Wednesday, September 12, 2012

এমডিসহ ডেসটিনির ৫ কর্মকর্তার জামিন বাতিল


 মুদ্রা পাচারের দুটি মামলায় ডেসটিনি ২০০০ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনসহ পাঁচ কর্মকর্তার জামিন বাতিল করেছেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত।

তাদের জামিন বাতিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা রিভিশন আবেদনের শুনানি করে আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান বুধবার এ আদেশ দেন।

জামিন বাতিল হওয়া বাকি চারজন হলেন ডেসটিনি গ্রুপের সভাপতি সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট জেনারেল হারুন অর রশিদ, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, পরিচালক মো. গোফরানুল হক ও মোহাম্মদ সাঈদ উর রহমান।

মামলার শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, এ মামলায় মহানগর হাকিম আদালতের জামিন দেওয়ার এখতিয়ার নেই। অথচ মহানগর হাকিম ডেসটিনির শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তাকে জামিন দিয়েছেন।

উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে মহানগর হাকিমের দেওয়া ওই জামিন বাতিলের আবেদন জানান তিনি।

আদেশের পর মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের জানান, আদালত জামিন বাতিল করায় পুলিশ এখন যে কোনো সময় আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারে।

তিনি জানান, এ দুই মামলার বাকি ১৭ আসামির জামিন বাতিলের জন্যও রিভিশন আবেদন করা হয়েছে। আদালত পরে এর শুনানি করবে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে সময় চাওয়া হলেও একতরফাভাবে শুনানি গ্রহণ করে আদেশ দেওয়া হয়েছে।

“বিচারকের এ আদেশে আমরা ক্ষুব্ধ। আদেশের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতের কাছে ওই আদেশ বাতিলের আবেদন জানানো হবে।”

সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পর বিদেশে পাচারের অভিযোগে গত ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেশন (এমএলএম) ও ট্রি-প্লান্টেশেন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থ পাচারের ‘প্রমাণ’ পেয়ে দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলি সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন।

রফিকুল আমিনসহ পাঁচ কর্মকর্তা গত ৬ অগাস্ট এ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তা মঞ্জুর করে। পরে জামিন পান বাকি ১৭ আসামিও ।

দুদকের পক্ষ থেকে শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার জামিন পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হলে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জহুরুল হক ১২ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন রাখেন। পরে বাকি ১৭ কর্মকর্তার ক্ষেত্রেও মঙ্গলবার একই আবেদন করা হয়। 

No comments:

Post a Comment