একের পর এক কেলেঙ্কারির ঘটনায় বিপর্যস্ত সরকার : আগামী নির্বাচনে ফলাফল নিয়ে শঙ্কা
একের পর এক কেলেঙ্কারির ঘটনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সরকার। সরকারের মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের দুর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ একাধিক কেলেঙ্কারির ঘটনা নিয়ে মেয়াদের এক বছর আগে সরকার খুবই বেকায়দায় পড়েছে। ইস্যুর পর ইস্যুতে জর্জরিত হচ্ছে সরকার। একটা ঘটনাকে সামাল দেয়ার আগেই সামনে হাজির হচ্ছে আরেকটি ইস্যু। এসব ঘটনা বেশিরভাগই সরকারের মধ্য থেকেই সৃষ্টি করা হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে এসে এসব জ্বলন্ত ইস্যু সরকারকে আগামী নির্বাচনে ফলাফল নিয়ে শঙ্কার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
এসব ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগকে সমালোচনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। সরকারের মধ্যকার একটি মহল থেকে এসব ঘটনার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র বলে চালানোর চেষ্টা হলেও সাধারণ জনগণ তো দূরের কথা, সরকারি দলের লোকজনকেও বিশ্বাসে আনা যাচ্ছে না, বরং তারা মনে করছে, প্রতিটি ইস্যুর সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীর বিচার টেনে এনে সরকারের অবস্থান দুর্বল করা হচ্ছে।
এদিকে ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিকদের পক্ষ থেকেও এসবের জন্য প্রধান শরিক আওয়ামী লীগকে দায়ী করা হচ্ছে। তারা সরকারকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, সরকারের কোনো অপকর্মের দায়-দায়িত্ব তারা নেবে না।
অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন, সরকার যদি মানুষের প্রত্যাশাকে ধারণ করে দুর্নীতি-অনিয়মের প্রতিটি ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে জাতীয় নির্বাচনে এর চড়া মাশুল দিতে হবে। এসব প্রতিটি কেলেঙ্কারি নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে সমস্যার সূত্রপাত হয়। একে একে বিদ্যুত্ সমস্যা, হত্যা-গুমসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, যানজট, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারণ, রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, ঢাকাকে দু’ভাগ, কুইট রেন্টালের নামে ২০ হাজার কোটি টাকার লুটপাট, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা, মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিসহ সরকারের সামনে সমস্যার পাহাড় জমতে থাকে। এর মধ্যে জাতীয় সংসদ ও বিচার বিভাগের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব, এপিএসের অর্থ কেলেঙ্কারির রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পদত্যাগ, পদ্মা সেতু নিয়ে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের দুর্নীতির অভিযোগ ও এ কারণে পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়া, একই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে সরাতে বিশ্বব্যাংকের চাপ এবং সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ ও এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বেফাঁস মন্তব্য সরকারকে চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
এসব ঘটনার জন্য খোদ সরকারি দল থেকে সমালোচনা করা হচ্ছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সংসদে মহাজোটের সিনিয়র সদস্যরা আলোচনার ঝড় তোলেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রীতিমত দলীয় সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন। সরকারি দলের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আবদুল জলিল, শেখ ফজলুল করিম ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননসহ মহাজোটের একাধিক সদস্য অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। মন্ত্রী বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার সংসদে তার বেফাঁস মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। নিজেদের দেশের ঘৃণিত ব্যক্তি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তার বক্তব্যের কারণে দুর্নীতিবাজরা উত্সাহিত হতে পারে।
হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, এই ঘটনা সরকার ও দলের জন্য সর্বনাশ ডেকে এনেছে। দলের জন্য এটা খুবই বিব্রতকর। এ ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
