Thursday, September 6, 2012
ক্লোজ আপ ওয়ান ঢাকা অডিশনে ব্যাপক সাড়া
ক্লোজ আপ ওয়ান ঢাকা অডিশনে ব্যাপক সাড়া
![]() |
ছবি: নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
|
ঢাকা: সংগীত প্রতিযোগীদের ভিড়ে এখন টুইটুম্বুর রাজধানীর মোহাম্মাদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ। সাড়া জাগানো রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ ওয়ান-তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ এর চতুর্থ আসরের ঢাকা অডিশনের প্রথম দিন ছিল ৩ সেপ্টেম্বর সোমবার। ঢাকা অঞ্চলের এই অডিশন চলবে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ক্লোজআপ ওয়ানের ঢাকা অডিশন সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রথম ও দ্বিতীয়দিন দেখা গেলো সকাল ৮টা থেকেই মোহাম্মাদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের লম্বা লাইন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই লাইন কেবল লম্বা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসা তরুণ শিল্পীদের পাশাপাশি চোখে পড়েছে উৎসুক জনতার ভিড়।
এবারের অডিশনে ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা প্রায় সব প্রতিযোগীকেই রেজিস্ট্রেশন কার্ড গলায় দিয়ে লম্বা সময় ধৈর্য্যরে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। অডিটোরিয়ামের ১২টি কক্ষে একযোগে অডিশন গ্রহণ চললেও প্রতিযোগীদের সংখ্যা অনেক বেশি চাপ সামলাতে হিমশিত খেতে দেখা গেছে। প্রতিটি কক্ষে আছেন দুজন করে বিচারক। প্রাথমিক বাছাইয়েই দেখা গেল, বিচারকরা প্রতিযোগীদের মান যাচাইয়ে বেশ সজাগ। প্রতিভা যাচাইয়ে প্রতিযোগীর গাওয়া গান, কণ্ঠ, গায়কী ও পারফরর্মেন্সের উপর জোর দিচ্ছেন তারা। তাই দীর্ঘসময় পর পর একেকজন প্রতিযোগীর ভাগ্যে জুটছে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার ‘ইয়েস কার্ড’।
ক্লোজআপ ওয়ানের ঢাকার প্রাথমিক অডিশনে বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন শিল্পী মিলন মাহমুদ, লিটন অধিকারী রিন্টু, আনিসুর রহমান তনু, সুমন, মেজবাহ রহমান, জালাল আহমেদ, বাসুদেব ঘোষ, মো: শাহনেওয়াজ, জুয়েল, সুমনা বর্ধন প্রমুখ।
ঢাকার অডিশন রাউন্ডে দীর্ঘসময় পর একেকজন ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়ে আনন্দে দিশেহারা হয়ে পড়ছে। মনে হচ্ছে, খেতাবই বুঝি তারা জিতে নিয়েছেন। অন্যদিকে প্রাথমিক বাছাই পার হতে না পারায় কান্নায় ভেঙে পড়ে অভিমানে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ছিড়ে ফেলার ঘটনা চোখে পড়েছে।
অডিশনে ‘ইয়েস কার্ড’ পাওয়া জলি এসেছেন পুরাণ ঢাকার লক্ষীবাজার থেকে। তিনি বাংলানিউজকে নিজের অনুভূতি জানিয়ে বললেন, ‘এটা আমার জন্য সত্যি একটা বিশেষ দিন। যেহেতু আমি ইয়েস কার্ড পেয়েছি , তাই আপ্রাণ চেষ্টা করব শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার।’
মাহবুব নামের এক প্রতিযোগীকে দেখা গেল চোখ মুছে টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলছে রেজিস্ট্রেশন কার্ড। এর কারণ জানতে চাইলে বললেন, ‘আমার মনটা আজ ভেঙে গেল। ক্লোজ আপ ওয়ান নিয়ে আমার মনে অনেক স্বপ্ন ছিল। নিজেকে তৈরি করেছিলাম এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য। টিকে থাকতে পারলাম না। কী আর হবে ব্যর্থতার চিহ্ন রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে রেখে!’
ঢাকার অডিশন রাউন্ডের অন্যতম বিচারক কণ্ঠশিল্পী মিলন মাহমুদের সঙ্গে কথা বলে বাংলানিউজ। তিনি বললেন, ‘ক্লোজ আপ ওয়ান প্রতিযোগিতার আলাদা একটা পরিচিতি দেশ জুড়ে আছে। তাই প্রতিযোগীর পারফর্মেন্স সুক্ষèভাবে আমরা যাচাই বাছাই করছি। অডিশন দিতে প্রচুর প্রতিযোগী। কিন্তু পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে খুব কম প্রতিযোগীই। সকাল থেকে আমাদের প্যানেল প্রায় ২০০ জন প্রতিযোগীর অডিশন নিয়েছে। যার মধ্যে ইয়েস কার্ড দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪টি।’
ক্লোজআপ ওয়ানের আগের তিনটি আয়োজনের সেরা প্রতিযোগীদের কয়েকজন এ দুদিন এবারের অডিশন দেখতে আসেন
ক্লোজআপ ওয়ানের ঢাকা অডিশন সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রথম ও দ্বিতীয়দিন দেখা গেলো সকাল ৮টা থেকেই মোহাম্মাদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের লম্বা লাইন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই লাইন কেবল লম্বা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসা তরুণ শিল্পীদের পাশাপাশি চোখে পড়েছে উৎসুক জনতার ভিড়।
এবারের অডিশনে ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা প্রায় সব প্রতিযোগীকেই রেজিস্ট্রেশন কার্ড গলায় দিয়ে লম্বা সময় ধৈর্য্যরে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। অডিটোরিয়ামের ১২টি কক্ষে একযোগে অডিশন গ্রহণ চললেও প্রতিযোগীদের সংখ্যা অনেক বেশি চাপ সামলাতে হিমশিত খেতে দেখা গেছে। প্রতিটি কক্ষে আছেন দুজন করে বিচারক। প্রাথমিক বাছাইয়েই দেখা গেল, বিচারকরা প্রতিযোগীদের মান যাচাইয়ে বেশ সজাগ। প্রতিভা যাচাইয়ে প্রতিযোগীর গাওয়া গান, কণ্ঠ, গায়কী ও পারফরর্মেন্সের উপর জোর দিচ্ছেন তারা। তাই দীর্ঘসময় পর পর একেকজন প্রতিযোগীর ভাগ্যে জুটছে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার ‘ইয়েস কার্ড’।
ক্লোজআপ ওয়ানের ঢাকার প্রাথমিক অডিশনে বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন শিল্পী মিলন মাহমুদ, লিটন অধিকারী রিন্টু, আনিসুর রহমান তনু, সুমন, মেজবাহ রহমান, জালাল আহমেদ, বাসুদেব ঘোষ, মো: শাহনেওয়াজ, জুয়েল, সুমনা বর্ধন প্রমুখ।

ঢাকার অডিশন রাউন্ডে দীর্ঘসময় পর একেকজন ‘ইয়েস কার্ড’ পেয়ে আনন্দে দিশেহারা হয়ে পড়ছে। মনে হচ্ছে, খেতাবই বুঝি তারা জিতে নিয়েছেন। অন্যদিকে প্রাথমিক বাছাই পার হতে না পারায় কান্নায় ভেঙে পড়ে অভিমানে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ছিড়ে ফেলার ঘটনা চোখে পড়েছে।
অডিশনে ‘ইয়েস কার্ড’ পাওয়া জলি এসেছেন পুরাণ ঢাকার লক্ষীবাজার থেকে। তিনি বাংলানিউজকে নিজের অনুভূতি জানিয়ে বললেন, ‘এটা আমার জন্য সত্যি একটা বিশেষ দিন। যেহেতু আমি ইয়েস কার্ড পেয়েছি , তাই আপ্রাণ চেষ্টা করব শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার।’
মাহবুব নামের এক প্রতিযোগীকে দেখা গেল চোখ মুছে টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলছে রেজিস্ট্রেশন কার্ড। এর কারণ জানতে চাইলে বললেন, ‘আমার মনটা আজ ভেঙে গেল। ক্লোজ আপ ওয়ান নিয়ে আমার মনে অনেক স্বপ্ন ছিল। নিজেকে তৈরি করেছিলাম এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য। টিকে থাকতে পারলাম না। কী আর হবে ব্যর্থতার চিহ্ন রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে রেখে!’
