ইরাকজুড়ে কমপক্ষে ১১টি বোমা হামলায় অন্তত ৫৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১শ’রও বেশি মানুষ। ফ্রান্সের কনস্যুলার ভবনের বাইরেও গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হয়েছে।
রোববার ইরাকের বিভিন্ন শহরে এসব হামলা হয়। সবচেয়ে মারাত্মক হামলাটি হয়েছে বাগদাদের ৩শ কিলোমিটার দক্ষিণে আমারা শহরের কাছে।
ওই এলাকায় শিয়াদের তীর্থস্থানের বাইরে এবং বাজারে দুটি গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয় অন্তত ১৬ জন।
স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসক ১৬ টি মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানান এবং বলেন, আহতের সংখ্যা ১শ’রও বেশি।
এর আগে বাগদাদের ৫০ কিলোমিটার উত্তরে দুজাইল শহরে রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছে আত্মঘাতী হামলাকারী ও বন্দুকধারীরা।
সেখানে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী একটি গাড়ি চালিয়ে স্থানীয় সামরিক ঘাঁটির ভেতর ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটায়, পাশাপাশি বন্দুকধারীরা ঘাঁটিটি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।
এতে ১১ সেনা নিহত ও অপর সাতজন আহত হয় বলে পুলিশের সূত্রগুলো জানিয়েছে।
পরবর্তীতে বাগদাদের ২৫০ কিলোমিটার উত্তরে কিরকুক শহরে রোববার আরেকটি গাড়ি বোমা হামলায় ইরাকি নর্থ ওয়েল কোম্পানিতে প্রহরীর চাকরির খোঁজে আসা ৮ জন নিহত হয়।
বাগদাদের ৩’শ কিলোমিটার দক্ষিণে অপেক্ষাকৃত শান্ত শহর নাসিরিয়ায় ফ্রেঞ্চ কনস্যুলার ভবনের বাইরে একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে এক প্রহরী নিহত ও আরো চারজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একই শহরে অপর একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে দুইজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে।
এছাড়া, কিরকুক, বাকুবা, সামারা, বসরা ও তুজ খুর্মাতো শহরে অপর কয়েকটি বিস্ফোরণে ১০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে কিরকুকেই কয়েকটি বোমা হামলায় নিহত হয়েছে ৭ জন।
কিরকুকের অপরাধ তদন্ত কার্যালয়ের বাইরে একটি গাড়ি ও মটরসাইকেলে পেতে রাখা বোমায় তারা নিহত হয়, আহত হয় অন্তত ৪০ জন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো পক্ষ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ইরাকে সা¤প্রতিক বেশির ভাগ সহিংসতার জন্য আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সুন্নি জঙ্গিদেরকেই দায়ী করা হচ্ছে।
নয়মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র সেনাদের ছেড়ে যাওয়া ইরাক এখন সুন্নি, শিয়া ও কুর্দিদের মধ্যে কার্যত রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এই রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও হানাহানির জের ধরে দেশটিতে স¤প্রদায়গত সংঘাত ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
চলতি বছর সুন্নি বিদ্রোহী ও আল কায়েদ অনেকগুলো বড় ধরনের ধারাবাহিক হামলা পরিচালনা করেছে। এসব হামলার বহু লোক হতাহত হয়েছে। |
|
No comments:
Post a Comment