Thursday, September 20, 2012

সাবেক প্রধান বিচারপতির নৈতিকতা বিরোধী ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায় প্রত্যাখ্যান করছি


গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশান বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করেন দলের চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া 
o বিচারের নামে এমন রায়ের নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না 0
o সংক্ষিপ্ত ও পূর্ণাঙ্গ রায়ে পার্থক্য অভূতপূর্ব এবং বিচারিক অসদাচরণ 0
o শপথের অধীন ছাড়া বিচারপতি রায় লিখতে কিংবা দস্তখত করতে পারেন না 0
o খায়রুল হক নিজের লেখা রায় ফিরিয়ে এনে পুনরায় লিখেছেন 0
o ক্ষমতাসীন সরকারের ইচ্ছা পূরণের জন্যই পরস্পর বিরোধী প্রস্তাব 0
o যৌক্তিক কারণেই এ রায় পক্ষপাতদুষ্ট, অগ্রহণযোগ্য ও বাতিলযোগ্য 0
o প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা মাত্র 0
o সংবিধান সংশোধন না করলে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে 0
 তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আপিল বিভাগের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় ‘প্রত্যাখ্যান' করে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ১৮ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, এই রায়ের ভিত্তিতে আয়োজিত কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবেন না এবং জনগণ নির্বাচন হতেও দেবে না। তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতির ওই রায় নৈতিকতা বিরোধী ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জনগণ কখনোই তা গ্রহণ করবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সম্পর্কে আদালত যে চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন তা প্রধানমন্ত্রীর কথার হুবহু প্রতিধ্বনি। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বলে দিয়েছেন সেভাবেই রায় দেয়া হয়েছে। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারের নামে এমন নিকৃষ্ট রায়ের নজির পৃথিবীর আর কোনো আদালতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরো বাড়বে। তিনি বলেন, আদালতের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় পক্ষপাতদুষ্ট, বাতিলযোগ্য এবং তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা মাত্র। প্রকৃতপক্ষে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকেই একটি সাজানো নির্বাচন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাঁয়তারা করছে সরকার। নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের জন্য সরকারকে সংসদে বিল তোলার আহবান জানিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, সরকার যদি সংবিধান সংশোধনের বিল পাস না করে, তাহলে চলমান আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।  গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  খালেদা জিয়া তার লিখিত বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রেক্ষাপট এবং এর জন্য আওয়ামী লীগ আন্দোলনের নামে যে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি দিয়েছিল তা উল্লেখ করেন। 
গতকাল বিকেল ৩ টা ১৫ মিনিটে খালেদা জিয়া তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি প্রায় ৩৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন।তার এ বক্তব্যের মধ্যে কমপক্ষে ৯ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। ফলে বিরতি দিয়েই খালেদা জিয়া তার লিখিত বক্তব্য পেশ করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আববাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিচারপতি টি এইচ খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিরোধী দলীয় নেতার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

No comments:

Post a Comment