এর আগে শেয়ার কেলেঙ্কারিতে ৩২ লাখ বিনিয়োগকারীর ৪২ হাজার কোটি টাকা লুটে নেয়া খলনায়কদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ দূরে থাক, তাদের কেশাগ্র স্পর্শ করা যায়নি। দোর্দণ্ড দাপটের সঙ্গে তারা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। কুইক রেন্টালের নামে বিদ্যুত্ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ মিডিয়া পল্লী থেকে রাজনীতির অঙ্গন মাতিয়ে রাখছে। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির বিতর্ক দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশে ঠাঁই নেয়। এত সব বিতর্কের মুখে রেলের কালো বিড়াল ধরতে আসা রেলমন্ত্রী (সাবেক) সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার ও রেল কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মধ্যরাতে পাওয়া টাকার বস্তা সরকারকে বিব্রতই করেনি, বিতর্কের ঝড়ে ফেলে চরম ইমেজ সঙ্কটের দিকেও ঠেলে দিয়েছে। এই কেলেঙ্কারিতে থলের বিড়াল বেরিয়ে এলেও ধরা হয়নি। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পদত্যাগে বাধ্য হলেও দফতরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে বড়গলায় কথা বলে যাচ্ছেন। সরকার এই রহস্য উদ্ঘাটনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি, বরং সুরঞ্জিত সেনকে দেয়া হয়েছে সততার সার্টিফিকেট। এদিকে যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের পদত্যাগকে খোদ প্রধানমন্ত্রী সততার দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেছেন।
দলবাজি ও সরকারের নাম ভাঙানো, একটা শ্রেণীর স্বেচ্ছাচারিতা ও নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলো। প্রতিবাদে ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকরাও আন্দোলনে নামছেন। রক্তপাতের মতো ঘটনা ঘটার পরও সরকার দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছে না। নিয়োগবাণিজ্য, ভর্তিবাণিজ্য, ফলাফল কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত বুয়েট ভিসি-প্রোভিসির পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে দু’মাস ধরে অচল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। বুয়েট পরিস্থিতির আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শরীফ এনামুল কবীরকে পদত্যাগে বাধ্য করতে ছাত্র-শিক্ষকরা আন্দোলনকে উত্তাল করেছিলেন। সেখানে পানি অনেক গড়ানোর পর সরকার ভূমিকা রাখে। ভিসি এনামুলকে পদত্যাগ করে চলে যেতে হয়।
সরকারের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক নেতার মতে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গত সাড়ে তিন বছরে যেসব উন্নয়ন ও সফলতা দেখিয়েছে, কিছু ব্যক্তির কারণে সরকারের সে অর্জনগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে, যার মাশুল নির্বাচনের সময় দলকে দিতে হতে পারে। সাধারণভাবে মানুষের মধ্যে এসব কারণে সরকারের নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হচ্ছে বলে তারা মনে করছেন।
একের পর এক কেলেঙ্কারির ঘটনায় বিপর্যস্ত সরকার : আগামী নির্বাচনে ফলাফল নিয়ে শঙ্কা

এসব ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগকে সমালোচনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। সরকারের মধ্যকার একটি মহল থেকে এসব ঘটনার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র বলে চালানোর চেষ্টা হলেও সাধারণ জনগণ তো দূরের কথা, সরকারি দলের লোকজনকেও বিশ্বাসে আনা যাচ্ছে না, বরং তারা মনে করছে, প্রতিটি ইস্যুর সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীর বিচার টেনে এনে সরকারের অবস্থান দুর্বল করা হচ্ছে।
এদিকে ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিকদের পক্ষ থেকেও এসবের জন্য প্রধান শরিক আওয়ামী লীগকে দায়ী করা হচ্ছে। তারা সরকারকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, সরকারের কোনো অপকর্মের দায়-দায়িত্ব তারা নেবে না।
অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন, সরকার যদি মানুষের প্রত্যাশাকে ধারণ করে দুর্নীতি-অনিয়মের প্রতিটি ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে জাতীয় নির্বাচনে এর চড়া মাশুল দিতে হবে। এসব প্রতিটি কেলেঙ্কারি নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে সমস্যার সূত্রপাত হয়। একে একে বিদ্যুত্ সমস্যা, হত্যা-গুমসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, যানজট, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারণ, রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, ঢাকাকে দু’ভাগ, কুইট রেন্টালের নামে ২০ হাজার কোটি টাকার লুটপাট, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা, মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিসহ সরকারের সামনে সমস্যার পাহাড় জমতে থাকে। এর মধ্যে জাতীয় সংসদ ও বিচার বিভাগের মধ্যে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব, এপিএসের অর্থ কেলেঙ্কারির রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পদত্যাগ, পদ্মা সেতু নিয়ে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের দুর্নীতির অভিযোগ ও এ কারণে পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়া, একই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানকে সরাতে বিশ্বব্যাংকের চাপ এবং সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ ও এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বেফাঁস মন্তব্য সরকারকে চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
