মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নিতে দুই দিনের মধ্যে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক খন্দকার মো. সিফায়েতউল্লাহ।
সরকার এ বছর আগের নিয়মে অর্থাৎ, পরীক্ষার মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তির সিদ্ধান্ত হাই কোর্টকে জানানোর ঘণ্টা তিনেকের মাথায় সিফায়েতউল্লাহ বিডিনউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আবেদন চেয়ে দুই দিনের মধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব। এর আগেই পরীক্ষার তারিখ ও অন্যান্য নিয়ম চূড়ান্ত করা হবে।”
ভর্তি পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে এক আইনজীবীর করা রিট আবেদনের শুনানিতে রোববার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন হাই কোর্টকে জানান, সরকার এ বছর ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আগামী বছর থেকে জিপিএ এর ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে এ বিষয়টি ‘এফিডেবিট’ আকারে সোমবার আদালতে উপস্থাপন করতে বলেন।
গত ১২ অগাস্ট এক সভার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক জানান, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য চলতি বছর থেকে আর ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের জিপিএর ভিত্তিতেই এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
এর প্রতিবাদে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন শুরু করে।
সরকারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ইউনুস আলী আকন্দ নামের এক আইনজীবী একটি রিট আবেদন করলে হাই কোর্ট এ বিষয়ে বিভক্ত আদেশ দেয়। এরপর প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য শেখ হাসান আরিফের বেঞ্চে পাঠান। এই বেঞ্চেই রোববার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী রুহুল হক সাংবাদিকদের জানান, আদালত থেকে মামলাটি তুলে নেওয়া হলে সরকার এবার প্রচলিত, অর্থাৎ আগের পদ্ধতিতেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করবে। তা না হলে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী।
কাজ এগিয়ে রাখার লক্ষ্যে শিগগিরই ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
অবশ্য রিটকারী ইউনুস আলী আকন্দ সে সময় বলেছিলেন, সরকার পরীক্ষার মাধ্যমে মেডিকেলে শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ নিলেই তিনি হাই কোর্ট থেকে মামলা তুলে নেবেন।
বাংলাদেশের সবগুলো মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ মিলিয়ে মোট ৮ হাজার ৪৯৩টি আসন রয়েছে।
এর মধ্যে ২২টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ২ হাজার ৮১১টি। আর ৫৩টি বেসরকারি মেডিকেলে ৪ হাজার ২৪৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া ৯টি ‘পাবলিক’ ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ৫৬৭টি আসন রয়েছে। |
|
No comments:
Post a Comment