দিনে ২ ঘণ্টা লোডশেডিং হতেই হবে : শেখ হাসিনা![]()
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ভণ্ডুল করতে চায়, এমন দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চায়, তাদের নীলনকশার ব্যাপারে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে। সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এদের মোকাবিলা করতে হবে। যতই অপতত্পরতা চালানো হোক না কেন দেশের মানুষ সজাগ থাকলে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কিছুই করতে পারবে না।
গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের জাতীয় সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের যারা বাঁচাতে চায়, তাদের অপতত্পরতা তো থাকবেই। এখন সময় এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সোচ্চার হতে হবে। গত দু’দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতে ইসলামী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী গতকাল এসব মন্তব্য করেন। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিদ্যুত্ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি, দিনে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হতেই হবে। এটা জরুরি বলে আমি মনে করি। লোডশেডিং কী—এটা যেন জনগণ ভুলে না যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিদ্যুতের উত্পাদন ছয় হাজার ২০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছি। কিন্তু এর জন্যও কথা শুনতে হয়, সমালোচনা করা হয়। যারা সমালোচনা করেন, তারা আবার সমালোচনা শুনতে পারেন না। আমাদের রাজনীতিবিদদেরই শুধু সমালোচনা শুনতে হবে। বর্তমান সরকার দেশকে স্বনির্ভর করতে কাজ করে যাচ্ছে বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে চাই না। তিনি বলেন, বিএনপির নীতি ছিল, দেশে যেন খাদ্যঘাটতি থাকে। তাদের নীতি ছিল, কীভাবে সাহায্য পাওয়া যায়, ভিক্ষার চাল পাওয়া যায়। আগামী নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলার মানুষ আবার ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে নামার ব্যবস্থা করবে কিনা এটা তারাই (জনগণ) ঠিক করবে। আঞ্চলিক এবং দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানেও সরকারের তত্পরতা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি চাই না। আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে প্রকৌশলীদের আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। দাতাদের কাছ থেকে সাহায্য নিলে তাদের কথা শুনতে হয়। তারা যে টাকা দেয়, কনসালট্যান্সি করেই তার সব টাকা নিয়ে যায়। তিনি বলেন, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে। অন্যথায় আমাদের স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে যাবে। এ সময়ে গাজীপুরের মেশিন টুলস কারখানার প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ওটা বন্ধ করে সেখানে হাউজিংয়ের কথা বলা হয়েছিল। সেটাও দাতাদের প্রেসক্রিপশন ছিল। আমরা মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি সেনাবাহিনীকে দিয়ে দিয়েছি। এখন সেখানে বিভিন্ন জিনিস উত্পাদন হচ্ছে। |
Sunday, October 21, 2012
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Thank you for writing such a great post . Excellent article you have shared here. I really enjoyed to read this blog post. The information you give will prove to be of great value to me, I hope that. It is our wish that you continue to write great articles in such a future. Thank you for sharing the wonderful article.
ReplyDelete