দলে দলে ফিরছেন প্রবাসীরা : আমিরাতে সাঁড়াশি অভিযানে বাংলাদেশীদের ধরপাকড়

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশীরা ভয়াবহ দুর্দিন কাটাচ্ছেন। এমন আতঙ্ক আর উদ্বেগ অতীতে কখনও ছিল না। বৈধ-অবৈধ বাংলাদেশীসহ বিদেশি শ্রমিকদের ব্যাপক হারে ধরপাকড় চলছে। প্রতিদিনই চলছে সাঁড়াশি অভিযান। কারাগারগুলোতে ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থা। প্রতিদিনই শত শত বাংলাদেশীকে ধরে জেলে পুরা হচ্ছে। এ পর্যন্ত কত বাংলাদেশী গ্রেফতার হয়েছেন, তার কোনো হিসাব নেই সরকার বা আমিরাতে নিয়োজিত বাংলাদেশ মিশনের হাতে। তবে কয়েকজন প্রবাসী আমার দেশ-এ ফোন করে জানিয়েছেন, ঈদুল ফিতরের পর থেকে এ পর্যন্ত কম করে হলেও ৫ হাজার বাংলাদেশীকে গ্রেফতারের খবর তারা পেয়েছেন। আকস্মিক এই ধরপাকড়ে বৈধ ও অবৈধভাবে আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসীরা চরম আতঙ্কের মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন। যাদের বৈধ ভিসা আছে, তাদের অনেকে নির্ধারিত কোম্পানিতে কাজ না করে অন্যত্র কর্মরত থাকায় এখন অবৈধদের মতোই তাদের ধরপাকড়ের মুখে পড়তে হচ্ছে। অন্য দেশের নাগরিকরাও ধরপাকড়ের মুখে পড়ছেন, তবে ৮০ শতাংশই বাংলাদেশী। এক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই পুলিশি অভিযানে অবৈধ শত শত শ্রমিক পুলিশের হাতে ধরা পড়ছেন।
প্রবাসীদের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, গ্রেফতার হওয়া শ্রমিকদের কারাগারে আটক রাখার পর দূতাবাস থেকে ট্রাভেল ইস্যু হলে পরে সুযোগমত দেশে পাঠানোর
উদ্দেশ্যে বিমানে তুলে দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ও দুবাইতে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক ধরপাকড় অভিযান চলছে বলে শারজায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকরা জানিয়েছেন।
দুবাই ও উত্তর আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. আবু জাফর গণমাধ্যমকে বলেন, শারজাহ থেকে অবৈধ বাংলাদেশীদের পুলিশ গ্রেফতার করছে। এ এলাকায় অপরাধ বেশি হচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত কতজন শ্রমিক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলে রয়েছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান না জানিয়ে তিনি বলেন, যারা ধরা পড়ছেন তাদের ব্যাপারে জেল কর্তৃপক্ষ ট্রাভেল পাসের জন্য আমাদের চিঠি লিখছে। আমরা জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চিঠি পেয়ে ট্রাভেল পাস ইস্যু করছি। এরপরই তাদের জেল থেকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সোমবারও ৭০ জনের নামে ট্রাভেল পাস ইস্যু করেছি। এ কাজ অব্যাহত রয়েছে।গত সপ্তাহে শারজায় পুলিশ হঠাত্ রোলা এরিয়ায় ধরপাকড় অভিযান শুরু করে। ওই অভিযানে একে একে ধরা পড়তে থাকেন অবৈধ শ্রমিকরা। এ সময় তাদের কারও হাতে ছিল মোবাইল ট্রান্সফার, কারও হাতে ফলমুল, আবার কেউবা করছিলেন হকারি। ধরা পড়ার পরই অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলতে থাকেন, এত টাকা খরচ করে এই দেশে এসেছি। টাকা তো পাঠাতে পারলাম না, এখন খালি হাতেই জেলে আটক থেকে দেশে ফিরতে হবে। কেউ কেউ আবার পুলিশের পা জড়িয়ে ধরেছিলেন। কিন্তু ক্ষুব্ধ পুলিশ এসব শ্রমিকের ব্যাপারে কোনো ধরনের করুণা না দেখিয়ে দু’জন দু’জন করে জড়ো করে শক্ত নাইলনের দড়ি দিয়ে দু’হাত বেঁধে ফেলে। খবর পেয়ে দুবাইয়ের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এসে তাদের ছবি তুলে নিয়ে যায়। এ সময় লজ্জায় অনেকেই মাথা নিচু করে রাখেন। গ্রেফতার হওয়াদের ৮০ শতাংশই বাংলাদেশী কর্মী।