ঢাকার অডিশন রাউন্ডের অন্যতম বিচারক কণ্ঠশিল্পী মিলন মাহমুদের সঙ্গে কথা বলে বাংলানিউজ। তিনি বললেন, ‘ক্লোজ আপ ওয়ান প্রতিযোগিতার আলাদা একটা পরিচিতি দেশ জুড়ে আছে। তাই প্রতিযোগীর পারফর্মেন্স সুক্ষèভাবে আমরা যাচাই বাছাই করছি। অডিশন দিতে প্রচুর প্রতিযোগী। কিন্তু পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে খুব কম প্রতিযোগীই। সকাল থেকে আমাদের প্যানেল প্রায় ২০০ জন প্রতিযোগীর অডিশন নিয়েছে। যার মধ্যে ইয়েস কার্ড দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪টি।’
ক্লোজআপ ওয়ানের আগের তিনটি আয়োজনের সেরা প্রতিযোগীদের কয়েকজন এ দুদিন এবারের অডিশন দেখতে আসেন
মোহাম্মাদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে। যাদের মধ্যে ছিলেন নোলকবাবু, রাজিব, পুতুল, সালমা, রিংকু, সাজু, সাব্বির ও আরো অনেকে।
‘স্বপ্ন সাধনা সাহসে, গাও আত্মবিশ্বাসে’ এই স্লোগান নিয়ে ক্লোজআপ ওয়ান রিয়েলিটি শোর প্রধান আয়োজক ও পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিবারের মত এবারও এ প্রতিযোগিতার মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে এনটিভি। এবার মূল বিচারকের দায়িত্বে আছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, ফাহমিদা নবী ও পার্থ বড়–য়া।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার পরপরই শুরু হবে চট্টগ্রামের অডিশন রাউন্ড।
‘স্বপ্ন সাধনা সাহসে, গাও আত্মবিশ্বাসে’ এই স্লোগান নিয়ে ক্লোজআপ ওয়ান রিয়েলিটি শোর প্রধান আয়োজক ও পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিবারের মত এবারও এ প্রতিযোগিতার মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে এনটিভি। এবার মূল বিচারকের দায়িত্বে আছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, ফাহমিদা নবী ও পার্থ বড়–য়া।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার পরপরই শুরু হবে চট্টগ্রামের অডিশন রাউন্ড।
জামিন নাকচ, ডেসটিনির আজাদ কারাগারে
| ||||||||
|
এবার স্বামীদের খবর আছে, বেতন দিতে হবে স্ত্রীকে
এবার স্বামীদের খবর আছে, বেতন দিতে হবে স্ত্রীকে

তবে, সুখবর হলো ভারতের বাইরের কোনো দেশের স্বামীদের জন্য এ সংবাদ এখনই দুঃসংবাদে পরিণত হচ্ছে না।
এবার শোনা যাক খবরটা কি। তোলপাড় সৃষ্টি করা খবরটি হলো- ভারত ভূখণ্ডে বসবাসরত কোনো স্বামী আর বিনা পয়সায় স্ত্রী পুষতে পারবেন না, নিতে পারবেন না বিনা পয়সার সার্ভিস। এ ধরনের সেবা-যত্ন নিতে হলে রীতিমতো বেতন দিতে হবে। এ জন্য শিগগিরি দেশটির জাতীয় সংসদে আসছে বিল। স্ত্রীদের ভাগ্য ভালো হলে বিলটা পাস হবে আর বিল আইনে পরিণত হলে প্রতি মাসে স্ত্রীদের ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে যাবে স্বামী-রত্নের আয়-ইনকামের নির্ধারিত অংশ। পয়সাটাও কিন্তু কম নয়।
সাড়া জাগানো এ খবর শুনে সুযোগ সন্ধানী বহু স্বামী হয়তো একেবারে ঝিম মেরেছেন। যেন এ ধরনের কোনো খবরই তিনি রাখেন না; গা বাঁচানোর জন্য হয়তো কেউ কেউ স্ত্রীদের প্রতি যত্ন-আত্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত যদি বিলটি আইনে পরিণত হয় তাহলে এ ধরনের যত্ন-আত্তিতে কতটা কাজ হবে তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না। কারণ স্ত্রীরা শুধু মাসিক বেতনই পাবেন না সেই সঙ্গে স্বামীর ক্ষমতায়ও ভাগ বসাবেন। অর্থাত, এতদিন যে দোর্দণ্ড প্রতাপে অন্তত ঘর শাসন করেছেন স্বামী, সেই একক ক্ষমতা আর তার হাতে থাকছে না।
যাহোক, ভারতের জি নিউজ টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে- যদি দেশের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য এ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয় তাহলে স্বামীরা আইনগতভাবেই তাদের স্ত্রীদের বেতন দিতে বাধ্য হবেন। এর এ বেতন হবে মুলত স্ত্রীর প্রতিদিনের কাজের মূল্যায়ন।
তবে, এখানে সন্দেহ প্রকাশ করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানাচ্ছে জি নিউজ। খবরে আরো বলা হয়েছে- “প্রকৃতপক্ষে মন্ত্রণালয় এ ধরনের একটি বিলের খসড়া প্রস্তুত করছে।”
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কৃষ্ণা তিরাথ জানিয়েছেন, ভারতীয় নারীদের ক্ষমতায়নের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। স্ত্রীদের যথাযথ মর্যাদা রক্ষার বিষয়টি সামনে রেখে বেতনের পরিমাণটা নির্ধারিত হবে। আর এ কাজে বেশি দেরি করা হবে না; বিল তৈরির ছয় মাসের মধ্যে তা সংসদে তোলা হবে।
একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্ত্রীদের জন্য প্রত্যেক স্বামীকে তার আয়ের ১০ থেকে ২০ ভাগ ব্যয় করতে হতে পারে। এ জন্য নিজ খরচে ব্যাংক একাউন্টও করে দিতে হবে স্বামীকেই। তবে, যেসব ব্যক্তি এতদিন ধরে একাধিক স্ত্রীর সেবা-যত্ন নিয়ে আসছেন তাদের খরচের মাত্রাটা কি হবে সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত নেই জি নিউজের খবরে।
মতলবে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উপজেলা পর্যায়ে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ
মতলবে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উপজেলা পর্যায়ে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ
মতলব দক্ষিণে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে স্থানীয় নিউ হোস্টেল মাঠে ৪১তম জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসার গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গতকাল ৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নিউ হোস্টেল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়| মতলব দক্ষিণ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ শুক্কুর পাটোয়ারী| বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সাগর, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লক্ষী রাণী দাস তারা, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জহিরম্নল ইসলাম আলেক ও পৌর যুবলীগের সভাপতি সোহাগ সরকার|
প্রতিযোগিতায় ফুটবল খেলায় বালক দলে চ্যাম্পিয়ন হয় মতলবগঞ্জ জে.বি. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা দলে চ্যাম্পিয়ন হয় বোয়ালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হ্যান্ডবল খেলায় বালক দলে চ্যাম্পিয়ন হয় নারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা দলে চ্যাম্পিয়ন হয় মতলবগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কাবাডি খেলায় বালক দলে দগরপুর আঃ গণি উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা দলে কাচিয়ারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়| এ সময় বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ক্রীড়া শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন| আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ|
প্রতিযোগিতায় ফুটবল খেলায় বালক দলে চ্যাম্পিয়ন হয় মতলবগঞ্জ জে.বি. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা দলে চ্যাম্পিয়ন হয় বোয়ালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হ্যান্ডবল খেলায় বালক দলে চ্যাম্পিয়ন হয় নারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা দলে চ্যাম্পিয়ন হয় মতলবগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কাবাডি খেলায় বালক দলে দগরপুর আঃ গণি উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা দলে কাচিয়ারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়| এ সময় বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ক্রীড়া শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন| আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ|
’ওরা দল ও চাঁদপুরকে কলঙ্কিত করলো, রক্তাক্ত করলো মতলব’
’ওরা দল ও চাঁদপুরকে কলঙ্কিত করলো, রক্তাক্ত করলো মতলব’
আসামী যেই হোক ছাড় দেয়া হবে না ঃ ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার
আতঙ্ক আর ভয় মতলববাসীকে তাড়া করছে| ক্ষমতাসীন দলের এমপির পিএস-এরই যেখানে জীবনের নিরাপত্তা নেই সেখানে সাধারণ জনগণ কতটুকু নিরাপত্তাবোধ করবে এটা ভেবেই মানুষ এখন আতঙ্কিত ও চিনত&ধসঢ়;দিত| মানুষ আরো বেশি আতঙ্কিত এ জন্য যে, এমপির পরিবারের লোকজন এবং নিজ দলের লোকজনের দ্বারা এমপির পিএস যুবলীগ নেতা খবির হোসেন খুন হওয়ায়| শুধু তাই নয়, খুনিদের বাঁচাতে যা যা করা দরকার এমপির পরামর্শে মতলব উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা তা-ই করছে| এ ক্ষেত্রে মতলবের পুলিশ প্রশাসনকেও ব্যবহার করা হয়েছে ও হচ্ছে| গত ক’দিন মতলবে যারা শানত&ধসঢ়;দিপ্রিয় রাজনীতি করেন এবং যারা রাজনীতি করেন না সে সব সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে তাদের মধ্যে এমনই আতঙ্ক, শঙ্কা দেখা গেলো এবং তাদের মনত&ধসঢ়;দব্য জানা গেলো| ক্ষমতাসীন দলের যারা নিঃস্বার্থ ও নিবেদিতপ্রাণ তাদের আক্ষেপমূলক মনত&ধসঢ়;দব্য ঃ সরকারের শেষ সময়ে এসে নিজ দলের এমপি এবং তার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনরা এভাবে দলকে এবং চাঁদপুরকে কলঙ্কিত করলো, মতলবকে রক্তাক্ত করলো তা ভাবতেও আমাদের গা শিউরে উঠে|
মধ্যবিত্ত পরিবারের সনত&ধসঢ়;দান খবির হোসেন প্রধান| গ্রামের বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ নওগাঁও গ্রামে| বাবা সামছুল হক প্রধান বর্তমানে বয়োবৃদ্ধ| আগে কৃষি কাজ করতেন| মা আফিয়া বেগম গৃহিণী| ৩ ভাই ৫ বোনের মধ্যে খবির ৭ম| ভাইদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ| বড় ভাই ছোটখাটো ব্যবসা করেন, মেঝো ভাইও ছোটখাটো চাকুরি করে| খবির ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন| মতলব ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন| কর্মজীবনে এমপির পিএস হওয়ার আগ পর্যনত&ধসঢ়;দ ঠিকাদারি করতেন| পিএস হওয়াটাই তার জীবনে কাল হলো| খবির বিয়ে করেছেন একই উপজেলার কলাদী গ্রামে| স্ত্রী ঢাকার মহাখালীস্থ আইসিডিডিআরবিতে চাকুরি করেন| ফাহমিদা আক্তার ঊর্মি নামে এগার বছরের তাদের একটি কন্যা সনত&ধসঢ়;দান রয়েছে| সে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী| স্ত্রী ফাতেমা বেগম বর্তমানে সনত&ধসঢ়;দান সম্ভবা|
