Thursday, September 6, 2012

এবার স্বামীদের খবর আছে, বেতন দিতে হবে স্ত্রীকে


এবার স্বামীদের খবর আছে, বেতন দিতে হবে স্ত্রীকে

আর্ন্তজাতিক : খবরটা অনেক স্বামীর ঘুম হারাম করে দিতে পারে। আবার কেউ কেউ আসন্ন বিপদের হাত থেকে বাঁচার জন্য নতুন পথও খোঁজার সুযোগ পেতে পারেন কিংবা স্ত্রীর সঙ্গে নতুন কোনো সমঝোতা- চুক্তিও হতে পারে।
তবে, সুখবর হলো ভারতের বাইরের কোনো দেশের স্বামীদের জন্য এ সংবাদ এখনই দুঃসংবাদে পরিণত হচ্ছে না।
এবার শোনা যাক খবরটা কি। তোলপাড় সৃষ্টি করা খবরটি হলো- ভারত ভূখণ্ডে বসবাসরত কোনো স্বামী আর বিনা পয়সায় স্ত্রী পুষতে পারবেন না, নিতে পারবেন না বিনা পয়সার সার্ভিস। এ ধরনের সেবা-যত্ন নিতে হলে রীতিমতো বেতন দিতে হবে। এ জন্য শিগগিরি দেশটির জাতীয় সংসদে আসছে বিল। স্ত্রীদের ভাগ্য ভালো হলে বিলটা পাস হবে আর বিল আইনে পরিণত হলে প্রতি মাসে স্ত্রীদের ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে যাবে স্বামী-রত্নের আয়-ইনকামের নির্ধারিত অংশ। পয়সাটাও কিন্তু কম নয়।
সাড়া জাগানো এ খবর শুনে সুযোগ সন্ধানী বহু স্বামী হয়তো একেবারে ঝিম মেরেছেন। যেন এ ধরনের কোনো খবরই তিনি রাখেন না; গা বাঁচানোর জন্য হয়তো কেউ কেউ স্ত্রীদের প্রতি যত্ন-আত্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত যদি বিলটি আইনে পরিণত হয় তাহলে এ ধরনের যত্ন-আত্তিতে কতটা কাজ হবে তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না। কার‍ণ স্ত্রীরা শুধু মাসিক বেতনই পাবেন না সেই সঙ্গে স্বামীর ক্ষমতায়ও ভাগ বসাবেন। অর্থাত, এতদিন যে দোর্দণ্ড প্রতাপে অন্তত ঘর শাসন করেছেন স্বামী, সেই একক ক্ষমতা আর তার হাতে থাকছে না।
যাহোক, ভারতের জি নিউজ টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে- যদি দেশের নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয় সম্ভাব্য এ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয় তাহলে স্বামীরা আইনগতভাবেই তাদের স্ত্রীদের বেতন দিতে বাধ্য হবেন। এর এ বেতন হবে মুলত স্ত্রীর প্রতিদিনের কাজের মূল্যায়ন।
তবে, এখানে সন্দেহ প্রকাশ করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানাচ্ছে জি নিউজ। খবরে আরো বলা হয়েছে- “প্রকৃতপক্ষে মন্ত্রণালয় এ ধরনের একটি বিলের খসড়া প্রস্তুত করছে।”
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কৃষ্ণা তিরাথ জানিয়েছেন, ভারতীয় নারীদের ক্ষমতায়নের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। স্ত্রীদের যথাযথ মর্যাদা রক্ষার বিষয়টি সামনে রেখে বেতনের পরিমাণটা নির্ধারিত হবে। আর এ কাজে বেশি দেরি করা হবে না; বিল তৈরির ছয় মাসের মধ্যে তা সংসদে তোলা হবে।
একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্ত্রীদের জন্য প্রত্যেক স্বামীকে তার আয়ের ১০ থেকে ২০ ভাগ ব্যয় করতে হতে পারে। এ জন্য নিজ খরচে ব্যাংক একাউন্টও করে দিতে হবে স্বামীকেই। তবে, যেসব ব্যক্তি এতদিন ধরে একাধিক স্ত্রীর সেবা-যত্ন নিয়ে আসছেন তাদের খরচের মাত্রাটা কি হবে সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত নেই জি নিউজের খবরে।

No comments:

Post a Comment