ইকনোমিস্টের প্রতিবেদন
বাংলাদেশে কোনো নির্বাচিত সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হয়নি
বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ ঠেকাতে তৎপর ভারত; পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনার আগে ইউনূসকে শায়েস্তা করা হবে; পদ্মা সেতু এখন পানসে সরকারের কাছে
লন্ডন থেকে প্রকাশিত বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ইকনোমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কোনো নির্বাচিত সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হয়নি। সে হিসেবে আগামী নির্বাচনে বিএনপির ক্ষমতা গ্রহণ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে ‘এই সম্ভাবনাই বাস্তব’ (দ্যাট প্রসপেক্ট ইজ রিয়্যাল)।
গতকাল প্রকাশিত ইকনোমিস্টের চলতি সংখ্যায় বাংলাদেশের পদ্মা সেতু বিষয়ে ‘ট্রাবল্ড ওয়াটারস, এ ফরেন ফান্ডেড ব্রিজ ইস হস্টেজ টু মার্কি লোকাল পলিটিক্স’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে পদ্মা সেতু এখন যথেষ্ট পানসে হয়ে গেছে। কারণ নির্বাচিনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৩ সালের আগে তারা এটি আর নির্মাণ করতে পারবে না। আবার শেখ হাসিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি যদি আগামী নির্বাচনে ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং পদ্মা সেতুর কৃতিত্ব নিজেদের ব্যাগে ভরে তা হলে সেটা হবে আওয়ামী লীগের জন্য আরো বেদনাদায়ক।
এরপর ইকনোমিস্টের প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘এই প্রত্যাশাই বাস্তব : বাংলাদেশে কোনো নির্বাচিত সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে জয়ী হয়নি। সুতরাং পরিশেষে এখন আর এ বিষয়ে শেখ হাসিনার কোনো জোরালো আগ্রহ নেই বিশ্বব্যাংকে প্রশমিত করার বিষয়ে। তবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থের দিকটি ভিন্ন কথা।’
‘ঘোলা পানি, অন্ধকার স্থানীয় রাজনীতির কবলে বিদেশী অর্থায়নের একটি ব্রিজ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট কোনো কোম্পানি পদ্মা সেতু বিনিয়োগ প্রকল্প ছিনিয়ে নিক কোনো পশ্চিমা সরকার তা চায় না (শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের বন্দর নির্মাণের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে)। পাশের এ দেশটির অর্থনীতির ক্ষেত্রে চীন যাতে বড় রকমের কোনো ভূমিকা পালন করতে না পারে সে জন্য ভারত সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
ইকনোমিস্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকার বিশ্বব্যাংকের শর্ত মেনে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনতে রাজি হতে পারে। তবে তার আগে তারা তাদের মনের শত্রু প্রফেসর ইউনূসকে শায়েস্তা করবে।
প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের কাছে ভিক্ষা মাগবে না। বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদে সেতু নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশের জাতীয় মর্যাদা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেÑ এমন অনুভূতি জাগিয়ে তুলছে এ অকার্যকর ধারণা। তাই সেতুর অর্থ জোগানোর জন্য সরকার কর আরোপের চিন্তা করছে।
শেখ হাসিনার এ চিন্তার একমাত্র প্রকাশ্য বিরোধী হলেন অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত, যিনি একসময় বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। মুহিত এমনপর্যায়ের নেতা যার প্রধানমন্ত্রীকে ‘বড় বোন’ সম্বোধনের প্রয়োজন হয় না। তিনি জানেন, এ কাজে বাংলাদেশের বহুপক্ষীয় সংস্থার সহায়তা দরকার। এ বছরের শুরুতে আইএমএফ এক বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়ে সমস্যা উত্তরণে সহায়তা করেছে সরকারকে। বাংলাদেশে যেসব প্রকল্প রয়েছে তার বিরাট অংশ বিদেশী সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এ সহায়তা ছাড়া এসব প্রকল্প চলবে না। ব্যাংক ছাড়া কোনো ব্রিজ হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দাতাগোষ্ঠীর স্বপ্নের ফসল হলো পদ্মা সেতু। এ সেতু হলে বাংলাদেশের তিন কোটি জন-অধ্যুষিত পশ্চাৎপদ দণি-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানীর বিচ্ছিন্ন অবস্থার অবসান হবে। পদ্মার বিশাল পানিরাশির কারণে রাজধানীসহ গোটা দেশের সাথে বর্তমানে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে পুরো দণি-পশ্চিমাঞ্চল। বিচ্ছিন্ন এই দণি-পশ্চিমাঞ্চলের এক দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবেড়া এবং দক্ষিণে সুন্দরবন যেখানে রয়েছে বাঘের বসতি। প্রস্তাবিত ৬ কিলোমিটার (৩.৮ মাইল) লম্বা এই সেতু ভারতের জন্যও একটি প্রবেশদ্বার হতে পারে। এ সেতু ঢাকা-কলকাতার সাথে সংযোগ স্থাপন করবে। এমনকি বাংলাদেশ-মিয়ানমার হয়ে দণি এশিয়ার সাথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধের যে উচ্চাকাক্সা তা পূরণেও ভূমিকা পালন করবে, যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ভৌগোলিক দিক থেকে। এ সেতু নির্মিত হলে বাংলাদেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১.২ শতাংশ হারে বেড়ে যাবে বলে হিসাব করা হয়েছে।