খবির মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন| খবির নিহত হওয়ার নেপথ্য কারণ আদ্যোপানত&ধসঢ়;দ বিশেস্নষণ করে এটাই প্রতীয়মান হলো যে, এমপি রফিকুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরাই খবির হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত| মতলবের জনগণ জানান, খবির পিএস হওয়ার পর এমপি পরিবারের সদস্যরা লুটপাটে তেমন একটি সুবিধা করতে পারতো না| এমপি পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠরা কোনো অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিতে চাইলে পিএস খবির তাদের বাধা দিত এবং এমপিকে বুঝাতো| আর এটাই তার জন্য কাল হলো| সর্বশেষ মতলব থানার সামনে জেলা পরিষদের ২২ শতক পরিমাণ জলাশয় ভরাট করে দোকান বরাদ্দ দেয়া নিয়ে এমপির আপন ছোট ভাই তৌফিক, চাচাতো ভাই বজলু দেওয়ান ও ভাতিজা দুলাল দেওয়ানের সাথে পিএস খবির হোসেনের বিরোধ দেখা দেয়| এরই জের হিসেবে পথের কাটা খবিরকে সরিয়ে দিলো তৌফিক গং| শুধু তাই নয়, খবির মারা যাবার পরও তার পরিবারের উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে এবং সর্বশেষ খবিরের স্ত্রীর ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থেকে এমপির ঘনিষ্ঠ ক’জন উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা তুলে নেয়ার ঘটনা বিবেকবান সবাইকে সত&ধসঢ়;দম্ভিত করেছে| খবিরের স্ত্রীর কাছ থেকে অনেকটা জোরপূর্বক চেকে স্বাক্ষর নেয়া হয়| এই টাকা তোলার পেছনে এমপির স্ত্রীরও হাত ছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে| খবিরের স্ত্রীর কাছ থেকে চেকে স্বাক্ষর নেয়ার সময় এমপি রফিকুল ইসলামের ভাই মাহতাব হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এএইচএম গিয়াস উদ্দিন, সেক্রেটারী বিএইচ কবির আহমেদসহ আরো ক’জন নেতা উপস্থিত ছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে| এ ব্যাপারে খবিরের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের বক্তব্য হচ্ছে, এমপি সাহেবের কথায় আমি ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকার চেকে স্বাক্ষর দিয়েছি| যারা স্বাক্ষর নিয়েছেন তারা আওয়ামী লীগের নেতা এবং এমপি সাহেবের ঘনিষ্ঠজন এতটুকুই জানি| তাদেরকে আমি মুখচেনা চিনি তবে নাম জানি না|
এদিকে মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ এরফানের বিরম্নদ্ধে মতলববাসীর নানা অভিযোগ রয়েছে| খবিরের খুনিদের রক্ষায় তিনি নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন| খান মোহাম্মদ এরফান এমপির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হওয়ায় এমপির পরিবারের সদস্যরা মতলবে থানা পুলিশের বিশেষ সহায়তা পাচ্ছে| মতলবের এই ওসির কারণে খবিরের প্রকৃত খুনিরা পার পেয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে মতলববাসী|
এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ আমির জাফরের সাথে যোগাযোগ করা হয়| তিনি চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, আসামী যে-ই হোক ছাড় দেয়া হবে না| আমাদের তদনত&ধসঢ়;দে খবিরের প্রকৃত খুনি কারা তা বেরিয়ে আসবে বলে আমি আশাবাদী| এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খবির যে দল করতো সে দলের কারো নামও যদি তদনত&ধসঢ়;দে প্রমাণিত হয় তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে| খবির হত্যা মামলার বিষয়ে ওসির প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মামলাটি আমরা অতীব গুরম্নত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর মামলা হিসেবে নিয়েছি| পুরো বিষয়টি আমি নিজে এবং সদর সার্কেলের এএসপি সৈকত শাহীন তদারকি করছি| মামলার আইওকে এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে| এখানে কেউ ইচ্ছা করলেও কিছু করতে পারবে না|
মধ্যবিত্ত পরিবারের সনত&ধসঢ়;দান খবির হোসেন প্রধান| গ্রামের বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ নওগাঁও গ্রামে| বাবা সামছুল হক প্রধান বর্তমানে বয়োবৃদ্ধ| আগে কৃষি কাজ করতেন| মা আফিয়া বেগম গৃহিণী| ৩ ভাই ৫ বোনের মধ্যে খবির ৭ম| ভাইদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ| বড় ভাই ছোটখাটো ব্যবসা করেন, মেঝো ভাইও ছোটখাটো চাকুরি করে| খবির ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন| মতলব ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন| কর্মজীবনে এমপির পিএস হওয়ার আগ পর্যনত&ধসঢ়;দ ঠিকাদারি করতেন| পিএস হওয়াটাই তার জীবনে কাল হলো| খবির বিয়ে করেছেন একই উপজেলার কলাদী গ্রামে| স্ত্রী ঢাকার মহাখালীস্থ আইসিডিডিআরবিতে চাকুরি করেন| ফাহমিদা আক্তার ঊর্মি নামে এগার বছরের তাদের একটি কন্যা সনত&ধসঢ়;দান রয়েছে| সে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী| স্ত্রী ফাতেমা বেগম বর্তমানে সনত&ধসঢ়;দান সম্ভবা|
খবির মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবলীগের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন| খবির নিহত হওয়ার নেপথ্য কারণ আদ্যোপানত&ধসঢ়;দ বিশেস্নষণ করে এটাই প্রতীয়মান হলো যে, এমপি রফিকুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরাই খবির হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত| মতলবের জনগণ জানান, খবির পিএস হওয়ার পর এমপি পরিবারের সদস্যরা লুটপাটে তেমন একটি সুবিধা করতে পারতো না| এমপি পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠরা কোনো অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিতে চাইলে পিএস খবির তাদের বাধা দিত এবং এমপিকে বুঝাতো| আর এটাই তার জন্য কাল হলো| সর্বশেষ মতলব থানার সামনে জেলা পরিষদের ২২ শতক পরিমাণ জলাশয় ভরাট করে দোকান বরাদ্দ দেয়া নিয়ে এমপির আপন ছোট ভাই তৌফিক, চাচাতো ভাই বজলু দেওয়ান ও ভাতিজা দুলাল দেওয়ানের সাথে পিএস খবির হোসেনের বিরোধ দেখা দেয়| এরই জের হিসেবে পথের কাটা খবিরকে সরিয়ে দিলো তৌফিক গং| শুধু তাই নয়, খবির মারা যাবার পরও তার পরিবারের উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে এবং সর্বশেষ খবিরের স্ত্রীর ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থেকে এমপির ঘনিষ্ঠ ক’জন উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা তুলে নেয়ার ঘটনা বিবেকবান সবাইকে সত&ধসঢ়;দম্ভিত করেছে| খবিরের স্ত্রীর কাছ থেকে অনেকটা জোরপূর্বক চেকে স্বাক্ষর নেয়া হয়| এই টাকা তোলার পেছনে এমপির স্ত্রীরও হাত ছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে| খবিরের স্ত্রীর কাছ থেকে চেকে স্বাক্ষর নেয়ার সময় এমপি রফিকুল ইসলামের ভাই মাহতাব হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এএইচএম গিয়াস উদ্দিন, সেক্রেটারী বিএইচ কবির আহমেদসহ আরো ক’জন নেতা উপস্থিত ছিলেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে| এ ব্যাপারে খবিরের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের বক্তব্য হচ্ছে, এমপি সাহেবের কথায় আমি ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকার চেকে স্বাক্ষর দিয়েছি| যারা স্বাক্ষর নিয়েছেন তারা আওয়ামী লীগের নেতা এবং এমপি সাহেবের ঘনিষ্ঠজন এতটুকুই জানি| তাদেরকে আমি মুখচেনা চিনি তবে নাম জানি না|
এদিকে মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ এরফানের বিরম্নদ্ধে মতলববাসীর নানা অভিযোগ রয়েছে| খবিরের খুনিদের রক্ষায় তিনি নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন| খান মোহাম্মদ এরফান এমপির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হওয়ায় এমপির পরিবারের সদস্যরা মতলবে থানা পুলিশের বিশেষ সহায়তা পাচ্ছে| মতলবের এই ওসির কারণে খবিরের প্রকৃত খুনিরা পার পেয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে মতলববাসী|
এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ আমির জাফরের সাথে যোগাযোগ করা হয়| তিনি চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, আসামী যে-ই হোক ছাড় দেয়া হবে না| আমাদের তদনত&ধসঢ়;দে খবিরের প্রকৃত খুনি কারা তা বেরিয়ে আসবে বলে আমি আশাবাদী| এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খবির যে দল করতো সে দলের কারো নামও যদি তদনত&ধসঢ়;দে প্রমাণিত হয় তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে| খবির হত্যা মামলার বিষয়ে ওসির প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ মামলাটি আমরা অতীব গুরম্নত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর মামলা হিসেবে নিয়েছি| পুরো বিষয়টি আমি নিজে এবং সদর সার্কেলের এএসপি সৈকত শাহীন তদারকি করছি| মামলার আইওকে এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে| এখানে কেউ ইচ্ছা করলেও কিছু করতে পারবে না|
ডেসটিনির অনিয়মের চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া হবে দুই মাসের মধ্যে
ডেসটিনির অনিয়মের চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া হবে দুই মাসের মধ্যে
ডেসটিনি গ্রুপের অনিয়ম ও দুর্নীতি-সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় দুই মাস বাড়িয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সময় বাড়ানোর এই সম্মতি দেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব মো: গোলাম হোসেন।
গতকাল দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাথে এ-সংক্রান্ত এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এতে ডেসটিনি গ্রুপের অনিয়ম তদন্তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ডেসটিনি গ্রুপের ৩৪টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কী ক্রটি করেছে, না করেছে সে প্রশ্নে না গিয়ে ৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক সাথে দেখা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ জন্য আরো দুই মাস সময় চাওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী এতে সম্মতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আশা করছি, এ দুই মাসের মধ্যে ডেসটিনির অনিয়ম-সংক্রান্ত চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া সম্ভব হবে।
‘ছয় মাস হয়ে গেছে এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না’Ñ সাংবাদিকদের এমন কথার জবাবে সচিব বলেন, আপনারা যদি মনে করেন, এটা কোনো শর্টকাট বিষয়, তা হলে সেটা ঠিক হবে না। এটা একটি জটিল বিষয়। আমরা একটি সমন্বিত তদন্ত করার চেষ্টা করছি। এখানে অনেক অনিয়ম ধরা পড়েছে। এখানে আরো তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সচিব বলেন, এ তদন্তের কয়েকটি স্তর রয়েছে। এর মধ্যে আমরা দু’টি স্তর অতিক্রম করেছি। এর একটি হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে ডেসটিনি গ্রুপের যে ৩৪টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে সে সময়ে বিদ্যমান বিধিবিধান অনুযায়ী তারা প্রয়োজনীয় ও সঠিক কাগজপত্র দিয়েছে কি নাÑ সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। বিভিন্ন সময়ে, মাসে ও বছরে দাখিল করা এসব কাগজপত্র পরীক্ষা করা খুব সহজ কাজ নয়। ভুল-ভ্রান্তি আছে কী নেই সেটা পরের বিষয়। এগুলো আমাদের দেখতে হচ্ছে।
এ সময় সাংবাদিকেরা সমবায় অধিদফতরের তদন্তের উদাহরণ দিলে সচিব বলেন, সেখানে একটি মাত্র কোম্পানি। আর আমার এখানে ৩৪টি কোম্পানি। সুতরাং সমবায় অধিদফতর যেটা অল্প সময়ে করতে পেরেছে তা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
