তারেক-কোকোর বিরুদ্ধে মামলা সোনালী ব্যাংকের
|
||||
![]() |
মঙ্গলবার সন্ধায় ঢাকার ১ নম্বর অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখার নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
অর্থঋণ আদালতের বিচারক রবিউল ইসলাম মামলাটি গ্রহণ করেন। কিন্তু সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মামলা করতে নির্ধারিত কোর্ট ফি দাখিল না করায় তা দাখিলের জন্য আগামী ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
আদালতের পেসকার মজিবর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ৪৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ফেরত চেয়ে ড্যান্ডি ডাইংয়ের চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, সদ্য মারা যাওয়া সাঈদ এস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, দুই ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, তারেক রহমানের ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহিনা বেগম, মোজাফ্ফর আহমেদ ও গাজী গালিব আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বিবাদিরা সবাই ডান্ডি ডাইংয়ের পরিচালক।
নিয়ম ভেঙ্গে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ দেওয়া নিয়ে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে রয়েছে সোনালী ব্যাংক। সম্ú্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নিরীক্ষায় সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা সরিয়ে ফেলার ঘটনা ধরা পড়ে। এর মধ্যে হলমার্ক গ্রুপই তুলে নেয় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
মজিবর রহমান জানান, ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদিরা সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা থেকে ১২ কোটি টাকা ঋণ নেয়। কিন্তু ঋণ পরিশোধের সময় পার হয়ে গেলেও তারা ঋণ পরিশোধ করেনি। তাই এই মামলা করা হয়েছে।
২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।
অর্থ আদায়ের মোকদ্দমা দায়ের করার আগে ফরিয়াদীকে অ্যাডভোলেরাম কোর্ট ফি দাখিল করতে হয়। তবে অর্থঋণ আইনে দায়েরকৃত এ মামলা দায়েরের ৩০ দিনের মধ্যে এই কোর্ট ফি দাখিল করা যায়।
No comments:
Post a Comment