ইকনোমিস্টের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার দণি-পশ্চিমে নির্মিতব্য পরিকল্পিত এই সেতুতে চারটি যানবাহন লেন রাখা হয়েছে। যার মধ্যে রেল এবং গ্যাস পাইপলাইনও রয়েছে। পদ্মার জটিল পানিপ্রবাহের ধারা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু হায়, পাঁচ কিলোমিটার প্রশস্ত এই পদ্মার পানি নিয়ন্ত্রণ করা যত না কঠিন তার চেয়ে বেশি কঠিন এ প্রকল্প থেকে রাজনীতিবিদদের হস্ত সরিয়ে নেয়া।
বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত জুনে বিশ্বব্যাংক ১.২ বিলিয়ন ডলার ঋণচুক্তি বাতিল করেছে। পদ্মা সেতু দুর্নীতির সাথে জড়িত অনেক কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান এর সাথে জড়িত বলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে রিপোর্ট করেছে। ড. মসিউর বলেছেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেই কেবল তিনি পদত্যাগ করবেন। মসিউর রহমানের কেস বাদ দিন। বাংলাদেশে দায়মুক্তির সংস্কৃতি চালু আছে। দুর্নীতির কারণে এ দেশে একজন মাত্র প্রবীণ রাজনীতিকের জেল হয়েছে এবং তিনি হলেন সাবেক এক স্বৈরশাসক।
বাংলাদেশ সরকারের জন্য উল্লাস বয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের চেয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক অধিক প্রস্তুত হয়ে আছে। তারা প্রকল্পটি পুনরায় শুরুর ব্যাপারে আগ্রহী। এ প্রকল্পের আরেকটি বড় অংশীদার জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জাইকা) মতো তারাও দরজা খোলা রেখেছে। যা হোক, এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনতে হলে বাংলাদেশ সরকারের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে হবে। সম্ভবত সরকার টেবিলে ফিরে আসবে। কিন্তু তার আগে সরকারের ধারণামতে এর প্রধান শত্রুকে শায়েস্তা করা হবে। পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে দাঁড়ানোর পেছনে ুদ্রঋণের জনক নোবেল জয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়ী করেছেন
লন্ডন থেকে প্রকাশিত বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ইকনোমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কোনো নির্বাচিত সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে জয়ী হয়নি। সে হিসেবে আগামী নির্বাচনে বিএনপির ক্ষমতা গ্রহণ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে ‘এই সম্ভাবনাই বাস্তব’ (দ্যাট প্রসপেক্ট ইজ রিয়্যাল)।
গতকাল প্রকাশিত ইকনোমিস্টের চলতি সংখ্যায় বাংলাদেশের পদ্মা সেতু বিষয়ে ‘ট্রাবল্ড ওয়াটারস, এ ফরেন ফান্ডেড ব্রিজ ইস হস্টেজ টু মার্কি লোকাল পলিটিক্স’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে পদ্মা সেতু এখন যথেষ্ট পানসে হয়ে গেছে। কারণ নির্বাচিনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৩ সালের আগে তারা এটি আর নির্মাণ করতে পারবে না। আবার শেখ হাসিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি যদি আগামী নির্বাচনে ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং পদ্মা সেতুর কৃতিত্ব নিজেদের ব্যাগে ভরে তা হলে সেটা হবে আওয়ামী লীগের জন্য আরো বেদনাদায়ক।
এরপর ইকনোমিস্টের প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘এই প্রত্যাশাই বাস্তব : বাংলাদেশে কোনো নির্বাচিত সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে জয়ী হয়নি। সুতরাং পরিশেষে এখন আর এ বিষয়ে শেখ হাসিনার কোনো জোরালো আগ্রহ নেই বিশ্বব্যাংকে প্রশমিত করার বিষয়ে। তবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থের দিকটি ভিন্ন কথা।’
‘ঘোলা পানি, অন্ধকার স্থানীয় রাজনীতির কবলে বিদেশী অর্থায়নের একটি ব্রিজ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট কোনো কোম্পানি পদ্মা সেতু বিনিয়োগ প্রকল্প ছিনিয়ে নিক কোনো পশ্চিমা সরকার তা চায় না (শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের বন্দর নির্মাণের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে)। পাশের এ দেশটির অর্থনীতির ক্ষেত্রে চীন যাতে বড় রকমের কোনো ভূমিকা পালন করতে না পারে সে জন্য ভারত সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