তদন্তের দ্বিতীয় স্তর সম্পর্কে সচিব বলেন, ওই সব কোম্পানি যাদের দ্বারা তাদের অডিট রিপোর্ট করিয়েছে সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এখানে কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। আর এ অনিয়মগুলো ইঙ্গিত করছে আরো কিছু বিষয় খতিয়ে দেখার। সেজন্য তাদের কাছে আরো কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই সেগুলো পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে পরে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এ প্রসঙ্গে নতুন কিছু বলার নেই। বাণিজ্যসচিব তো কথা বলেছেনই। তারা সময় চেয়েছেন, সময় বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে ডেসটিনি গ্রুপের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি অবৈধ ব্যাংকি করছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বেআইনিভাবে উত্তোলন করছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
গতকাল দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাথে এ-সংক্রান্ত এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এতে ডেসটিনি গ্রুপের অনিয়ম তদন্তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ডেসটিনি গ্রুপের ৩৪টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কী ক্রটি করেছে, না করেছে সে প্রশ্নে না গিয়ে ৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক সাথে দেখা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ জন্য আরো দুই মাস সময় চাওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী এতে সম্মতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আশা করছি, এ দুই মাসের মধ্যে ডেসটিনির অনিয়ম-সংক্রান্ত চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া সম্ভব হবে।
‘ছয় মাস হয়ে গেছে এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না’Ñ সাংবাদিকদের এমন কথার জবাবে সচিব বলেন, আপনারা যদি মনে করেন, এটা কোনো শর্টকাট বিষয়, তা হলে সেটা ঠিক হবে না। এটা একটি জটিল বিষয়। আমরা একটি সমন্বিত তদন্ত করার চেষ্টা করছি। এখানে অনেক অনিয়ম ধরা পড়েছে। এখানে আরো তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সচিব বলেন, এ তদন্তের কয়েকটি স্তর রয়েছে। এর মধ্যে আমরা দু’টি স্তর অতিক্রম করেছি। এর একটি হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে ডেসটিনি গ্রুপের যে ৩৪টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে সে সময়ে বিদ্যমান বিধিবিধান অনুযায়ী তারা প্রয়োজনীয় ও সঠিক কাগজপত্র দিয়েছে কি নাÑ সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। বিভিন্ন সময়ে, মাসে ও বছরে দাখিল করা এসব কাগজপত্র পরীক্ষা করা খুব সহজ কাজ নয়। ভুল-ভ্রান্তি আছে কী নেই সেটা পরের বিষয়। এগুলো আমাদের দেখতে হচ্ছে।
এ সময় সাংবাদিকেরা সমবায় অধিদফতরের তদন্তের উদাহরণ দিলে সচিব বলেন, সেখানে একটি মাত্র কোম্পানি। আর আমার এখানে ৩৪টি কোম্পানি। সুতরাং সমবায় অধিদফতর যেটা অল্প সময়ে করতে পেরেছে তা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
তদন্তের দ্বিতীয় স্তর সম্পর্কে সচিব বলেন, ওই সব কোম্পানি যাদের দ্বারা তাদের অডিট রিপোর্ট করিয়েছে সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এখানে কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। আর এ অনিয়মগুলো ইঙ্গিত করছে আরো কিছু বিষয় খতিয়ে দেখার। সেজন্য তাদের কাছে আরো কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই সেগুলো পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে পরে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এ প্রসঙ্গে নতুন কিছু বলার নেই। বাণিজ্যসচিব তো কথা বলেছেনই। তারা সময় চেয়েছেন, সময় বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে ডেসটিনি গ্রুপের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি অবৈধ ব্যাংকি করছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বেআইনিভাবে উত্তোলন করছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
জাতীয় ঐক্য ও আলেম সমাজ
জাতীয় ঐক্য ও আলেম সমাজ
আমাদের জাতীয় পরিচয় বা জাতীয়তা বলতে আমরা বাংলাদেশী। অর্থাৎ বাংলাদেশে বসবাসকারী মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, চাকমা, গারো, নাগা আরো যত আছে সবাই আমরা বাংলাদেশী। এটাই আমাদের জাতীয় পরিচয়। আমাদের দেশ বাঁচলে জাতীয় পরিচয় বাঁচবে আর আমাদের জাতীয় পরিচয় থাকলেই জাতীয় পতাকা থাকবে। জাতীয় পরিচয় ও জাতীয় পতাকা বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন সবার আগে দেশ বাঁচানো। দেশ বাঁচাতে ও জাতীয় পরিচয় রায় জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। বিশেষ করে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী যেহেতু মুসলমান আর এ বিরাট মুসলিম জনগোষ্ঠী এ দেশের আলেম ওলামাদের বিশ্বাস করে, ভক্তি করে, শ্রদ্ধা করে, মানে ও অনুসরণ করে। তাই মুসলিম মিল্লাত ও এই মিল্লাতের আলেমদের দায়িত্ব অনেক বেশি। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী এই জনগোষ্ঠীর আলেমদের দিকে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীও তাকিয়ে আছে।
জাতি বলতে বুঝি বিশেষ করে কুরআনের ভাষায় ‘মিল্লাতা আবিকুম ইবরাহিম, হুয়া ছাম্মাকুমুল মুছলিমিন, মিন ক্কাবলু ওয়াফি-হাজা’ অর্থÑ তোমরা তোমাদের (জাতির) পিতা ইব্রাহিমের ‘দ্বীন’-এর ওপর কায়েম থেকো, তিনি তোমাদের নাম রেখেছেন,‘মুসলিম’ আর এ কুরআনেও এ নামই (মুসলিম) দেয়া হয়েছে’ (সূরা হজ-৭৮)। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যখন আমি তাকে (ইব্রাহিম আ:কে) নির্দেশ দিলাম, তুমি মুসলিম হয়ে যাও, সে (ইব্রাহিম আ:) বলল আমি সৃষ্টিকুলের মালিকের আনুগত্য স্বীকার করছি (বা মুসলিম হয়েছি)’(সূরা বাকারা-১৩১)।
আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ করছেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করো যেমনি তাঁর জন্য জিহাদ করা প্রয়োজন’ (সূরা হজ-৭৮)। জিহাদ কেন করতে হবে সে ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনি সে মহান সত্তা যিনি তাঁর রাসূল সা:কে সুস্পষ্ট পথনির্দেশ ও সঠিক জীবনবিধান (দ্বীন) দিয়ে পাঠিয়েছেন, যাতে করে (দুনিয়ায় প্রচলিত) সব জীবনবিধানের (দ্বীনের) ওপর আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী করে দিতে পারেন’ (সূরা সফ-৯)। যারা ঈমানের দাবিদার তাদের আল্লাহ তায়ালা নেতৃত্বের জন্যও মনোনীত করেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা বলছেন, ‘তিনি দুনিয়ায় নেতৃত্বের জন্য তোমাদেরকেই মনোনীত করেছেন’ (সূরা হজ-৭৮)। আল্লাহ তায়ালা জিহাদ করতে বলেছেন আমাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য, তাও একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা (দ্বীন) দেয়ার পর। সূরা আল মায়েদার ৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলছেন, ‘আজকের দিনে আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পরিপূর্ণ করে দিলাম, আর তোমাদের ওপর আমার প্রতিশ্র“ত নেয়ামত ওপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের জন্য জীবনবিধান হিসেবে আমি ইসলামকে মনোনীত করলাম।’ আল্লাহ তায়ালা আরো ঘোষণা করেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আমার প থেকে মনোনীত একমাত্র জীবনব্যবস্থা (দ্বীন) হচ্ছে ইসলাম’ (সূরা আল ইমরান-১৯)। অতএব আল্লাহ তায়ালা বলছেন, ‘এবং দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো সঙ্কীর্ণতা রাখেননি’ (সূরা হজ-৭৮)।
বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এ দেশে আজ যা হচ্ছে তা মেনে নেয়া যায় না। কোনো ঈমানদার তা মেনে নিতে পারেন না। আজকের সমাজ বা রাষ্ট্রব্যবস্থা মনে করিয়ে দেয় কুরআনের সে আয়াত যেখানে আল্লাহ তায়ালা তাগিদ দিয়ে বলছেন, ‘আর তোমাদের কী হলো, তোমরা কেন আল্লাহর পথে সংগ্রাম করছ না ওই সব নির্যাতিত, অসহায় শিশু, নারী-পুরুষের জন্য যারা নির্যাতনে কাতর হয়ে ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের ‘রব’ আমাদের এ জালেম অধ্যুষিত জনপদ থেকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নাও, অতঃপর তুমি আমাদের জন্য তোমার মনোনীত একজন অভিভাবক পাঠাও, আর তোমার কাছ থেকে একজন সাহায্যকারী দাও (আন নিসা-৭৫)।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের। বিশেষ করে কালেমায় বিশ্বাসী সব মুসলিম দাবিদারকে প্রশ্ন হচ্ছে কে এ জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবে? আল্লাহ তায়ালার হুকুম হচ্ছে, ‘তোমরা সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে ধারণ করো, আর পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’ (আল ইমরান-১০৩)। ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা ওই সব লোককে ভালোবাসেন, যারা সুসংগঠিতভাবে আল্লাহর জমিনে তাঁর ‘দ্বীন’ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে, যেন তারা এক সিসাঢালা সুদৃঢ় প্রাচীর’ (সরা আস সফ-৪)। আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই আল্লাহকে বেশি ভয় করে চলে’ (সূরা আল ফাতির-২৮) আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ‘যে জানে আর যে জানে না উভয়ই কি সমান হতে পারে ? নিশ্চয়ই জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান লোকেরাই আল্লাহকে বেশি মানে’ (সূরা আজ জুমার-৯)। আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছে, ‘তোমরা আল্লাহর হুকুম মানো, রাসূল সা:-এর আনুগত্য করো, আনুগত্য করো তোমাদের মাধ্যে ওলিল আমরের’ (আন নিসা-৫৯)।
আল্লাহ তায়ালার এসব ঘোষণা ও নির্দেশনা অনুযায়ী ‘ওলিল আমর’ বলতে আলেমদেরই বোঝায়। কারণ (১) আল্লাহর কাছে আলেমদের মর্যাদা অনেক বেশি (২) রাসূল সা: আলেমদের তাঁর ওয়ারিশ বলেছেন। রাসূল সা: আরো বলেছেন, আমি আমার ওয়ারিশদের জন্য কোনো বিষয়-সম্পত্তি রেখে যাইনি, আমি রেখে যাচ্ছি আল্লাহর কালাম ও আমার সুন্নাহ। তাই আলেমদের দায়িত্ব হচ্ছে, রাসূল সা: যে কাজ যেভাবে করেছেন, সে কাজ সেভাবে করা। রাসূল সা: মানুষকে আল্লাহর আয়াত শুনাতেন, জীবন পরিশুদ্ধ ও উৎকর্ষিত করতেন, কিতাব ও হিকমত শিা দিতেন, মানুষ যে বিষয়ে জানত না তা জানাতেন’ (বাকারা-১৫১)। কিন্তু কোনো বিনিময় গ্রহণ করতেন না’ (সূরা ইয়াছিন-২১)। রাসূল সা:-এর ওয়ারিশ হিসেবে এ দায়িত্ব পালন করা সব আলেমের ওপর ওয়াজিব।
