
পদ্মা সেতু প্রকল্পে এরই মধ্যে খরচ হওয়া ১৫০০ কোটি টাকা কিভাবে লুটপাট হয়েছে তা খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, পদ্মা সেতু দুর্নীতিতে শুধু সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন নয়, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর পরিবার জড়িত। প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ও মেয়ের জামাই দুর্নীতির কারণে গ্রেফতারের ভয়ে কানাডা থেকে পালিয়ে এসেছে। তার ছেলের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেটাও আমেরিকা তদন্ত করছে।
পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ডা. গাজী আবদুল হকের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ডা. এমএ মাজেদ, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ডা. এম এম মান্নান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাব্বির মোস্তফা খান, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক আবদুল আওয়াল ঠাকুর, মেজর (অব.) ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোটের অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সেতুর নামে খোঁজ নেই ১৫শ’ কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেছে। এই টাকা কারা কিভাবে লুটপাট করেছে খুঁজে বের করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিচার থেকে রেহাই পেতে উড়াল দিয়ে পালানোর চেষ্টা করতে পারেন উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তিনি উড়াল দিলেও কোনো জায়গায় ল্যান্ড করতে পারবেন না। এরই মধ্যে তার মেয়ে ও মেয়ের জামাই কানাডা থেকে পালিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, আগে দুর্নীতি সঙ্গে প্রশাসনের লোকজন জড়িত বলে শোনা যেতো। এখন শুধু প্রশাসন নয়, নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে যারা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করেন তারা নিজেরাই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, আবুল হোসেনকে কোরবানি দিয়েও প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণ ধরে রাখতে পারেননি। আগামীতে দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া পদ্মা সেতু নির্মাণের কোনো সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দলেও দুর্নীতির অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে তাদেরকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন এবং সরকার গঠনে মন্ত্রিত্ব থেকে দূরে রাখতে হবে। নতুবা আমাদেরও একই পরিণতি হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অতীতে অতি ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রী সব রাজনৈতিক দল বাতিল করে এবং সব পত্রিকা ও গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েও ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও ক্ষমতা আকড়ে থাকার জন্য নানা ফন্দিফিকির করছেন। এসব কোনো কাজে আসবে না, অতীত আমাদের সেটাই শিক্ষা দিয়েছে। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতু পরিকল্পনায়ই ডুবে গেছে। ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক সরকার ছাড়া পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, চারদলীয় জোট ও বিএনপি সরকারের আমলে অতীতে যমুনা সেতু, ভৈরব সেতু, কর্ণফুলী সেতু থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। একটি প্রকল্প নিয়েও কেউ কোনো দিন দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেনি। আর এই সরকারের আমলে একটি মাত্র প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরুর আগেই দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। তিনি বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামীতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে পদ্মা সেতুর ঋণের টাকা আবার ছাড় করার ব্যবস্থা রাখুন। তিনি বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীনরা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য পদ্মা সেতু ডুবিয়ে দিয়েছে। এই দুর্নীতির বিচার একদিন দেশের মানুষ করবেই।
পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ডা. গাজী আবদুল হকের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ডা. এমএ মাজেদ, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক ডা. এম এম মান্নান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাব্বির মোস্তফা খান, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক আবদুল আওয়াল ঠাকুর, মেজর (অব.) ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোটের অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সেতুর নামে খোঁজ নেই ১৫শ’ কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেছে। এই টাকা কারা কিভাবে লুটপাট করেছে খুঁজে বের করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিচার থেকে রেহাই পেতে উড়াল দিয়ে পালানোর চেষ্টা করতে পারেন উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তিনি উড়াল দিলেও কোনো জায়গায় ল্যান্ড করতে পারবেন না। এরই মধ্যে তার মেয়ে ও মেয়ের জামাই কানাডা থেকে পালিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, আগে দুর্নীতি সঙ্গে প্রশাসনের লোকজন জড়িত বলে শোনা যেতো। এখন শুধু প্রশাসন নয়, নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে যারা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করেন তারা নিজেরাই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, আবুল হোসেনকে কোরবানি দিয়েও প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণ ধরে রাখতে পারেননি। আগামীতে দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া পদ্মা সেতু নির্মাণের কোনো সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দলেও দুর্নীতির অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে তাদেরকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন এবং সরকার গঠনে মন্ত্রিত্ব থেকে দূরে রাখতে হবে। নতুবা আমাদেরও একই পরিণতি হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অতীতে অতি ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রী সব রাজনৈতিক দল বাতিল করে এবং সব পত্রিকা ও গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েও ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে পারেনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও ক্ষমতা আকড়ে থাকার জন্য নানা ফন্দিফিকির করছেন। এসব কোনো কাজে আসবে না, অতীত আমাদের সেটাই শিক্ষা দিয়েছে। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতু পরিকল্পনায়ই ডুবে গেছে। ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক সরকার ছাড়া পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, চারদলীয় জোট ও বিএনপি সরকারের আমলে অতীতে যমুনা সেতু, ভৈরব সেতু, কর্ণফুলী সেতু থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। একটি প্রকল্প নিয়েও কেউ কোনো দিন দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেনি। আর এই সরকারের আমলে একটি মাত্র প্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরুর আগেই দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। তিনি বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামীতে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে পদ্মা সেতুর ঋণের টাকা আবার ছাড় করার ব্যবস্থা রাখুন। তিনি বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীনরা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য পদ্মা সেতু ডুবিয়ে দিয়েছে। এই দুর্নীতির বিচার একদিন দেশের মানুষ করবেই।
No comments:
Post a Comment