Wednesday, October 17, 2012


আমু ও জলিল মন্ত্রী হচ্ছেন! 






















আরেক দফায় সম্প্রসারণ হচ্ছে মন্ত্রিসভা। তবে ঠিক কবে নাগাদ সম্প্রসারণ হবে, তা কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও কমপক্ষে দু'জন মন্ত্রিসভায় আসছেন বলে সমকালকে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। আলোচনায় পুরোভাগে রয়েছেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের দুই সদস্য আমির হোসেন আমু ও আবদুল জলিল। বর্ষীয়ান এ দুই নেতা ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। আমির হোসেন আমু খাদ্যমন্ত্রী ও আবদুল জলিল ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের কয়েকজন
নীতিনির্ধারক নেতা সমকালকে জানিয়েছেন, সরকারের শেষ বেলায় অনাগ্রহ থাকলেও আমন্ত্রণ জানানো হলে মন্ত্রী হিসেবে শেষের খেয়ার যাত্রী হতে তাদের আপত্তি থাকবে না। ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, দল ও দলনেত্রীর প্রতি আনুগত্যের প্রমাণ দিতে মন্ত্রিত্বের আমন্ত্রণে এ দু'জন নেতা সম্মত হবেন। তবে এ দুই নেতার বিকল্প হিসেবে নতুন দু'জনের কথাও ভেবে রাখা হয়েছে।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হলেও কারোর বাদ পড়ার সম্ভাবনা নেই। প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যেও কারও পদোন্নতির সম্ভাবনা কম। তবে কোনো কোনো মন্ত্রীর দায়িত্ব কমিয়ে আলাদাভাবে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে নতুনদের। ঈদের আগে না হলেও নভেম্বর মাসে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের তিন সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও আবদুল জলিলকে দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে আরও সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যে এই তিন নেতাকে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় পরিষদ সদস্য করেছেন।
এ অবস্থায় অনেকেই মনে করছেন, আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় দলের জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও আবদুল জলিলকে গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবিতে ফিরিয়ে আনবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাঠগড়ায় আ'লীগের তিন সাংগঠনিক সম্পাদক
সোমবার আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠকের পর দলের তিন সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ভূঁইয়া মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে ডেকে আনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানতে চান, সাংগঠনিক সম্পাদকদের উদ্ধৃতি দিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে ভুল সংবাদ কীভাবে প্রচার হচ্ছে। এ সময় সাত সাংগঠনিক সম্পাদকের পক্ষে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন আহমদ হোসেন, ভূঁইয়া মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তারা বলেছেন, যা বলা হয়নি তা-ও প্রকাশ পেয়েছে কয়েকটি গণমাধ্যমে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাংগঠনিক সম্পাদকদের বক্তব্য বিকৃত করে প্রকাশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমে প্রতিবাদও পাঠানো হয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমে সতর্ক হয়ে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৈঠকে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও গৃহায়ন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান উপস্থিত ছিলেন।

No comments:

Post a Comment