এসব ঘটনার জন্য খোদ সরকারি দল থেকে সমালোচনা করা হচ্ছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সংসদে মহাজোটের সিনিয়র সদস্যরা আলোচনার ঝড় তোলেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রীতিমত দলীয় সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন। সরকারি দলের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আবদুল জলিল, শেখ ফজলুল করিম ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননসহ মহাজোটের একাধিক সদস্য অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। মন্ত্রী বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার সংসদে তার বেফাঁস মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। নিজেদের দেশের ঘৃণিত ব্যক্তি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তার বক্তব্যের কারণে দুর্নীতিবাজরা উত্সাহিত হতে পারে।
হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, এই ঘটনা সরকার ও দলের জন্য সর্বনাশ ডেকে এনেছে। দলের জন্য এটা খুবই বিব্রতকর। এ ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
এর আগে শেয়ার কেলেঙ্কারিতে ৩২ লাখ বিনিয়োগকারীর ৪২ হাজার কোটি টাকা লুটে নেয়া খলনায়কদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ দূরে থাক, তাদের কেশাগ্র স্পর্শ করা যায়নি। দোর্দণ্ড দাপটের সঙ্গে তারা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। কুইক রেন্টালের নামে বিদ্যুত্ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ মিডিয়া পল্লী থেকে রাজনীতির অঙ্গন মাতিয়ে রাখছে। পদ্মা সেতুর দুর্নীতির বিতর্ক দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশে ঠাঁই নেয়। এত সব বিতর্কের মুখে রেলের কালো বিড়াল ধরতে আসা রেলমন্ত্রী (সাবেক) সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার ও রেল কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মধ্যরাতে পাওয়া টাকার বস্তা সরকারকে বিব্রতই করেনি, বিতর্কের ঝড়ে ফেলে চরম ইমেজ সঙ্কটের দিকেও ঠেলে দিয়েছে। এই কেলেঙ্কারিতে থলের বিড়াল বেরিয়ে এলেও ধরা হয়নি। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পদত্যাগে বাধ্য হলেও দফতরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে বড়গলায় কথা বলে যাচ্ছেন। সরকার এই রহস্য উদ্ঘাটনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি, বরং সুরঞ্জিত সেনকে দেয়া হয়েছে সততার সার্টিফিকেট। এদিকে যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের পদত্যাগকে খোদ প্রধানমন্ত্রী সততার দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেছেন।
দলবাজি ও সরকারের নাম ভাঙানো, একটা শ্রেণীর স্বেচ্ছাচারিতা ও নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় অস্থির হয়ে উঠেছে দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলো। প্রতিবাদে ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকরাও আন্দোলনে নামছেন। রক্তপাতের মতো ঘটনা ঘটার পরও সরকার দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছে না। নিয়োগবাণিজ্য, ভর্তিবাণিজ্য, ফলাফল কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত বুয়েট ভিসি-প্রোভিসির পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে দু’মাস ধরে অচল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। বুয়েট পরিস্থিতির আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শরীফ এনামুল কবীরকে পদত্যাগে বাধ্য করতে ছাত্র-শিক্ষকরা আন্দোলনকে উত্তাল করেছিলেন। সেখানে পানি অনেক গড়ানোর পর সরকার ভূমিকা রাখে। ভিসি এনামুলকে পদত্যাগ করে চলে যেতে হয়।
সরকারের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক নেতার মতে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গত সাড়ে তিন বছরে যেসব উন্নয়ন ও সফলতা দেখিয়েছে, কিছু ব্যক্তির কারণে সরকারের সে অর্জনগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে, যার মাশুল নির্বাচনের সময় দলকে দিতে হতে পারে। সাধারণভাবে মানুষের মধ্যে এসব কারণে সরকারের নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হচ্ছে বলে তারা মনে করছেন।
No comments:
Post a Comment