জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন বি. চৌধুরী

অরাজকতা, গুম, হত্যা, অপহরণ, দুর্নীতি প্রতিরোধ করে স্বপ্নের গণতন্ত্র বাস্তবায়ন করতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটরিয়ামে বিকল্প যুবধারা আয়োজিত ‘জাগো যুব বাঁচাও দেশ এবং রাজনীতি কী এভাবে চলবে, নাকি যুবসমাজ পরির্বতন আনতে পারবে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঐক্যের ডাক দেন। অনুষ্ঠানে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নুরুল আলম দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও মহাজোট সরকারের দুর্নীতি বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিকল্পধারার যুগ্ম-মহাসচিব মাহি বি. চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন যুবধারা কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ওবায়দুর রহমান মৃধা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপস্থিত সব নেতা একে অপরের হাত ধরে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার স্লোগান ধরেন। পরে বিকল্পধারার দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।
অধ্যাপক বি. চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার কর্মকাণ্ড এবং বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে আপনি দায়িত্ব পালন করছেন না। ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। দয়া করে ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। ক্ষমতার অপব্যবহারের পরিণাম ভালো হয় না।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে আরও বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার আগে বলেছিলেন দুর্নীতি বন্ধ করবেন। আপনি দুর্নীতি বন্ধ করতে পরেননি। বরং দুর্নীতিবাজদের দেশপ্রেমিক বলে দুর্নীতি করতে আরও উত্সাহী করেছেন।
ড. কামাল হোসেন বুয়েটের ভিসিকে অপসারণ করার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, এভাবে দেশ চলতে পারে না। আসুন, আমরা জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দেশ থেকে চিরতরে দুর্নীতি দূর করি, স্বপ্নের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় বিকল্পধারা প্রেসিডেন্টকে রেললাইনের ওপর বসে হামলা করেছিল। তার বাসভবনে আগুন লাগিয়েছিল। শুধু তাই নয়, বি. চৌধুরীর পা ভেঙে দিতে চেয়েছিল। আজ তারা আপনার কাছে ধরনা দিচ্ছে। বিষয়টি দেখে ভালোই লাগছে।
তিনি মহাজোট সরকারের সমালোচনা করে আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাপের ধনে পোদ্দারি করছেন। সময় এসেছে এই পোদ্দারি আর করতে পারবেন না। কারণ, পাকিস্তানের দালালদের আপনি তোয়াজ করছেন আর বঙ্গবন্ধুর ডাকে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাদের কোমরে দড়ি লাগাচ্ছেন। এর জবাব আপনি পাবেন।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দেশে রুগ্ন রাজনীতি চলছে একথা অস্বীকার করা যাবে না। যারাই দুর্নীতি করছে তাদেরকেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশপ্রেমিক উপাধি দিচ্ছেন। আমি বলব, রাষ্ট্রের প্রধান যিনি থাকেন তাকে সবদিক খেয়াল করে চলতে হবে। আমরাও ক্ষমতায় ছিলাম। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও যে শতভাগ পবিত্র সে কথা বলছি না।
অধ্যাপক বি. চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার কর্মকাণ্ড এবং বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে আপনি দায়িত্ব পালন করছেন না। ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। দয়া করে ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। ক্ষমতার অপব্যবহারের পরিণাম ভালো হয় না।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে আরও বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার আগে বলেছিলেন দুর্নীতি বন্ধ করবেন। আপনি দুর্নীতি বন্ধ করতে পরেননি। বরং দুর্নীতিবাজদের দেশপ্রেমিক বলে দুর্নীতি করতে আরও উত্সাহী করেছেন।
ড. কামাল হোসেন বুয়েটের ভিসিকে অপসারণ করার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, এভাবে দেশ চলতে পারে না। আসুন, আমরা জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দেশ থেকে চিরতরে দুর্নীতি দূর করি, স্বপ্নের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় বিকল্পধারা প্রেসিডেন্টকে রেললাইনের ওপর বসে হামলা করেছিল। তার বাসভবনে আগুন লাগিয়েছিল। শুধু তাই নয়, বি. চৌধুরীর পা ভেঙে দিতে চেয়েছিল। আজ তারা আপনার কাছে ধরনা দিচ্ছে। বিষয়টি দেখে ভালোই লাগছে।
তিনি মহাজোট সরকারের সমালোচনা করে আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাপের ধনে পোদ্দারি করছেন। সময় এসেছে এই পোদ্দারি আর করতে পারবেন না। কারণ, পাকিস্তানের দালালদের আপনি তোয়াজ করছেন আর বঙ্গবন্ধুর ডাকে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাদের কোমরে দড়ি লাগাচ্ছেন। এর জবাব আপনি পাবেন।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দেশে রুগ্ন রাজনীতি চলছে একথা অস্বীকার করা যাবে না। যারাই দুর্নীতি করছে তাদেরকেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশপ্রেমিক উপাধি দিচ্ছেন। আমি বলব, রাষ্ট্রের প্রধান যিনি থাকেন তাকে সবদিক খেয়াল করে চলতে হবে। আমরাও ক্ষমতায় ছিলাম। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও যে শতভাগ পবিত্র সে কথা বলছি না।
No comments:
Post a Comment