প্রসঙ্গত, গত মাসে আমিরাত সরকার বাংলাদেশী শ্রমিকদের নামে ভিসা ইস্যু ও নবায়ন বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কী কারণে দেশটির সরকার শুধু বাংলাদেশীদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে ব্যাপারে অফিসিয়ালি কোনো সিদ্ধান্ত কেউ জানতে পারছেন না। তবে দেশটির একটি পত্রিকায় সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়া হয়, ভিসা দেয়া বন্ধ হয়নি তবে এখন থেকে
তারা ভিসা দেয়ার আগে যাচাই-বাছাই করে দেবে। কিন্তু এ
বিষয়টির সুরাহা হতে না হতেই এবার শুরু হয়ে গেছে গণহারে ধরপাকড় অভিযান।
প্রবাসীদের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, গ্রেফতার হওয়া শ্রমিকদের কারাগারে আটক রাখার পর দূতাবাস থেকে ট্রাভেল ইস্যু হলে পরে সুযোগমত দেশে পাঠানোর
উদ্দেশ্যে বিমানে তুলে দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ও দুবাইতে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক ধরপাকড় অভিযান চলছে বলে শারজায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকরা জানিয়েছেন।
দুবাই ও উত্তর আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. আবু জাফর গণমাধ্যমকে বলেন, শারজাহ থেকে অবৈধ বাংলাদেশীদের পুলিশ গ্রেফতার করছে। এ এলাকায় অপরাধ বেশি হচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত কতজন শ্রমিক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলে রয়েছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান না জানিয়ে তিনি বলেন, যারা ধরা পড়ছেন তাদের ব্যাপারে জেল কর্তৃপক্ষ ট্রাভেল পাসের জন্য আমাদের চিঠি লিখছে। আমরা জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চিঠি পেয়ে ট্রাভেল পাস ইস্যু করছি। এরপরই তাদের জেল থেকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সোমবারও ৭০ জনের নামে ট্রাভেল পাস ইস্যু করেছি। এ কাজ অব্যাহত রয়েছে।গত সপ্তাহে শারজায় পুলিশ হঠাত্ রোলা এরিয়ায় ধরপাকড় অভিযান শুরু করে। ওই অভিযানে একে একে ধরা পড়তে থাকেন অবৈধ শ্রমিকরা। এ সময় তাদের কারও হাতে ছিল মোবাইল ট্রান্সফার, কারও হাতে ফলমুল, আবার কেউবা করছিলেন হকারি। ধরা পড়ার পরই অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলতে থাকেন, এত টাকা খরচ করে এই দেশে এসেছি। টাকা তো পাঠাতে পারলাম না, এখন খালি হাতেই জেলে আটক থেকে দেশে ফিরতে হবে। কেউ কেউ আবার পুলিশের পা জড়িয়ে ধরেছিলেন। কিন্তু ক্ষুব্ধ পুলিশ এসব শ্রমিকের ব্যাপারে কোনো ধরনের করুণা না দেখিয়ে দু’জন দু’জন করে জড়ো করে শক্ত নাইলনের দড়ি দিয়ে দু’হাত বেঁধে ফেলে। খবর পেয়ে দুবাইয়ের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এসে তাদের ছবি তুলে নিয়ে যায়। এ সময় লজ্জায় অনেকেই মাথা নিচু করে রাখেন। গ্রেফতার হওয়াদের ৮০ শতাংশই বাংলাদেশী কর্মী।
প্রসঙ্গত, গত মাসে আমিরাত সরকার বাংলাদেশী শ্রমিকদের নামে ভিসা ইস্যু ও নবায়ন বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কী কারণে দেশটির সরকার শুধু বাংলাদেশীদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে ব্যাপারে অফিসিয়ালি কোনো সিদ্ধান্ত কেউ জানতে পারছেন না। তবে দেশটির একটি পত্রিকায় সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়া হয়, ভিসা দেয়া বন্ধ হয়নি তবে এখন থেকে
তারা ভিসা দেয়ার আগে যাচাই-বাছাই করে দেবে। কিন্তু এ
বিষয়টির সুরাহা হতে না হতেই এবার শুরু হয়ে গেছে গণহারে ধরপাকড় অভিযান।
No comments:
Post a Comment