ও হাজার হাজার মানুষের পাদাঘাতে নুহাশ পল্লীর ভেতরের অনেকাংশই কর্দমাক্ত হয়ে চাষ করা জমির মতো হয়ে গেছে। বিবর্ণ হয়ে গেছে ঘাসের সবুজ গালিচা। এখনও নুহাশ পল্লীতে প্রতিদিন শত-সহ¯্র মানুষ আসছেন, হুমায়ুন স্যারের কবর জিয়ারত করতে।

“এ সময় তাদের অনেকেই নুহাশ পল্লীতে মূল্যবান গাছের লতা-পাতা, ফুল-ফল ছিঁড়ে ফেলছেন, এমনকি গাছের ডালাপালাও ভেঙে ফেলছেন। এসব বারণ করতে গিয়ে তাদের কাছে নুহাশ পল্লীর কর্মচারীদের লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে।”

এ অবস্থায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত ভক্তদের কবর জিয়ারতের সুযোগ দেয়ার কথা জানানো হয়।

তবে ভক্তরা তা মানছেন না বলে অভিযোগ করেন সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “এ নিয়ে প্রতিদিন দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের সঙ্গে নুহাশ পল্লীর কর্মচারীদের তিক্ততা তৈরি হচ্ছে।”

একই সঙ্গে নুহাশ পল্লী পিকনিক স্পট হিসেবে ভাড়া দিতে না পারায় এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ এবং নয় কর্মচারী ও নেত্রকোনার কুতুবপুরের শহীদস্মৃতি বিদ্যাপীঠ স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা তথা অনুদানের টাকা দেয়া যাচ্ছে না বলে জানান সাইফুল ইসলাম।

গত ১৯ জুন নিউইয়র্কে চিকিৎধীন অবস্থায় হুমায়ূন আহমেদ মারা যান। ২৩ জুলাই ঢাকায় আনার পর ২৪ জুলাই দুপুরে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীর লিচু বাগানে তাকে দাফন করা হয়


চশমায় গুগল!

চশমায় গুগল!
Thu, Apr 5th, 2012 7:02 pm BdST
 
 বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর চলচ্চিত্রগুলোতে অনেক সময় চশমা চোখে দিয়েই ভিডিও দেখা বা ভিডিও যোগাযোগের ঘটনা দেখা যায়। এখন বাস্তবেই এমন চশমা নিয়ে আসছে ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল।

মানুষের উদ্দীপনার সিগনালকে কাজে লাগিয়ে এ ধরনের চশমা তৈরি নিয়ে নিজেদের গবেষণার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করেছে গুগল।

বুধবার ‘প্রজেক্ট গ্লাস’ নামের এ গবেষণা সংশ্লিষ্ট ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট গুগল প্লাসে প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে দেখা গেছে, ক্ষুদ্র ডিজাইনের এ চশমায় রয়েছে মাইক্রোফোনসহ আংশিক-সচ্ছ্ব ভিডিও স্ক্রিন। স্ট্যাম্প-সাইজের এই ডিজিটাল ডিসপ্লে চশমার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এবং এটি বসানো হয়েছে একদিকের লেন্সের উপরের কোণায়। ব্যবহারকারী তার ডান চোখ দিয়েই গুগলের সব সুবিধা কাজে লাগাতে পারবে। 

আইফোন কিনতে কিডনি বিক্রি: ৫ জন অভিযুক্ত

আইফোন কিনতে কিডনি বিক্রি: ৫ জন অভিযুক্ত
Sat, Apr 7th, 2012 12:59 pm BdST
 
 চীনের এক কিশোরের কিডনি কেনা-বেচায় ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৫ জন অভিযুক্ত হয়েছে। অ্যাপলের আইফোন ও আইপ্যাড কেনার জন্য নিজের কিডনি বিক্রি করেছিল কিশোরটি। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এ খবর প্রকাশ করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

গত বছরের এপ্রিলে ওয়াং নামের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর তার কিডনি বিক্রি করে। এখন সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