ইকনোমিস্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকার বিশ্বব্যাংকের শর্ত মেনে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনতে রাজি হতে পারে। তবে তার আগে তারা তাদের মনের শত্রু প্রফেসর ইউনূসকে শায়েস্তা করবে।
প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের কাছে ভিক্ষা মাগবে না। বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদে সেতু নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশের জাতীয় মর্যাদা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেÑ এমন অনুভূতি জাগিয়ে তুলছে এ অকার্যকর ধারণা। তাই সেতুর অর্থ জোগানোর জন্য সরকার কর আরোপের চিন্তা করছে।
শেখ হাসিনার এ চিন্তার একমাত্র প্রকাশ্য বিরোধী হলেন অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত, যিনি একসময় বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। মুহিত এমনপর্যায়ের নেতা যার প্রধানমন্ত্রীকে ‘বড় বোন’ সম্বোধনের প্রয়োজন হয় না। তিনি জানেন, এ কাজে বাংলাদেশের বহুপক্ষীয় সংস্থার সহায়তা দরকার। এ বছরের শুরুতে আইএমএফ এক বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়ে সমস্যা উত্তরণে সহায়তা করেছে সরকারকে। বাংলাদেশে যেসব প্রকল্প রয়েছে তার বিরাট অংশ বিদেশী সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এ সহায়তা ছাড়া এসব প্রকল্প চলবে না। ব্যাংক ছাড়া কোনো ব্রিজ হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দাতাগোষ্ঠীর স্বপ্নের ফসল হলো পদ্মা সেতু। এ সেতু হলে বাংলাদেশের তিন কোটি জন-অধ্যুষিত পশ্চাৎপদ দণি-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানীর বিচ্ছিন্ন অবস্থার অবসান হবে। পদ্মার বিশাল পানিরাশির কারণে রাজধানীসহ গোটা দেশের সাথে বর্তমানে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে পুরো দণি-পশ্চিমাঞ্চল। বিচ্ছিন্ন এই দণি-পশ্চিমাঞ্চলের এক দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবেড়া এবং দক্ষিণে সুন্দরবন যেখানে রয়েছে বাঘের বসতি। প্রস্তাবিত ৬ কিলোমিটার (৩.৮ মাইল) লম্বা এই সেতু ভারতের জন্যও একটি প্রবেশদ্বার হতে পারে। এ সেতু ঢাকা-কলকাতার সাথে সংযোগ স্থাপন করবে। এমনকি বাংলাদেশ-মিয়ানমার হয়ে দণি এশিয়ার সাথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধের যে উচ্চাকাক্সা তা পূরণেও ভূমিকা পালন করবে, যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ভৌগোলিক দিক থেকে। এ সেতু নির্মিত হলে বাংলাদেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১.২ শতাংশ হারে বেড়ে যাবে বলে হিসাব করা হয়েছে।
ইকনোমিস্টের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার দণি-পশ্চিমে নির্মিতব্য পরিকল্পিত এই সেতুতে চারটি যানবাহন লেন রাখা হয়েছে। যার মধ্যে রেল এবং গ্যাস পাইপলাইনও রয়েছে। পদ্মার জটিল পানিপ্রবাহের ধারা অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু হায়, পাঁচ কিলোমিটার প্রশস্ত এই পদ্মার পানি নিয়ন্ত্রণ করা যত না কঠিন তার চেয়ে বেশি কঠিন এ প্রকল্প থেকে রাজনীতিবিদদের হস্ত সরিয়ে নেয়া।
বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত জুনে বিশ্বব্যাংক ১.২ বিলিয়ন ডলার ঋণচুক্তি বাতিল করেছে। পদ্মা সেতু দুর্নীতির সাথে জড়িত অনেক কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের দৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান এর সাথে জড়িত বলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে রিপোর্ট করেছে। ড. মসিউর বলেছেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেই কেবল তিনি পদত্যাগ করবেন। মসিউর রহমানের কেস বাদ দিন। বাংলাদেশে দায়মুক্তির সংস্কৃতি চালু আছে। দুর্নীতির কারণে এ দেশে একজন মাত্র প্রবীণ রাজনীতিকের জেল হয়েছে এবং তিনি হলেন সাবেক এক স্বৈরশাসক।
বাংলাদেশ সরকারের জন্য উল্লাস বয়ে আনার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের চেয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক অধিক প্রস্তুত হয়ে আছে। তারা প্রকল্পটি পুনরায় শুরুর ব্যাপারে আগ্রহী। এ প্রকল্পের আরেকটি বড় অংশীদার জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জাইকা) মতো তারাও দরজা খোলা রেখেছে। যা হোক, এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনতে হলে বাংলাদেশ সরকারের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে হবে। সম্ভবত সরকার টেবিলে ফিরে আসবে। কিন্তু তার আগে সরকারের ধারণামতে এর প্রধান শত্রুকে শায়েস্তা করা হবে। পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে দাঁড়ানোর পেছনে ুদ্রঋণের জনক নোবেল জয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়ী করেছেন
No comments:
Post a Comment