আলেম সমাজ যদি ওয়াজ বা মিলাদ মাহফিলে, জুমার খুতবায়, প্রত্যেক ওয়াক্ত সালাতের আগে বা পরে লোকদের কুরআন ও সহীহ হাদিস থেকে হালাল-হারাম, হক-বাতিল, সুদ-ঘুষ, জিনা-ব্যভিচার, তাগুত ও কুফর সম্পর্কে জ্ঞানদান করেন তা হলে মুসলিম মিল্লাত অবশ্যই জ্ঞানের আলোতে আলোকিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হবে। সাধারণ মানুষ যদি জানতে পারত যে, সালাতে সে আল্লাহর সামনে কী বলে আর বাস্তবে কী করে ! তাহলেও হয়তো বা সমাজের এত অবয় হতো না। এগুলো মানুষকে জানানোর দায়িত্ব হচ্ছে ইমামসহ সব আলেম সমাজের।
বর্তমানে দেশের শান্তিকামী ও ইসলামপ্রিয় জনগণসহ আলেম-ওলামাদের ওপর চলছে নির্যাতন আর নিপীড়ন। এহেন অবস্থায় একজন আলেম যাকে আল্লাহ তায়ালা হক-বাতিল বোঝার জ্ঞান দিয়েছেন ও রাসূল সা:-এর ওয়ারিশের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি কিভাবে স্বস্তিতে ঘুমোতে পারেন! কী জবাব দেবেন সে ‘রব’-এর কাছে যিনি আপনাকে কুরআন ও হাদিসের জ্ঞানদান করে সম্মানিত করেছেন। যার কারণে আপনি নামের আগে, ক্বারী, হাফেজ, মুফতি, মুফাসসির, মাওলানা, আল্লামা, শায়খুল হাদিস, মুহতামিম, মুহাদ্দিস, ইমাম বা খতিব এসব বিশেষণ ব্যবহার করে নিজেকে ধন্য মনে করেন! যে কারণে আপনাকে মানুষ অনেক েেত্র পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে অধিক সম্মান করে দাওয়াত দিয়ে উত্তম খাদ্য খাওয়ানোর পর আপনার হাতে কিছু হাদিয়া বা তোহফা তুলে দেয়! আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা: আলেমদের সম্মানিত করার কারণে সাধারণ মানুষও সম্মান করে, শ্রদ্ধা করে, আপনাদের কথা বিশ্বাস করে, মানে ও অনুসরণ করে। একটু চিন্তা করুনÑ আল্লাহ তায়ালা, তাঁর রাসূল সা:সহ সহজ-সরল বিশ্বাসী এসব মানুষকে হাশরের দিন কী জবাব দেবেন? সম্মানিত আলেমরা এখনো সময় আছে, লোকদের কুরআন ও সুন্নাহর জ্ঞানের আলোকে আলোকিত করে জাগিয়ে তুলুন ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর ‘দ্বীন’ কায়েমের চেষ্টা করুন। এটা হতে পারে নাজাতের অছিলা। আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছে, ‘তোমরা আল্লাহর জন্য জিহাদ করো, যেমনি জিহাদ করা প্রয়োজন’ (সূরা হজ-৭৮)। আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা, ‘অতএব, আল্লাহর পথে সংগ্রাম করা উচিত ওই সব লোককে যারা পার্থিব সুখ-শান্তি আখেরাতের বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে পারে, যারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে ও নিহত হয় কিংবা বিজয়ী, তাদের (দুনিয়া ও আখিরাতে) বিরাট সফলতা দান করব’(সূরা নিসা-৭৪)।
সম্মানিত আলেমদের স্মরণ করা প্রয়োজন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘(স্মরণ করো!) আমি এ কিতাবধারী লোকদের (যাদের কিতাবের জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদের) কাছ থেকে প্রতিশ্র“তি গ্রহণ করেছিলাম, আমি বলেছিলাম, তোমরা একে (কিতাবকে) মানুষের কাছে বর্ণনা করবে এবং একে (কিতাবকে) তোমরা গোপন করবে না, কিন্তু তারা এ ওয়াদা নিজেদের পেছনে ফেলে রাখল এবং অতি অল্প মূল্যে তা বিক্রি করে দিলো, বড়ই নিকৃষ্ট ছিল তাদের এ বেচাকেনার কাজটি! (আল ইমরান-১৮৭)। আল্লাহ তায়ালাএ প্রশ্নও করেছিলেন, আলআছতু বি-‘রাব্বি’কুম? আমরা বলেছিলাম, ‘ক্কালু বালা’ (আ’রাফ-১৭২)। সম্মানিত আলেমরা আল্লাহর সাথে প্রতিশ্র“তিমাফিক আমরা কি অর্জিত জ্ঞান মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি ? নাকি অর্জিত জ্ঞান বিতরণের পরিবর্তে বিক্রি করছি ? যদি জ্ঞান বিতরণের পরিবর্তে বিক্রি করি বা গোপন করি তার পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা সতর্ক করছেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আমার অবতীর্ণ কিতাবের আয়াত গোপন করে, সামান্য মূল্যে তা বিক্রি করে, বিনিময়ে যা হাছিল করে নিজেদের পেট পূর্ণ করে, তা মূলত জাহান্নামের আগুন ছাড়া আর কিছুই নয়, শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ তায়ালা তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদের সেদিন পবিত্র বলেও ঘোষণা করবেন না, আর তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ আজাব’ (বাকারা-১৭৪)।
সাধারণত আমাদের দেশের আলেমদের মধ্যে একজন আর একজনকে মেনে নিতে পারেন না বা সম্মান করেন না। আমাদের দেশে আজ সব বাতিল শক্তি এক মঞ্চে। একজনের নেতৃত্বে ইসলাম ধ্বংসের চেষ্টা করছে। দুর্ভাগ্য আমরা মুসলিম! আলেম! আমরা কাউকে মেনে নিয়ে এক মঞ্চে আসতে পারছি না। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক হলেও বাতিলের তথা শয়তানের বিজয় হিসেবেই দেখতে হবে। আলেমরা কেউ কিন্তু দাবি করতে পারবেন না যে আমিই সঠিক পথে আছি। ভুল-ত্র“টি থাকা মানুষ হিসেবে এটা স্বাভাবিক। আলেমদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করা। এটা না করে আমরা একজন আর একজনকে কাফের বা তার চেয়েও খারাপ মনে করে ঘৃণা করি। আমরা একজন আর একজনকে সালাম পর্যন্ত দিতে চাই না। অথচ আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই মোমেন আর এক মোমেনের ভাই, অতএব ভাইদের মাঝে বিরোধ দেখা দিলে তা মীমাংসা করে দাও, আর আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমাদের ওপর দয়া করা হবে’। এ বিশ্বাস নিয়েই আমাদের আলেম সমাজ কাজ করলে এ দেশ ও জাতি রা পাবে। দেশ ও জাতির আলেমরা যদি তাদের জ্ঞান আর ঈমানের দাবির হক আদায় করে দায়িত্ব পালন করতে পারেন তা হলে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় স্থানেই কল্যাণদানের ওয়াদা আল্লাহ তায়ালা করেছেন।
আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ করছেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করো যেমনি তাঁর জন্য জিহাদ করা প্রয়োজন’ (সূরা হজ-৭৮)। জিহাদ কেন করতে হবে সে ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনি সে মহান সত্তা যিনি তাঁর রাসূল সা:কে সুস্পষ্ট পথনির্দেশ ও সঠিক জীবনবিধান (দ্বীন) দিয়ে পাঠিয়েছেন, যাতে করে (দুনিয়ায় প্রচলিত) সব জীবনবিধানের (দ্বীনের) ওপর আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী করে দিতে পারেন’ (সূরা সফ-৯)। যারা ঈমানের দাবিদার তাদের আল্লাহ তায়ালা নেতৃত্বের জন্যও মনোনীত করেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা বলছেন, ‘তিনি দুনিয়ায় নেতৃত্বের জন্য তোমাদেরকেই মনোনীত করেছেন’ (সূরা হজ-৭৮)। আল্লাহ তায়ালা জিহাদ করতে বলেছেন আমাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য, তাও একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা (দ্বীন) দেয়ার পর। সূরা আল মায়েদার ৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলছেন, ‘আজকের দিনে আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পরিপূর্ণ করে দিলাম, আর তোমাদের ওপর আমার প্রতিশ্র“ত নেয়ামত ওপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের জন্য জীবনবিধান হিসেবে আমি ইসলামকে মনোনীত করলাম।’ আল্লাহ তায়ালা আরো ঘোষণা করেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আমার প থেকে মনোনীত একমাত্র জীবনব্যবস্থা (দ্বীন) হচ্ছে ইসলাম’ (সূরা আল ইমরান-১৯)। অতএব আল্লাহ তায়ালা বলছেন, ‘এবং দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো সঙ্কীর্ণতা রাখেননি’ (সূরা হজ-৭৮)।
বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এ দেশে আজ যা হচ্ছে তা মেনে নেয়া যায় না। কোনো ঈমানদার তা মেনে নিতে পারেন না। আজকের সমাজ বা রাষ্ট্রব্যবস্থা মনে করিয়ে দেয় কুরআনের সে আয়াত যেখানে আল্লাহ তায়ালা তাগিদ দিয়ে বলছেন, ‘আর তোমাদের কী হলো, তোমরা কেন আল্লাহর পথে সংগ্রাম করছ না ওই সব নির্যাতিত, অসহায় শিশু, নারী-পুরুষের জন্য যারা নির্যাতনে কাতর হয়ে ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের ‘রব’ আমাদের এ জালেম অধ্যুষিত জনপদ থেকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নাও, অতঃপর তুমি আমাদের জন্য তোমার মনোনীত একজন অভিভাবক পাঠাও, আর তোমার কাছ থেকে একজন সাহায্যকারী দাও (আন নিসা-৭৫)।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের। বিশেষ করে কালেমায় বিশ্বাসী সব মুসলিম দাবিদারকে প্রশ্ন হচ্ছে কে এ জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবে? আল্লাহ তায়ালার হুকুম হচ্ছে, ‘তোমরা সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জুকে ধারণ করো, আর পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না’ (আল ইমরান-১০৩)। ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা ওই সব লোককে ভালোবাসেন, যারা সুসংগঠিতভাবে আল্লাহর জমিনে তাঁর ‘দ্বীন’ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে, যেন তারা এক সিসাঢালা সুদৃঢ় প্রাচীর’ (সরা আস সফ-৪)। আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই আল্লাহকে বেশি ভয় করে চলে’ (সূরা আল ফাতির-২৮) আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ‘যে জানে আর যে জানে না উভয়ই কি সমান হতে পারে ? নিশ্চয়ই জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান লোকেরাই আল্লাহকে বেশি মানে’ (সূরা আজ জুমার-৯)। আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছে, ‘তোমরা আল্লাহর হুকুম মানো, রাসূল সা:-এর আনুগত্য করো, আনুগত্য করো তোমাদের মাধ্যে ওলিল আমরের’ (আন নিসা-৫৯)।
আল্লাহ তায়ালার এসব ঘোষণা ও নির্দেশনা অনুযায়ী ‘ওলিল আমর’ বলতে আলেমদেরই বোঝায়। কারণ (১) আল্লাহর কাছে আলেমদের মর্যাদা অনেক বেশি (২) রাসূল সা: আলেমদের তাঁর ওয়ারিশ বলেছেন। রাসূল সা: আরো বলেছেন, আমি আমার ওয়ারিশদের জন্য কোনো বিষয়-সম্পত্তি রেখে যাইনি, আমি রেখে যাচ্ছি আল্লাহর কালাম ও আমার সুন্নাহ। তাই আলেমদের দায়িত্ব হচ্ছে, রাসূল সা: যে কাজ যেভাবে করেছেন, সে কাজ সেভাবে করা। রাসূল সা: মানুষকে আল্লাহর আয়াত শুনাতেন, জীবন পরিশুদ্ধ ও উৎকর্ষিত করতেন, কিতাব ও হিকমত শিা দিতেন, মানুষ যে বিষয়ে জানত না তা জানাতেন’ (বাকারা-১৫১)। কিন্তু কোনো বিনিময় গ্রহণ করতেন না’ (সূরা ইয়াছিন-২১)। রাসূল সা:-এর ওয়ারিশ হিসেবে এ দায়িত্ব পালন করা সব আলেমের ওপর ওয়াজিব।
আলেম সমাজ যদি ওয়াজ বা মিলাদ মাহফিলে, জুমার খুতবায়, প্রত্যেক ওয়াক্ত সালাতের আগে বা পরে লোকদের কুরআন ও সহীহ হাদিস থেকে হালাল-হারাম, হক-বাতিল, সুদ-ঘুষ, জিনা-ব্যভিচার, তাগুত ও কুফর সম্পর্কে জ্ঞানদান করেন তা হলে মুসলিম মিল্লাত অবশ্যই জ্ঞানের আলোতে আলোকিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ হবে। সাধারণ মানুষ যদি জানতে পারত যে, সালাতে সে আল্লাহর সামনে কী বলে আর বাস্তবে কী করে ! তাহলেও হয়তো বা সমাজের এত অবয় হতো না। এগুলো মানুষকে জানানোর দায়িত্ব হচ্ছে ইমামসহ সব আলেম সমাজের।