চায়নাতে অ্যাপলের পণ্য খুব জনপ্রিয়। তবে তা বেশিরভাগ চীনার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। চীনে একটি আইফোনের সর্বনিু মূল্য ৩ হাজার ৯৮৮ ইউয়ান (৬৩৩ ডলার)। আর আইপ্যাডের দাম শুরু হয় ২ হাজার ৯৮৮ ইউয়ান (৪৭৪ ডলার) থেকে।

ওয়াং চীনের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশ আনহুইর বাসিন্দা। আইফোন ও আইপ্যাড কেনার পরে সে তার মায়ের কাছে কিডনি বিক্রির কথা স্বীকার করে।

সিনহুয়া জানিয়েছে, ওয়াংয়ের শরীর থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কিডনি অপসারণ ও বিক্রির কাজটি আয়োজন করতে অভিযুক্ত এক জন মোট ২ লক্ষ ২০ হাজার (৩৫ হাজার ডলার) ইউয়ান অর্থ নিয়েছেন। এখান থেকে তিনি ওয়াংকে দিয়েছেন, ২২ হাজার ইউয়ান। আর বাকি অর্থ তিনি একজন সার্জন, একজন হাসপাতাল কর্মী ও আরো ৩ জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।

তবে, অভিযুক্ত পাঁচ জন এবং কিডনি ক্রেতার নাম জানায়নি সিনহুয়া।

চীনে ২০০৭ সাল থেকে মানুষের অঙ্গ ব্যবসাকে নিষিদ্ধ হলেও অবৈধভাবে অঙ্গ সংযোজন চলছে। 

৬শ’ সন্তানের পিতা!

৬শ’ সন্তানের পিতা!

ফার্টাইলিটি ক্লিনিকে স্পার্ম দান করে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী বার্টল্ড উয়িসনার প্রায় ৬শ’ সন্তানের পিতা হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত শতকের ’৪০-’৬০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে লন্ডনভিত্তিক বার্টন ক্লিনিকে স্পার্ম দান করে প্রায় ১৫শ’ সন্তান ধারণে সহায়তা করেন নারীদের।

দ্য ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।

এ ক্লিনিকে জন্মগ্রহণকারী প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা কনাডার ব্যারি স্টিভেন্স ও লন্ডনের আইনজীবী ডেভিড গোলডনজ বার্টল্ডকে তাদের জৈবিক পিতা হিসেবে আবিষ্কারের পর তাকে ৬শ’ সন্তানের পিতা হিসেবে দাবি করেন।

ব্যারি ও ডেভিড এ ক্লিনিকে জন্মগ্রহণকারী আরো ১৮ ব্যক্তিকে সনাক্ত করেন যাদের ১২ জনেরই (দুই তৃতীয়াংশ) জৈবিক পিতাও একই ব্যক্তি। আর এ ফলাফলের ভিত্তিতে বার্টল্ড ৬শ’ সন্তানের পিতা বলে দাবি করেছেন ব্যারি ও ডেভিড।

দ্য সানডে টাইমস সংবাদপত্রকে ডেভিড বলেন, “সাধারণ একটা হিসেব হলো, বার্টল্ড হয়ত প্রতি বছর ২০ বার স্পার্ম দান করেছেন। যমজ শিশু ও গর্ভপাতের ঘটনাসহ জীবিত শিশুর হিসেব করলে আমার মনে হয়, তিনি ৩শ’-৬শ’ শিশুর পিতা।”

আর তাদের এ দাবি সত্য প্রমাণিত হলে বার্টল্ডই এক্ষেত্রে নতুন রেকর্ডধারী হবেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সম্প্রতি সর্বাধিক ১৫০ শিশুর পিতা হিসেবে আমেরিকার অজ্ঞাত এক স্পার্ম দাতার নাম উঠে এসেছে এ তালিকায়।

হাসপাতালটির প্রাথমিক ডোনারদের মধ্যে অন্যতম বার্টল্ড ১৯৭২ সালে মারা যান। 

‘ঘুমের সমস্যা আলঝেইমারের লক্ষণ হতে পারে’

