Thursday, September 6, 2012

ডেসটিনির অনিয়মের চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া হবে দুই মাসের মধ্যে


ডেসটিনির অনিয়মের চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া হবে দুই মাসের মধ্যে

ডেসটিনি গ্রুপের অনিয়ম ও দুর্নীতি-সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় দুই মাস বাড়িয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সময় বাড়ানোর এই সম্মতি দেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব মো: গোলাম হোসেন। 
গতকাল দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাথে এ-সংক্রান্ত এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এতে ডেসটিনি গ্রুপের অনিয়ম তদন্তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ডেসটিনি গ্রুপের ৩৪টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কী ক্রটি করেছে, না করেছে সে প্রশ্নে না গিয়ে ৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে এক সাথে দেখা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ জন্য আরো দুই মাস সময় চাওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী এতে সম্মতি দিয়েছেন। 
তিনি বলেন, আশা করছি, এ দুই মাসের মধ্যে ডেসটিনির অনিয়ম-সংক্রান্ত চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া সম্ভব হবে।
‘ছয় মাস হয়ে গেছে এখনো তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া সম্ভব হচ্ছে না’Ñ সাংবাদিকদের এমন কথার জবাবে সচিব বলেন, আপনারা যদি মনে করেন, এটা কোনো শর্টকাট বিষয়, তা হলে সেটা ঠিক হবে না। এটা একটি জটিল বিষয়। আমরা একটি সমন্বিত তদন্ত করার চেষ্টা করছি। এখানে অনেক অনিয়ম ধরা পড়েছে। এখানে আরো তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। 
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সচিব বলেন, এ তদন্তের কয়েকটি স্তর রয়েছে। এর মধ্যে আমরা দু’টি স্তর অতিক্রম করেছি। এর একটি হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে ডেসটিনি গ্রুপের যে ৩৪টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে সে সময়ে বিদ্যমান বিধিবিধান অনুযায়ী তারা প্রয়োজনীয় ও সঠিক কাগজপত্র দিয়েছে কি নাÑ সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। বিভিন্ন সময়ে, মাসে ও বছরে দাখিল করা এসব কাগজপত্র পরীক্ষা করা খুব সহজ কাজ নয়। ভুল-ভ্রান্তি আছে কী নেই সেটা পরের বিষয়। এগুলো আমাদের দেখতে হচ্ছে। 
এ সময় সাংবাদিকেরা সমবায় অধিদফতরের তদন্তের উদাহরণ দিলে সচিব বলেন, সেখানে একটি মাত্র কোম্পানি। আর আমার এখানে ৩৪টি কোম্পানি। সুতরাং সমবায় অধিদফতর যেটা অল্প সময়ে করতে পেরেছে তা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
তদন্তের দ্বিতীয় স্তর সম্পর্কে সচিব বলেন, ওই সব কোম্পানি যাদের দ্বারা তাদের অডিট রিপোর্ট করিয়েছে সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এখানে কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। আর এ অনিয়মগুলো ইঙ্গিত করছে আরো কিছু বিষয় খতিয়ে দেখার। সেজন্য তাদের কাছে আরো কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই সেগুলো পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 
এ বিষয়ে পরে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এ প্রসঙ্গে নতুন কিছু বলার নেই। বাণিজ্যসচিব তো কথা বলেছেনই। তারা সময় চেয়েছেন, সময় বাড়ানো হয়েছে। 
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে ডেসটিনি গ্রুপের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি অবৈধ ব্যাংকি করছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বেআইনিভাবে উত্তোলন করছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।

No comments:

Post a Comment