
ইসলামী জঙ্গিবাদের জুজু নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অপপ্রচারে নেমেছে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ‘বিগত বিএনপি সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় মদতে বাংলাদেশে
ইসলামী জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। আল কায়দার সঙ্গে এসব জঙ্গিগোষ্ঠীর সরাসরি
সম্পর্ক রয়েছে। জঙ্গিরা প্রকাশ্যে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে।’—এমন সব
তথ্যসংবলিত একটি গোপন নোট সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর থেকে বিদেশে
অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এই নোটের বিষয়বস্তু
বিভিন্ন দেশের সরকার, কূটনীতিক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার
কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরার জন্য বলা হয়েছে। গত ২০ জুলাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডা. দীপু মনির দফতরের পরিচালক আন্দালিব ইলিয়াস বিএনপি-জামায়াতের অপশাসন
শিরোনামের এই গোপন নোটটি পাঠিয়েছেন। তিনি তার নোটে বলেছেন,
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে এই নোট পাঠাতে বলেছেন।
নোটের বিষয়বস্তু হোস্ট কান্ট্রির পদস্থ কর্মকর্তা, সেখানে অবস্থিত অন্যান্য দূতাবাসের কূটনীতিক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের এই গোপন নোটে ইসলামী জঙ্গিবাদসহ মানবাধিকার ও দুর্নীতির মতো ইস্যুগুলো তুলে ধরা হয়েছে। নোটে অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি এমন সব স্পর্শকাতর মন্তব্য করা হয়েছে, যা দেশের জন্য আত্মঘাতী বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের এই গোপন নোটে বলা হয়, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় মদতে ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান ঘটে। আল কায়দার সঙ্গে এসব জঙ্গিগোষ্ঠীর সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। হরকাতুল জিহাদ বা জেএমবির মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো আল কায়দা এবং পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বিগত জোট সরকারের আমলে এসব জঙ্গিগোষ্ঠী সরকারের সমান্তরাল শক্তি হিসেবে দেশ শাসন করেছে। তারা প্রকাশ্যে মানুষের ওপর নির্যাতন চালাত। জঙ্গিরা শত শত মানুষকে হত্যা করেছে বলে এই গোপন নোটে দাবি করা হয়েছে। জঙ্গিদের হাতে নিহতদের বেশিরভাগই তত্কালীন বিরোধী দলের (আওয়ামী লীগ) নেতাকর্মী বলে উল্লেখ করা হয়েছে নোটে।
জঙ্গিবাদের উত্থান সম্পর্কে গোপন এই নোটে আরও বলা হয়েছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের উত্থান এক নজিরবিহীন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়। পুলিশের সহযোগিতায় বাংলা ভাই, শায়েখ আবদুর রহমান ও মুফতি হান্নানের মতো জঙ্গিরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল শাসন করতে থাকে।
এসব জঙ্গি এবং বিএনপি-সমর্থিত সন্ত্রাসীরা তত্কালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর বোমা হামলা চালায়। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ গোপালগঞ্জে গির্জায় হামলার জন্যও জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো দায়ী বলে নোটে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএনপির তীব্র সমালোচনা করে নোটে বলা হয়—ভোট চুরি, নারী ধর্ষণ, সাংবাদিক নির্যাতন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা, হিন্দু এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ছিল বিএনপির শাসনামলের চিত্র।
বিএনপি আমলে সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিদের হাতে আওয়ামী লীগের ২৪ হাজার নেতাকর্মী নিহত হয়েছে বলে এই গোপন নোটে দাবি করা হয়।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামী জঙ্গিবাদ কঠোরভাবে দমন করছে। এছাড়া জঙ্গিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে নোটে উল্লেখ করা হয়েছে।
জঙ্গিবাদ সম্পর্কে নোটে আরও বলা হয়, বিএনপি সরকারের মদতে জঙ্গিরা ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালায়। এছাড়া বিগত সরকারের আমলে ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এই অবৈধ অস্ত্রের চালান আসার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা জড়িত ছিল।
জঙ্গিবাদের পাশাপাশি আরও কিছু প্রসঙ্গ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের এই গোপন নোটে বলা হয়েছে, বিএনপি সরকারের আমলে দুর্নীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় এবং বিশ্বের এক নম্বর দুর্নীতিগ্রস্থ দেশে পরিণত হয়। বাংলাদেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুত্ সংযোগ দেয়ার নামে তারা কোটি কোটি ডলার লুট করে। গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হরণ করে। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ১৩ সাংবাদিককে হত্যা করে। নোটে বলা হয়, বিএনপি সরকার মানবাধিকারের প্রতি কোনো ধরনের শ্রদ্ধাশীল ছিল না। জুডিশিয়াল প্রসেস বা বিচারিক প্রক্রিয়াকে তারা নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এই গোপন নোটে।