‘ঘুমের সমস্যা আলঝেইমারের লক্ষণ হতে পারে’
Fri, Sep 7th, 2012 2:17 pm BdST
 
সমস্যা আলঝেইমার রোগের পূর্বলক্ষণ হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

সম্প্রতি ইঁদুরের উপর চালানো এক গবেষণায় এ ধরনের আভাস পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।

মস্তিষ্কের ভেতরে জমাট বাঁধা প্রোটিনই এ রোগের মূল উৎস বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। এগুলোকে ‘প্লাক’ বলা হয়।

সায়েন্স ট্রান্সলেশান মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের প্লাক উৎপন্ন হতে শুরু করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে থাকে।

যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আলঝেইমার’র রিসার্চ ইউকে’র পক্ষ থেকে বলা হয়, ইঁদুরের উপর চালানো গবেষণাটি মানুষের জন্যও একই ফল দেখালে তা চিকিৎসকদের জন্য খুবই সহায়ক হবে।

আলঝেইমার রোগের চিকিৎসার জন্য এর প্রাথমিক অবস্থায় কোনো লক্ষণ খুঁজে পাওয়া খুব দুরূহ বলে মনে করা হয়। কারণ এ রোগের শুরুর দিকে আক্রান্তরা স্মৃতি বা চিন্তাশক্তি হারিয়ে ফেলার মতো লক্ষণগুলো দেখায় না।

কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে মস্তিষ্কের কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলে এ রোগের চিকিৎসা খুবই জটিল হয়ে পড়ে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা অসম্ভব হয়ে ওঠে।

তাই গবেষকরা এমন কোনো লক্ষণ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছেন যার মাধ্যমে রোগটি আক্রমণ করার আগেই এর আগমন সম্পর্কে আভাস পাওয়া যায়। এর ফলশ্র“তিতেই ‘প্লাক’ বিষয়ে গবেষণা শুরু হয়।

মস্তিষ্কে বেটা অ্যামোলিড নামের এক ধরনের প্রোটিনের প্লাক নিয়ে গবেষণা শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। সাধারণতঃ মানুষ ও ইঁদুর উভয়ের মধ্যেই ২৪ ঘণ্টায় বেটা অ্যামোলিডের পরিমাণ বাড়তে বা কমতে থাকে।

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা যায়, নিশাচর প্রাণী ইঁদুর দিনের বেলা প্রতি ঘণ্টায় ৪০ মিনিট ঘুমায়। তবে তাদের মস্তিষ্কে প্লাক জমতে শুরু করলেই তারা ওই সময় ৩০ মিনিট করে ঘুমাতে শুরু করে।

গবেষক প্রফেসর ডেভিড হোলজম্যান বলেন, যদি আলঝেইমারের পূর্ব লক্ষণ হিসেবেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে থাকে, তাহলে আমাদের জন্য খুবই কার্যকরী একটি পূর্বলক্ষণ হবে এটি। তবে সম্পূর্ণ অন্য কারণেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে থাকতে পারে।

তবে ইঁদুরের উপর চালানো গবেষণা সবসময় মানুষের জন্য একই ফল বহন করে না।

আলঝেইমার’র রিসার্চ ইউকে’র ডা. ম্যারি জনসন বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে মানুষের চিন্তাশক্তির অবনতি হয়। তবে এ গবেষণাটিতে ঘুমের ব্যাঘাত আলঝেইমারের পূর্ব লক্ষণ বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এটি নিশ্চিত করা গেলে এ রোগের ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের আগে থেকে চিহ্নিত করা যাবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। 