বর্তমানে দেশের শান্তিকামী ও ইসলামপ্রিয় জনগণসহ আলেম-ওলামাদের ওপর চলছে নির্যাতন আর নিপীড়ন। এহেন অবস্থায় একজন আলেম যাকে আল্লাহ তায়ালা হক-বাতিল বোঝার জ্ঞান দিয়েছেন ও রাসূল সা:-এর ওয়ারিশের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি কিভাবে স্বস্তিতে ঘুমোতে পারেন! কী জবাব দেবেন সে ‘রব’-এর কাছে যিনি আপনাকে কুরআন ও হাদিসের জ্ঞানদান করে সম্মানিত করেছেন। যার কারণে আপনি নামের আগে, ক্বারী, হাফেজ, মুফতি, মুফাসসির, মাওলানা, আল্লামা, শায়খুল হাদিস, মুহতামিম, মুহাদ্দিস, ইমাম বা খতিব এসব বিশেষণ ব্যবহার করে নিজেকে ধন্য মনে করেন! যে কারণে আপনাকে মানুষ অনেক েেত্র পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে অধিক সম্মান করে দাওয়াত দিয়ে উত্তম খাদ্য খাওয়ানোর পর আপনার হাতে কিছু হাদিয়া বা তোহফা তুলে দেয়! আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা: আলেমদের সম্মানিত করার কারণে সাধারণ মানুষও সম্মান করে, শ্রদ্ধা করে, আপনাদের কথা বিশ্বাস করে, মানে ও অনুসরণ করে। একটু চিন্তা করুনÑ আল্লাহ তায়ালা, তাঁর রাসূল সা:সহ সহজ-সরল বিশ্বাসী এসব মানুষকে হাশরের দিন কী জবাব দেবেন? সম্মানিত আলেমরা এখনো সময় আছে, লোকদের কুরআন ও সুন্নাহর জ্ঞানের আলোকে আলোকিত করে জাগিয়ে তুলুন ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর ‘দ্বীন’ কায়েমের চেষ্টা করুন। এটা হতে পারে নাজাতের অছিলা। আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছে, ‘তোমরা আল্লাহর জন্য জিহাদ করো, যেমনি জিহাদ করা প্রয়োজন’ (সূরা হজ-৭৮)। আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা, ‘অতএব, আল্লাহর পথে সংগ্রাম করা উচিত ওই সব লোককে যারা পার্থিব সুখ-শান্তি আখেরাতের বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে পারে, যারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে ও নিহত হয় কিংবা বিজয়ী, তাদের (দুনিয়া ও আখিরাতে) বিরাট সফলতা দান করব’(সূরা নিসা-৭৪)।
সম্মানিত আলেমদের স্মরণ করা প্রয়োজন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘(স্মরণ করো!) আমি এ কিতাবধারী লোকদের (যাদের কিতাবের জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদের) কাছ থেকে প্রতিশ্র“তি গ্রহণ করেছিলাম, আমি বলেছিলাম, তোমরা একে (কিতাবকে) মানুষের কাছে বর্ণনা করবে এবং একে (কিতাবকে) তোমরা গোপন করবে না, কিন্তু তারা এ ওয়াদা নিজেদের পেছনে ফেলে রাখল এবং অতি অল্প মূল্যে তা বিক্রি করে দিলো, বড়ই নিকৃষ্ট ছিল তাদের এ বেচাকেনার কাজটি! (আল ইমরান-১৮৭)। আল্লাহ তায়ালাএ প্রশ্নও করেছিলেন, আলআছতু বি-‘রাব্বি’কুম? আমরা বলেছিলাম, ‘ক্কালু বালা’ (আ’রাফ-১৭২)। সম্মানিত আলেমরা আল্লাহর সাথে প্রতিশ্র“তিমাফিক আমরা কি অর্জিত জ্ঞান মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি ? নাকি অর্জিত জ্ঞান বিতরণের পরিবর্তে বিক্রি করছি ? যদি জ্ঞান বিতরণের পরিবর্তে বিক্রি করি বা গোপন করি তার পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা সতর্ক করছেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আমার অবতীর্ণ কিতাবের আয়াত গোপন করে, সামান্য মূল্যে তা বিক্রি করে, বিনিময়ে যা হাছিল করে নিজেদের পেট পূর্ণ করে, তা মূলত জাহান্নামের আগুন ছাড়া আর কিছুই নয়, শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ তায়ালা তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদের সেদিন পবিত্র বলেও ঘোষণা করবেন না, আর তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ আজাব’ (বাকারা-১৭৪)।
সাধারণত আমাদের দেশের আলেমদের মধ্যে একজন আর একজনকে মেনে নিতে পারেন না বা সম্মান করেন না। আমাদের দেশে আজ সব বাতিল শক্তি এক মঞ্চে। একজনের নেতৃত্বে ইসলাম ধ্বংসের চেষ্টা করছে। দুর্ভাগ্য আমরা মুসলিম! আলেম! আমরা কাউকে মেনে নিয়ে এক মঞ্চে আসতে পারছি না। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক হলেও বাতিলের তথা শয়তানের বিজয় হিসেবেই দেখতে হবে। আলেমরা কেউ কিন্তু দাবি করতে পারবেন না যে আমিই সঠিক পথে আছি। ভুল-ত্র“টি থাকা মানুষ হিসেবে এটা স্বাভাবিক। আলেমদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করা। এটা না করে আমরা একজন আর একজনকে কাফের বা তার চেয়েও খারাপ মনে করে ঘৃণা করি। আমরা একজন আর একজনকে সালাম পর্যন্ত দিতে চাই না। অথচ আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই মোমেন আর এক মোমেনের ভাই, অতএব ভাইদের মাঝে বিরোধ দেখা দিলে তা মীমাংসা করে দাও, আর আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমাদের ওপর দয়া করা হবে’। এ বিশ্বাস নিয়েই আমাদের আলেম সমাজ কাজ করলে এ দেশ ও জাতি রা পাবে। দেশ ও জাতির আলেমরা যদি তাদের জ্ঞান আর ঈমানের দাবির হক আদায় করে দায়িত্ব পালন করতে পারেন তা হলে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় স্থানেই কল্যাণদানের ওয়াদা আল্লাহ তায়ালা করেছেন।
লিপস্টিক হূদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
লিপস্টিক হূদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়

লিপস্টিক, ফেসওয়াশ ও দাঁতের মাজনে ব্যবহূত রাসায়নিক পদার্থ মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। প্রসাধনে ব্যবহূত এসব রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে হূদরোগ ও পেশীর সমস্যা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষকের গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে।
গবেষকরা জানান, শত শত পণ্যে ব্যবহূত ট্রিকলোশন রাসায়নিক পদার্থের কারণে মস্তিষ্ক থেকে শরীরের অন্যান্য অঙ্গে সঙ্কেত পৌঁছতে বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে হূিপণ্ড আক্রান্ত হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে কিছু ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালান। এ সময় দেখা যায় মাত্র বিশ মিনিটের মাথায় শতকরা ২৫ ভাগ ইঁদুরের হিপণ্ডের কার্যকারিতা অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। এর ফলে গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন এটি মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও প্রসাধন সামগ্রীর বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন এসব পণ্যে ট্রিকলোশন নিরাপদ স্তরে রাখা হয়েছে। এর আগে এক গবেষণায় জানা যায়, ট্রিকলোশনের মাধ্যমে থাইরয়েড সমস্যা দেখা দেয় ও প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইসাক পেসাহ বলেন, ট্রিকলোশন রাসায়নিক পদার্থ দেহে সক্রিয় থাকে এবং বিভিন্ন অঙ্গে পরিবাহিত হতে থাকে। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডেইলি মেইল।
গবেষকরা জানান, শত শত পণ্যে ব্যবহূত ট্রিকলোশন রাসায়নিক পদার্থের কারণে মস্তিষ্ক থেকে শরীরের অন্যান্য অঙ্গে সঙ্কেত পৌঁছতে বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে হূিপণ্ড আক্রান্ত হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে কিছু ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালান। এ সময় দেখা যায় মাত্র বিশ মিনিটের মাথায় শতকরা ২৫ ভাগ ইঁদুরের হিপণ্ডের কার্যকারিতা অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। এর ফলে গবেষকরা নিশ্চিত হয়েছেন এটি মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও প্রসাধন সামগ্রীর বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন এসব পণ্যে ট্রিকলোশন নিরাপদ স্তরে রাখা হয়েছে। এর আগে এক গবেষণায় জানা যায়, ট্রিকলোশনের মাধ্যমে থাইরয়েড সমস্যা দেখা দেয় ও প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইসাক পেসাহ বলেন, ট্রিকলোশন রাসায়নিক পদার্থ দেহে সক্রিয় থাকে এবং বিভিন্ন অঙ্গে পরিবাহিত হতে থাকে। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডেইলি মেইল।
খবিরের হামলাকারীদের শাস্তি হোক
খবিরের হামলাকারীদের শাস্তি হোক
’মরিতে চাহি না আমি এই সুন্দর ভুবনে’ কবি রবীন্দ্রনাথের এ উক্তি যেনো বিশ্বের সব মানুষেরই প্রাণের কথা| অর্থাৎ কোনো মানুষই মরিতে চায় না বটে, কিন্তু ’সব প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে|’ পবিত্র কুরআনের এ অমোঘ বাণী চিরন্তন সত্য| তাইতো ঈমানদার মানুষ মাত্রই যাবতীয় পার্থিব পাপাচার ও লোভ সংবরণ করে সর্বদা মৃত্যুর জন্যে প্রস্তুত থাকে| কিন্তু সে মৃত্যু অস্বাভাবিক হোক, এমনটি কারোই কাম্য নয়| মৃত্যু যখন অস্বাভাবিক হয়, তখনই তা হয় সীমাহীন পরিতাপের| অথচ আমাদের এ বাংলাদেশে কারণে-অকারণে অহরহই ঘটছে অনাকাঙ&ধসঢ়;ক্ষিত অস্বাভাবিক মৃত্যু| এহেন অপ্রতিরোধ্য অস্বাভাবিক মৃত্যুরোধে আজ অবধি কার্যকর কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে না| বরং দেশে প্রচলিত আইন ও আইনের শাসন যেনো প্রায়শই এহেন ক্ষমতাধর ও পেশীশক্তিধর অপরাধীদের দুয়ারেই আছড়ে পড়ে| শত অপরাধ করলেও আইন যেনো তাদের অনুকূলেই চলতে অভ্যস্ত| ফলে সন্ত্রাসী অপরাধীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলে যেমনি আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে, তেমনি নাগরিক শান্তি ও জানমালের নিরাপত্তাকে চরমভাবে হুমকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে|
আইনের শাসন গণতন্ত্রের পূর্ব শর্ত| দেশ ও জাতির কল্যাণে আইনের শাসনের বিকল্প নেই| আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যে প্রয়োজন দেশে সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক সমঝোতা ও সহিষ্ণুতা| জাতীয় জীবন আজ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতা, স্বেচ্ছাচারিতা, সন্ত্রাস, অবৈধ অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়ার হোলিখেলা, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল ও চাঁদাবাজিসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের আবর্তে নিমজ্জিত| ফলে দেশের কল্যাণমুখী রাজনীতি হয়ে পড়েছে কলুষিত| ক্ষমতাধর সন্ত্রাসীদের হিংস্র থাবায় অনাকাঙ&ধসঢ়;ক্ষিত ভাবে যত্রতত্র অহরহ অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটছে দেশের মানুষ জনের|
গত ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে এমনি একটি অনাকাঙ&ধসঢ়;ক্ষিত মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়| সংবাদে জানা যায়, মতলব দক্ষিণ থানার সম্মুখের জলাশয় লিজ নিয়ে ভরাট করে ৩৩টি দোকানঘর বরাদ্দ দেয়াকে কেন্দ্র করে বেশ ক’দিন অবধি অন্তঃকোন্দল চলে আসছিলো| স্থানীয় সাংসদ রফিকুল ইসলামের ভাই ও বাড়ির লোকজন সমানুপাতিক বরাদ্দ না পাবার কারণে ক্ষিপ্ত হয় সাংসদের পিএস খবির হোসেনের ওপর| তারই জের ধরে গত ২৯ আগস্ট গভীর রাতে তাদের ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার ওপর অতির্কিত হামলা চালিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলে যায়| ক’দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে খবির হোসেনের মৃত্যু ঘটে| কী জঘন্য সন্ত্রাসী কাণ্ড!