এদিকে এই গোপন নোটে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং অতীতের তুলনায় দুর্নীতি দমন কমিশন এখন অনেক স্বাধীনভাবে কাজ করছে। দুর্নীতি এখন অনেক কমে এসেছে। সরকার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করেছে। গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকরা এখন অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। এছাড়া বিচার বিভাগ এখন পুরোপুরি স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে গোপন নোট দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, হত্যা, বিচার বিভাগ দলীয়করণ, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা, বিশেষ করে সাগর-রুনি হত্যার মতো ইস্যু নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
নোটের বিষয়বস্তু হোস্ট কান্ট্রির পদস্থ কর্মকর্তা, সেখানে অবস্থিত অন্যান্য দূতাবাসের কূটনীতিক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের এই গোপন নোটে ইসলামী জঙ্গিবাদসহ মানবাধিকার ও দুর্নীতির মতো ইস্যুগুলো তুলে ধরা হয়েছে। নোটে অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি এমন সব স্পর্শকাতর মন্তব্য করা হয়েছে, যা দেশের জন্য আত্মঘাতী বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের এই গোপন নোটে বলা হয়, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় মদতে ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থান ঘটে। আল কায়দার সঙ্গে এসব জঙ্গিগোষ্ঠীর সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। হরকাতুল জিহাদ বা জেএমবির মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো আল কায়দা এবং পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বিগত জোট সরকারের আমলে এসব জঙ্গিগোষ্ঠী সরকারের সমান্তরাল শক্তি হিসেবে দেশ শাসন করেছে। তারা প্রকাশ্যে মানুষের ওপর নির্যাতন চালাত। জঙ্গিরা শত শত মানুষকে হত্যা করেছে বলে এই গোপন নোটে দাবি করা হয়েছে। জঙ্গিদের হাতে নিহতদের বেশিরভাগই তত্কালীন বিরোধী দলের (আওয়ামী লীগ) নেতাকর্মী বলে উল্লেখ করা হয়েছে নোটে।
জঙ্গিবাদের উত্থান সম্পর্কে গোপন এই নোটে আরও বলা হয়েছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের উত্থান এক নজিরবিহীন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়। পুলিশের সহযোগিতায় বাংলা ভাই, শায়েখ আবদুর রহমান ও মুফতি হান্নানের মতো জঙ্গিরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল শাসন করতে থাকে।
এসব জঙ্গি এবং বিএনপি-সমর্থিত সন্ত্রাসীরা তত্কালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর বোমা হামলা চালায়। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ গোপালগঞ্জে গির্জায় হামলার জন্যও জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো দায়ী বলে নোটে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএনপির তীব্র সমালোচনা করে নোটে বলা হয়—ভোট চুরি, নারী ধর্ষণ, সাংবাদিক নির্যাতন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা, হিন্দু এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ছিল বিএনপির শাসনামলের চিত্র।
বিএনপি আমলে সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিদের হাতে আওয়ামী লীগের ২৪ হাজার নেতাকর্মী নিহত হয়েছে বলে এই গোপন নোটে দাবি করা হয়।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামী জঙ্গিবাদ কঠোরভাবে দমন করছে। এছাড়া জঙ্গিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে নোটে উল্লেখ করা হয়েছে।
জঙ্গিবাদ সম্পর্কে নোটে আরও বলা হয়, বিএনপি সরকারের মদতে জঙ্গিরা ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালায়। এছাড়া বিগত সরকারের আমলে ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এই অবৈধ অস্ত্রের চালান আসার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা জড়িত ছিল।
জঙ্গিবাদের পাশাপাশি আরও কিছু প্রসঙ্গ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের এই গোপন নোটে বলা হয়েছে, বিএনপি সরকারের আমলে দুর্নীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় এবং বিশ্বের এক নম্বর দুর্নীতিগ্রস্থ দেশে পরিণত হয়। বাংলাদেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুত্ সংযোগ দেয়ার নামে তারা কোটি কোটি ডলার লুট করে। গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা হরণ করে। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ১৩ সাংবাদিককে হত্যা করে। নোটে বলা হয়, বিএনপি সরকার মানবাধিকারের প্রতি কোনো ধরনের শ্রদ্ধাশীল ছিল না। জুডিশিয়াল প্রসেস বা বিচারিক প্রক্রিয়াকে তারা নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এই গোপন নোটে।
এদিকে এই গোপন নোটে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং অতীতের তুলনায় দুর্নীতি দমন কমিশন এখন অনেক স্বাধীনভাবে কাজ করছে। দুর্নীতি এখন অনেক কমে এসেছে। সরকার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করেছে। গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকরা এখন অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। এছাড়া বিচার বিভাগ এখন পুরোপুরি স্বাধীনভাবে কাজ করছে বলে গোপন নোট দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, হত্যা, বিচার বিভাগ দলীয়করণ, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা, বিশেষ করে সাগর-রুনি হত্যার মতো ইস্যু নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
No comments:
Post a Comment