কচ্ছপ নৃত্য


কচ্ছপ নৃত্য
সাতটি সামুদ্রিক কচ্ছপ সারিবদ্ধ হয়ে পরস্পর ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দেখে মনে হতে পারে কোনো পার্টি নাচের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। অবকাশ সময়ে সমুদ্রের ধারে বারবিকিউ পার্টির মহড়া দিচ্ছে, এমনটা ভাবাও দোষের কিছু নয়। কিন্তু বাস্তবতা তা নয়। কানাডার ওনটারিও প্রদেশের ওপিনিকন সমুদ্র তীর থেকে সারিবদ্ধ কচ্ছপের ছবিগুলো তুলেছেন টনি বেক। জানা যায়, সমুদ্রচারী এই প্রাণীগুলো রোদ পোহাতে একত্রিত হয়েছে। পানিতে থাকতে থাকতে শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণীগুলো শারীরিক উষ্ণতার জন্য উঁচু এক স্থানে বিশ্রাম নিচ্ছে। তা ছাড়া কচ্ছপের হাড় ও ত্বকের জন্য ভিটামিন ডি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই সূর্য থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে একত্রিত হয়েছে তারা। চিত্রগ্রাহক টনি বেক বলেন, আমি বিভিন্ন প্রজাতির কচ্ছপ দেখতে প্রায়ই সমুদ্রে আসি। ভরদুপুরে তারা রোদ পোহাতে তটে এসে আশ্রয় নেয়। তবে এক দলে এতগুলো কচ্ছপের দৃশ্য আর কখনও দেখিনি। ডেইলি মেইল।

বিতাড়িত হবে অবৈধ অভিবাসীরা নিউইয়র্কে নতুন নিরাপত্তা আইন চালু


বিতাড়িত হবে অবৈধ অভিবাসীরা নিউইয়র্কে নতুন নিরাপত্তা আইন চালু
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ‘সিকিউর কমিউনিটিজ’ (নিরাপদ সমাজ) নামের নতুন আইন কার্যকর হয়েছে। এই আইনের ফলে অবৈধ ও অনথিভুক্ত অভিবাসীরা নিউইয়র্ক ছাড়তে বাধ্য হবে।

মঙ্গলবার থেকেই নিউইয়র্ক শহরে আইনটি কার্যকর হয়েছে।

নিউইয়র্কের আইনপ্রণেতা, রাজনীতিক ও অভিবাসীদের পক্ষের লোকজন এই আইনের তীব্র বিরোধিতা করলেও ‘সিকিউর কমিউনিটিজ’ কর্মসূচি কার্যকর হলো।

সোমবারই আইনটির বিরুদ্ধে ম্যানহাটনে বিক্ষোভকারীরা দাবি জানায়, প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই আইন স্থগিত রাখতে হবে।

সিকিউর কমিউনিটিজ আইনের অধীনে স্থানীয় পুলিশের মাধ্যমে সব অভিবাসীর হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) নেওয়া হবে। এই ছাপ পাঠানো হবে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে। এরপর যাচাই করা হবে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি অবৈধ অভিবাসী কি না বা তাকে বিতাড়িত করা হবে কি না।

আইনটি কার্যকর হওয়ার আগেই এরই মধ্যে নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থান থেকে ৪৭৫ জনকে দেশান্তরে বাধ্য করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার এই আইনের পক্ষে বলেছে, এ কর্মসূচির মাধ্যমে জানা যাবে কে বা কারা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি। আর বিরোধীরা বলছে, এর ফলে অভিবাসী সমাজ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

এছাড়া এ আইনের কারণে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণভাবে, অভিবাসী সমাজ কেবল তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে নয়, নাগরিক অধিকার খর্ব হওয়ার আতঙ্কেও রয়েছেন। যদি কোনো ব্যক্তি অনথিভুক্ত বা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে প্রমাণিত হয়, তাকে নিউইয়র্ক ছাড়তে হবে।

নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের স্পিকার ক্রিস্টিন কিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এই আইন বাস্তবায়ন হলে শহরে যাদের জননিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করা হচ্ছে, তাদের শহর ছেড়ে চলে যেতে হবে।’

এরই মধ্যে অঙ্গরাজ্যের নাসাউ, ডাচেস, ওয়েস্টচেস্টারসহ ৩১টি কাউন্টিতে এই আইন চালু হয়েছে। মঙ্গলবার নিউইয়র্ক শহরসহ অঙ্গরাজ্যের বাকি অংশেও এটা চালু হলো।