আমাদের প্রত্যাশা, চাঁদপুর-২ আসনের সাংসদের পিএস খবির হোসেনের অনাকাঙ&ধসঢ়;ক্ষিত অকাল মৃত্যুর জন্যে দায়ী সন্ত্রাসীদেরকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবে| পাশাপাশি দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সন্ত্রাসসহ সবধরনের অনৈতিকতার অবসান ঘটাবে|
আইনের শাসন গণতন্ত্রের পূর্ব শর্ত| দেশ ও জাতির কল্যাণে আইনের শাসনের বিকল্প নেই| আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যে প্রয়োজন দেশে সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করা, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক সমঝোতা ও সহিষ্ণুতা| জাতীয় জীবন আজ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতা, স্বেচ্ছাচারিতা, সন্ত্রাস, অবৈধ অর্থ-সম্পদের পাহাড় গড়ার হোলিখেলা, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল ও চাঁদাবাজিসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের আবর্তে নিমজ্জিত| ফলে দেশের কল্যাণমুখী রাজনীতি হয়ে পড়েছে কলুষিত| ক্ষমতাধর সন্ত্রাসীদের হিংস্র থাবায় অনাকাঙ&ধসঢ়;ক্ষিত ভাবে যত্রতত্র অহরহ অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটছে দেশের মানুষ জনের|
গত ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে এমনি একটি অনাকাঙ&ধসঢ়;ক্ষিত মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়| সংবাদে জানা যায়, মতলব দক্ষিণ থানার সম্মুখের জলাশয় লিজ নিয়ে ভরাট করে ৩৩টি দোকানঘর বরাদ্দ দেয়াকে কেন্দ্র করে বেশ ক’দিন অবধি অন্তঃকোন্দল চলে আসছিলো| স্থানীয় সাংসদ রফিকুল ইসলামের ভাই ও বাড়ির লোকজন সমানুপাতিক বরাদ্দ না পাবার কারণে ক্ষিপ্ত হয় সাংসদের পিএস খবির হোসেনের ওপর| তারই জের ধরে গত ২৯ আগস্ট গভীর রাতে তাদের ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার ওপর অতির্কিত হামলা চালিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলে যায়| ক’দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে খবির হোসেনের মৃত্যু ঘটে| কী জঘন্য সন্ত্রাসী কাণ্ড!
আমাদের প্রত্যাশা, চাঁদপুর-২ আসনের সাংসদের পিএস খবির হোসেনের অনাকাঙ&ধসঢ়;ক্ষিত অকাল মৃত্যুর জন্যে দায়ী সন্ত্রাসীদেরকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবে| পাশাপাশি দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সন্ত্রাসসহ সবধরনের অনৈতিকতার অবসান ঘটাবে|
বিশ্ব ব্যাংককে ফেরাতে চীনও চেষ্টায়
| ||||||||||
|
‘আগামী জুনের মধ্যে ৫৪ জেলায় ডিজিটালাইজড ভূমি অফিস’
|
প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ শিগগিরই
| ||||||||||
|
এবার স্যামসাংয়ের ভয়েস-কন্ট্রোল ক্যামেরা
এবার স্যামসাংয়ের ভয়েস-কন্ট্রোল ক্যামেরা

স্যামসাং বাজারে এনেছে ভয়েস বা কণ্ঠস্বর-নিয়ন্ত্রিত স্যামসাং গ্যালাক্সি ক্যামেরা। গুগলের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম অন্ড্রয়েডে সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে ক্যামেরাটি। স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট পিসিতেও একসময় এটি হবে যুগান্তকারী এক সংযোজন।
কারণ, ফটো অর্গানাইজিং, ফটো শেয়ারিং ও ভয়েস-কন্ট্রোল প্রযুক্তি থেকে খানিকটা দূরেই ছিল অত্যাধুনিক এ ডিভাইসগুলো।
প্রযুক্তির বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অ্যাপলের তুলনায় ভিন্নমাত্রিক প্রযুক্তি এনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার নতুন মোড় সংযোজন করতে চলেছে স্যামসাং। খবর বার্তা সংস্থা এপির। নিঃসন্দেহে ভয়েস-কন্ট্রোল ক্যামেরা সংযোজন স্যামসাংয়ের জনপ্রিয়তাকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
তাছাড়া অ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তি এখন বিশ্ববাজারে অ্যাপলের একচ্ছত্রত আধিপত্যকে অনেকটাই খর্ব করেছে। এমনটি মানুষ এখন দামে তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় বেছে নিচ্ছেন অ্যাপলের বদলে অন্ড্রয়েডকেই।
সেক্ষেত্রে অ্যাপলের নড়েচড়ে বসা ছাড়া অন্য কোন উপায় খোলা নেই। একই সঙ্গে আইফোন, ট্যাবলেট পিসির পেটেন্ট সংক্রান্ত ঝামেলাও থাকছে না। মাত্র কিছুদিন আগেই অ্যাপলের সঙ্গে মামলায় হেরেছে স্যামসাং।
বিশাল অঙ্কের জরিমানা গুনতে হচ্ছে তাদের। অবশ্য, এখনও স্যমসাংয়ের সামনের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল জানানোর পথ খোলা রয়েছে।
এদিকে স্যামসাংয়ের নতুন ডিভাইস হাতে পেতে মুখিয়ে রয়েছেন টেক-প্রেমীরা।
সৌদি আরবে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষেধ
সৌদি আরবে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষেধ

সরকারি অফিস, রেস্টুরেন্ট, কফিশপ, সুপার মার্কেট ও শপিংমলসহ যেসব জায়গায় লোকসমাগম বেশি সৌদি আরব সেসব স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ১৮ বছরের কম বয়সী যেসব শিশু তামাক বিক্রি করে তাদের তা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সরকারি সংবাদ সংস্থা এসপিএ’র রিপোর্টে জানা যায়, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ সোমবার থেকে প্রকাশ্যে ধূমপানের ওপর নিষেধাঙ্গা আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, ইসলামে জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে। ধূমপানবিরোধী প্রচারণার পদক্ষেপ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত বছর দেশটির বিমানবন্দরের মধ্যে প্রথম ধূমপান নিষেধ করা হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম তামাক আমদানিকারক দেশ সৌদি আরব এবং ৬০ লাখ সৌদি নাগরিক ধূমপান বাবদ একদিনে খরচ করে ৬৩ কোটির (৩০ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল) বেশি টাকা। এপি।
দেশে সাইকেল চালাতে লাইসেন্স লাগবে
দেশে সাইকেল চালাতে লাইসেন্স লাগবে

সড়ক পরিবহন ও চলাচল আইন, ২০১২’র খসড়া’য় পথচারী ও বাইসাইকেলের জন্য প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত ঢাকা যানবাহন সমন্বয় বোর্ড এ খসড়াটি তৈরি করেছে। খসড়ায় বাইসাইকেল নিবন্ধন ও চালানোর জন্য সরকারি সনদ (লাইসেন্স) নেয়ার যে বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে, তার বিরোধিতা করেছেন তারা।
মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ফর বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় বলা হয়, বিশ্বের কোনো দেশে বাইসাইকেল চালাতে লাইসেন্স নিতে হয় না। নেদারল্যান্ডের মত উন্নত রাষ্ট্রে পরিবহনব্যবস্থার ২৭ ভাগ জুড়েই আছে সাইকেল, আর নগর জীবনে তা ৫৯ ভাগ। অন্যদিকে আমাদের দেশে বাইসাইকেল ও পায়ে হাঁটাকে উৎসাহিত করতে পারছি না আমরা।
ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের ধানমন্ডিস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির পরিচালক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের প্রকল্প সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম সুজন।
এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দালন (বাপা) এর নির্বাহী সদস্য এবং বাপা যাতায়াত উপ-কমিটির সদস্য সচিব মহিদুল হক খান।
সভায় আইনের বিভিন্ন ধারা পরিবর্তনের প্রস্তাব তুলে ধরেন ট্রাস্টের ন্যাশনাল এডভোকেসি কর্মকর্তা অফিসার মারুফ রহমান। এছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর কর্মসূচি কর্মকর্তা সাবিনা নাঈম।
সভায় জানানো হয়, রাজধানীতে প্রায় ৮০ ভাগ যাতায়াতই কম দূরত্বে মধ্যে। যার বেশির ভাগই দুই কিলোমিটার বা তারও কম দূরত্ব। এই অল্প দূরত্ব যাতায়াতের জন্য বাইসাইকেল বা পায়ে হাঁটাই যথেষ্ট। অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে রাজধানীতে বাইসাইকেল ও পথচারীর সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব।
প্রস্তাবিত খসড়া সড়ক পরিবহন ও চলাচল আইন-২০১২ চুড়ান্ত করার আগে প্রতিটি জেলায় সরাসরি জনমত গ্রহণের সুপারিশ করে সংগঠনটি। এছাড়া আইনটি বেশ কয়েকটি ধারা ও উপধারার সংশোধনেরও সুপারিশ করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, হাঁটা ও বাই-সাইকেলে চলাচল কার্বন নির্গমন-জ্বালানি নির্ভরতা-যাতায়াত খরচ কমানো ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, কাজেই মানুষকে উৎসাহ দিতে বাই-সাইকেলকে ওই ধারায় প্রস্তাবিত বিধান এর আওতামুক্ত রাখা দরকার। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে পথচারী এবং বাইসাইকেলের ওপর অযাচিত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে যান্ত্রিক যানবাহনের প্রাধান্য লক্ষ্য করা গেছে।
সভায় বলা হয়, রাস্তায় পথচারী ক্রসিং এর জায়গা না থাকলে পথচারীদের যানবাহনকে রাস্তা ছেড়ে দেয়াসহ অনেকগুলি ধারা মানুষের হাঁটার ক্ষেত্রে আইনগত বাধা তৈরি করবে। কারণ নগরের রাস্তা কিংবা মহাসড়কে পথচারী ক্রসিং নাই বললেই চলে, এ আইন প্রণীত হলে যানবাহনের চালকরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে এবং দুর্ঘটনা বাড়বে। এমনিতেই বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালনা এবং দুর্ঘটনা নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তাবিত আইনকে সংশোধন করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, আইনের অনুসারে বাইসাইকেলের নিবন্ধন এবং বাইসাইকেল চালকের লাইসেন্স বিধান পরিবর্তন করতে হবে। বাইসাইকেলের জন্য নিবন্ধন ও চালকের সনদ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা বাই-সাইকেলের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করবে।
মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড ফর বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় বলা হয়, বিশ্বের কোনো দেশে বাইসাইকেল চালাতে লাইসেন্স নিতে হয় না। নেদারল্যান্ডের মত উন্নত রাষ্ট্রে পরিবহনব্যবস্থার ২৭ ভাগ জুড়েই আছে সাইকেল, আর নগর জীবনে তা ৫৯ ভাগ। অন্যদিকে আমাদের দেশে বাইসাইকেল ও পায়ে হাঁটাকে উৎসাহিত করতে পারছি না আমরা।
ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের ধানমন্ডিস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির পরিচালক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের প্রকল্প সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম সুজন।
এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দালন (বাপা) এর নির্বাহী সদস্য এবং বাপা যাতায়াত উপ-কমিটির সদস্য সচিব মহিদুল হক খান।
সভায় আইনের বিভিন্ন ধারা পরিবর্তনের প্রস্তাব তুলে ধরেন ট্রাস্টের ন্যাশনাল এডভোকেসি কর্মকর্তা অফিসার মারুফ রহমান। এছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর কর্মসূচি কর্মকর্তা সাবিনা নাঈম।
সভায় জানানো হয়, রাজধানীতে প্রায় ৮০ ভাগ যাতায়াতই কম দূরত্বে মধ্যে। যার বেশির ভাগই দুই কিলোমিটার বা তারও কম দূরত্ব। এই অল্প দূরত্ব যাতায়াতের জন্য বাইসাইকেল বা পায়ে হাঁটাই যথেষ্ট। অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে রাজধানীতে বাইসাইকেল ও পথচারীর সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব।
প্রস্তাবিত খসড়া সড়ক পরিবহন ও চলাচল আইন-২০১২ চুড়ান্ত করার আগে প্রতিটি জেলায় সরাসরি জনমত গ্রহণের সুপারিশ করে সংগঠনটি। এছাড়া আইনটি বেশ কয়েকটি ধারা ও উপধারার সংশোধনেরও সুপারিশ করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, হাঁটা ও বাই-সাইকেলে চলাচল কার্বন নির্গমন-জ্বালানি নির্ভরতা-যাতায়াত খরচ কমানো ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, কাজেই মানুষকে উৎসাহ দিতে বাই-সাইকেলকে ওই ধারায় প্রস্তাবিত বিধান এর আওতামুক্ত রাখা দরকার। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে পথচারী এবং বাইসাইকেলের ওপর অযাচিত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে যান্ত্রিক যানবাহনের প্রাধান্য লক্ষ্য করা গেছে।
সভায় বলা হয়, রাস্তায় পথচারী ক্রসিং এর জায়গা না থাকলে পথচারীদের যানবাহনকে রাস্তা ছেড়ে দেয়াসহ অনেকগুলি ধারা মানুষের হাঁটার ক্ষেত্রে আইনগত বাধা তৈরি করবে। কারণ নগরের রাস্তা কিংবা মহাসড়কে পথচারী ক্রসিং নাই বললেই চলে, এ আইন প্রণীত হলে যানবাহনের চালকরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে এবং দুর্ঘটনা বাড়বে। এমনিতেই বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালনা এবং দুর্ঘটনা নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তাবিত আইনকে সংশোধন করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, আইনের অনুসারে বাইসাইকেলের নিবন্ধন এবং বাইসাইকেল চালকের লাইসেন্স বিধান পরিবর্তন করতে হবে। বাইসাইকেলের জন্য নিবন্ধন ও চালকের সনদ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা বাই-সাইকেলের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করবে।
১২ অক্টোবর থেকে সিম কিনেই চালু করতে পারবেন না গ্রাহকরা
১২ অক্টোবর থেকে সিম কিনেই চালু করতে পারবেন না গ্রাহকরা

বন্ধ কয়ে যাচ্ছে মুঠোফোনে আগে থেকে চালু (প্রি-অ্যাক্টিভেটেড) সিম বা রিম বিক্রি। মুঠোফোনে অনিবন্ধিত সিম বা রিম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঠেকাতে এ বিষয়ে নতুন একটি নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে অপারেটররা আর প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম বা রিম বিক্রি করতে পারবে না। আর ওই সময় থেকে বাজারে পাওয়া যাবে পরে চালু হওয়া বা পোস্ট অ্যাক্টিভেশন সিম ও রিম কার্ড।
প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম বিক্রি বন্ধ করতে সম্প্রতি দেশের ৬ মোবাইলফোন অপারেটরকে নির্দেশনাসহ একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিটিআরসি।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেজ গ্রাহক নিবন্ধনের জন্য ব্যবহার উপযোগী হওয়ার আগ পর্যন্ত অপারেটররা বিভিন্ন ধরনের মাধ্যম (অফ লাইন ও ম্যানুয়াল) ব্যবহার করে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে সিম চালু (অ্যাক্টিভেট) করবে। সংযোগ চালুর সময় অসত্য বা ভুল তথ্যের (গ্রাহক নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য) জন্য সংশি¬ষ্ট অপারেটরকে এর দায়ভার বহন করতে হবে।
টেলিফোন বা মোবাইলের সিম/রিম নিবন্ধন নিদের্শনা অপারেটরগুলো সঠিকভাবে পালন না করলে ফৌজদারি মামলার বিধান রেখে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় পত্রের ডেটাবেজ গ্রাহক নিবন্ধনের জন্য ব্যবহার উপযোগী হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় বা অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে সিম চালু করতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে বাজার থেকে সিম কার্ড কিনে রিচার্জ করে (কোনো কোনো ক্ষেত্রে রিচার্জ না করেও) মোবাইলফোন সেটে ঢোকানোর সঙ্গে সঙ্গে তা চালু হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী নিচের প্রকৃত পরিচয় বা ঠিকানা নিবন্ধন না করেই দিব্যি ফোন চালু করতে পারেন। কিন্তু নতুন এই নির্দেশনার ফলে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে সিম কিনতে হবে। একই সাথে সিম কিনে নির্ধারিত সময় অপেক্ষার পরে এটি চালু হবে, মোবাইলফোনে সংযোগ পাওয়া যাবে।
সম্প্রতি অনিবন্ধিত সিম বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় বিটিআরসি এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিটিআরসির সিস্টেম ও সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক রাকিবুল হাসান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে অপারেটররা কোনো ধরনের প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সংযোগ বিক্রি করতে পারবে না এবং ওই তারিখের আগেই বাজার থেকে প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সংযোগের সিম বা রিম কার্ড বাজার থেকে তুলে নিতে হবে। ১২ অক্টোবরের পরে বাজারে কোনো ধরনের প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সংযোগের সিম বা রিম কার্ড পাওয়া গেলে প্রতিটির জন্য অপারেটরদের ৫০ ডলার জরিমানা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, অনিবন্ধিত সিম দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) করা হচ্ছে বলে অপারেটরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি র্যাব ৬ মোবাইলফোন অপারেটরের ১৫ হাজার ২৫৪টি সিম জব্দ করেছে। এসব সিম দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি করা হচ্ছিল এবং মানুষকে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছিল। এসব সিমের কোনোটারই নিবন্ধন নেই।
প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম বিক্রি বন্ধ করতে সম্প্রতি দেশের ৬ মোবাইলফোন অপারেটরকে নির্দেশনাসহ একটি চিঠি পাঠিয়েছে বিটিআরসি।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেজ গ্রাহক নিবন্ধনের জন্য ব্যবহার উপযোগী হওয়ার আগ পর্যন্ত অপারেটররা বিভিন্ন ধরনের মাধ্যম (অফ লাইন ও ম্যানুয়াল) ব্যবহার করে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে সিম চালু (অ্যাক্টিভেট) করবে। সংযোগ চালুর সময় অসত্য বা ভুল তথ্যের (গ্রাহক নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য) জন্য সংশি¬ষ্ট অপারেটরকে এর দায়ভার বহন করতে হবে।
টেলিফোন বা মোবাইলের সিম/রিম নিবন্ধন নিদের্শনা অপারেটরগুলো সঠিকভাবে পালন না করলে ফৌজদারি মামলার বিধান রেখে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় পত্রের ডেটাবেজ গ্রাহক নিবন্ধনের জন্য ব্যবহার উপযোগী হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় বা অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে সিম চালু করতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে বাজার থেকে সিম কার্ড কিনে রিচার্জ করে (কোনো কোনো ক্ষেত্রে রিচার্জ না করেও) মোবাইলফোন সেটে ঢোকানোর সঙ্গে সঙ্গে তা চালু হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী নিচের প্রকৃত পরিচয় বা ঠিকানা নিবন্ধন না করেই দিব্যি ফোন চালু করতে পারেন। কিন্তু নতুন এই নির্দেশনার ফলে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে সিম কিনতে হবে। একই সাথে সিম কিনে নির্ধারিত সময় অপেক্ষার পরে এটি চালু হবে, মোবাইলফোনে সংযোগ পাওয়া যাবে।
সম্প্রতি অনিবন্ধিত সিম বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় বিটিআরসি এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিটিআরসির সিস্টেম ও সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক রাকিবুল হাসান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে অপারেটররা কোনো ধরনের প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সংযোগ বিক্রি করতে পারবে না এবং ওই তারিখের আগেই বাজার থেকে প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সংযোগের সিম বা রিম কার্ড বাজার থেকে তুলে নিতে হবে। ১২ অক্টোবরের পরে বাজারে কোনো ধরনের প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সংযোগের সিম বা রিম কার্ড পাওয়া গেলে প্রতিটির জন্য অপারেটরদের ৫০ ডলার জরিমানা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, অনিবন্ধিত সিম দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) করা হচ্ছে বলে অপারেটরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি র্যাব ৬ মোবাইলফোন অপারেটরের ১৫ হাজার ২৫৪টি সিম জব্দ করেছে। এসব সিম দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি করা হচ্ছিল এবং মানুষকে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছিল। এসব সিমের কোনোটারই নিবন্ধন নেই।
Subscribe to:
Posts (Atom)