সরকারের প্রতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
কোনো কারণ উল্লেখ ছাড়াই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামি পক্ষের এক প্রখ্যাত আইনজীবীর অফিসে সশস্ত্র পুলিশের হানা দেয়া নিরপেক্ষ বিচারের মৌলিক ধারণার মারাত্মক লঙ্ঘন। বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের অফিসে হানা দেয়ার নির্দেশ যারা দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং ওই আইনজীবীরা যে হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের মুখে পড়বেন না, তা নিশ্চিত করা।
নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানাবাধিকার সংস্থা হিউম্যঅন রাইটস ওয়াচ আজ বুধবার তাদের ওয়েব সাইটে এক প্রতিবেদনে এই আহ্বান জানিয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্র্র্যাড অ্যাডামস বলেন, যুদ্ধাপরাধ বিচারপ্রক্রিয়াটি ইতোমধ্যে ক্রুটিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এখন কোনো ওয়ারেন্ট বা যুক্তিগ্রাহ্য কারণ ছাড়া আসামি পক্ষের আইনজীবীদের অফিসে সশস্ত্র গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তল্লাসি ওই প্রক্রিয়াকে মারাত্মক ঝুঁকিগ্রস্ত করবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত প্রকাশ্যে ওই ব্যবস্থার সমালোচনা করা। নয়তো নিরপেক্ষ বিচার মানদণ্ডের এই মারাত্মক লঙ্ঘনের জন্য দায়ভার তাদের ওপর বর্তাবে।
মানবাধিকার সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯ অক্টোবর বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) পরিচয়ে ১০/১২ জন পুলিশ কর্মকর্তা তাজুল ইসলামের চেম্বারের বাইরে জড়ো হন। সেখানে উপস্থিত আইনজীবীরা তাদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করলে পুলিশ কর্মকর্তারা প্রথমে চেম্বারের ব্যাপারে আগ্রহ না থাকার কথা জানালেও পরে তারা জানান, তারা সেখানে তল্লাসি চালাতে চান বলে জানান। আইনজীবীরা তাদেরকে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখাতে বললে তারা তা দেখাতে ব্যর্থ হন। তারপর পুলিশ সদস্যরা ওই চেম্বারে উপস্থিত স্টাফ ও মক্কেলদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন, তাদের ঠিকানা নেন। প্রায় ২০ মিনিট পরে পুলিশ সেখান থেকে চলে যায়।
১০ অক্টোবর আসামি পক্ষ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২-এ বিষয়টি অবগত করান। ট্রাইব্যুনাল-২ আসামি পক্ষকে লিখিত আবেদন দাখিল এবং থানায় জিডি করতে বলেন। আর ট্রাইব্যুনাল-১ জানায়, বিষয়টি তাদের আওতাবহির্ভূত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালে আসামি পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুর রাজ্জাককে হয়রানি, হুমকি দেয়া হয়েছে। তার বাড়ি ও চেম্বারের উপর নজরদারি করা হচ্ছে।
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ করছেন, কৌসুলিদের পক্ষে কর্মরত ব্যক্তিদের হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য তারা অনেক সময়ই সাক্ষীদের আদালতে আনতে পারছেন না।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওই প্রতিবেদনে অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ত্রুটিগুলো সংশোধনের দাবিও জানিয়েছে। সংস্থাটি উভয় পক্ষের প্রতি সমান আচরণ করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বানও জানায়।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামি পক্ষের আইনজীবীদের হয়রানি বন্ধ করুন

নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানাবাধিকার সংস্থা হিউম্যঅন রাইটস ওয়াচ আজ বুধবার তাদের ওয়েব সাইটে এক প্রতিবেদনে এই আহ্বান জানিয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্র্র্যাড অ্যাডামস বলেন, যুদ্ধাপরাধ বিচারপ্রক্রিয়াটি ইতোমধ্যে ক্রুটিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এখন কোনো ওয়ারেন্ট বা যুক্তিগ্রাহ্য কারণ ছাড়া আসামি পক্ষের আইনজীবীদের অফিসে সশস্ত্র গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তল্লাসি ওই প্রক্রিয়াকে মারাত্মক ঝুঁকিগ্রস্ত করবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত প্রকাশ্যে ওই ব্যবস্থার সমালোচনা করা। নয়তো নিরপেক্ষ বিচার মানদণ্ডের এই মারাত্মক লঙ্ঘনের জন্য দায়ভার তাদের ওপর বর্তাবে।
মানবাধিকার সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯ অক্টোবর বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) পরিচয়ে ১০/১২ জন পুলিশ কর্মকর্তা তাজুল ইসলামের চেম্বারের বাইরে জড়ো হন। সেখানে উপস্থিত আইনজীবীরা তাদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করলে পুলিশ কর্মকর্তারা প্রথমে চেম্বারের ব্যাপারে আগ্রহ না থাকার কথা জানালেও পরে তারা জানান, তারা সেখানে তল্লাসি চালাতে চান বলে জানান। আইনজীবীরা তাদেরকে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখাতে বললে তারা তা দেখাতে ব্যর্থ হন। তারপর পুলিশ সদস্যরা ওই চেম্বারে উপস্থিত স্টাফ ও মক্কেলদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন, তাদের ঠিকানা নেন। প্রায় ২০ মিনিট পরে পুলিশ সেখান থেকে চলে যায়।
১০ অক্টোবর আসামি পক্ষ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২-এ বিষয়টি অবগত করান। ট্রাইব্যুনাল-২ আসামি পক্ষকে লিখিত আবেদন দাখিল এবং থানায় জিডি করতে বলেন। আর ট্রাইব্যুনাল-১ জানায়, বিষয়টি তাদের আওতাবহির্ভূত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালে আসামি পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুর রাজ্জাককে হয়রানি, হুমকি দেয়া হয়েছে। তার বাড়ি ও চেম্বারের উপর নজরদারি করা হচ্ছে।
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ করছেন, কৌসুলিদের পক্ষে কর্মরত ব্যক্তিদের হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য তারা অনেক সময়ই সাক্ষীদের আদালতে আনতে পারছেন না।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ওই প্রতিবেদনে অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ত্রুটিগুলো সংশোধনের দাবিও জানিয়েছে। সংস্থাটি উভয় পক্ষের প্রতি সমান আচরণ করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বানও জানায়।
No comments:
Post a Comment