আইন করে সংসদ বর্জন বন্ধ করার সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সংসদীয় উন্মুক্ততার ঘোষণাপত্র প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিআইবি এই সুপারিশ করে।
আজ শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি এই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে। এতে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল ও নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, টানা ৩০ কার্যদিবসের বেশি সংসদ বর্জন করা যাবে না এবং একবার সংসদে যোগ দিলে সাত কার্যদিবসের আগে সংসদ বর্জন করা যাবে না। অন্যথায় সদস্যপদ থাকবে না।
সংসদীয় উন্মুক্ততার ঘোষণাপত্র পড়ে শোনান ইফতেখারুজ্জামান। এতে বলা হয়, গত ৩০ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন দেশের সংসদীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের সম্মেলনে সংসদীয় উন্মুক্ততার ঘোষণাপত্র গ্রহণ করা হয়। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ইতালির রাজধানী রোমে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ই-পার্লামেন্ট সম্মেলনে আজ ঘোষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়। বিশ্বের ৬০টি দেশের ৮৫টি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান এই ঘোষণাপত্রে সমর্থন দিয়েছে। টিআইবি গবেষণাপত্রটি প্রণয়নের সঙ্গে শুরু থেকে জড়িত।
টিআইবির সুপারিশে বলা হয়েছে, সংসদ কার্যকর ও গণমুখী করা এবং সংসদের মালিকানায় জনগণের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিদ্যমান আইন ও চর্চাকে ঘোষণাপত্রের আলোকে সংগতিপূর্ণ করতে হবে। জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য সংসদের কার্যবিবরণী এবং সাংসদদের আয় ও সম্পদের বিবরণী নিয়মিত প্রকাশ করতে হবে। আইন করে সংসদ বর্জন বন্ধ করা, আইন প্রণয়ন ও সংসদীয় কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করা এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষণ করে তা সহজলভ্য করার কথাও সুপারিশে বলা হয়েছে।
প্রস্তাব তুলে ধরে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের মতো সংসদ বর্জনের দৃষ্টান্ত বিশ্বের অন্য কোনো দেশে নেই। পঞ্চম সংসদ থেকে এই ধারা চলে আসছে। সে সময় এই বর্জনের হার ছিল ৩৪ শতাংশ, যা নবম সংসদে এসে ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। সংবিধানের বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী টানা ৯০ কার্যদিবস সংসদে অনুপস্থিতির সুযোগ থাকায় বিরোধী দল অবিরাম সংসদ বর্জন করছে।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, সংসদের স্থায়ী কমিটির কোনো কাজ প্রকাশ্য না হওয়ায় সাংসদ ও কমিটির ভূমিকা জনগণের কাছে অস্পষ্ট থেকে যাচ্ছে। কমিটিতে আলোচিত প্রতিরক্ষাবিষয়ক তথ্য কখনো প্রকাশ করা হয় না। আইন প্রণয়নে নাগরিক সমাজের ভূমিকা বিরল। কোনো রকম বৈষম্য বা প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সংসদবিষয়ক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব সংসদের। কিন্তু বাংলাদেশের সংসদে তা অনুপস্থিত।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল বলেন, ‘সংসদের মতো জায়গায় সাংসদদের যে ভাষা মানুষকে লজ্জায় ফেলে, সে ভাষা ব্যবহার করা উচিত নয়। সবকিছুতে আমরা দুই নেত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকি। তাঁরা যা বলবেন, তা-ই হবে। এটা তো গণতন্ত্র হতে পারে না। কারণ, এতে জনমতের প্রতিফলন নেই।’
সুলতানা কামাল আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী জনগণ ক্ষমতার মালিক। এটা প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সংসদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। জনজীবন কীভাবে যাপিত হবে, তা ঠিক করবে সংসদ। তা না হলে সংসদ জনগণের হবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুলতানা কামাল বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকা অবস্থায় যে দল হেরে গেছে, তারাই বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে লাভ কী?’
সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, টানা ৩০ কার্যদিবসের বেশি সংসদ বর্জন করা যাবে না এবং একবার সংসদে যোগ দিলে সাত কার্যদিবসের আগে সংসদ বর্জন করা যাবে না। অন্যথায় সদস্যপদ থাকবে না।
সংসদীয় উন্মুক্ততার ঘোষণাপত্র পড়ে শোনান ইফতেখারুজ্জামান। এতে বলা হয়, গত ৩০ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন দেশের সংসদীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের সম্মেলনে সংসদীয় উন্মুক্ততার ঘোষণাপত্র গ্রহণ করা হয়। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ইতালির রাজধানী রোমে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ই-পার্লামেন্ট সম্মেলনে আজ ঘোষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়। বিশ্বের ৬০টি দেশের ৮৫টি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান এই ঘোষণাপত্রে সমর্থন দিয়েছে। টিআইবি গবেষণাপত্রটি প্রণয়নের সঙ্গে শুরু থেকে জড়িত।
টিআইবির সুপারিশে বলা হয়েছে, সংসদ কার্যকর ও গণমুখী করা এবং সংসদের মালিকানায় জনগণের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিদ্যমান আইন ও চর্চাকে ঘোষণাপত্রের আলোকে সংগতিপূর্ণ করতে হবে। জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য সংসদের কার্যবিবরণী এবং সাংসদদের আয় ও সম্পদের বিবরণী নিয়মিত প্রকাশ করতে হবে। আইন করে সংসদ বর্জন বন্ধ করা, আইন প্রণয়ন ও সংসদীয় কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করা এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষণ করে তা সহজলভ্য করার কথাও সুপারিশে বলা হয়েছে।
প্রস্তাব তুলে ধরে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের মতো সংসদ বর্জনের দৃষ্টান্ত বিশ্বের অন্য কোনো দেশে নেই। পঞ্চম সংসদ থেকে এই ধারা চলে আসছে। সে সময় এই বর্জনের হার ছিল ৩৪ শতাংশ, যা নবম সংসদে এসে ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। সংবিধানের বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী টানা ৯০ কার্যদিবস সংসদে অনুপস্থিতির সুযোগ থাকায় বিরোধী দল অবিরাম সংসদ বর্জন করছে।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, সংসদের স্থায়ী কমিটির কোনো কাজ প্রকাশ্য না হওয়ায় সাংসদ ও কমিটির ভূমিকা জনগণের কাছে অস্পষ্ট থেকে যাচ্ছে। কমিটিতে আলোচিত প্রতিরক্ষাবিষয়ক তথ্য কখনো প্রকাশ করা হয় না। আইন প্রণয়নে নাগরিক সমাজের ভূমিকা বিরল। কোনো রকম বৈষম্য বা প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সংসদবিষয়ক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব সংসদের। কিন্তু বাংলাদেশের সংসদে তা অনুপস্থিত।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল বলেন, ‘সংসদের মতো জায়গায় সাংসদদের যে ভাষা মানুষকে লজ্জায় ফেলে, সে ভাষা ব্যবহার করা উচিত নয়। সবকিছুতে আমরা দুই নেত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকি। তাঁরা যা বলবেন, তা-ই হবে। এটা তো গণতন্ত্র হতে পারে না। কারণ, এতে জনমতের প্রতিফলন নেই।’
সুলতানা কামাল আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী জনগণ ক্ষমতার মালিক। এটা প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সংসদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। জনজীবন কীভাবে যাপিত হবে, তা ঠিক করবে সংসদ। তা না হলে সংসদ জনগণের হবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুলতানা কামাল বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকা অবস্থায় যে দল হেরে গেছে, তারাই বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে লাভ কী?’
No comments:
Post a Comment